মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০১৯

কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর ভোটে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

দু মাসের মধ্যেই এই রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের  বার এসোসিয়েশন এর ভোটপর্ব রয়েছে। তবে এবারের ভোট খুবই জমজমাটপূর্ন হতে চলেছে।একমাস পূর্বে পরিস্থিতি ছিল অন্য।বললে অত্যুক্তি হয়না যে শাসকদল ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা একশোভাগ নিশ্চিত ছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার। ১৫ আসন বিশিষ্ট বার এসোসিয়েশনে গতবারের ভোটে ১২ জন তৃনমুলপ্রন্থী এবং বাকি ৩ জন বিরোধীদল ঘনিষ্ঠ আইনজীবী। তবে এবারে অন্য হাওয়া বইছে। যেটা একমাস আগে এতটা প্রকট ছিলনা। দুটি বড় ঘটনায় এবার তৃনমূলপ্রন্থী আইনজীবীরা বার এসোসিয়েশনের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারেন। এক,  হাওড়া আদালত কান্ডে কর্মবিরতি নিয়ে 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ভূমিকা। দুই, লোকসভার ফলাফলে বাংলায় অভাবনীয় সাফল্য পদ্মশিবিরের। উল্লেখ্য,  'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' এর নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা  নিয়ে দিল্লি অবধি জল গড়িয়েছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন আইনজীবী নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' তে মামলা করেছিলেন। তবে তিন সদস্যর সুপ্রিম কোর্টের  অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নির্বাচনটি বৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। তবে এখন পেক্ষাপট ভিন্ন, দ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। এই বাংলা আর একা জোড়াফুলের নয়, ভাগ বসিয়েছে পদ্মফুল। তাও কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ধীরে ধীরে পারদ ক্রমশ উদ্ধমুখী। একমাস পেছনে ফেরা যায় তাহলে দেখা যাবে হাওড়া আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পক্ষে। চারদফায় কর্মবিরতি চলে পুরোপুরি একমাস। তবে প্রথম দফার কর্মবিরতিতে যে ঘটনা টি নিয়ে আইনজীবীদের সিংহভাগ রুস্ট হয়েছিলেন। সেটি হল - বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বারোঘন্টার নজরদারি নির্দেশিকা জারী করেছিল। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কর্মবিরতির মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বশাকের এজলাসে অনুব্রতের হয়ে মামলা লড়েন বর্ষীয়ান আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায়। যিনি আবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর মেম্বার। অর্থাৎ যারা রাজ্যজুড়ে আদালতগুলিতে কর্মবিরতির ডাক দিল, সেই সংগঠনের সদস্যই আবার কর্মবিরতি ভেঙে মামলা লড়ছেন!  এই ঘটনা টি কেন্দ্র করে সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর ঘরে শয়ে শয়ে আইনজীবী বিক্ষোভ দেখান এই মর্মে - আমরা পেশাগত আয়ে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছি, উনি কেন মামলা লড়তে গেলেন?  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল একপ্রকার বাধ্য হয়ে শোকজ করে ওই আইনজীবী কে।সিটি সিভিল কোর্টের মূল গেটে মঞ্চ গড়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে - রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা এবং জেলাস্তরের আদালতে বার এসোসিয়েশন এর পদাধিকারীরা মঞ্চে বার কাউন্সিল কে তুলোধোনা করছেন। 'শাসকদলের তাবেদারি করা যাবেনা, আমাদের কোন রাজনৈতিক দল নেই। আমাদের পরিচয় আমরা আইনজীবী। বার কাউন্সিল কে মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে '। এইবিধ নানান স্লোগান। দফায় দফায় বার কাউন্সিল এর পদাধিকারীদের উপর বিক্ষোভ চালিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আইনজীবীরা। প্রসঙ্গত  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। কেউ আবার বিধায়কও আছেন। মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন তে হঠাৎ ই মুখ্যমন্ত্রী বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের আলোচনায় ডাকেন এবং সেইসাথে দলের কোর কমিটিতে রাখার পুরস্কার ঘোষণা করেন বলে প্রকাশ। রাজ্যের প্রায় বার এসোসিয়েশন কে না জানিয়ে তড়িঘড়ি কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়েও একদল আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল - আইপিএস রাজীব কুমার কে জামিনের আবেদন করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই কর্মবিরতি প্রত্যাহার। আমরা দেখেছি, গত ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশিকা জারী করার পর আক্রান্ত আইনজীবীদের পক্ষে হাওড়া জেলা বার এসোসিয়েশন সাংবাদিক সম্মেলনে জানায় - বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কোন কিছুতেই মাথা নত করবেনা এটা আমরা আশা করি। তাহলে ঘটনা পরম্পরাগুলি  দেখে বোঝা যাচ্ছে - হাওড়া কান্ডে সারারাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি নিয়ে আইনজীবীরা তৃনমূলপ্রন্থী আইনজীবীদের উপর কিরুপ ক্ষুব্ধ?  এমনকি রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সহ সমস্ত জেলা আদালত, মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবীদের গনইস্তফা দেওয়ার জোরালো দাবিও উঠেছিল। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দুমাসের মধ্যেই রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর নির্বাচন হচ্ছে। কতটা জমজমাট হতে চলেছে তার পূর্বাভাস এখন থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবের মধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। গত ২৩ মে লোকসভার ফলাফল ঘোষণায় সারাদেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের বিজেপির অলৌকিক আসন এসেছে। সেখানে ফাকা ময়দান যে তৃনমূলের হাতে নেই সেটাও স্পষ্ট.....                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                    

কেস্টর খাসতালুক মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত দখলের মুখে বিজেপি


 মোল্লা জসিমউদ্দিন,

২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত যেমন তৃনমূল দখল করেছিল। ঠিক তেমনি চলতি লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশ পরবর্তী তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত গুলি দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে যেসব পঞ্চায়েতে ভোটের ফলের নিরিখে শাসক দল কে টেক্কা দিয়েছে, সেগুলিই দখল বেদখলের এই ছবি। 'নকুলদানা' 'গুড়বাতাসা' দাওয়াই এর পরিচিত মুখ অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্টর খাস তালুক হচ্ছে  মঙ্গলকোট। যেখানে শাসকদলের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পর্যন্ত অনুব্রতের দৌরাত্মে কোনঠাসা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যেখানে কেস্টর অঙ্গুলহেলনে সুতোর পুতুল বলে অভিযোগ। সেই মঙ্গলকোটের চাণক পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে বিজেপি। হ্যা এটাই বাস্তব রূপ নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় চমকিয়ে ভোট করিয়েছে শাসক শিবির। এমনকি এই মঙ্গলকোটের বুকে দাড়িয়ে দলের কর্মীদের দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের ভেতর ঢুকলে কেস খাওয়াবার নিদানও দিয়েছিলেন কেস্ট বাবু। কোথাও ভোট কর্মীদের সাথে সেটিং ফিটিংস করে ইভিএমে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার ভোটকর্মীদের খাবার পরিবেশন করার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের ভোটের কাজে লাগাবার অভিযোগও উঠেছে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে চাণক এলাকায়। তবে মস্তান বাহিনী সহ পুলিশি দাওয়াই দেওয়ার চেষ্টাও চলেছে। উল্টে জনরোষ ঘটেছে। টানা দেড়দিন রাস্তা অবরোধ হয়েছে। অভিযোগপত্রে থানার ওসির সাক্ষর দিতে বাধ্য করেছে। এই চাণক  পঞ্চায়েতে ১৭ টি বুথের মধ্যে ১৫ টি তে ব্যাপক লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির। অথচ ভোটের আগে বিজেপির পতাকা টাঙানো নিয়ে এক  বিজেপি কর্মীর ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা। ভোটের দিন সাত সকালেই বিজেপির পোলিং এজেন্টদের রাস্তা আটকে মারধর চালায় তৃনমূল। এই ঘটনায় অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।  পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে পথে নামে হাজার হাজার আদিবাসী। চলে নুতনহাট গুসকারা সড়ক রুট অবরোধ। থানার মেজবাবু মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও আদিবাসীরা অটল থাকে। শেষে বাধ্য হয়ে আদিবাসীদের অভিযোগ পত্রে থানার ওসি সাক্ষর করে। তবে পুলিশও অত্যন্ত নিপুণতায় লঘু ধারা দিয়ে মামলার গুরত্ব প্রথম দিকেই হালকা করে দেয়।অভিযোগ, যে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সে থানায় নিয়মিত যাতায়াত করে। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।  এত কিছুর পরেও এই অঞ্চলে বিপুলভাবে লিড পায় বিজেপি। গত ২৩ মে ফল ঘোষণায় এই চিত্র সামনে আসতেই রাস্তায় নামে স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। শুধু এই রাজ্যে অভাবনীয় সাফল্য নয়, দেশে বিপুল জনাদেশ মেলায় তারা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠে। পুলিশ ও প্রশাসনও এখন হাওয়া বুঝে অবস্থান বদল করছে। আগে যেভাবে থানার মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী কর্মীদের ফাঁসানো হত। সেই ট্রেন্ড না অনেকটা কমেছে লোকসভার ফলাফল ঘোষণার পর থেকে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে চাণক পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে বিজেপি এবং সেটা দু একদিনের মধ্যেই।                                                                                                                                                                                         

বিদ্রোহীকবি স্মৃতি ধন্য মঙ্গলকোটে সরকারি অবহেলা অব্যাহত




মোল্লা জসিমউদ্দিন,

  কাজি নজরুল ইসলাম কোন এক ধর্মের কবি নয়, নয় কোন রাজনৈতিক দলের। তিনি সবার। তিনি সাম্যের গান গেয়েছেন, বিদ্রোহের তুফান তুলেছেন। কখনো ইসলাম ধর্মের আধ্যাত্মিকতা প্রকাশ পেয়েছে। আবার কখনও বা শ্যামামার অসাধারণ গান লিখেছেন। হ্যা কাঁজি নজরুল ইসলাম শুধু এপার বাংলা, ওপার বাংলার নয়। তিনি সমগ্র বাঙালির কাছে এক মাইলফলক। আজ তাঁর জন্মদিন। অথচ তাঁর একদা শৈশবভূমি মঙ্গলকোটে বরাবরই উপেক্ষিত তিনি। বাম আমলের মত তৃনমূল জামানায় অনাদারে কাটে তাঁর জন্মজয়ন্তী। হাতে গোনা কয়েকটি ক্লাব, সংগঠন সকালবেলায় কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক আর ধুপধুনো দেওয়া ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনা। কবির স্কুল অর্থাৎ মাথরুণ নবীনচন্দ্র শিক্ষা নিকেতনে অবশ্য প্রতিবারেই সাধ্যমতো অনুস্টান করতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, আসানসোলের চুরুলিয়ায় বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম এর জন্ম হলেও পরে চলে আসেন মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামে মামার বাড়ীতে। সেখান থেকে মাথরুণ নবীনচন্দ্র শিক্ষা নিকেতনে তিনি ক্লাস ফোরে ভর্তি হন। স্কুলের রেজিস্টার বুকে তাঁর নাম আছে দুখু মিয়া নামে। প্রসঙ্গত এই স্কুলে তৎকালীন প্রধানশিক্ষক  ছিলেন পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক মহাশয়। দুখু মিয়ার কয়েকটি স্বরচিত ছড়া দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন কুমুদ রঞ্জন মল্লিক। বিদ্রোহী কবির শৈশবের  বছর দুই থেকে তিন সময়কাল কেটেছে  এই মঙ্গলকোটে। এলাকার সাহিত্যানুরাগীদের আক্ষেপ, বাম জমানায় মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে খোলা আকাশের নিচে এক আবক্ষ্য মূর্তি বসানো ছাড়া কিছুই হয়নি মঙ্গলকোটে। সেখানে কুনুর নদীর উপর সেতু নামকরণ হয়েছে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের নামে। আবার অজয় নদের উপর সেতুর নামকরণ হয়েছে বৈষ্ণব কবি লোচন দাসের নামে।  অথচ মঙ্গলকোট ব্লক টি কেন্দ্রীয় সরকারের এমএসডিপি ব্লক হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি কাজ করার ব্যাপক জায়গা রয়েছে।  অতি সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে তৃনমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন যে তিনি মুসলিমদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। এছাড়া এত উন্নয়ন করেও কোন দাম না পাওয়ায় তিনি আক্ষেপও করেন। প্রশ্ন উঠে, প্রায় নয় বছর যেখানে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় তৃনমূল রয়েছে। সেখানে বিশ্বখ্যাত বিদ্রোহী কবি কে নিয়ে কেন কোন উদ্যোগ নেওয়া হলনা মঙ্গলকোটে?  তাহলে উন্নয়ন গুলি কি শুধু খাতাকলমেই?  সর্বপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  নিজেকে এত মুসলিম দরদী দেখাচ্ছেন অথচ সংখ্যালঘু ব্লক মঙ্গলকোটের গর্ব কাজি নজরুল ইসলাম এত ব্রাত্য কেন? কোন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়নি মঙ্গলকোটের বুকে। অপরদিকে  সাম্যের কবি, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম এর জন্মজয়ন্তী পালিত হল ভাতারে। মুসলিম    রাষ্ট্রীয় মঞ্চের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের মূর্তিতে  মাল্যদান,  হাসপাতালে রোগীদের ফলদান  সহ কবির জীবন চর্চায় পথসভার মাধ্যমে ১১ই জ্যৈষ্ঠ দিনটিকে মহাসমারোহে পালিত করা হলো।রবিবার ভাতার বাজারে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের রাজ্য সভাপতি ইনামুল হকের উপস্থিতিতে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সদস্যরা ভাতার  বাজারে নাসিগ্রাম মোড়ে নজরুলের  মূর্তিতে  মাল্যদান করেন।  এরপর কামারপাড়া মোড়ে এক পথসভার মাধ্যমে কবির জীবনী সকলের কাছে তুলে ধরা হয়। এরপর  ভাতার চিত্তরঞ্জন গ্রামীণ হাসপাতালের  সকল রোগীকে ফলদান করা হয়। মুসলিম  মঞ্চের রাজ্য সভাপতি ইনামুল হক জানিয়েছেন-  বিদ্রোহী কবি কে তার জন্মদিনে সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। তার জীবন সংগ্রামের ইতিহাসকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।এছাড়া ভাতারের বেশকিছু ক্লাব নজরুল জয়ন্তী পালন করে থাকে।      

                                                                                                        

লোকসভায় গেরুয়া ঝড়ে হাওড়া কান্ডে আইনজীবীরা আশার আলো দেখছেন


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সারাদেশে মোদীঝড় নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। সেইসাথে বাংলার রাজনীতিতে 'বিরোধী শুন্য ' রাজনৈতিক পরিকাঠামো কে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে৷ গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে যে গন্ডগোলের  সুত্রপাত ঘটেছিল। সেই গন্ডগোলের রেশ সারারাজ্যে একমাস কর্মবিরতির মাধ্যমে কাটিয়ে ছিলেন আইনজীবিরা। ইতিমধ্যেই গত ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চ হাওয়া কান্ড নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারী করে থাকে। প্রথমত, রাজ্যের যেকোনো আদালতে পুলিশ যখন তখন  ঢুকতে পারবেনা। এক্ষেত্রে মহকুমা আদালতে এসিজেম, জেলা আদালতে জেলাজাজ এবং হাইকোর্টে রেজিস্ট্রার জেনারেল এর অনুমতিক্রমে আদালতে প্রবেশ করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, হাওড়া পুলিশ কমিশনার সহ সাতজন পুলিশ অফিসার ক্লোজ থাকবেন আগামী ২৬ শে আগস্ট পর্যন্ত। এঁরা হাওড়া পুলিশে কোন কাজ করতে পারবেনা। সেইসাথে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল ১১ টি এফআইআর কপিতে পুলিশ কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। তৃতীয়ত তথা গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ টি হল, অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক বিচার বিভাগীয় কমিশন গড়া। এইবিধ কলকাতা হাইকোর্টের রায়দান ঘটলেও গত ২২ মে হাইকোর্টের কোনায় কোনায় আইনজীবিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল - লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে আক্রান্ত আইনজীবীদের সুবিচার পাবার ভবিষ্যৎ।কেন এই লোকসভার ফলাফলের প্রসঙ্গ আইনজীবীদের সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে?  ঘটনার দিন এবং ঘটনার পরে রাজ্যসরকারের সন্দেহজনক অবস্থানই  আক্রান্ত আইনজীবীদের বেশি বেশি সন্দিহান করে তুলেছে।ঘটনাপ্রবাহ গুলি একটু পর্য্যালোচনা করলেই  তা বোঝা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সকাল দশটায় হাওড়া জেলা আদালতে যখন পুলিশ দলবল নিয়ে ঢুকলো। তখন অর্থাৎ বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া সিজেএম সদর থানার ওসি কে বিষয় টি সম্পকে অবগত হওয়ার জন্য এজলাসে দেখা করতে বললে, হাওড়া সদর থানার ওসি তা এড়িয়ে যান। আবার এগারোটা পনেরো মিনিটে ডিস্ট্রিক্ট জাজ পুলিশ কমিশনার কে তলব করলেও পুলিশের সেই একই নীরব অবস্থান দেখা যায়। অথচ বিকেলে হাওড়ার এক প্রভাবশালী নেতার আদালত সফরে এদের কে ডাইনে বাঁয়ে দেখা যায়। ২৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা রুজু হওয়ার পর ১০ মে এর মধ্যে সব পক্ষ কে  হলফনামা  জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল।এখানেও আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোন হলফনামা জমা দেয়নি পুলিশ। আদালতের প্রতি ক্রমাগত অবহেলার পেছনে পুলিশ কেন এত বেপরোয়া ছিল?  এইবিধ নানান প্রশ্নচিহ্ন হাইকোর্টের প্রতিটি অলিন্দে আলোচিত হয়। তাহলে রাজ্য প্রশাসনের কি নীরব সম্মতি ছিল। কলকাতা হাইকোর্ট যখন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দের পেছনে রাজ্যের কি অভিমত জানতে চেয়েছিল। সেখানেও হাইকোর্ট কে কোন সুস্পষ্ট অভিমত দেয়নি রাজ্য। উল্লেখ্য মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন তে হঠাৎ ই মুখ্যমন্ত্রী সদ্য নির্বাচিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকেন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দেন। ঘটনা গুলি পর্য্যালোচনা করলে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই অদ্ভুতভাবে নীরব। তাও রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় নবান্ন থেকে মাত্র তিন কিমি দূরে থাকা হাওড়া জেলা আদালতে টানা ন ঘন্টা তান্ডবলীলা চালালো পুলিশ? এইরূপ নানান তথ্য, যুক্তি আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে। লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলে তৃণমূল খুব ভালো ফল করলে হাওড়া কান্ড ধামাচাপা পড়ে যেত বলে  আইনজীবীরা মনে করছেন। যেভাবে সারাদেশের পাশাপাশি এই রাজ্যে জোড়া ফুল কে পদ্মফুল নজরকাড়া ফলাফল এনেছে। তাতে হাওড়া কান্ডে আক্রান্ত আইনজীবীরা সুবিচারের দাবিতে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন তা বলা যায়।                                                                                                                                                                                                                                                                                             

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের কমিটি দেখবে হাওড়া কান্ডে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস ঘটনা গুলি



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বুধবার বিকেল সারে চারটেয় কলকাতা হাইকোর্টের চারতলায় ২৩ নং এজলাসে বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে রায়দান দেওয়া হয়। এই রায়দানে অনেকগুলি নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষে৷ প্রথমত, অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তের নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্তাদেশ দেওয়া হয়েছে। একজন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির হাতে শাস্তিদানের ক্ষমতাও তুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে হাওড়া পুলিশকমিশনার সহ চার আইপিএসের পাশাপাশি তিনজন ইনস্পেকটর পদমর্যাদার সর্বমোট সাতজন পুলিশ অফিসারদের ক্লোজ করা হয়েছে। যারা হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে কোন কাজ করতে পারবেনা। শুধু তাই নয় এই ক্লোজ নির্দেশিকা আগামী ২৬ শে আগস্ট অবধি বহাল থাকছে। উল্লেখ্য এই মামলায় পরবর্তী শুনানির তারিখ এটি৷ গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ টি এফআইআর সহ কলকাতা হাইকোর্টে পেশ হওয়া হলফনামা গুলি পর্য্যালোচনা করবে এই বিচার বিভাগীয় কমিটি। সেদিনে হাওড়া সদর থানার পুলিশ, পুরসভা, কমিশনারেটের কি ভূমিকা ছিল তা সব ক্ষতিয়ে দেখবেন অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এর ডিভিশন বেঞ্চ সবথেকে গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয় যে, রাজ্যের যেকোনো আদালতে পুলিশ বিচারকদের বিনা অনুমতিতে ঢুকতে পারবেনা৷ মহকুমা আদালতে এসিজেম, জেলা আদালতে জেলাজাজ, কলকাতায় সিটি সেশন জাজের অনুমতি নিয়েই পুলিশ ঢুকতে পারবেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের আদেশনামাজারির সময় বারবার বিচারপতিরা গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে পুলিশের অনুপ্রবেশ নিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ বলে ব্যক্ত করেন৷ এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সম্মাদার এর ডিভিশন বেঞ্চে রায় শুনতে বেলা তিনটে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আইনজীবীরা জড়ো হন। অপরদিকে জানা গেছে,  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব কে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ২৪ শে মে এর পর বিষয় টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়দান পরবর্তী এক সাক্ষাতকারে আক্রান্ত হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশনের পক্ষে জানানো হয় যে, "বার কাউন্সিল কোন রাজনৈতিক শক্তির কাছে মাথা নত করবেনা এটা আশা করি " । উল্লেখ্য বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সিংহভাগ প্রতিনিধিই শাসকদলের আইনজীবী হিসাবে পরিচিত। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৪ মে অবধি অর্থাৎ পুরো একমাস সময়কালের কর্মবিরতিতে অনেক আইনজীবীই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তোলা আইনজীবীদের দাবি - হাওড়া কান্ডে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারতো বার কাউন্সিল। তা না করে দফায় দফায় কর্মবিরতি বাড়িয়ে মহকুমা এবং জেলাস্তরের আইনজীবীদের রুজিরোজগারে ক্ষতি এনেছে। যদিও বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর পক্ষে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সেইসাথে আক্রান্ত আইনজীবীদের সুবিচার পাইয়ে দিতে শেষ অবধি পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।                                                                                                                                                                                                               

       

মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক সন্ত্রাস থামে না


মোল্লা জসিমউদ্দিন,

চলতি লোকসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন ইতিমধ্যেই হয়েছে। ভোটপর্ব দুসপ্তাহ কেটে গেলেও হিংসা একফোঁটাও কমেনি। হাতেগোনা কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও চাপা সন্ত্রাস চলছে মঙ্গলকোটের বুকে। অনেকেই পুলিশের কাছে পৌঁছাতে পারছেনা বলে অভিযোগ।  যারা পৌছাছে থানার দোরগোড়ায়, তাদের গুরতর অভিযোগপত্র আবার কম গুরত্বে মামলা রুজু করা হচ্ছে। আবার পাল্টা মামলায় অভিযোগকারীর দলবলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হচ্ছে জব্ধ করার জন্য।     গত ২৯ এপ্রিল বোলপুর লোকসভার অধীনে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় ভোটপর্ব মিটেছিল। কোথাও ভোটকর্মীদের সাথে সেটিংস  ফিটিংস করে ইভিএমে আতর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে   । আবার কোথাও স্বনির্ভর গ্রুপের মহিলাদের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মহিলা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। এইরূপ নানান অভিযোগের মাঝে দুটি ঘটনায় তপ্ত হয়েছিল মঙ্গলকোটের বড় অংশ। একটি হল, ভোটের দিন চাণক এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট সহ চারজন কে সশস্ত্র হুমকি ও সেইসাথে মারধর চালানো হয়েছিল তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের তরফে। এই ঘটনায় হাজার হাজার আদিবাসী সংগঠিত হয়ে দফায় দফায় পথ অবরোধ চালায়। থানার মেজবাবুর মৌখিক প্রতিশ্রুতিতেও অবরোধকারীরা শান্ত হয়নি। অবশেষে লিখিত অভিযোগপত্রে থানার ওসির সাক্ষর আদিবাসীদের রণং দেহী অবস্থান কে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তবে আদিবাসীরা তো অত আইন কানুন বোঝেনা। ভোটের দিন হামলার মূল চক্রীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হলেও মামলায় দেখা যায় জামিন যোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হল, সদর মঙ্গলকোটের পুরাতনহাটে বিজেপির পোলিং এজেন্ট হয়েছিল শান্ত ঘোষ। সে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির স্থানীয় নেতা রয়েছে।ভোটের দিন, থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা   এই বুথে তৃণমূলের সশস্ত্র বাইক বাহিনীর ব্যাপক দৌরাত্ম দেখা যায়। ভোটপর্ব মেটার সাথেসাথেই পেশায় দুগ্ধ ব্যবসায়ীর গরু - ছাগল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যাতে আর্থিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় অভিযোগ জানানো হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মলকোটের কামালপুরে ভোটের আগের দিন বাইশ টি পরিবার কে ভোট না দেওয়ার ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। অনুব্রত মন্ডলের খাস তালুক হিসাবে পরিচিত এই মঙ্গলকোট। যেখানে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশুন্য ফলাফল এলেও শাসকদলের অন্দরে বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। মূলত এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সাথে অনুব্রতের লড়াই জমে উঠেছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর সরকারি নিরাপত্তারক্ষী / গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন ক্ষোভে। অভিযোগ, স্থানীয় থানার ওসি কে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাও গাঁজা পাচারের মত নুন্যতম  দুবছর জামিন না পাওয়ার মামলায় একের পর এক বিধায়ক অনুগামীদের ফাসিয়েছিলেন অনুব্রত অনুগামী নেতারা। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে পঞ্চায়েত ভোটের মতনই লোকসভাতেও সেই চাপা সন্ত্রাস চলছে মঙ্গলকোটের বুকে।                                                                                                                                                                            

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER