মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে ২ মে পর্যন্ত


মোল্লা জসিমউদ্দিন - টিপু, 

সোমবার দুপুরে রাজ্য বার কাউন্সিল এর জরুরি বৈঠকে হাওড়া কান্ডে কর্মবিরতি নিয়ে জট কাটলো না। উল্টে আগামী ২ রা মে পর্যন্ত তা বহাল রাখার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশও হয়ে গেল। অর্থাৎ গত বুধবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে যে সংঘর্ষ পুলিশ বনাম আইনজীবীদের মধ্যে হয়েছিল। তার রেশ কমছে না, উল্টে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ভোগান্তি । ইতিমধ্যেই টানা ছয়দিন ধরে রাজ্যের সবকটি আদালতে আইনজীবীদের সার্বিকভাবে কর্মবিরতি চলেছে এবং সেইসাথে আরও তিনদিন চলবে উকিলবাবুদের এই কর্মসূচি। অর্থাৎ টানা নয়দিনের সময়সীমায় আদালত একপ্রকার বিচারপ্রার্থীদের কাছে বন্ধ রইলো। এতে চরম বিপাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থীরা। এমনতেই মামলার পাহাড় ক্রমশ বাড়ছে বিভিন্ন আদালতের বুকে। এক বিচারপ্রার্থী জানান - "কর্মবিরতি ছাড়াও অন্যভাবে প্রতিবাদ উকিলবাবুরা জানাতে পারতেন। এর ফলে আমরা মামলায় ডেটের পর ডেট  পাচ্ছি, যারফলে সমস্যা আরও বাড়ছে আমাদের  "। জানা গেছে,  গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে তুমুল মারপিট হয় পুলিশ বনাম আইনজীবীদের মধ্যে।ঘটনার দিনেই রাজ্যের সব আদালতের আইনজীবীরা ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা করে দেন। সেদিনই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে হাওড়া জেলাজাজের কাছে রিপোর্ট তলব করে। বৃহস্পতিবার তা পাঠিয়ে দেন হাওড়া জেলাজাজ৷ শুক্রবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা হাওড়া জেলা আদালতে যায়। বার এসোসিয়েশনের পাশাপাশি জেলাজাজের চেম্বারে বৈঠক হয়। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আহত ছাব্বিশ জন আইনজীবীদের চিকিৎসার জন্য কুড়ি হাজার টাকা সাহায্য করে। তবে পরিস্কারভাবে হাওড়া জেলা বার এসোসিয়েশন জানিয়ে দেয় - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় চার আইপিএসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে হবে, সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে আহত পিছু পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ অর্থাৎ এক কোটি ত্রিশ লাখ টাকা উকিলদের দিতে হবে। এইরূপ পরিস্থিতির মাঝে হাওড়া জেলা আদালতের পনেরোজন  সরকারি উকিল (পিপি) দের মধ্যে এগারোজন ইস্তফাপত্র দেয় গত বুধবারের পুলিশি সন্ত্রাস অভিযোগ তুলে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে আলাপ আলোচনায় বসেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা। সেখানে এখনও অবধি কোন সমাধান সুত্র বের হয়নি বলে প্রকাশ। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যেই তাঁর দপ্তর ( রেজিস্ট্রার জেলারেল)  হাওড়া জেলা আদালতের জেলাজাজের কাছে রিপোর্ট নিয়েছে৷ সেইসাথে আইনজীবীদের সাথে দফায় দফায় তিনি বসেছেন।পুলিশ বনাম আইনজীবীদের এহেন গন্ডগোলে সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। এটি শুধু কোন নিদিষ্ট আদালতের কর্মবিরতি নয়। সমগ্র রাজ্য জুড়ে চলছে। এই কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছে  কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনও। কেননা অবাধ নির্বাচনের লক্ষে পেন্ডিং ওয়ারেন্ট গুলি কার্যকর করার যে নির্দেশিকা দেয়। তার বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছেনা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকার জন্য। এই জটিল পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কে কোন সদর্থক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। যেখানে গোটা রাজ্যের প্রায় মানুষ  আদালতে কর্মবিরতিতে কমবেশি বিপযস্ত হচ্ছেন সেখানে রাজ্য প্রশাসন চুপ কেন?  সে নিয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ীর পার্কিং নিয়ে রণক্ষেত্র রুপ নিয়েছিল গোটা এলাকা। আদালত চত্বরে তো বটেই বিভিন্ন বিচারকের এজলাসেও তান্ডবলীলা দেখা যায় পুলিশের। এমনকি এক মহিলা আইনজীবী কে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় এক সিভিক পুলিশ কে। ঘটনার প্রায় ভিডিওগ্রাপি দেখা যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।সেইসাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এইসব ভিডিও। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন কেন অভিযুক্ত পুলিশঅফিসার দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কাটোয়া মহকুমা আদালতের আইনজীবী অনিন্দ চট্টরাজ বলেন - আমাদের সহকর্মীরা রাস্তায় মার খেয়ে রক্তাক্ত হবে, আর আমরা বসে থাকবো?                                                                                                                                                                                                                                             

    

অনুব্রতের খাস তালুক মঙ্গলকোটে ভোট হল ইভিএমে আতর রেখে




মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

চতুর্থ  দফা নির্বাচনে যে আটটি আসনে ভোটপর্ব মিটলো, তাদের মধ্যে বোলপুর লোকসভার অধীনে কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকা এবং বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের অধীনে থাকা কাটোয়া, কালনা, পূর্বস্থলী উত্তর, পূর্বস্থলী দক্ষীন বিধানসভা এলাকায় ভোট মোটামুটি শান্তিতেই মিটলো। সেইসাথে বর্ধমান পশ্চিম ( দুর্গাপুর)  কেন্দ্রের অধীনে মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বড় ধরনের কোন গন্ডগোলের খবর মিলেনি। হানাহানি না ঘটায় শাসকদল সহ বিরোধীদলগুলিও একপ্রকার খুশি বলা যায়।তবে এই ভোটে নীরব সন্ত্রাস টি সুসংগঠিতভাবে ঘটেছে বলে অভিযোগ। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাপ্পা, ইভিএম মেশিন খারাপের খবর মিলেছে। আবার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী কে মারধর সহ গাড়ী ভাঙচুর করার। শাসক শিবিরের পক্ষে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সোমবার সকালে  বোলপুর আসনের অধিনে থাকা   কেতুগ্রামের খাঁজি বিদ্যালয়ে ১০৪ এবং ১০৭ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনেই ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠার সাথেসাথেই নির্বাচন কমিশন অবশ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।   উক্ত দুটি বুথে নুতন প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন  । এদিন কালনা শহরে যোগীপাড়ায় বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাসের উপর হামলার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাড়ী ভাঙচুর এর পাশাপাশি প্রার্থী কেও মারধর করা হয়েছে। প্রার্থীর হাতে চোট লেগেছে বলে জানা গেছে   । কালনা থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। যদিও তৃনমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মঙ্গলকোটের চকগ্রামে, বনকাপাসিতে ইভিএম মেশিন বিকল হয় ভোটপর্বের সূচনাতেই। ভোট দিতে আসা ব্যক্তিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ভাতারে দশের বেশি বুথে ইভিএম বিকল দেখা যায়। পূর্বস্থলীর পাটুলির (ছাব্বিশ নং বুথে)  তেও একই অবস্থা। ঘন্টা খানেক পরে অবশ্য সচল ইভিএম দেওয়া হয় বুথগুলিতে। অপরদিকে মঙ্গলকোটের মাঝীগ্রামে বকুলিয়ার ১৩২ নং বুথে ইভিএমে তৃণমূল  প্রতীকে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠে ভোটকর্মীদের ম্যানেজ করে । এমনকি ভোট দেওয়ার পর বুথের দুশো মিটারের মধ্যে থাকা শতাধিক শাসকদলের  লোকজন সেই ভোটারের হাতের আঙুলের ঘ্রাণ নিয়ে ভোট তাদের পক্ষে দিয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা নীরিক্ষা চালায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলকোটের কামালপুরে বাইশটি পরিবার কে ভোটগ্রহণের আগের দিন ভোট না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে মঙ্গলকোটের গোতিস্টা, চৈতন্যপুর  প্রভৃতি গ্রামের বুথগুলিতে স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের মহিলা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলগুলির পক্ষে। তবে সমস্ত  অভিযোগ অস্বীকার করে তৃনমূলের ব্লক নেতৃত্ব জানিয়েছেন - "রক্তপাতহীন ভোট  হয়েছে,  বিরোধীরা শতকরা আশিভাগ বুথে এজেন্ট বসাতেই পারিনি। যদি বলতো তাহলে আমাদের লোক জোগাড় করে দিতাম!" গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোট বিরোধীশুন্য হয়েছিল। তাই এবার লোকসভায় মন খুলে ভোট দেবে বলে আশাও করেছিল বেশিরভাগ ভোটার। সেই আশাতেও জল ঢালে শাসক দলের স্থানীয় নেতারা। ভোটের দশদিন আগে লোকদেখানো দুই থেকে তিনবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রুটমার্চ করলেও, নির্ভয়ে ভোটদানের সেইরুপ আশা জোগাতে পারেনি। জানা গেছে, মঙ্গলকোটের চৈতন্যপুর, গোতিস্টা, পালিগ্রাম, মাঝীগ্রাম প্রভৃতি গ্রামের বুথে গত রবিবার দুপুরের মধ্যে ভোটকর্মী সহ দুই জন গড়ে জওয়ান ঢুকে যান। স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের হাতের তৈরি খাবার তৃণমূলের স্থানীয়  বুথ কর্মীরা ভোটকর্মীদের হাতে দেয়। সেইসব সিগারেট - খৈনি সহ নানান খাবার পৌঁছে দেয় বলে অভিযোগ। সেটিং ফিটিংস করে যতদুর ম্যানেজ করতে হয় করেছে তারা। যারা প্রতিবাদী ভোটকর্মী তাদের কে তাদের স্ত্রীর সিঁথির সিঁদুরের কথা তুলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটকর্মী জানিয়েছেন। তাই তো মঙ্গলকোটের মাঝীগ্রামে বকুলিয়ার ১৩২ নং বুথে ইভিএম মেশিনে তৃনমূল প্রতীকে আতর দেওয়া কিংবা মঙ্গলকোটে প্রায় বুথে খাবার সাপ্লাইকারী স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের শাসকদের হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবার শাসকদলের সারাদিনের দায়িত্বে থাকা তিন বুথএজেন্টদের একসাথে ভোট লুটে বিশেষ সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। জানা গেছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ তুলে লিখিতভাবে জানিয়েছে বিজেপি শিবির।                                                                                                                                                                          

সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০১৯

আইনজীবী দের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে বিচারপ্রার্থীরা




মোল্লা জসিমউদ্দিন,  

পশ্চিমবঙ্গে গত বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং ঘিরে যে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে  পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে। তাতে ভোগান্তি পোহাতে যেমন হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের কে। ঠিক তেমনি   বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষও বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল    । কেননা গত বুধবার থেকে রাজ্যের সব আদালতেই উকিলবাবুদের কর্মবিরতি চলছে,এরফলে সমস্ত বিচার-প্রক্রিয়া বন্ধ প্রায় বলা যায়  । এবং  সোমবার পর্যন্ত আইনজীবীদের   এই কর্মবিরতি  চলবে। অর্থাৎ চারদিন ওয়ার্কিং ডে আদালতে নষ্ট   হয়েছে। যারফলে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে যে ওয়ারেন্ট গুলি  পড়ে রয়েছে, সেগুলি ডিসপোজাল হয়নি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে   ।  আসামি কিংবা অভিযুক্তরা  আগাম জামিন কিংবা এজলাসে হাজিরা দিয়েও  তা পাচ্ছেনা। যার ফলে ভোট প্রক্রিয়ায় দাগী আসামিদের কাছে ভোটের দিন গন্ডগোলের আশংকা থেকেই যায়। চলতি লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তিন দফা ভোট হলেও এখনও চারদফা ভোট বাকি রয়েছে। নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রাজ্য পুলিশ ভায়া হয়ে প্রতিটি পুলিশসুপার থেকে ওসিস্তরের আধিকারিকদের  কাছে  সংশ্লিষ্ট জেলা কিংবা থানায় ফৌজদারি মামলাগুলির ওয়ারেন্ট তালিকা যায়। সেইসাথে ভোটের পূর্বে সেইসব মামলায় আসামি / অভিযুক্তদের পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে দেয়।কেননা নির্বাচন কমিশনের রোষানলে তারা পড়তে পারেন ওয়ারেন্ট গুলি তে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য। তাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে বিভিন্ন মহকুমা থেকে জেলা আদালতে এসিজেম এজলাস থেকে ডিস্ট্রিক জাজের এজলাসে জামিনের আবেদন জমা পড়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে। চলতি লোকসভা নির্বাচনের তিন দফায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভোট হলেও চতুর্থ দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল রাজ্যের ৮ টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই ৮ টি আসনে অর্ধেকের বেশী উত্তেজনাময় বুথ হিসাবে পরিচিত। যার জন্য প্রায় ১০০ ভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকছেন। ঠিক এইরূপ পরিস্থিতিতে গত বুধবার দুপুর থেকে যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে রাজ্যের সব আদালতে। সেখানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি / অভিযুক্তরা কোন জামিনের আবেদন জানাতেই পারেনি 'বিদ্রোহী'  আইনজীবীদের সৌজন্যে  । যেদিন ভোট অর্থাৎ সোমবার অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকছে। যারফলে যেমন জামিনের সুযোগ মিললো না। ঠিক তেমনি ' জেল বার্ডস' আসামিরা ভোটের দিন গন্ডগোল করতেও  পারে। এইরূপ আশংকা করছে নির্বাচন কমিশন। গত বুধবার হাওড়া আদালতে যে মারপিট পুলিশ বনাম আইনজীবীদের মধ্যে হয়। সেখানে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে  বিচারপ্রার্থীরা। সিভিল অর্থাৎ দেওয়ানি মামলাগুলিতে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি সেইরুপ প্রভাব  ফেললেও ক্রিমিনাল অর্থাৎ ফৌজদারী মামলায় বিচারপ্রার্থীরা সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন।এটি কোন নিদিষ্ট আদালতের ঘটনা নয় সমগ্র রাজ্যের মহকুমা / জেলাস্তরের আদালতে প্রভাব পড়েছে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টেও একপ্রকার অচলাবস্থা চলছে। জানা গেছে, আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের সাথে বসছেন হাওড়া আদালতে পুলিশি সন্ত্রাস অভিযোগ টি নিয়ে। ইতিমধ্যেই তিনি হাওড়া জেলা জজের কাছে রিপোর্ট নিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার  তিনি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে জানা গেছে, আগামী সোমবার হাওড়া আদালতে এসিজেম এজলাসে অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করার আবেদন জমা পড়তে পারে আইনজীবীদের তরফে। অভিযোগ উঠেছে, গত বুধবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে মারপিটে ঘটনায় আহতদের হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য মামলার গুরত্ব কমানোর জন্য। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যম   কে জানিয়েছে - অল্পবিস্তর আহতদের চিকিৎসা করিয়ে ডিসচার্জ করানো হয়েছে। ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' এর সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল বলেন -" বিষয়টি এখন বিচারধীন, আমাদের চেয়ারম্যান অশোক দেবের নেতৃত্বে আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বৈঠক হবে। তারপর আমরা আমাদের আন্দ্রলোনের কর্মসূচি জানাবো। "  উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি চেন্নাই হাইকোর্টে থাকাকালীন পুলিশ বনাম আইনজীবীদের অনুরুপ মামলায় তিনশ পাতার অর্ডার দিয়েছিলেন। তাই আগামী মঙ্গলবার তিনি হাওড়া জেলা আদালতের ঘটনায় কি ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন, তার দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যবাসী। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এইরুপ পুলিশ বনাম আইনজীবীদের রণক্ষেত্র ঘটনা শুধু এই রাজ্য নয় গোটা দেশের কাছে এক অনন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।গত বুধবারের ঘটনায় হাওড়া জেলা আদালতের ১৫ জন পিপি ( সরকারি উকিল)  দের মধ্যে সিংহভাগই ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।                                                                                                                                                                                                                                                                      

শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শুন্য করার কারিগররা কি বদলীর মুখে!


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

' গা ছমছম কি হয় কি হয় ' এইরুপ পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনিক মহলের অভ্যন্তরে। ইতিমধ্যেই গত তিন দফায় পুলিশ কমিশনার থেকে এসপি এমনকি এএসআই পদমর্যাদা পূর্ন অফিসার বদলী হয়েছেন। পুলিশের বড় কর্তাদের যেমন নির্বাচনের দশ থেকে পনেরো দিন পূর্বে বদলী হয়েছেন। ঠিক তেমনি ওসি আইসির মত আধিকারিকরা ভোটের চব্বিশঘণ্টা আগে বদলীর নির্দেশ পেয়েছেন। আগামী ২৯ এপ্রিল লোকসভার চতুর্থ দফায় ৮ টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই আসন গুলি মূলত পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম , জেলায় পড়ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য অনুব্রত মন্ডলের বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার কে নিদিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার এক এসডিপিও কে সরানো হয়েছে কয়েকদিন আগে । আর মাত্র ২ দিন পরেই ভোট এইসব আসনগুলিতে। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, একসাথে বিপুল সংখ্যক অফিসার বদলী হতে পারে চতুর্থ দফার প্রাক্কালে । যা নজিরবিহীন হতেও পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে সামন্তরাল প্রশাসন চালাবার মত গুরতর অভিযোগ তুলেছেন। আসন্ন ভোটপূর্বে যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা ও বীরভূম জেলা অবশ্যই পড়ছে। ওসি, বিডিও থেকে মহকুমাশাসক পদময্যাদা পূর্ন আধিকারিকরা থাকতে পারেন এই সম্ভাব্য বদলীর তালিকায়। মূলত যারা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশুন্য করার অন্যতম কান্ডারী ছিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ । ইতিমধ্যেই কাটোয়া, কালনা মহকুমার পাশাপাশি বোলপুর, রামপুরহাট, সিউড়ী মহকুমা এলাকার আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নিয়ে তটরস্থ রয়েছেন বলে প্রশাসনের একাংশ সুত্রে প্রকাশ। অজয় - দামোদর নদীর বালি অধ্যুষিত থানার ওসিরা সম্ভাব্য বদলীর হিটলিস্টে আছেন বলে অনেকেই মনে করছেম। কেননা শাসকদলের 'আলালের ঘরে দুলাল' না হলে এইসব শাঁসালো থানার ওসি পদ পাওয়া যায়না বলে ক্ষুব্ধ পুলিশের একাংশ আধিকারিকরা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন। আবার বালি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রক এইবিধ ওসিরা ভোট লুটের বাহিনী পরিচালনাতেও ওস্তাদ বলে জানা গেছে। মিথ্যা মামলায় বিশেষত গাঁজা, অস্ত্র মামলাগুলি চালু করা থানা গুলিতে অবাধ নির্বাচনের লক্ষে ভোটের চব্বিশ ঘণ্টা আগে বদলী করার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমান জেলার এক নেতা বলেন - "পূর্ব বর্ধমান জেলায় দশের বেশি ওসি / বিডিওর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ আমাদের রয়েছে। ঠিক সময়েই জানতে পারবেনা এরা কারা? " মাস খানেক পূর্বে এক দলীয় কর্মসূচিতে কাটোয়ায় কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী কে পাশে নিয়ে মুকুল রায় প্রকাশ্য সভায় কাটোয়া মহকুমার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নাম ধরে শাসক দলের পেটুয়া গিরির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ছিলেন। তার পরেই অজয় নদের বলয়ে থাকা বিভিন্ন থানার ওসিদের ঠিকুজিকোষ্ঠী সংগ্রহে নিজস্ব অনুগামীদের মাঠে নামিয়েছিলেন বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সার্ভিসে ট্রাক রেকর্ডের পাশাপাশি পৈতৃক ও বসত ভিটা এলাকায় সম্পত্তির খতিয়ানও নাকি তিনি তথ্যসূত্র নিয়েছেন। এইরুপ পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় থরহরি কম্প শুরু হয়ে গেছে পুলিশ মহলের অন্দরে। বিগত বাম জমানায় একদা তৃণমূলের নাম্বার টু খ্যাত সেনাপতি মুকুল রায় অবিভক্ত বর্ধমানের কয়লা সিন্ডিকেট নিয়ে রায় - বন্দ্যোপাধ্যায় - চট্টপাধ্যায় - ঘোষ বাবুদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন। বিশেষত ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের হয়ে মুকুল বাবু দুর্দান্ত সার্ভিস দিয়েছিলেন বলে দাবি। এছাড়া কাটোয়ার তুহিন সামন্ত খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দেবজ্যোতি সাহা, রায়নায় জোড়া তৃনমূল খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেতুগ্রামে ধনকুবের দাস খুনে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার আবু সেলিমদের বিরুদ্ধে তথ্য সমৃদ্ধ অভিযোগমালা করে মুকুল রায় নির্বাচন কমিশনে সেসময় ভোটপর্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কার্যকরী ভুমিকা নিয়েছিলেন। তাই দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় শাসক ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকরা চাপা আতঙ্কে রয়েছেন বিজেপির বঙ্গ ভোট ব্যাংক ম্যানেজার মুকুল রায় কে নিয়ে। কেননা মুকুল বাবু খাতা-কলমে অভিযোগ জানানো বিষয়ে সিদ্ধহস্ত, তাও তথ্যসূত্র ধরে! আগামী ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফার ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তাও অনুব্রত মন্ডলের গড় খ্যাত সমগ্র বীরভূম সহ পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তাই প্রথম দফা নির্বাচন শুরুর প্রাক্কালে বীরভূম পুলিশসুপার পদ থেকে বদলী চালু হলে, সেটি এইসব আসনের অধিনে থাকা থানা স্তরের পুলিশ আধিকারিকরা বদলীর কোপে পড়তে পারেন। চলতি সপ্তাহে বোলপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী অধ্যাপক রামপ্রসাদ দাস আউশগ্রামে প্রচারে এসে তৃনমূল বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দশের বেশি দলীয় নেতা কর্মী আহত হয়েছে সেখানে। পুলিশের সামনেই এই হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে বিজেপির দাবি। তাই আউশগ্রাম আইসির পক্ষপাতিত্ব অভিযোগে বদলীর সম্ভাবনা প্রবল। আউশগ্রামের পাশাপাশি মঙ্গলকোট, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, নানুর, লাভপুর প্রভৃতি থানার ওসিরা বদলী হতে পারেন। উল্লেখ্য এইসব এলাকাগুলি বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশুন্য হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে তৃনমূল এই সাফল্য পেয়েছিল। অনুরুপ অভিযোগ গুলি সেই ফিরছে বিরোধী শিবিরে। তাই সু নিদিষ্ট অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে এইবিধ আধিকারিকদের বদলীর সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।

হাওড়া আদালত কান্ডে পুলিশ অফিসারদের গ্রেপ্তার চাইছে আইনজীবী মহল

     

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

শুক্রবার দুপুরে রাজ্য 'বার কাউন্সিল ' এর সাতজনের এক প্রতিনিধিদল হাওড়া আদালতে  যায় । হাওড়া বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনার পাশাপাশি  জেলা জজের সাথেও দেখা করেন তাঁরা। জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে হাওড়া আদালত চত্বরে পুলিশ বনাম আইনজীবীদের হাতাহাতিতে আহত ২৬ জন আইনজীবীদের চিকিৎসার খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা সাহায্য করছে  বার কাউন্সিল। এদিন হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের 'বার এসোসিয়েশন' সর্বসম্মতিক্রমে  পরিস্কারভাবে 'বার  কাউন্সিল' এর মেম্বারদের জানিয়ে দেন - হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সহ আরও দুই আইপিএসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে হবে, তা নাহলে আগামী সোমবার পর্যন্ত যে কর্মবিরতির ডাক আইনজীবীরা সারা রাজ্য জুড়ে শুরু করেছেন, তার মেয়াদবৃদ্ধি অনিদিস্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলবে। এদিন হাওড়া জেলাজজ এর এজলাসে ঘন্টা খানেক বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা আলোচনা চালান গত বুধবারের নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট কে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া জেলা আদালতের জেলাজজ তাঁর বিশেষ রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার জেলারেল কে বলে প্রকাশ  । উল্লেখ্য আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনায়  বসছেন।বিষয় টি নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অফিসারদের সেদিনের অবস্থান  নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। আক্রান্ত আইনজীবীরা শুধু নন হাওড়া আদালতের বিভিন্ন বিচারক গত বুধবার আদালত চত্বরে এহেন পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে পুলিশের বড় কর্তাদের ফোন করেছিলেন বলে খবর । কোন ক্ষেত্রে বিচারকদের ফোন রিসিভ হয়নি, আবার কোন ক্ষেত্রে পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ । যার ফলে ২৬ জন আইনজীবীদের পাশাপাশি আদালতের মুহুরি - মক্কেলরাও আহত হয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘিরে সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবী মহলে তুমুল অসন্তোষ দেখা যায়। কলকাতা হাইকোর্টে ঘটনা টি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল হয়েছে। সেইসাথে বুধবার বিকেলেই কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া জেলাজজের কাছে রিপোর্ট তলব করে থাকে। বিভিন্ন মহকুমা, জেলাস্তর এমনকি সিটি সিভিল, সিটি সেশন, শিয়ালদহ, আলিপুর, ব্যাংকশ্যাল আদালত গুলিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে দেন উকিলবাবুরা। খোদ আদালত চত্বরে এমনকি বিচারকের এজলাসেও নাকি পুলিশের তান্ডবলীলা দেখা যায় সেদিন। শুক্রবার হাওড়া জেলা আদালতে আসা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল বলেন - "আমরা আজ আক্রান্ত আইনজীবীরা সহ সংশ্লিষ্ট জেলাজজের সাথে কথা বলেছি।চার আইপিসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করার দাবি এসেছে। সেইসাথে আমাদের সংস্থার তরফে কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে আহতদের চিকিৎসার জন্য। আগামী মঙ্গলবার আমরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে বিষয় নিয়ে বসছি"।                                                                                                                                                                       

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER