শুক্রবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
কুহেলী মামলায় চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশ খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের শাস্তি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এক শিশু কন্যার গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনা বিষয়ক মামলাটি উঠে। সেখানে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল যে শাস্তি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশিকা জারী করেছিল অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। বুধবার এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত চিকিৎসক সুভাষ তেওয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলে, সেই মামলার শুনানি তে আজ তা অনেকাংশ খারিজ করলো হাইকোর্ট। চিকিৎসকরা নিয়মিত প্রাক্টিস করতে পারবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে । যেখানে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল চিকিৎসকের তিন চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের পাশাপাশি ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশিকা জারী করেছিল। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে হতাশ হয়ে মৃতা শিশুকন্যার বাবা অভিজিৎ চক্রবর্তী পুনরায় অভিযোগটি জাতীয় মেডিকেল কাউন্সিলে জানাবেন বলে জানা গেছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ১৯ এপ্রিল কলকাতার বাইপাসে এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে কুহেলী চক্রবর্তী নামে চার মাসের এক শিশুকন্যার। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতা শিশুর বাবা অভিজিৎ চক্রবর্তী রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ জানান। মেডিকেল কাউন্সিলের চুড়ান্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত তিন চিকিৎসকর দোষী সাব্যস্ত হন। সেজন্য এই চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের পাশাপাশি ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশিকা জারী করে। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন অভিযুক্ত চিকিৎসক সুভাষ তেওয়ারি । বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে কুহেলি মামলার শুনানি চলে। সেখানে বিচারপতি রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের শাস্তি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রায় খারিজ করে দেন।অভিযুক্ত চিকিৎসকরা চিকিৎসায় প্রাক্টিস করতে পারবেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই রায় কার্যকর করার জন্য রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, তাহলে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা লাগবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রথীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন হল
মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত বুধবার সন্ধেবেলায় কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রথীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হল। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির রথীন্দ্র মঞ্চে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন হয় জন্মজয়ন্তী । স্মারক বক্তৃতা দেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বারিদবরণ ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসাবে এসেছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ডঃ সুবীর মৈত্র মহাশয়। আয়োজক সংস্থা রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সভাপতি তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। মধুমিতা বসুর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি মধুর হয়ে উঠে। আজকের অনুস্টানের বিশেষত্য ছিল 'পরম্পরা' ঘরোয়ানা অর্থাৎ মা ও মেয়ে , মা ও ছেলে যারা উভয় সঙ্গীতশিল্পী। এইরুপ চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্ত ও দীপাবলী দত্ত এবং রুনা দাশগুপ্ত ও অরিত্র দাশগুপ্ত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সম্পাদক সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - "বাঙালি জগতে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব ছিলেন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সন্তান হলেও স্বতন্ত্র প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। স্থাপত্য থেকে চিত্রশিল্প সবেতেই তাঁর সৃষ্টি আজও অমর "। জানা গেছে, কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি গড়াতে তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বাপেক্ষা গুরত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
১২৫ জন দুস্থদের কুমুদ সাহিত্য মেলায় বস্ত্র দেবে 'মনন'
মোল্লা জসিমউদ্দিন (সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)
আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কুমুদ সাহিত্য মেলায় ১২৫ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি করার সম্মতিপত্র দিয়ে গেলেন 'মনন' সাহিত্য সংগঠনের সম্পাদক স্নেহাশিস চক্রবর্তী । ওইদিন 'পান্ডব গোয়েন্দা' খাত লেখক ষষ্ঠীপদ চট্টপাধ্যায়, কবি মান্দাকান্তা সেন, বিদ্রোহী কবির নিকটাত্মীয় সোনালী কাঁজি, সাহিত্য সম্রাটের পঞ্চম বংশধর সহ তিন শতাধিক কবি সাহিত্যিক থাকবেন।১৫ জন ব্যক্তি ওইদিন সংবর্ধনা পাবেন।
বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
মহাজতি সদনে জমিয়তের সিরাতুন নবি
মোল্লা জসিমউদ্দিন
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার মহাজতি সদনে জমিয়ত উলেমা হিন্দের পরিচালনায় সীরাতুন নবী সম্মেলনে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, বিধায়ক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রাজীব মামলার শুনানি
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সিবিআইয়ের দায়ের করা রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আপিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে মহারাস্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মামলায় দীর্ঘ শুনানি চলে। তাই রাজীব মামলায় আপাতত শুনানি স্থগিত হয়। তবে আগামী শুক্রবার পুনরায় এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে প্রথম সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের জামিন মেলে আলিপুর আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের আগাম জামিন টি স্থায়ী করাতে আলিপুর আদালতে এসিজেম এজলাসে এসেছিলেন তখন আইপিএস রাজীব কুমার । তাঁর সশরীরে হাজিরার মাধ্যমে আগাম জামিন টি স্থায়ী হয়। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে বেশকিছু শর্তাবলির উপর সারদা রিয়ালিটি মামলায় আইপিএস রাজীব কুমারের আগাম জামিন মেলে। এই আগাম জামিনের নির্দেশিকা টি কার্যকর করতে গেলে একমাসের মধ্যেই নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজিরার মাধ্যমে এবং জামিনদারের সাক্ষরে লাঘু হতে হত। সেসময় প্রায় ২৫ দিন 'নিখোঁজ' ছিলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) আইপিএস রাজীব কুমার। কোথায় ছিলেন, কিভাবে ছিলেন, কাদের আশ্রয়ে ছিলেন? এতকিছুর রহস্যের মাঝেই অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের বিশস্ত অফিসারদের নিরাপত্তায় আলিপুর আদালতে এসিজেম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে হাইকোর্টের আগাম জামিনের মামলায় হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সবদিক খতিয়ে দেখে বিচারক তা মঞ্জুর করেছিলেন।। সেদিন রাজ্যের দুঁদে গোয়েন্দাপ্রধান রাজীব কুমার কে বডি লাঙ্গুয়েজে বিষন্ন দেখায়। সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আগাম জামিন মঞ্জুরের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে থাকে । সিবিআইয়ের কলকাতা টিম সেদিন অত্যন্ত গোপনীয়তায় আলিপুর আদালতে রাজীবের উপস্থিতি নিয়ে নজরদারি চালিয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ। কারা জামিনদার হলেন, কোন গাড়ীতে এসেছিলেন, কিংবা কোথায় গেলেন ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলি তারা খতিয়ে দেখেছে বলে জানা গেছে। কেননা সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার যদি খারিজ হয় তাহলে পুনরায় রাজীব পাকরাও অভিযান চালাতে হবে সিবিআই কে। গত সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতী মিত্রের এজলাসে আইপিএস রাজীব কুমারের পক্ষে আইনী রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের পর থেকে রাজীব যেভাবে নিজেকে অন্তর্ধান রেখেছিলেন। আগামীতে সিবিআই তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে অর্ডার পেলে রাজীব কে দ্রুত যাতে হাতের নাগালে পায়। সেজন্য আলিপুর আদালতে রাজীবের উপস্থিত পরবর্তী সমস্ত দিকে কড়া নজরে রাখে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চ আইপিএস রাজীব কুমারের আগাম জামিনের মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়ে জানিয়েছিল- ' রাজীব কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই '। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল - 'রাজীব তদন্তে সহযোগিতা করেছেন '। বেশকিছু শর্ত আরোপ করে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ( দুজন জামিনদার সহ) হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না আইপিএস রাজীব। সেইসাথে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের কাছে। আইপিএস রাজীব কুমার কে হাজিরার জন্য সিবিআই ডাকলে তা দুদিন আগে রাজীব কুমার কে অবগত করতে হবে বলেও এই মামলার রায়দানে জানানো হয়েছে। যদি সিবিআই তদন্তে জেরার নামে ডেকে গ্রেপ্তার করে, তাহলে সাথসাথেই জামিন পেয়ে যাবেন রাজীব,তাও জানিয়েছিল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চের এই রায় জানার পর থেকেই সক্রিয় হয় সিবিআই কর্তৃপক্ষ । দিল্লির সিবিআইয়ের লিগ্যাল সেল কে জানিয়েছে কলকাতার তদন্তকারী অফিসাররা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সিবিআই । প্রায় দুমাস পূর্বে সারদা তদন্তে সিবিআইয়ের সমন খারিজ মামলায় আইপিএস রাজীব কুমারের উপর থেকে আইনী রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতী মিত্রের এজলাস। এরপর থেকে বারাসাতের স্পেশাল কোর্ট(এমএলএ, এমপি) এবং জেলা দায়রা কোর্টে মামলার এক্তিয়ার নিয়ে মামলার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোন রায় উঠে আসেনি। এরপর আলিপুর এসিজেম এজলাসে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু মামলায় আইপিএস রাজীব কুমার কে গ্রেপ্তারে বাধা নেই বলে জানিয়েছিল। অনুরুপভাবে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলিপুর জেলা ও দায়রা এজলাসে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়। সেখানে রাজীবের বিরুদ্ধে সারদা তদন্তে অপরাধমূলক ভূমিকার কথাও উঠে আসে। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে আইপিএস রাজীব কুমারের পক্ষে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার আগাম জামিনের আবেদন জানান। টানা চারদিন রুদ্ধদ্বার শুনানি চলে। রাজীবের আইনজীবী দেবাশীষ রায় শুনানিতে জানিয়েছিলেন - 'সারদা তদন্তে আইপিএস রাজীব কুমার সহযোগিতা করেছেন। এমনকি শিলঙে টানা ৪০ ঘন্টার সিবিআইয়ের জেরার সম্মুখিন হন তিনি '। অপরদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী ওয়াই জে দস্তর শুনানিতে জানিয়েছিলেন - ' সারদা তদন্তে ৮ বার তলব করা হলেও মাত্র ২ বার তদন্তে সাড়া দিয়েছেন রাজীব। তাও আইনী রক্ষাকবচ সাথে নিয়ে! '। ব্যক্তিগত ৫০ হাজার বন্ডে আইপিএস রাজীব কুমার কে বেশকিছু শর্ত আরোপ করে আগাম জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চ। জেরার জন্য রাজীব কে ডাকলে দুদিন আগে সিবিআই কে জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবেনা। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তবে সিবিআইয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা প্রদান করেছে এই ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই তদন্তের নামে ডেকে গ্রেপ্তার করলে, তাতে সাথেসাথেই জামিন পাবেন আইপিএস রাজীব কুমার। এই নির্দেশিকা জারী হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই আগাম জামিনের সময়সীমা নেই অর্থাৎ রাজীব কুমার কে গ্রেপ্তারের পথে সিবিআই কে যেতে হলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় কে চ্যালেঞ্জ করতেই হত সুপ্রিম কোর্টে। এরেই মধ্যে প্রায় একমাস আত্মগোপন করে থাকার পর কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশকমিশনার তথা রাজ্যের এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার তাঁর কলকাতা হাইকোর্টের আগাম জামিন টি স্থায়ী করাতে আলিপুর আদালতে এসিজেম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিয়েছিলেন । বিচারক তা মঞ্জুর করেন। আলিপুর আদালত থেকে বেড়িয়ে অত্যন্ত দ্রুততায় গাড়ী চেপে চলে যান আইপিএস রাজীব কুমার সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর তখন তিনি দেননি। তবে তাঁর শরীরিভাষা বলে দিচ্ছিল তিনি সারদা রিয়ালিটি মামলায় সিবিআই নিয়ে অত্যন্ত চাপে আছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সিবিআইয়ের আপিল মামলাটি উঠে। তবে মহারাস্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মামলায় দীর্ঘ শুনানি চলে। তাতে রাজীব কুমারের মামলাটি আগামী শুক্রবার পুনরায় উঠতে পারে বলে জানা গেছে।
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
কাঁকুরগাছিতে হাইড্রেন সংস্কার শুরু হল
উল্টোডাঙ্গা - কাঁকুড়গাছি সড়কপথে রাস্তায় হাইড্রেনের সংস্কার চলছে, যান চলাচলে ট্রাফিক জ্যাম দেখা দিচ্ছে।
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
আহারে বাংলা উৎসবের আর্জি খারিজ, পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না চলবে
ইতিমধ্যেই বিধাননগরে অবস্থানরত এক পাশ্ব শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বঙ্গীয় রাজনীতি বলয় সরগরম। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝেই শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচি বিষয়ক মামলাটি উঠে।সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয় - বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচি ঘিরে অসুবিধা হচ্ছে 'আহারে বাংলা উৎসব'টির। তাই ধর্না সরিয়ে দেওয়া হোক। রাজ্যের এই আর্জি টি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে উৎসবস্থলে যাওয়ার গেটগুলি অর্থাৎ সেন্ট্রাল পার্কের ২০ মিটারের মধ্যে অবস্থানরত পাশ্ব শিক্ষকদের কোন ধর্না কর্মসূচি নেওয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসাথে পুলিশ কে ওই এলাকায় যানযট সচল রাখার সবরকম দায়-দায়িত্ব নিতে বলেছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে পাশ্ব শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দ্রোলন চালাচ্ছে। বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলে। প্রথম পয্যায়ে পুলিশের সাথে দফায় দফায় কোন সমাধান সুত্র বের হয়নি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে মামলার মাধ্যমে বেশকিছু শর্ত আরোপ করে পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় আদালত। দশদিনের বেশি সময়কাল ধরে অনশন সহ বিক্ষোভ প্রদর্শন চালাচ্ছেন পাশ্ব শিক্ষকরা। এরেই মাঝে রাজ্য সরকারের তরফে পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না মঞ্চ লাগোয়া সেন্ট্রাল পার্কে 'আহারে বাংলা উৎসব' শুরু হয়। একদিকে অনশনরত পাশ্ব শিক্ষকরা অপরদিকে ভোজনরসিকদের আহারে বাংলা উৎসব। এই দুই দিকের টানাপোড়েনের মাঝেই এক পাশ্ব শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। তাতে বাংলার রাজনীতিতে শাসক বনাম বিরোধীদলের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ তুলতে দেখা যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচি তে আহারে বাংলা উৎসবে অসুবিধা হচ্ছে বলে আর্জি রাখা হয়। তাতে কলকাতা হাইকোর্ট সেন্ট্রাল পার্কের ২০ মিটারের মধ্যে অবস্থানরত পাশ্ব শিক্ষকদের ধর্না কর্মসূচি নিতে বারণ করে। সেইসাথে পুলিশ কে যান চলাচলে সচল রাখার সবরকম দায়-দায়িত্ব নিতে বলা হয়। পাশ্ব শিক্ষকদের যেমন কর্মসূচি চলছে ঠিক তেমনিভাবে চলবে
আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতি মেটাতে সক্রিয় বার কাউন্সিল
আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলেও আদালত গুলি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন পড়ে। পাঁচদফা দাবি কে সামনে রেখে আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আদালতের বার এসোসিয়েশন টানা কুড়িদিনের বেশি কর্মবিরতি চালাচ্ছে।পুলিশি সন্ত্রাস, বার এসোসিয়েশনের ভবন, যোগাযোগের বেহাল পরিকাঠামো প্রভৃতি দাবিগুলি রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আদালতের বার এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধিদল আসেন। সেখানে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা মেম্বার আনসার মন্ডল, মেম্বার সমীর পাল, অফিস সেক্রেটারি পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক হয়। সেইসাথে এক স্মারকলিপিও দেয় দ্বীপপুঞ্জের আইনজীবীরা। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাক্ষাতপ্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। বার কাউন্সিল এর পক্ষে সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় এবং আনসার মন্ডল জানান - " বিষয়গুলি আমরা আমাদের বার কাউন্সিলের বৈঠকে তুলব। আমরা দ্বীপপুঞ্জের আইনজীবীদের কর্মবিরতি তুলবার অনুরোধ করেছি "। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে শেষের দিকে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দ্বীপপুঞ্জের আইনজীবীরা। ৩ জন আইনজীবীদের থানায় আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে তাঁরা কর্মবিরতির পথে হেটেছেন। ওখানকার পুলিশের বড় কর্তাদের জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসন বার এসোসিয়েশন ভবন গড়বার জন্য এক হাজার বর্গফুট জায়গা বরাদ্ধ করেছিল ৭ বছর আগে। সেই সরকারি প্রকল্পটি চালু হয়নি আজও। বিভিন্ন দ্বীপে আদালত গুলি যাওয়ার জন্য কোন জলযানের ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের তরফে। দীর্ঘ হয়রানি, সময় কেটে যায় তাতে। এমনকি ওইসব এলাকার আদালত সংলগ্ন এলাকায় থাকবার কোন রাত্রীনিবাস নেই। রাজস্ব আদালত গুলিতে রাত আট পর্যন্ত কাজ চলে। তাতে আইনজীবীরা বিশেষত মহিলা আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে সবচেয়ে বেশি।আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আদালতে দেড়শোর বেশি আইনজীবী রয়েছেন। পুলিশি সন্ত্রাস , পুলিশি নিস্ক্রিয়তা, বার এসোসিয়েশন ভবন না হওয়া, নিম্ন আদালত গুলিতে যাওয়ার জলযানে অপ্রতুলতা সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে টানা কুড়িদিনের বেশি কর্মবিরতি চলছে দ্বীপপুঞ্জের আইনজীবীদের।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের দ্বারস্থ হন তাঁরা। জানা গেছে, বার কাউন্সিল এর এক প্রতিনিধিদল খুব তাড়াতাড়ি যেতে পারে এই দ্বীপপুঞ্জে। বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় এবং মেম্বার আনসার মন্ডল জানান - " উনারা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাক্ষাতপ্রার্থী হয়েছেন, আমরা কমিটির মধ্যে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতির অফিসে সময় নেব। খুব তাড়াতাড়ি কর্মবিরতি কাটুক তা আমরা চাই "।জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আদালতের বার এসোসিয়েশন এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিদের বৈঠকটি হতে পারে।
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০১৯
বধূ নির্যাতন মামলায় আইওর হাতে লেখা রিপোর্ট নিলনা হাইকোর্ট
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বধূ নির্যাতন মামলায় আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে দু দফায় শুনানি চলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রথম দফায় ওই মামলায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের অসম্পূর্ণ রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা কলকাতা পুলিশ কমিশনার কে তলব করেন।শুনানির দ্বিতীয় দফাতে সরকারি আইনজীবীর যুক্তিসঙ্গত সওয়ালে একপ্রকার সন্তুষ্ট হয়ে পুলিশ কমিশনারের 'তলব' ( হাজিরা) নির্দেশটি প্রত্যাহার করে নেয় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কে আগামী বৃহস্পতিবার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার আদেশনামা জারী হয় ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, উল্টোডাঙ্গা মহিলা থানায় এক মহিলা তার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেন৷ এই মামলায় অভিযুক্তেরা আগাম জামিনের আবেদন জানায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দু দফায় শুনানি চলে। প্রথম পয্যায়ে শুনানিতে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের হাতে লেখা রিপোর্ট পেশ করা হয়। এই রিপোর্ট টি ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেয়।তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের গাফিলতি কেন তা জানতে কলকাতা পুলিশ কমিশনার কে তলব করে হাইকোর্ট। এদিন দ্বিতীয়ার্ধে সওয়ালে সরকারী আইনজীবী আদালত কে জানান - এই মামলার আইও পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্রে বদলী হয়েছেন, তাই একটু সময় দেওয়া হোক। ঠিক তখনি ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশ কমিশনারের তলব নির্দেশ টি প্রত্যাহার করে আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার আদেশ জারি করে। এই মামলায় মামলাকারীর আইনজীবী রয়েছেন প্রসূন দত্ত, এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী শ্বাশত মুখোপাধ্যায় আছেন।
নারদা মামলায় অস্থায়ী জামিন পেলেন মির্জা
দু বছরের বেশি সময়কালে তিনি সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। তার উপর টানা ৫৫ দিন জেলে বন্দি। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে চাকরিতে সাসপেনসেন্স না উঠলেও অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা অবশেষে পেলেন শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন।আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সাময়িক জামিন টি। যেখানে পাসপোর্ট জমা রাখা, সিবিআইয়ের তদন্তকারীর কাছে হাজিরা সহ তদন্তে পূর্ন সহযোগিতার শর্ত গুলি রাখা হয়েছে। বুধবার কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে এই মামলাটি উঠে। যদিও আগের শুনানি নারদা মামলায় 'প্রথম' ধৃত আইপিএস সৈয়দ হোসেন আলী মির্জার জেল হেফাজতের সময়সীমা ছিল ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে ধৃত আইপিএসের পুত্রের শারীরিক অসুস্থতার রিপোর্ট নিয়ে মির্জার আইনজীবী বুধবার জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানে দুপক্ষের সওয়ালজবাব শুনে বিচারক শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন এই বিতর্কিত আইপিএস। সওয়ালে মির্জার আইনজীবী সায়ন দে ইতিপূর্বে সিবিআইয়ের নয়বার জেরায় মির্জার সহযোগিতাদান প্রসঙ্গটি তোলেন। যেহেতু ধৃত একজন আইপিএস, তাই পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা যুক্তি দেন মির্জার আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রভাবশালী ত্বত্ত্ব ফের তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, এই বিতর্কিত আইপিএস গত ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর এক অধনস্ত পুলিশ কর্মীর উপর মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সাময়িক সাসপেন্ড হন। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে জেরা চলাকালীন গ্রেপ্তার দেখানো হয় নারদা আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা কে। এই নিয়ে ছয়বার তাঁকে সিবিআই আদালতে এই এজলাসে পেশ করা হল। যদিও জেলে থাকাকালীন কোন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। তারা প্রায় অভিযুক্তের কলকাতা অফিসে জেরাপর্ব চালান। সাথে তাদের ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করে ফরেন্সিকের জন্য। এই মামলায় এই রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সাংসদ পুলিশ কর্তারা অভিযুক্ত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই জেরা চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার সৈয়দ হোসেন আলী মির্জা কে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত এরপর চারধাপে ১৪ দিন করে জেল হেফাজতে ছিলেন এই পুলিশ কর্তা।এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে মুখোমুখি জেরা চলে। সেইসাথে দুর্নীতির টাকা লেনদেনের ভিডিওগ্রাফি হয়। প্রায় দুমাস জেলবন্দি ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশসুপার। ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার এবং ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এক প্রভাবশালী নেতার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জা। টানা ৫৫ দিন জেলবন্দি থাকার পর ছেলের অসুস্থতার রিপোর্ট পেশে শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন পেলেন তিনি। আগামী ৩০ নভেম্বর পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে।
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০১৯
মিডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা কমাতে তৎপর কলকাতা হাইকোর্ট
মামলার পাহাড় কমাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিডিয়েশনে গতি বাড়াতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই গত ১৫ এবং ১৮ নভেম্বর মিডিয়েশন নিয়ে আইনজীবিদের সাথে কর্মশালা হয়েছে বিচারক / বিচারপতিদের । মূলত দুই ২৪ পরগণা এবং কলকাতা এলাকায় আইনজীবীদের নিয়ে এই কর্মশালা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের নব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়েশন কমিটির সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন মিডিয়েশনের গতিপ্রকৃতি সহ মূল লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ( অরিজিনাল সাইড) তথা মিডিয়েশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি অনির্বাণ দাস মহাশয়।মিডিয়েশনের মাধ্যমে মূলত বৈবাহিক, দেওয়ানী এবং বাণিজ্যিক মামলাগুলি দ্রুত নিস্পত্তি হবে। এই আইনী প্রক্রিয়াটি গত ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি ছিল মন্থর। তাই মহকুমা আদালত থেকে জেলা আদালত সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্টের আওতাধীন বৈবাহিক,দেওয়ানী এবং বাণিজ্যিক ( আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ) মামলাগুলি মিডিয়াটরের মাধ্যমে দ্রুত নিস্পত্তি করবেন সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারক। আদালত সুত্রে প্রকাশ, বিভিন্ন নিম্ন আদালতে আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের ঘরে মিডিয়াটররা ( আদালত নিযুক্ত আইনজীবী) কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বাদী এবং বিবাদী পক্ষদের নিয়ে মামলা নিস্পত্তি করার অনুরোধ সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের কাছে পিটিশনের মাধ্যমে দিচ্ছেন। তাতে মামলা নিস্পত্তি ঘটছে। উল্লেখ্য, মিডিয়াটররা টানা চল্লিশ ঘন্টার এই বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে এই আইনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। এই আইনী প্রক্রিয়ার জন্য বাদী কিংবা বিবাদীদের কোন ফি লাগেনা। বুধবার বিকেলে মিডিয়েশনের গতি বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
বর্ধমান শহরে বাসস্ট্যান্ডে শৌচালয়ে চড়া মূল্য
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান কিংবা রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সার্বিক ভাবে পরিস্কার রাখা। সেখানে সূলভ শৌচাগারগুলির ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ।সারাদেশে শৌচাগারগুলিতে প্রসাব করার মূল্য ২ টাকা হলেও বর্ধমান শহরে নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডে দিতে হয় ৫ টাকা! ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক বাড়তি অর্থ আদায় চলছে বলে বেশিরভাগ যাত্রীদের অভিযোগ।
হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পেল মেট্রোরেল
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পেল। এই মামলায় পরবর্তী তারিখ আগামী ১৬ ডিসেম্বর। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন নির্মাণে বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। । এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে। যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। সোমবার দুপুরে মামলাটি পুনরায় উঠে। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৬ ডিসেম্বর।
সোমবার, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের জনস্বার্থ উদ্যোগ - ভোটার কার্ডে লিংক আপডেট
এনআরসি নিয়ে সারাদেশে যখন অস্থিরতা চলছে।ঠিক তখনি ভোটার কার্ডে লিংক আপডেট করবার মত জনস্বার্থ কাজ করার জন্য এগিয়ে এল এক সংখ্যালঘু সংগঠন। গত সপ্তাহ থেকে হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটার কার্ড লিংকের কাজ করে চলেছে 'প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন'। আজও বিভিন্ন প্রান্তে তারা এই কম্পিউটার জনিত শিবির চালিয়েছে এবং এখনও লাগাদার চলবে বলে জানা গেছে। হাওড়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন ব্লকে প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে জেলা সভাপতি ফাইজুল হাসান এর নেতৃত্বে ভোটার কার্ডের লিংকেজ এর কাজ চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলী বলেন - "আমরা শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রীতি এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আমাদের সংগঠন সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে চলেছে।যার মূলমন্ত্র মানবসেবায় অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসি আমরা সবাই। যার প্রতিফলনে এই কাজ করা হচ্ছে"। জেলা সভাপতি ফাইজুল হাসান বলেন - "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ও মানুষের মধ্যে আমাদের সংগঠনের সেবামূলক কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা হাওড়া জেলা জুড়ে ভোটার কার্ড লিঙ্ক এর কর্মসূচি পালন করছি। কোথাও রক্তদান শিবির আবার কোথাও চক্ষু পরীক্ষা শিবির আবার কোথাও দুস্থ অসহায় মানুষদের বিভিন্ন বস্ত্র প্রদান সহ কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গে সহযোগিতা করছেন ইউসুফ লস্কর ,মন্টু মল্লিক, শামীম মন্ডল, মশিউর রহমান, জামাল শেখ ,তোহা শেখ, সাজিদ গায়েন, শহিদুল ইসলাম মল্লিক, মেহেবুব লস্কর, মোরসালিন মোল্লা, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ"।
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনে তৃণমূল লিগ্যাল সেল
গত বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় কলকাতা হাইকোর্ট সংলগ্ন নব মহাকরণের ক্যান্টিন হলঘরে তৃনমূল লিগ্যাল সেলের পরিচালনায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এই বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সম্পাদক অশোক দেব, তৃণমূল লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য, আয়কর বিষয়ক আইনজীবী সংগঠনের সভাপতি সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল, বৈশ্বনর চট্টপাধ্যায় প্রমুখ। কলকাতা হাইকোর্ট, ব্যাংকশাল - শিয়ালদহ - আলিপুর - সিটি সেশন এর মত মহানগরের আদালত গুলির পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা / মহকুমা আদালতের বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, প্রায় পাঁচশোর মত আইনজীবী এসেছিলেন তৃণমূল লিগ্যাল সেলের বিজয়া সম্মিলনীতে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের আসার কথা থাকলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে জরুরি বৈঠকের জন্য আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য মহাশয়। দিল্লির তিসহাজারি আদালতে আইনজীবী বনাম পুলিশের অশান্তি থেকে রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু গুলিতে লিগ্যাল সেলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চক্র চলে। লোকসভা ভোট পরবর্তী কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন ভোটে খারাপ ফল করলেও বর্ধমান সদর আদালত - ব্যারাকপুর আদালত - দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতে বার এসোসিয়েশন ভোটে তৃনমূল ভালো ফল করেছে। এনআরসি নিয়ে আইনী সচেতনতা বাড়াতে তৃনমূল লিগ্যাল সেল বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার চালাচ্ছে। অতি সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের এনআরসি নিয়ে এক সভায় আনসার মন্ডল এর মত বর্ষীয়ান আইনজীবীদের দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই বিজয়া সম্মিলনী চলে কলকাতা হাইকোর্ট সংলগ্ন নব মহাকরণ এর ক্যান্টিন হলঘরে।
রজনীকান্ত সেন সাহিত্য পদক পেলেন কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
