রবিবার, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

গরুপাচারে তৃণমূল কে সিবিআই দিয়ে জব্দ করতে চায় বিজেপি!

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

আন্তর্জাতিক গরু পাচার কান্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এই বিষয়ে এফআইআর করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিএসএফের রিপোর্ট অনুযায়ী এই তদন্ত বলে সংবাদমাধ্যম সুত্রে প্রকাশ। বাংলাদেশ থেকে গরুপাচারে বিস্ফোরক আইডি ব্যবহারের জন্যই এই তদন্ত নাকি? তবে বিশেষজ্ঞমহল বলছে অন্য কথা, যদি আন্তর্জাতিক বিষয় থাকত গরুপাচারে। তাহলে 'র' গোয়েন্দা সংস্থা নামত এই তদন্তে। কেননা বাংলাদেশ থেকে আসছে এই বিস্ফোরক ভর্তি আইডি। আবার যদি এই কারবারে জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকত। তাহলে এনআইএ সংস্থাটি গরুপাচারের তদন্ত শুরু করত। তাহলে সিবিআই কেন এই তদন্তে? বিএসএফ নিজস্ব পরিকাঠামোয় এই তদন্তে ষড়যন্ত্রকারীদের খুজতো। এক্ষেত্রে তা হয়নি। সিবিআই কে ডাকা হয়েছে। আসলে পশ্চিমবাংলায় সারদা - নারদা - রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই ক্রমশ রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বঙ্গ শাসকদলের। নিন্দুকদের দাবি - এতটাই রাতের ঘুম হারাম হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী কে ছুটতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে। তর্কবিতর্ক যাই থাকুক গরুপাচারে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির শাসকদলের নেতারা সিটিয়ে আছেন । বীরভূমের এক নেতারও দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কেননা বীরভূমের পুরন্দপুর মোড় গরুপাচারের সেভ করিডর হিসাবে পরিচিত। শাসক দলের এক আইপিএস গত পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য করবার কৃতিত্ব নিয়ে প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছিলেন বীরভূমে।কিন্তু মৌচাকে ঢিল মারতেই মাত্র কয়েকমাসে বদলী হয়েছিলেন কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। যদিও তিনি বর্তমানে অপেক্ষাকৃত ভালো পদে কর্মরত। তাঁর অপরাধ ছিল - পুরন্দপুরে বেশ কয়েকবার গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। বহরমপুর সাংসদ আগে প্রায়ই অভিযোগ তুলে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এইরাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরা গরু পাচারে যুক্ত বলে অভিযোগ তুলতেন। দ্বিতীয় পয্যায়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বদল ঘটিয়েছেন। তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি অমিত শাহ কে এনেছেন এই পদে। আর তাতেই গতি পেল আন্তজার্তিক গরুপাচারে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়াতে। কেউ কেউ বলছেন - আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কে বেকায়দায় ফেলতে এই তদন্ত। একাধারে ধরপাকর অপরদিকে আর্থিক যোগানে আঘাত করা। যদিও শাসকদল প্রথম থেকেই বলে আসছে - রাজনৈতিক লড়াইয়ে মুখোমুখি বিজেপি লড়তে না পেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলি কে ব্যবহার করছে।                                                                                                       

উরশেও এনআরসি ইস্যু তুললেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


শনিবার সারাদিনব্যাপি পূর্ব বর্ধমানের সদর মঙ্গলকোট গ্রামে আস্তানা শরীফে হল পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরীর ১৪ তম বাৎসরিক উরস মোবারক ।এই উরস মোবারকে  এসেছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান,  বাংলাদেশের ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মেম্বার তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আনসার মন্ডল, সেহেরাবাজার আল আমিন মিশন এর পদাধিকারী সফিকুল ইসলাম   প্রমুখ। কয়েকশো বছর আগে   পীর হজরত মাওলানা সৈয়দ শাহ রাশাদ আলি আল কাদেরী ধর্মীয় প্রচারে সূদুর ইরাকের বাগদাদ থেকে ভারত বর্ষে এসেছিলেন। সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট কেই বেছে নিয়েছিলেন এই ধর্মীয় প্রচারক। শনিবার এই উরশ উৎসব মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শাহ ফাদিল এরশাদ রাশুদ আলি আল কাদেরী। এরপর অধ্যাপক সৈয়দ শাহ মারহুনুল এরশাদ  আলি আল কাদেরী কোরান ও হাদিসের পেক্ষাপটে কিভাবে সৌভ্রাত্ব বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ শাহ ওয়ামিকুল এরশাদ আলি আল কাদেরী হুজুর কেবলার জীবন আদর্শের উপর আলোকপাত করেন এদিন মঞ্চে। শনিবার সদর মঙ্গলকোট গ্রামে সকালেই উরশের সূচনা ঘটে মিলাদ মেহফিলের মাধ্যমে। দুপুর একটা নাগাদ দ্বিতীয় পয্যায়ের সভা শুরু হয়। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এই পবিত্রস্থানে এসে মনে তৃপ্ত হয়েছেন, তা ব্যক্ত করেন৷ সেইসাথে এনআরসি  নিয়ে বাংলা কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে একতা এবং সৌভাতৃত্বের পক্ষে সওয়াল চালান। কাজি নজরুল ইসলামের 'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম' কবিতার বাস্তবতা খুবই জরুরি তা সভায় আগত শত শত ভক্তদের বলেন মন্ত্রী। এরপর বোলপুর সাংসদ অসিত মাল 'ধর্ম কাউকে ছোট করাতে শেখায়নি'  তা নিয়ে সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান বক্তব্য পেশে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু আব্দুল হামিদ দানেশখন্দ ( হামিদ বাঙ্গালী)  এর সুফিবাদের প্রচারে মঙ্গলকোট তথা বাংলার অবস্থান তুলে ধরেন৷ কয়েশ বছর ধরে মুসলিমরা দিল্লীতে রাজত্ব চালালেও উত্তর - দক্ষিণ - পশ্চিম ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা  বাড়েনি। তবে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেড়েছে কেননা সুফিবাদের প্রচারের সার্বিক বিকাশ ঘটেছিল এইখানে।এই সুফিবাদের প্রচার সমসাময়িক ক্ষেত্রে আরও দরকার, তা নিয়ে কোরান শরীফের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরেন ইমরান সাহেব।    এই উরশে শুধু এই বাংলা নয় ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ধর্মপ্রাণরা এসেছিলেন। বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন অনেকেই     । ঢাকার সাংসদ নাগিদ সোহাগ, বাংলাদেশের শিল্পপতি মহম্মদ জাকারিয়া  এই বাংলায় এসে অভিভূত তা বারবার ব্যক্ত 
করেন।উরশ কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল জানান - এখানে এসে আধ্যাত্মিক শান্তি পায়, অনেক মুরিদ আসেন তাদের বিভিন্ন দোওয়া নিয়ে            
                                                                      

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER