শনিবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯

জালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বলিউড বাদশার হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

  এবার বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের হলফনামা তলব করলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাস। হাজার কোটির বেশি আর্থিক প্রতারণা হয়েছে, এইরুপ এক সর্বভারতীয় ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বলিউড বাদশার কি সম্পর্ক রয়েছে, তা নভেম্বর মাসের মধ্যে জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ,  এই রাজ্যেই   ৫৩২ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা ঘটেছে বলে প্রকাশ । কেন সিবিআই তদন্ত হবে না এই মামলায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাসে মামলাকারী প্রেমানন্দ মুখোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি ঘটে। সেখানে বলিউড বাদশার পাশাপাশি রাজ্য সরকার, অভিযুক্ত সংস্থাদের পুজো কেটে যাওয়ার দুসপ্তাহ পর অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মধ্যেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। সেইসাথে  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এই মামলায় তদন্তে আগ্রহী কিনা, তা জানাবার আদেশনামা রয়েছে। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউজিসির অনুমোদন না থাকার জন্য ভুয়ো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে জানিয়ে দেয় । তারপরেও কিভাবে কোটি কোটি টাকা ডিগ্রি করানোর নামে সারাদেশ থেকে তুললো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে বলিউড বাদশার ছবি ব্যান্ড এম্বাসাডর হিসাবে ব্যবহার করে প্রতারিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি স্বয়ং অভিনেতা এই বিতর্কিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় দু দুবার  অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে ।  তাই এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই বিচারপতি দেবাংশ বসাক বলিউড অভিনেতার হলফনামা তলব করেছেন। আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে পুরুলিয়ার এক প্রাক্তন সৈনিক প্রেমানন্দ মুখোপাধ্যায় তাঁর পুত্র কে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি করানোর জন্য 'ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ প্লানিং ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ' নামে এক সর্বভারতীয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬ লক্ষ খরচে ভর্তি করান। বিভিন্ন সংবাদপত্রে অভিনেতা শাহরুখ খানের ব্যান্ড এম্বাসাডর হিসাবে ছবি এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানআয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় শাহরুখ খানের অংশগ্রহণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। এই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্নধার রয়েছেন অরিন্দম চৌধুরী মহাশয়। শিক্ষার্থীরা কোর্স সম্পন্ন করলেও  শংসাপত্র হাতে পাইনি । যা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ইউজিসির অনুমোদন না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভুয়ো বলে মান্যতা দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরেই বিধাননগরে এই সংস্থার অফিসে টাকা ফেরত চাইলে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি পান অভিযোগকারী, বলে দাবি । ২০১৫ সালে বিধাননগর ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাতেও কোন কিছু হয়নি। এমনকি নিম্ন আদালতে এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার দুদুবার পুলিশ রিপোর্টে অভিযোগে  সারবত্তা নেই বলে জানিয়ে দেন।  পুলিশ এবং নিম্ন আদালতের মাঝেই ২০১৮ সালে আইনজীবী মধুসূদন সরকার ও দীপাঞ্জন দত্তের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাকের এজলাসে মামলা দাখিল করেন অভিযোগকারী। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী রয়েছেন অসীম গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি দেবাংশ বসাক এই মামলার সমস্ত নথিপত্র দেখে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে ভৎসনা করে বলেন - এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে   কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি? সেইসাথে রাজ্যের আইনজীবী কে সিবিআই তদন্তের ইংগিত দেন স্বয়ং বিচারপতি। রাজ্য সরকার, অভিযুক্ত ভুয়ো সংস্থার কর্নাধার সর্বপরি বলিউড বাদশার হলফনামা দাখিলের নির্দেশজারি হয়। সেইসাথে সিবিআই কর্তৃপক্ষ এই মামলায় তদন্তে আগ্রহী কিনা তার মতামত চাওয়া হয়েছে বিচারপতির বেঞ্চে। উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় এই ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এই রাজ্য থেকেই ৫৩২ কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। সারাদেশে এই হিসাব ধরলে কয়েক হাজার কোটিতে দাঁড়াবে। এই মামলায় পরিধি সর্বভারতীয় পর্যায়ের। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি অভিযোগকারীর।                                                                                                                                                                                                                                                

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯

বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা নিয়ে কুমিরের কান্না শুনলো না হাইকোর্ট


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

একদিকে যখন বারাসাত জেলাশাসক অফিসে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশসুপারের তদারকিতে অনাস্থা ভোট চলছে। ঠিক সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে এই অনাস্থা ভোট নিয়ে জরুরিকালীন শুনানির আবেদন রাখে বিজেপি।বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের বেঞ্চে এই মামলা রিলিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয় - 'রেগুলার বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি হবে'। কিসের জন্য জরুরিকালীন শুনানি? সে নিয়েও উঠে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য বলেন - "মেট্রোরেলের সুরঙ্গ বিপর্যয় মামলা টি জরুরিকালীন বটে। আর এক্ষেত্রে গত ২৬ আগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এর এজলাসে এই মামলায় রায়দান ঘটেছে। সেখানে ভোটের দিনেই হাইকোর্টে মামলা করে আবার পুরসভার আইনী জটিলতা বাড়াবার প্রয়াস নিয়েছিল মামলাকারীরা "। বিজেপির দাবি ছিল - যারা বনগাঁ পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব এনেছে তারাই এখন তৃনমূলে। তাই এই অনাস্থা ভোট অবৈধ। এদিন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এজলাসে এই পিটিশনের শুনানিতে বলেন -' মানুষের মন পরিবর্তন ঘটলে সেখানে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোন এক্তিয়ার নেই '। উল্লেখ্য, আজ বারাসাত জেলাশাসক অফিসে বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোটে ১৪-০ ব্যবধানে জিতে তৃনমূল। বিজেপির কোন কাউন্সিলার উপস্থিত হননি। পুলিশসুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছিল ভোট শান্তিতে করার জন্য। ২২ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় ১৪ জন কাউন্সিলার তৃনমূলে। ১ জন সিপিএমের কাউন্সিলার এবং বাকি ৭ জন বিজেপির কাউন্সিলার আছেন । গত ২৬ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এর এজলাসে বঙ্গ রাজনীতিতে বহু চর্চিত বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলায় চুড়ান্ত নির্দেশদান   ঘটে। আগামী ১২ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের অফিসে পুলিশ সুপারের তদারকিতে এই ভোট হবে বলে আদেশনামায়   জানিয়েছিলেন বিচারপতি। কোন গন্ডগোল হলে তার দায়ভার নিতে হবে অর্থাৎ আদালত অবমাননার মামলা রুজু হবে ভোট বানচালকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই মামলার প্রথম পর্যায়ে বিজেপি কাউন্সিলাররা সংখ্যায় যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। তাতে গত দেড় মাসে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার    'ঘরের ছেলেরা' ফের ঘরে অর্থাৎ তৃনমূলে চলে আসায় ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। ওইদিন বিচারপতি পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন - 'এই পুরভোটের সমস্ত নির্বাচনী বিষয় জেলাশাসক অফিসে হবে। সেইসাথে প্রতিটি পুর কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন পুলিশ সুপার।পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখবেন  সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক  '। আগে যে অনাস্থার ভোট ঘটেছে তা বাতিল করে নুতন করে অনাস্থা ভোটের চুড়ান্ত নির্দেশ  দেওয়া হয়। আগামী ১২ দিনের মধ্যে সমস্ত ভোট পর্ব শেষ করার নির্দেশিকা ছিল। প্রসঙ্গত, এই পুরভোট নিয়ে বারবার কলকাতা হাইকোর্টে সমালোচিত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। সেইসাথে শাসকদলের অবস্থান ঘিরে নানা মন্তব্য উঠে এসেছে এই মামলার শুনানি পর্বে। কখনো তৃনমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বিচারপতির বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যাওয়ার নজির মিলেছে। আবার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কে ঘিরে সরকারি আইনজীবীদের কর্মবিরতির ঘটনাও দেখা গেছে।এর আগে শুনানিতে হয়ে যাওয়া অনাস্থা ভোট নিয়ে  বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল - 'গনতন্ত্রের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, অশান্তি রুখতে পুলিশ ব্যর্থ। পুলিশ নিরপেক্ষ ছিলনা অনাস্থা ভোটের দিন। গনতন্ত্র আজ ফুটপাতে দাঁড়িয়েছে' এই বিধ কড়া পর্যবেক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায়ের এজলাসে বনগাঁ  পুর মামলায়।এই মামলায় বাদী বিবাদী পক্ষের শুনানির সময় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এইবিধ পর্যবেক্ষণ গুলি রেখেছিলেন । তখন বিচারপতি বলেছিলেন - 'এই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারেনা'। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা বিষয়ক মামলাটিতে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেদিনকার অবস্থান নিয়ে কড়া ভৎসনা করেন। সেদিন ১১ জন কাউন্সিলার অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সেজন্য পুলিশ কে দায়ী করে ছিলেন বিচারপতি। যারা অনাস্থাপ্রস্তাব আনার জন্য হাইকোর্টে মামলা করলেন, তারা অনাস্থা ভোটে গরহাজির এটা কি করে মানা যায়?  পুলিশ ঝামেলা রুখতে তৎপর ছিলনা। ১০ কখনোই ১১ এর বেশি হতে পারেনা। সেদিন পুর চেয়ারম্যান বেলা চারটে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন।এই বিধ মন্তব্যগুলি এই মামলায় শুনানিতে উঠে এসেছিল বিচারপতির পর্যবেক্ষণে । যদিও এই মামলার গত শুনানি গুলিতে বিচারপতি পুনরায় অনাস্থা ভোটের ইংগিত দিয়ে বলেছিলেন - মহকুমাশাসক / জেলাশাসক অফিসে পুলিশসুপারের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট করা উচিত। সেসময় উত্তর দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার অনাস্থা মামলায় পুলিশ সুপার কে সমস্ত কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই বিচারপতি। বনগাঁ পুর মামলায় বিচারপতি বনগাঁর পুর চেয়ারম্যান কে নির্লজ্জ ক্ষমতালোভী বলে ভৎসিত করেছেন। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ঘিরে তৃনমূলের আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতির সাথে তর্কবিতর্কতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সাথে মতবিরোধ ঘটে। বিচারপতির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ দাবি করে রাজ্যের সরকারি আইনজীবীরা এই বিচারপতির এজলাস বয়কট করে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন । রাজ্যের আইনমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী কেও জানানো হয় তখনকার অভিযোগ। তবে এজলাস বয়কট টি একদিনের মাথায় তুলে নেন সরকারি আইনজীবীরা। উল্লেখ্য সেদিন কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে ফলাফল ঘোষণা হয়। সেইসাথে শাসকদলের আইনজীবীদের ব্যাপক পরাজয় ঘটে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বনগাঁ পুরসভার মামলা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। ২২ আসন বিশিষ্ট বনগাঁ পুরসভায় তৃনমূলের পক্ষে ১০ জন কাউন্সিলার, বিজেপির পক্ষে ১১ জন কাউন্সিলার এবং ভোটদানে বিরত সিপিএমের ১ জন কাউন্সিলার ছিলেন। কংগ্রেসের ১ জন কাউন্সিলার তৃণমূল কে সমর্থন করায় তৃনমূল ১০ সংখ্যায় পৌঁছেছিল। গত জুলাই মাসে প্রথম দিকে বিজেপির ৩ জন কাউন্সিলার বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোট চেয়ে মামলা দাখিল করেন। তাতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় অনাস্থা প্রক্রিয়া তিনদিনের মাথায় শুরু এবং সাতদিনে শেষ করার নির্দেশ দেন। বিজেপির ২ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে তৃনমূল কাউন্সিলার কে অপহরণ সহ তোলা আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। যদিও অপহৃত ওই তৃণমূলী কাউন্সিলার রহস্যজনকভাবে ফিরে আসেন নিজ বাড়ীতে। পরিবারের দাবি - মুক্তিপণ দিয়ে নাকি মুক্তি মিলেছে। বিজেপির ২ জন কাউন্সিলারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারী করে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোটের দিন মামলায় ওয়ারেন্টের দোহায় দিয়ে পুরসভার গেটে আটকে দিয়েছিল বিজেপির ২ কাউন্সিলার কে। সেইসাথে পুরসভার একটি ঘরে বাকি ৯ জন কাউন্সিলারদের তালা মেরে দিয়েছিল শাসকদলের তথা পুর চেয়ারম্যানের লোকজন। এই বিধ তথ্য মামলায় হলফনামা আকারে বিজেপি জমা দেয়। সেইসাথে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ক্লিপিংস, নিউজ কাটিং দেখানো হয় এজলাসে। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে ছিলেন - 'গণতন্ত্রের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আজ গণতন্ত্র ফুটপাতে দাঁড়িয়েছে....'গত ২৬ আগস্ট বিচারপতি সমাপ্তি চট্টপাধ্যায় এই মামলার চুড়ান্ত নির্দেশে - আগামী ১২ দিনের মধ্যে অনাস্থা ভোট শেষ করার নির্দেশিকা জারী হয় । সেটি জেলাশাসকের অফিসে এবং পুর কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ সুপার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ২২ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় তৃণমূল ১৪ তে দাড়িয়ে রয়েছে। ৭ জন বিজেপিতে। সিপিএমের ১ জন কাউন্সিলার ভোটদানে বিরত থাকার অবস্থানে অনড়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফের এজলাসে জরুরিকালীন শুনানি চেয়ে বিজেপি পিটিশন দাখিল করে। বিজেপির দাবি ছিল - যারা অনাস্থা ডেকেছে, আজ তারা তৃনমূলে। তাই এই অনাস্থাভোট অবৈধ। বিচারপতি জরুরিকালীন শুনানির যৌক্তিকতা তুলে জানিয়েদেন - এই মামলা রেগুলার বেঞ্চেই চলবে। অর্থাৎ পিটিশন টি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। অনেকেই বনগাঁ পুরসভার বিজেপির এই 'কুমির কান্না' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                 

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯

কলকাতা হাইকোর্টের খুনের মামলায় পুন তদন্তের নির্দেশ,বিপাকে বিজেপির বিধায়ক

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে বীরভূমের লাভপুরে এলাকার খুনের এক মামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়। ৯ বছর পূর্বে এই মামলার যিনি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ছিলেন। তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মামলার পুনরায় তদন্তের। তবে বীরভূমের পুলিশসুপারের নজরদারিতে তিনমাসের মধ্যেই তদন্তের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে বলে আদেশনামায় উল্লেখ আছে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশে ভীষন চাপে পড়ে গেলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। কেননা এই মামলায় তিনি মূল অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছেন। মামলার তদন্তে প্রথমভাগে এই স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জন অভিযুক্তদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। সেসময় লাভপুর বিধায়ক শাসকদলের প্রভাবশালী বিধায়ক হিসাবে ছিলেন। বর্তমানে তিনি 'ঘরপোড়া গরু'র মত রাজনৈতিক ময়দানে বিচরণ করছেন। দিল্লি গিয়ে দলবদল করলেও বিজেপিতে অচ্ছুৎ অবস্থায় আছেন। তাই রাজ্য পুলিশের তদন্তে দলত্যাগী তৃনমূল বিধায়ক কে নিয়ে নানান জল্পনা জেলা রাজনীতিমহলে। 

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে লাভপুরে ৩ জন খুন হয়েছিলেন।নিহতেরা হল ধানু সেখ, কাটুন সেখ এবং তুরুক সেখ।  এই খুনে অভিযোগকারী এলাকার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশি তদন্তে চার্জশিট পেশে দেখা যায়,  বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জন কে তাদের বিরুদ্ধে উঠা খুনের অভিযোগ থেকে নিস্কৃতি দেওয়া হয়েছে। এহেন পুলিশি তদন্ত রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে ২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলাকারী পুনরায় তদন্তের জন্য পিটিশন দাখিল করেন। সেই পিটিশন গ্রহণ না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় নিহতের পরিবার। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি মধুমতী মিত্রের বেঞ্চ    জানিয়ে দেয় - ২০১০ সালের এই খুনের মামলায় পুনরায় তদন্ত করবেন আগেকার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। পুলিশসুপারের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে। এবং তা শেষ করতে হবে তিনমাসের মধ্যেই। সেইসাথে ২০১৮ সালের সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প আইনে মামলাকারী এবং নিহতের পরিবার কে পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।                                                                                                                                         

মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে ঘর নির্মাণে দুর্নীতি, ঘটনাস্থলে এসডিও


 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

'কাটমানি' এবং 'দিদি কে বলো' কর্মসূচিতে যখন সারা রাজ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটেও পর্দাফাঁস হল আরেক দুর্নীতির। দু - এক লাখের দুর্নীতি নয় আবার, বাইশ লাখ অনুদানে বিদ্যালয়ের ঘর নির্মাণ প্রকল্পে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। সাথে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। যখন সরজমিন তদন্ত করছেন স্বয়ং মহকুমাশাসক, তখন চরম অস্বস্তিতে দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের। 'কেন মহকুমাশাসক কে ফোন করা হল'?  সেই প্রশ্নও করতে দেখা যায় সমিতির পদাধিকারীদের। কাটোয়া মহকুমাশাসক অবশ্য, এই প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার যথাযথ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে ইঞ্জিনিয়ারদের ওই ইমারতিদ্রবের গুনগত মান পরীক্ষার নির্দেশ দেন। যা নিয়ে সরগরম মঙ্গলকোট। অভিযোগ উঠছে, অভিযোগকারী প্রধানশিক্ষক কে বিভিন্নভাবে শাসানো হচ্ছে। যদিও রাজ্যসরকারের 'শিক্ষকরত্ন' প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক  প্রশান্ত পাল প্রকাশ্যে কিছুই বলতে চাননি। এলাকা সুত্রে প্রকাশ, মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে সম্প্রতি বাইশ লাখ অনুদানে  বেশকিছু অতিরিক্ত ঘর নির্মাণের বরাত পেয়েছেন এক ঠিকেদার। অভিভাবকদের বড় অংশের দাবি, ইমারতি দ্রব গুলি অত্যন্ত নিম্নমানের। ইট থেকে সিমেন্ট। বালি থেকে পাথর - রড।সবকিছুর গুনগত মান খুবই খারাপ। তার উপর বিল্ডিংয়ের ভিত গড়তে যে পিলার গুলি করা হয়েছে। সেখানে রড খুব কম দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে আবার গোটা ইট ভরা হয়েছে। সেইসাথে পিলারের রিং বাঁধা হয়নি। মাটির নিচে পিলারের জন্য গর্তও সেভাবে গড়া হয়নি। এইরূপ বিভিন্ন অভিযোগ পড়ুয়াদের অবিভাবকরা প্রধান শিক্ষক কে জানিয়েছিলেন। সেইমত প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত পাল বিষয়টি কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পালের দৃষ্টিআকর্ষণ করান।বিষয়টি জানার সাথেসাথেই বিডিও - ইঞ্জিনিয়ার - পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে হানা দেন মহকুমাশাসক। সবকিছু দেখে ইঞ্জিনিয়ার কে টেন্ডারের শর্ত গুলির সাথে ইমারতি দ্রবের আনুপাতিক হিসাব এবং গুনগত মান পরীক্ষার নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক জানান - "কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, রিপোর্ট দিতে বলেছি ব্লক প্রশাসন কে "।  শুধু মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ঘর নির্মাণে দুর্নীতি নয়, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণ বিষয় মঙ্গলকোটের কাজে। মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে নথিভুক্ত এক ঠিকেদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে জানান -" আমাদের কে প্রকল্পের আর্থিক অনুদানের দশ থেকে পনেরো শতাংকস অর্থ  দিতে হয়। তবেই কাজের বরাত মিলে। যতই সরকারি প্রকল্পে   ই-টেন্টার বলা হোক না কেন, শাসকদলের নেতাদের সাথে কথা বলে কাজের 'রেট' আগাম জানিয়ে দিতে হয় "।                                                                                                                                                      

দিদি কে বলো কর্মসূচি তে অভিযোগ জানালে বিপদ বাড়বে, জানে মঙ্গলকোট

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)

মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের আর্থিক উথান দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে উঠবে আপনার? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানদের তো অলৌকিক আর্থিক উথান আছেই । দল করার আগে যার তিন বিঘে জমি ছিলনা, সে এখন ত্রিশ বিঘে জমির মালিক। মাটির বাড়ীর জায়গায় ঝকঝকে মার্বেল পাথরের দোতলা বাড়ি।তাও নিজের এবং ভাইয়ের। কৃষির সরকারি ক্ষতিপূরণের অনুদান সিংহভাগ লুট চলে । গ্রাম প্রধানের ভাগচাষী শংসাপত্রে চলে এই লুটতরাজ। এরা আবার এসি অফিসে ঘরের ভেতর ঘরে থাকেন । সেখানে আবার ঘটে অনেককিছু…. এই বিধ নানান অভিযোগ এলাকাবাসীদের মধ্যে। আত্মীয়পরিজনদের নামে আবাস যোজনার ঘর লুট থেকে দুতলা তিনতলা ঘরমালিকদের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ। একই পদে ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কে নিয়ে কত উন্নয়ন! যদিও অভিযুক্ত পক্ষ তাদের পক্ষে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।

'দিদি কে বলো ' কর্মসূচি নিয়েও বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন মঙ্গলকোটে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান শহরে সদ্য প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরই সহকর্মী মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এলাকায় উন্নয়নে প্রশাসনিক অসহযোগিতার বার্তা শুনেও চুপচাপ। সেখানে একজন সাধারণ ব্যক্তি মঙ্গলকোটে অভিযোগ তুললে কোন প্রতিকার পাবেন কিভাবে ? উল্টে বিপদ বাড়তে পারে। যারা দিদি কে বলো তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মোবাইল নাম্বারের লিস্ট ধরে ধরে সেই এলাকার নেতারা উপদ্রব শুরু করে দিয়েছেন। দুর্গাপুর এলাকায় মারও খেয়েছে কেউ কেউ । মঙ্গলকোটে ভয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে সাহস পাইনা। চাণক পালিগ্রাম অঞ্চলে অভিযোগ জানাতে গিয়ে শাসকদলের মুখে ঢাকা সশস্ত্র দুস্কৃতিদের তান্ডবলীলায় এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দিন কে দিন গ্রামছাড়া বাড়ছে।

ক্রমশ.....

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯

জাগুয়ার মামলায় ধৃতের জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাংকশাল আদালতের

মোল্লা জসিমউদ্দিন,      

বহু চর্চিত মহানগরের নির্মম সড়ক দুর্ঘটনা হিসাবে ইতিমধ্যেই শেক্সপিয়ার সরণির জাগুয়ার কান্ডে কুখ্যাতি মিলেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হয় জাগুয়ার মামলায় অভিযুক্ত রাগীব পারভেজ কে ।পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিচারক ধৃতের ৯ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই মামলায় ইতিপূর্বে ব্যাংকশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম পর্যায়ে ধৃত আরসালান পারভেজ এবং মহম্মদ হামজা কে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে, পাসপোর্ট জমা রাখার পাশাপাশি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কাছে সাপ্তাহিক হাজিরার শর্তগুলি রয়েছে আদেশনামায় । পরে পুলিশি তদন্তে প্রকাশ হয় জাগুয়ার গাড়ীর 'আসল' চালক আরসালান পারভেজ নয় রাগীব পারভেজ। গ্রেপ্তারের পর রাগীব পারভেজের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।প্রথম পর্যায়ে বিখ্যাত রেস্তোরাঁ আরসালান গ্রুপের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ এবং মালিকের শালা মহম্মদ হামজা কে শেক্সপিয়ার সরণির পুলিশ গ্রেপ্তার করে থাকে। দুই সপ্তাহ পূর্বে কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি এলাকায় গভীর রাতে ফুটপাতে হাঁটতে থাকা দুই বাংলাদেশী কে পিষে দেয় আরসালান গ্রুপের রেস্তোরাঁ মালিক এর ছেলে। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল আরসালান পারভেজ একাই মদ্যপ অবস্থায় এই নারকীয় সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে ধৃত আরসালান পারভেজের কোন আঘাত বিশেষত মুখমন্ডলে না থাকায় পুলিশের খটকা লাগে। এই মামলার তদন্তকারীরা ফরেন্সিক তদন্ত, মোবাইল ফোন ডিটেল পরীক্ষা করে জানতে পারেন গাড়িটির আসল চালক ছিল ধৃতের দাদা রাগীব পারভেজ। এই তথ্য উঠে আসতেই মহম্মদ হামজা তার অভিযুক্ত ভাগ্নে  কে দুবাই পাঠিয়ে দেয় । অভিযুক্ত কে মদতদানের জন্য পুলিশ মহম্মদ হামজাকেও ধরে। এরপরে কলকাতার বেনিয়াপুকুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাগীব পারভেজ কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর ব্যাংকশাল আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর এজলাসে তিনজন কে পেশ করা হলে, বিচারক আরসালান পারভেজ এবং মহম্মদ হামজা কে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন এবং মূল অভিযুক্ত রাগীব পারভেজ কে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার পুনরায় পেশ করা হয় রাগীব পারভেজ কে। বিচারক আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ ঘাতক গাড়ির ফরেন্সিক রিপোর্ট, দুবাইয়ের মেডিকেল রিপোর্ট সহ বেনিয়াপুকুর নার্সিংহোমের রিপোর্ট,বিভিন্ন সড়কমোড়ের সিসিটিভির ফুটেজ এমনকি ধৃতের বাড়ির সামনে সেদিনকার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে প্রকাশ।                                                                                                           

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER