বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০১৯

মিডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা কমাতে তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

মামলার পাহাড় কমাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিডিয়েশনে গতি বাড়াতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই গত ১৫ এবং ১৮ নভেম্বর মিডিয়েশন নিয়ে আইনজীবিদের সাথে কর্মশালা হয়েছে বিচারক / বিচারপতিদের  । মূলত দুই ২৪ পরগণা এবং কলকাতা এলাকায় আইনজীবীদের নিয়ে এই কর্মশালা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের নব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়েশন কমিটির সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন মিডিয়েশনের গতিপ্রকৃতি সহ মূল লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ( অরিজিনাল সাইড) তথা মিডিয়েশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি অনির্বাণ দাস মহাশয়।মিডিয়েশনের মাধ্যমে মূলত বৈবাহিক, দেওয়ানী এবং বাণিজ্যিক মামলাগুলি দ্রুত নিস্পত্তি হবে। এই আইনী প্রক্রিয়াটি গত ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি ছিল মন্থর। তাই মহকুমা আদালত থেকে জেলা আদালত সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্টের আওতাধীন বৈবাহিক,দেওয়ানী  এবং বাণিজ্যিক ( আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ) মামলাগুলি মিডিয়াটরের মাধ্যমে দ্রুত নিস্পত্তি করবেন সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারক।  আদালত সুত্রে প্রকাশ,  বিভিন্ন নিম্ন আদালতে আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের ঘরে মিডিয়াটররা ( আদালত নিযুক্ত আইনজীবী) কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বাদী এবং বিবাদী পক্ষদের নিয়ে মামলা নিস্পত্তি করার অনুরোধ সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের কাছে পিটিশনের মাধ্যমে দিচ্ছেন। তাতে মামলা নিস্পত্তি ঘটছে। উল্লেখ্য, মিডিয়াটররা টানা চল্লিশ ঘন্টার এই বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে এই আইনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। এই আইনী প্রক্রিয়ার জন্য বাদী কিংবা বিবাদীদের কোন ফি লাগেনা। বুধবার বিকেলে মিডিয়েশনের গতি বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।                                                                                                                   

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০১৯

বর্ধমান শহরে বাসস্ট্যান্ডে শৌচালয়ে চড়া মূল্য

মোল্লা জসিমউদ্দিন   

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান কিংবা রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সার্বিক ভাবে পরিস্কার রাখা। সেখানে সূলভ শৌচাগারগুলির ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ।সারাদেশে শৌচাগারগুলিতে প্রসাব করার মূল্য ২ টাকা হলেও বর্ধমান শহরে নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডে দিতে হয় ৫ টাকা!  ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক বাড়তি অর্থ আদায় চলছে বলে বেশিরভাগ যাত্রীদের অভিযোগ।       

হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পেল মেট্রোরেল

মোল্লা জসিমউদ্দিন      



সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পেল। এই মামলায় পরবর্তী তারিখ আগামী ১৬ ডিসেম্বর। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন  নির্মাণে  বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। । এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে।  যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত  ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। সোমবার দুপুরে মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৬ ডিসেম্বর।                                                                                                                                                                

বিধান শিশু উদ্যানে রাসায়নিক সার বর্জিত সবজি বাজার




মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু   

কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন   বিধান শিশু উদ্যানে  জৈব সারে সবজি বাজার বসে রবিবার সকালে এবং বৃহস্পতিবার বিকালে  । মহানগরবাসী রাসায়নিক সার বর্জিত এই শাকসবজি কিনতে দুর দুরান্ত থেকে আসেন বলে জানা গেছে।             

সোমবার, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের জনস্বার্থ উদ্যোগ - ভোটার কার্ডে লিংক আপডেট

 মোল্লা জসিমউদ্দিন  

এনআরসি নিয়ে সারাদেশে যখন অস্থিরতা চলছে।ঠিক তখনি ভোটার কার্ডে লিংক আপডেট করবার মত জনস্বার্থ কাজ করার জন্য এগিয়ে এল এক সংখ্যালঘু সংগঠন। গত সপ্তাহ থেকে  হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়  ভোটার কার্ড লিংকের কাজ করে চলেছে 'প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন'। আজও বিভিন্ন প্রান্তে তারা এই কম্পিউটার জনিত শিবির চালিয়েছে এবং এখনও লাগাদার চলবে বলে জানা গেছে।     হাওড়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন ব্লকে প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে জেলা সভাপতি ফাইজুল হাসান এর নেতৃত্বে ভোটার কার্ডের লিংকেজ এর কাজ চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন - "আমরা শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রীতি এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আমাদের সংগঠন সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে চলেছে।যার মূলমন্ত্র মানবসেবায় অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসি আমরা সবাই। যার প্রতিফলনে এই কাজ করা হচ্ছে"। জেলা সভাপতি ফাইজুল হাসান বলেন - "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ও মানুষের মধ্যে আমাদের সংগঠনের সেবামূলক কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা হাওড়া জেলা জুড়ে ভোটার কার্ড লিঙ্ক এর কর্মসূচি পালন করছি। কোথাও রক্তদান শিবির আবার কোথাও চক্ষু পরীক্ষা শিবির আবার কোথাও দুস্থ অসহায় মানুষদের বিভিন্ন বস্ত্র প্রদান সহ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গে সহযোগিতা করছেন ইউসুফ লস্কর ,মন্টু মল্লিক, শামীম মন্ডল, মশিউর রহমান, জামাল শেখ ,তোহা শেখ, সাজিদ গায়েন, শহিদুল ইসলাম মল্লিক, মেহেবুব লস্কর, মোরসালিন মোল্লা, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ"।



রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০১৯

বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনে তৃণমূল লিগ্যাল সেল

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু   

গত বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় কলকাতা হাইকোর্ট সংলগ্ন নব মহাকরণের ক্যান্টিন হলঘরে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের পরিচালনায়  বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এই বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সম্পাদক অশোক দেব, তৃণমূল  লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য, আয়কর বিষয়ক আইনজীবী সংগঠনের সভাপতি  সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল, বৈশ্বনর চট্টপাধ্যায় প্রমুখ। কলকাতা হাইকোর্ট, ব্যাংকশাল - শিয়ালদহ - আলিপুর - সিটি সেশন এর মত মহানগরের আদালত গুলির পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা / মহকুমা আদালতের বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, প্রায় পাঁচশোর মত আইনজীবী এসেছিলেন তৃণমূল লিগ্যাল সেলের বিজয়া সম্মিলনীতে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের আসার কথা থাকলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে জরুরি বৈঠকের জন্য আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য মহাশয়। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে আইনজীবী বনাম পুলিশের অশান্তি থেকে রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু গুলিতে লিগ্যাল সেলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চক্র চলে। লোকসভা ভোট পরবর্তী কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে খারাপ ফল করলেও বর্ধমান সদর আদালত - ব্যারাকপুর আদালত - দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতে বার এসোসিয়েশন ভোটে তৃনমূল ভালো ফল করেছে। এনআরসি নিয়ে আইনী সচেতনতা বাড়াতে তৃনমূল লিগ্যাল সেল বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার চালাচ্ছে। অতি সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের এনআরসি  নিয়ে এক সভায় আনসার মন্ডল এর মত বর্ষীয়ান আইনজীবীদের দেখা যায়।  বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই বিজয়া সম্মিলনী চলে কলকাতা হাইকোর্ট সংলগ্ন নব মহাকরণ এর ক্যান্টিন হলঘরে।                                                                                                                                        

রজনীকান্ত সেন সাহিত্য পদক পেলেন কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু   
অধিকাংশ বাঙালি কবি - সাহিত্যিকদের জন্মভূমি  বাংলাদেশে সম্মানিত হলেন এপার বাংলার সাংবাদিক প্রাবন্ধিক  কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মভিটে বাংলাদেশের পাবনায় তিনি সম্মানিত হন।তাঁকে 'রজনীকান্ত সেন' স্মারক সম্মান দেয় বাংলাদেশ কবিতা সংসদ  নামে এক সাহিত্য সংগঠন। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   নজরুল  ইসলাম ছাড়াও আরো অনেক কবি সাহিত্যিক দুই বাংলার জনপ্রিয়।এঁদের মধ্যে   কবিনরজনীকান্ত অন্যতম । কবি ও গীতিকার রজনীকান্ত সেন ছিলেন পাবনা জেলার মানুষ ।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ভিআইপি হলঘরে  মিলনায়তনে তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাঙালি সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলন হয় গত ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত  । এই দুই বাংলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাবনা জেলাশাসক কবির মামুদ, ডেপুটি পুলিশ সুপার গৌতম  কুমার বিশ্বাস ,ডেপুটি সিভিল সার্জন আবু জাফর, মাছরাঙ্গা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল বিশ্বাস ,কবিতা সংসদের সভাপতি মানিক মজুমদার ছাড়াও বাংলাদেশের শতাধিক কবি-সাহিত্যিক ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) থেকে কুড়িজন মত কবিরা অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্য সংগঠক হিসাবে দুই পার বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । আউশগ্রামের রেলশহর গুসকরা থেকে তিনি ৩৩ বছর ধরে নিয়মিত 'কামদুঘা' পাক্ষিক  সংবাদপত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে চলেছেন । এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন দুটি লিটিল ম্যাগাজিন সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনাও করেন।  প্রথমশ্রেণীর পত্রিকায় সংবাদ ছাড়াও নানান ঐতিহাসিক পুরাতত্ত্ব লোকসংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ হয় নিয়মিত । দুই বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি মিলনে মেলবন্ধনে কাজ করছেন তিনি, সোশাল মিডিয়ায়  ফেসবুক চালু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাঁর এই কর্মকান্ড    ।তার সম্পাদিত পত্রিকা বাংলাদেশ বহু কবির লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্য সম্মেলনে ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্য সর্বপরি বাংলাদেশ থেকে শয়ে শয়ে কবি সাহিত্যিকরা      সাহিত্য সভায় যোগদান করেন দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মানিত হয়েছেন। মঙ্গলকোটের পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন পালনে (৩ মার্চ)    কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কে   'কুমুদরত্ন'  সম্মানে ভূষিত করেছে।

শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০১৯

শিশুদিবসে কাঁনাদাদু খুবই প্রাসঙ্গিক

মোল্লা জসিমউদ্দিন
ছবি গোপাল দেবনাথ    

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানের কালিকাপ্রসাদ মুক্তমঞ্চে মহাসমারোহে পালিত হল শিশু দিবস। সেইসাথে প্রাক্তনীদের নিয়ে চলে বিজয়া সম্মিলনী। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে নজরুলগীতি, আবার যোগ প্রদর্শন থেকে আবৃত্তি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। ভারতবর্ষের 'প্রথম' প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন উপলক্ষে আজকের শিশু দিবস পালন।  সারাদেশের সাথে এইরাজ্যেও পালিত হচ্ছে শিশু দিবস। তবে শিশু দিবস পালনে বিধান শিশু উদ্যানের অবস্থান একটু অন্যরকম। কেননা বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিস্টাতা অতুল্য ঘোষ ছিলেন একজন নিখাদ শিশু প্রেমি।  যিনি 'কানাদাদু' হিসাবে বাঙালি জগতে অত্যন্ত পরিচিত। অতুল্য ঘোষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের দক্ষিণহস্ত হিসাবে ছিলেন। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা। তিনি এতটাই শিশু প্রেমি ছিলেন যে রাজ্যে সর্বপ্রথম শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য ফুলবাগানে বিধান শিশু হাসপাতাল গড়াতে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে গেছেন। সেইসাথে হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকশো একর জায়গা নিয়ে বিধান শিশু উদ্যান গড়েন তিনি। এই শিশু উদ্যানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখানো, যোগ ব্যায়ামের পাশাপাশি মাধ্যমিক - উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ শালা চলে। এছাড়া জৈব সারে সবজি বাজার বসে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বিকাল এবং রবিবার সকালে  । কম দামে এই সবজি কিনতে আসে মহানগরবাসী। বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "শিশু দিবস পালনে আমরা আমাদের ক্ষুদে ছাত্রদের অংশগ্রহণ করায় , শিশুদের সার্বিক প্রতিভা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে বিধান শিশু উদ্যান "।                                                                                                   

ধামুয়া গ্রামে শিশু দিবস পালন করলো 'সুসম্পর্ক'

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

 বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে 'সুসম্পর্ক' পালন করলো শিশুদিবস উৎসব । সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিল খাবার সামগ্রী এবং তার পাশাপাশি স্থানীয় শিশু এবং গ্রামবাসীদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দানের ব্যবস্থা। মানববন্ধন ট্রাস্ট এর অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা তাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসার পর  প্রায় একশো জন স্থানীয় রোগীর হাতে তুলে দেওয়া হল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ-পথ্য ।
এই বিশেষ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ মিশ্রা এবং ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর বলে জানা গেছে  ।এই মহৎ উদ্যোগে সুসম্পর্কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের   বিশিষ্ট আইনজীবী ভিসাক ভট্টাচার্য , আইনজীবী রুচিরা চ্যাটার্জী , ঊষা মৃধা প্রমুখ  ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুসম্পর্ক এর কর্ণধার শ্রী অরবিন্দ সিংহ মহাশয়  সদস্য শোভন ভট্টাচার্য , সৌরভ মন্ডল, ইন্দ্রনীল রায় ।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে - " তারা আজকের দিনের এই অনুষ্ঠানে খুব খুশি এবং আনন্দিত" । স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন - এরকম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা তারা অত্যন্ত খুশি এবং পরবর্তীকালে আবারো যেন এরকম অনুষ্ঠান হয় তার আশাপ্রকাশ করেছেন ।অপরদিকে কলকাতার এসএসকেএম হসপিটালের জরুরি বিভাগে ভর্তি থাকা একজন মুমূর্ষু রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে খুবই অল্প সময় মধ্যে সুসম্পর্কের ব্লাড সাপোর্ট টিমের দুজন সদস্য অরূপ দে এবং সৌমেন বাবু ওখানে রক্তদান করেন।এই কর্মকান্ডের মিডিয়া পার্টনার ছিল 'বাংলার খবরাখবর'     

চোদ্দদিনের জেল হেফাজতে বর্ধমানের একদা পুলিশকর্তা

মোল্লা জসিমউদ্দিন     

বুধবার দুপুরে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'বরখাস্ত' আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে।মির্জার আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল চালালেও সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের কড়া বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসের বিচারক ধৃত আইপিএস কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ আগামী ২৬ নভেম্বর পুনরায় পেশ করা হবে এই এজলাসে ধৃত আইপিএস কে। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে পাঁচবার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে  জেল হেফাজতে রয়েছেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত  বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দেড়মাস জেলবন্দি রয়েছেন  প্রাক্তন পুলিশসুপার। নারদা মামলায় তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি, তবুও কেন জেলে আইপিএস মির্জা?  এই প্রশ্নও এদিন এজলাসে তুলেন মির্জার আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্বতে অনড়।                                                                                                                                                                                           

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০১৯

খুব তাড়াতাড়ি মুক্তির পথে শর্টফিল্ম 'চোরাবালি'

সুকান্ত ঘোষ
 
যোগেন্দ্র ফিল্মস এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রযোজিত দ্বিতীয় শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি "-র শুটিং শেষ হলো:----
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে "বেলদা যোগেন্দ্র ফিল্মস"ও তাদের ইনস্টিটিউট এর নাম।
"অন্তরালে"-শীর্ষক প্রথম শর্ট ফিল্ম বিগত বছরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে দর্শকদের কাছে।
বর্তমান উক্ত প্রোডাকশন হাউস তাঁদের নতুন পরবর্তী  শর্ট ফিল্ম "চোরাবালি"-র শুটিংয়ের কাজ সমাপ্ত করলেন।পুনরায় এই ফিল্মের পরিচালক বরাবরের মত রাজকুমার দাস ।তিনি জানান গ্রামীন পটভূমিকায় তো বটেই গ্রামের মানুষদের সাথে নিয়ে ছবি করতে বেশি আনন্দ পান,তাই গ্রামের  পরিবেশকে সাথে নিয়ে নতুন ছবি "চোরাবালি"-করতে আসা।রত্না ও সিরাজুলের এক হিন্দু মুসলিমের প্রেমের গল্প তিনি ছবিতে তুলে ধরতে প্রয়াস করেছেন।ধর্ম জাতপাত এই সব কিছুর উর্দ্ধে আমাদের একটাই পরিচয় "মানুষ"।সেই ভাবেই ডাক্তার যোগেন্দ্র নাথ বেরার কাহিনী চিত্রনাট্য নিয়ে ছবির কাজ শেষ।এখন শুধু অপেক্ষা।
ছবিতে অভিনয় করেছেন রাকেশ দে, জয়িতা, স্বপন ঘোষ,গৌরাঙ্গ জানা,অরুন পাত্র,স্মৃতিলেখা ভূঁইয়া, রাজা মিশ্র, আব্দুল্লা মোল্লা,সুশান্ত,গৌরগোপাল, মমতা জানা,প্রবীর মাঝি,পরেশ নন্দী, প্রমুখ।
ছবিতে দুটি গান থাকছে।চিত্রগ্রহনে বিশ্বনাথ ঘোষ,মেকআপ -অসীম কুন্ডু, 
ছবিটি বর্তমানে  অনিতেষ অধিকারীর তত্বাবধানে সম্পাদনার কাজ চলছে।খুব তাড়াতাড়ি ছবিটি দেশ বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ দেখানো হবে বলে জানান পরিচালক রাজকুমার দাস।

রাজ্যের সম্ভবত সর্বপ্রথম গনপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস


রাজ্যে সম্ভবত 'প্রথম', গণপিটুনি মামলায় ১২ জনের আমৃত্যু কারাবাস


 মোল্লা জসিমউদ্দিন  
 
সারাদেশে  যখন গণপিটুনি ঘটনায় সুবিচার না পাওয়ার অভিযোগে সরগরম, ঠিক তখনি  পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতে এক বেনজির রায়দান ঘটলো গনপিটুনিতে জোড়া খুনের মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের অধিকাংশ আইনজীবীদের মত - কোন গণপিটুনি মামলায় একসাথে এতজনের আমৃত্যু কারাবাসের রায়দান ঘটেনি।  রাজ্যের সম্ভবত এইরুপ কড়া রায়দান সর্বপ্রথম বলা যায়। ২০১৭ সালে কালনার বারুইপাড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটেছিল৷ সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এই মামলায় রায়দান ঘটে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় দোষী সাব্যস্তদের আমৃত্য কারাবাসের রায়দান দেন বিচারক তপন কুমার মন্ডল। ১২ জনের বিরুদ্ধে সমস্ত ধারায় কারাবাস গুলি একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ রয়েছে। ৩৪১ ধারায় ১ মাস জেল সহ ৫০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের অতিরিক্ত জেল৷ ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের জেল ৫০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল।  ৩০২ ধারায় আমৃত্যু কারাবাস ১০০০০ টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছরের জেল। সব সাজা গুলি একসাথে চলবে বলে বিচারক তপন কুমার মন্ডল তাঁর আদেশনামায় জানিয়েছেন। সেইসাথে ঘটনায় নিহত ২ জন এবং আহত ৩ জনের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ১২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পেয়েছেন। যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ১৪৯ ধারায় গনপিটুনিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। এই মামলায় ৫৭ জন সাক্ষী ছিলেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রায় জানিয়েছেন -" এই রায়ে সুবিচার পেল নিহতর পরিবার "।অপরদিকে  আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রভাত সাহা ও অতনু মজুমদার জানিয়েছেন - " এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো "। কালনা থানা এলাকায় এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পারভেজ হাসানের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আদালত বলে জানা গেছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০/০১/১৭ তারিখে কালনার সীমান্তবর্তী নদীয়ার রানাঘাটের রাঘবপুর এলাকা থেকে  অনিল বিশ্বাস, মানিক সরকার, মধু মঙ্গল তরফদার, ব্যাঞ্জন বিশ্বাস, সমীর দাসরা কালনার বারুইপুর এলাকায় আমগাছে স্প্রে করার জন্য এসেছিলেন। বারুইপাড়ার সুভাষ এন্টারপ্রাইজের সামনে একদল  স্থানীয় এদের কে ঘিরে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি শুরু করে দেয়। লাঠি বাঁশ ইট দিয়ে আক্রমণ চলে। আহত অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সদর বর্ধমান হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাসীন অবস্থায় অনিল বিশ্বাস এবং সমীর দাস মারা যান। গনপিটুনি কান্ডে আহতদের মুখে  অভিযুক্ত হিসাবে কুন্তল, প্রীতম,  নাজির, অবিনাস, মিনতি, গনেশ, কার্তিকদের নাম উঠে আসে। গত ২২/০৮/১৭  তারিখে পুলিশ  চার্জশিট দাখিল করে থাকে। ৩৪১, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ১৪৯ ধারায় ১৯ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ১২ জন অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়। বাকি ৭ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ এর অভাবে ছাড়া পায়। সোমবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডল ১২ জন কে আমৃত্যু কারাবাস এর নির্দেশ দেন, সেইসাথে গণপিটুনি মামলায় নিহত ও আহতদের পরিবার কে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক কে নির্দেশ দেন।                                                                                                                                                                        

ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

চলতি বর্ষে প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে মারা পড়েছে ২৩ জন৷ যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি ৫০ এর মত। কয়েকদিন আগে মশাবাহিত এই মারণরোগে শিকার হয়ে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল তার ১১ দিনের সদ্যোজাত সন্তান কে রেখে চিরবিদায় নিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের এক জনস্বার্থ মামলায় তৎকালীন বিচারপতি জ্যোতিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যে গাইডলাইন রাজ্যের জন্য জারী হয়েছিল। তার বর্তমান পরিস্থিতি কি?  তা জানতে সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের     প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে  ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাইকোর্টের গাইডলাইন কিভাবে মানছে তার রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ২২ নভেম্বর রিপোর্ট টি পেশ করার নির্দেশনামা রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের 'খাতা-কলমে' কর্মসূচি চলছে বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। মহানগরে আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই। কালিঘাট কিংবা গীতাঞ্জলি মেট্রোস্টেশন সংলগ্ন এলাকা।তাতে  অনির্মলের ছবি সর্বত্রই। যদিও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সদলবলে বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চালাচ্ছেন।রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা অভিযান কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি ঠিকঠাক চললে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের মত। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন আবাসনগুলি জলনিকাশী ব্যবস্থা দেখলে ডেঙ্গু বাহিত মশার আতুঁরঘর বলে মনে হবে। এইরুপ দাবি পুলিশ কর্মীদের পরিবার গুলির। আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি রিপোর্ট দেয়, তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।                                                                                           

জয়নগর পুলিশ কে নির্যাতিতার পরিবার কে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের



মোল্লা জসিমউদ্দিন  

বছর দশের এক নাবালিকা কে ধর্ষণ করবার অভিযোগ উঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। জয়নগর থানায় মামলা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে থাকে। এতদূর অবধি সবই ঠিকঠাক ছিল। অভিযোগগ্রহণের সাতদিন পর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে আর্থিক প্রলোভনে সমঝোতা করার প্রস্তাব এমনকি অন্যত্রে বিবাহ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এতে নির্যাতিতার পরিবার কোন কথা না শোনায় লাগাদার হুমকি। এই হুমকির কথা স্থানীয় থানার ওসি সহ জেলার এসপি কে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর হাত ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা উঠে। গত শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী কে নির্দেশ দেন - ওই ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারী, সাক্ষীরা সহ নির্যাতিতা কে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে - হুমকি বিষয়ক অন্য মামলা শুরু হয়েছে এবং তার তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীর পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের  আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - গত ২৩ আগস্ট জয়নগরে বছর দশের এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয় স্থানীয় এক যুবকের কাছে। অভিযোগগ্রহণের সাথেসাথেই পুলিশ অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারও করে। এরপর থেকেই অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিতে শুরু করে। ৩০ আগস্ট জয়নগর ওসি কে এবং পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর  পুলিশসুপার কে লিখিত অভিযোগ দেয় নির্যাতিতার পরিবার। কোন কাজ না হওয়ায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়। তাতে বিচারপতি দেবাংশ বসাক পুলিশ কে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওই নির্যাতিতার পরিবার কে।                                                                                                  

সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০১৯

বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষে অনুমতি

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে  পাশ্ব শিক্ষকদের  অনুমতি মিললো শান্তিপূর্ণ ধর্ণা কর্মসূচি করতে।আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুরে বিকাশভবনের সামনে তিনশো জন পাশ্ব শিক্ষকরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন৷ তবে এই অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলছিল। যার নিস্পত্তি ঘটলো রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টে। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই অনুমতি বিষয়ক মামলাটি উঠে। সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে তিনশো জন পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্নায় বসবার অনুমতি মেলে। সেইসাথে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কে পাশ্ব শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবার মৌখিক নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মিলেছিল। এই নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। তাতে মামলার গুরত্ব বুঝে প্রধান বিচারপতি রবিবার স্পেশাল কোর্ট বসিয়ে এই মামলার নিস্পত্তি করতে বলেন। তাতে রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্নায় বসবার অনুমতি বহাল রাখে। সেইসাথে গোটা ধর্না পর্বের ভিডিওগ্রাফি করে তা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেয়। বিকাশভবনের ১০০ মিটারের দুরত্বে বসতে চলেছে পাশ্ব শিক্ষকদের এই ধর্নামঞ্চ।  মূলত বিকাশভবনের সামনে ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে এই প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাতিলের জন্য পুলিশের সাথে উদ্যোক্তাদের গন্ডগোল শুরু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাথে আন্দ্রোলনকারীরা বৈঠক চালায়। তাতে ৪৮ হাজার পাশ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভে সামিল হওয়ার আবেদন খারিজ হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলাটি উঠে। তাতে ১১ নভেম্বর অর্থাৎ আজ ৩০০ জনের ধর্নায় বসবার অনুমতি মেলে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাজ্য। তাতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার স্পেশাল কোর্ট বসে। তাতে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল থাকে। তবে বিকাশভবনের ১০০ মিটার দুরে এই কর্মসূচি চলবে। কিছুটা দূরে সেন্ট্রাল পার্কে বিধান চন্দ্র রায়ের পাদদেশে অন্য পাশ্ব শিক্ষকরা আজ অর্থাৎ সোমবার তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।                                                                                                                                             

শনিবার, নভেম্বর ০৯, ২০১৯

গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনের সামনে আদি গঙ্গার হাল দেখুন

 মোল্লা জসিমউদ্দিন  




এগারো দিনের দুধের শিশু রেখে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিয়েছে কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। সে তার সদ্যোজাত সন্তান কে দেখেও যেতে পারেনি এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য। কলকাতা মহানগর সহ রাজ্য জুড়ে  ডেঙ্গুতে প্রাণহানি অব্যাহত, তবুও ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী মশাদের আঁতুড়ঘর গুলি ঠিকে রয়েছে প্রশাসনিক ব্যর্থতায়। কলকাতার গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন আদি গঙ্গার রুপ দেখলে আঁতকে উঠবেন সকলেই! একটু স্বচ্ছতা আনতে পারে ডেঙ্গু নিধনযজ্ঞের নির্মলতা।                       

কুমুদ সাহিত্য মেলার চমক ক্রমশ বাড়ছে

কুমুদ সাহিত্য মেলায় চমক ক্রমশ বাড়ছে


প্রতিবছর ৩ মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বাড়ীতে কবির জন্মদিন পালন হয়। দক্ষীনবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সহ সাংস্কৃতিক জগতের বিশিস্টজনেরা আসেন। প্রথম পয্যায়ে 'কুশল কুমুদ' সাহিত্য পত্রিকা এই জন্মদিন পালনে পরিচালনায় থাকলেও ২০১০ সাল থেকে আমরা অর্থ্যাৎ 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি' আয়োজক হিসাবে উঠে আসে। একশ্রেনীর প্রতিহিংস্বাপরয়ণ রাজনৈতিক নেতাদের গভীর ষড়যন্ত্র চললেও আমাদের দমাতে পারেনি।।কেননা বাংলার শতাধিক সাংবাদিক এই জন্মদিন পালনে প্রতক্ষ্য কিংবা পরোক্ষভাবে যুক্ত। গত বছর মিডিয়া কভারেজে ১০৫+ মিডিয়ায় অনুস্টানের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষজনদের মঞ্চে সম্মানিত করে থাকি। আমরা কোন ডেলিগেট ফি নিইনা। 

এবারে আমাদের কুমুদ সাহিত্য মেলায় চমকের পর চমক থাকছে। বিভিন্ন বিখ্যাত সংস্থা এবার আমাদের সহযোগী হিসাবে থাকছে। বাঙালী মননে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরাও থাকবেন সেদিন অর্থ্যাৎ ৩ রা মার্চ। 
প্রত্যেককেই আগাম আমন্ত্রণ সপরিবারে আসবার জন্য
 
👨‍🌾 মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

দীর্ঘদিনের চিত্র সাংবাদিকতার জন্য ভারত স্বজন সম্মান পেলেন গোপাল দেবনাথ

মোল্লা জসিমউদ্দিন   
 

 অমরাত্মা পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - দ্বিশত জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা - ২০১৯ এবং ভারত স্বজন সন্মান প্রদান উৎসব ২০১৯ বিভিন্ন ক্ষেত্রের নির্বাচিতগুণীজন দের হাতে স্মারক ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে বাংলা শিল্পী - সাহিত্যিক- সমাজকর্মী-সাংবাদিক সমন্বয় সমিতি। সহযোগিতায় আম্বেদকর কালচারাল কলেজ, বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র, চিনুয়া সমাজ কল্যাণ সোসাইটি ও কবি অরুন দত্ত মেমোরিয়াল সোস্যাল এন্ড কালচারাল লাভার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মানস বন্দোপাধ্যায় বিশেষ প্রতিনিধি রাজ্যসভা - লোকসভা টিভি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া প্রাক্তন অধ্যাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায় সম্পাদক বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্র, মঃ ফারুক হোসেন কবি- সঙ্গীত শিল্পী ও সাংবাদিক "আমাদের সংবাদ" বাংলাদেশ। দিলীপ বিশ্বাস, সম্পাদক আম্বেদকর কালচারাল কলেজ, নৌশাদ মল্লিক, সাহিত্যিক পৃথ্বীরাজ সেন, দেবকন্যা সেন, অভিনেতা ধীরু ব্যানার্জী। বক্তব্য রাখেন বিদীপ লাহিড়ী, শিউলী রামানি গোমস, অলক দত্ত, নারায়ণ মজুমদার, মনীন্দ্র চন্দ্র পাল, চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস, সভাপতি মিলন বসু এবং সম্পাদক প্রদীপ বড়াল। এদিনের সূচনা সংগীতে চিন্ময়ী বিশ্বাস ও লীলাবতী বিশ্বাস। বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা ও বিদ্যাসাগর স্মৃতি স্মারক সন্মান লাভ করেন অধ্যাপক মনোরঞ্জন ঘোষ, রামেশ্বর বন্দোপাধ্যায়, শ্যামল চট্টোপাধ্যায়, কবি নিতাই মৃধা,  ডাঃ প্রকাশ মল্লিক, দিলীপ বিশ্বাস, মানস বন্দোপাধ্যায়, শুভ্রকান্তি সামন্ত ও হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী। ভারত স্বজন সন্মান লাভ করেন  বিশিষ্ট সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ, মানস বন্দোপাধ্যায়, উমেশ রায়, দেব দত্ত, অশোক দাস, অজন্তা বর্মন, বৈশালী নন্দী দাশগুপ্ত, ডাক্তার তারক মজুমদার, তপন দাস, মানিক চৌধুরী সহ বিশিষ্টজন। কবি অরুন দত্ত স্মৃতি স্মারক সন্মান লাভ করেন উজ্জ্বল বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস ও চিন্ময়ী বিশ্বাস। এই দীর্ঘ চার ঘন্টার অনুষ্ঠানটি কথায় গানে কবিতা পাঠ ও বিদ্যাসগার নিয়ে নানা আলোচনা বেশ উপভোগ্য হয়েছিল।

বলগনায় সুদের কারবার নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট

আমিরুল ইসলাম  

  ভাতার ব্লকের বলগোনা গ্রামে এক ফুচকা ব্যবসায়ী কচি দাস কে সুদের উপর টাকা দিয়ে ধার দিয়েছিল বলগোনা গ্রামের সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ।
এরপর সে টাকা শোধ না করতে পারলে বুধবার  সকালে কচি দাস কে প্রথমে হুমকি তারপরে মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।কচি দাস কে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এরপর ভাতার থানার পুলিশ খবর পেলে কচি দাস কে উদ্ধার করে থাকে । ভাতার থানার পুলিশ অভিযুক্ত সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ কে আটক করেছে ।স্থানীয় সূত্রে প্রকাশব,  সান্টু শেখ ও নয়ন শেখ সুদের উপর টাকা দেয় গ্রামে গ্রামে । কচি দাস কুড়ি হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা সুদে আসলে ৯৮ হাজার টাকা হয়ে যায় ।এক কাটা জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো পরিশোধ করেছে কচি দাস ।বাকি ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় আজ কে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের ।পরিবারের লোকেদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বলগোনা গ্রামে।

পুলিশ কে সন্তুষ্ট রাখতে লিগ্যাল সেলের লাগাদার ধর্ণা বাতিল তৃণমূলের

মোল্লা জসিমউদ্দিন  


আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণায় নামার কথা ছিল তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীদের । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিবেন বলে ঠিক হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর নাম । ইতিমধ্যেই গত সোমবার রাজ্যজুড়ে দিল্লির তিসহাজারি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তৃনমূল লিগ্যাল সেল। সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভে দেখা গেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী কে।  বৃহস্পতিবার থেকে লাগাদার  ধর্ণা কর্মসূচিটি শুরু হত।  দলনেত্রীর সবুজ সংকেত মিললে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি দিতে দেখা যেতে পারে শাসক দলের আইনজীবীদের কে । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ধর্ণা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি করেও যান আইনমন্ত্রী স্বয়ং। সাথে দলীয় আইনজীবীদের রাজ্য নেতৃত্ব ছিলেন।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশের  বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা। কেননা দিল্লি পুলিশের সপক্ষে সমর্থন দিয়েছে এইরাজ্যের পুলিশের বড় অংশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে লাগাদার ধর্না   চালালে এই রাজ্যে পুলিশ মহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্যই তড়িঘড়ি লিগ্যাল সেলের নেতাদের ডেকে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্না কর্মসূচি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।     দিল্লির তিসহাজারি আদালতের   ঘটনা যেন     হাওড়া আদালত কান্ডে পুনরাবৃত্তি। তবে রাজনৈতিক পেক্ষাপট অন্যরকম।গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ি পার্কিং ঘিরে স্থানীয় থানার পুলিশ আদালতের ভেতরে তান্ডবলীলা চালায়। সেই ঘটনায় মাস খানেক রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতি চলে আইনজীবীদের। শাসক দলের আইনজীবীরা প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন হাওড়া কান্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়। বিজেপির উথান ঘটে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে। তবে জেলার প্রায় সব বার এসোসিয়েশন ভোটে নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় শাসক শিবিরের আইনজীবীরা।  এরেই মাঝে গত সপ্তাহে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঘটলো অশান্তি। তাতে কয়েকটি আইনজীবী গুরতর জখম সহ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হলেন বলে অভিযোগ। দিল্লীর এই আদালতের ঘটনায় রেশ পড়লো বঙ্গীয় রাজনীতিতে। দিল্লির রাজ্য সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকলেও পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেলের হাত ধরে। তাই বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস কে হাতিয়ার করে এইরাজ্যে আইনজীবী মহলে জনমত গড়ে হারানো ভিত শক্ত করতে চেয়েছিল তৃনমূল শিবির। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে পুলিশ কর্মীদের সাথে কুকুরের তুলনা রেখে ব্যানার পড়েছে। এমনকি এক পুলিশ কর্মী কে ঘটনার পর আদালত চত্বরে গাড়ি পার্কিং করতে এলে মারধর চলে। এইরকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত দিল্লি। দিল্লি পুলিশ সমস্ত আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাজপথে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নেমেছে দিল্লী পুলিশ। তাতে দেশের রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলার প্রভাব পড়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত ইস্যুতে বিজেপি পরিচালিত দিল্লী পুলিশের সন্ত্রাসে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই গত সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তৃনমূল লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে এক মঞ্চে লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। চুড়ান্ত প্রস্তুতিও ছিল,   তাতে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং আইনমন্ত্রীর।এইরুপ পেক্ষাপট প্রস্তুত ছিল। ঠিক এরেই মাঝে দিল্লি পুলিশের পাশে সমর্থন জানায় এই বাংলার পুলিশের বড় অংশ। বিশেষত পুলিশের উচুমহল। দিল্লিতে  আইনজীবী বনাম পুলিশের লড়াইয়ে তৃণমূল শিবির পড়ে যায় দোটানায়। লাগাদার ধর্ণা কর্মসূচি চালালে পুলিশমহলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশংকায় সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত হয়েও বাতিল হল হাইকোর্টের সামনে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের ধর্না কর্মসূচি। যদিও লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য জানান - " আমরা ইতিপূর্বে রাজ্যজুড়ে দিল্লি কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি "।                                                                                                                                                                                                                    

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER