শ্যামল রায়
করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে সারা দেশজুড়ে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন সরকারের তরফ থেকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে তেমনি বিভিন্ন সংস্থা ও এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ । কিন্তু ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই । কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা যেভাবে নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এটা এই সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জের বিষয় । জীবনকে বাজি রেখে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহের জন্য । কিন্তু লকডাউন ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গায় লোক জমায়েত করে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে । সাংবাদিকদের কাজ সত্যতা খুঁজে নেওয়া এবং পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য খবর খুঁজে নেওয়া । আর সেই কাজটি করতে বের হয়েছিলেন নবদ্বীপের একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য । কিন্তু লক ডাউন এর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ওই জনৈক ব্যাক্তি । একজন সাংবাদিককে যেভাবে তার সাথে আচরণ করা হয়েছে ভাষায় বলা কঠিন । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সাংবাদিককে নানান ধরনের কায়দায় হেনস্তা এবং হুমকি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । অনেকেই বলছেন সাংবাদিকরাই সাংবাদিকের শত্রু । অনেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ান আসল সত্যতা খুঁজে বের করে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন না । সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য বের হয়েছিলেন । নবদ্বীপের বিশিষ্ট চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরীর নার্সিংহোমে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কাজ চলছিল লকডাউন উপেক্ষা করে । সত্য কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার উপর আক্রমণ । ওই চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নবদ্দীপ থানায় সাংবাদিক হিমাঙ্ক ভট্টাচার্য ।
হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য্য শনিবার জানালেন লকডাউনের মধ্যে ত্রাণ দেওয়ার নামে হাজারও মানুষের জমায়েত করেছিলেন নবদ্বীপের এক চিকিৎসক। সে কথা মনে করতেই স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়।
আরো জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে শহরের সমস্ত সাংবাদিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনায় ওই চিকিৎসকের নামে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থার শিকার হওয়া ওই সাংবাদিক। লক ডাউনকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই নবদ্বীপের এক চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী ত্রান বিতরণ করেন নবদ্বীপ দেয়াড়া পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, সেই সময় ত্রান বিতরণ কেন্দ্রের সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়ে স্থানীয় পুরাতন মুক্তিদূত পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক হিমঙ্কর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ওই চিকিৎসক কে এই বেআইনি জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেজাজ হারিয়ে ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার পুত্র চিকিৎসক অনিন্দ্য চৌধুরী ও আরও অনেকে। অভিযোগ এক প্রকার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে ওই ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক হিমঙ্কর ভট্টাচার্য। ডাক্তার দিলীপ চৌধুরী বলেন ত্রান বিতরণের সময় সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়।আমি বুঝতে পারিনি উনি একজন সাংবাদিক।আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।একজন সাংবাদিক যেখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে আক্রান্ত।তখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে কার ঘাড়ে কটা মাথা? অভিযুক্তরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।