অধিকাংশ বাঙালি কবি - সাহিত্যিকদের জন্মভূমি বাংলাদেশে সম্মানিত হলেন এপার বাংলার সাংবাদিক প্রাবন্ধিক কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মভিটে বাংলাদেশের পাবনায় তিনি সম্মানিত হন।তাঁকে 'রজনীকান্ত সেন' স্মারক সম্মান দেয় বাংলাদেশ কবিতা সংসদ নামে এক সাহিত্য সংগঠন। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুল ইসলাম ছাড়াও আরো অনেক কবি সাহিত্যিক দুই বাংলার জনপ্রিয়।এঁদের মধ্যে কবিনরজনীকান্ত অন্যতম । কবি ও গীতিকার রজনীকান্ত সেন ছিলেন পাবনা জেলার মানুষ ।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ভিআইপি হলঘরে মিলনায়তনে তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাঙালি সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলন হয় গত ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত । এই দুই বাংলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাবনা জেলাশাসক কবির মামুদ, ডেপুটি পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস ,ডেপুটি সিভিল সার্জন আবু জাফর, মাছরাঙ্গা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল বিশ্বাস ,কবিতা সংসদের সভাপতি মানিক মজুমদার ছাড়াও বাংলাদেশের শতাধিক কবি-সাহিত্যিক ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) থেকে কুড়িজন মত কবিরা অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্য সংগঠক হিসাবে দুই পার বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । আউশগ্রামের রেলশহর গুসকরা থেকে তিনি ৩৩ বছর ধরে নিয়মিত 'কামদুঘা' পাক্ষিক সংবাদপত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে চলেছেন । এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন দুটি লিটিল ম্যাগাজিন সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনাও করেন। প্রথমশ্রেণীর পত্রিকায় সংবাদ ছাড়াও নানান ঐতিহাসিক পুরাতত্ত্ব লোকসংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ হয় নিয়মিত । দুই বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি মিলনে মেলবন্ধনে কাজ করছেন তিনি, সোশাল মিডিয়ায় ফেসবুক চালু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাঁর এই কর্মকান্ড ।তার সম্পাদিত পত্রিকা বাংলাদেশ বহু কবির লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্য সম্মেলনে ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্য সর্বপরি বাংলাদেশ থেকে শয়ে শয়ে কবি সাহিত্যিকরা সাহিত্য সভায় যোগদান করেন দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মানিত হয়েছেন। মঙ্গলকোটের পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন পালনে (৩ মার্চ) কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কে 'কুমুদরত্ন' সম্মানে ভূষিত করেছে।
শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
শিশুদিবসে কাঁনাদাদু খুবই প্রাসঙ্গিক
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানের কালিকাপ্রসাদ মুক্তমঞ্চে মহাসমারোহে পালিত হল শিশু দিবস। সেইসাথে প্রাক্তনীদের নিয়ে চলে বিজয়া সম্মিলনী। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে নজরুলগীতি, আবার যোগ প্রদর্শন থেকে আবৃত্তি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত পর্যন্ত। ভারতবর্ষের 'প্রথম' প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন উপলক্ষে আজকের শিশু দিবস পালন। সারাদেশের সাথে এইরাজ্যেও পালিত হচ্ছে শিশু দিবস। তবে শিশু দিবস পালনে বিধান শিশু উদ্যানের অবস্থান একটু অন্যরকম। কেননা বিধান শিশু উদ্যানের প্রতিস্টাতা অতুল্য ঘোষ ছিলেন একজন নিখাদ শিশু প্রেমি। যিনি 'কানাদাদু' হিসাবে বাঙালি জগতে অত্যন্ত পরিচিত। অতুল্য ঘোষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের দক্ষিণহস্ত হিসাবে ছিলেন। ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা। তিনি এতটাই শিশু প্রেমি ছিলেন যে রাজ্যে সর্বপ্রথম শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য ফুলবাগানে বিধান শিশু হাসপাতাল গড়াতে অন্যতম ভূমিকা নিয়ে গেছেন। সেইসাথে হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকশো একর জায়গা নিয়ে বিধান শিশু উদ্যান গড়েন তিনি। এই শিশু উদ্যানে ছবি আঁকা, সাঁতার শেখানো, যোগ ব্যায়ামের পাশাপাশি মাধ্যমিক - উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ শালা চলে। এছাড়া জৈব সারে সবজি বাজার বসে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বিকাল এবং রবিবার সকালে । কম দামে এই সবজি কিনতে আসে মহানগরবাসী। বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার জানান - "শিশু দিবস পালনে আমরা আমাদের ক্ষুদে ছাত্রদের অংশগ্রহণ করায় , শিশুদের সার্বিক প্রতিভা বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে বিধান শিশু উদ্যান "।
ধামুয়া গ্রামে শিশু দিবস পালন করলো 'সুসম্পর্ক'
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে 'সুসম্পর্ক' পালন করলো শিশুদিবস উৎসব । সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিল খাবার সামগ্রী এবং তার পাশাপাশি স্থানীয় শিশু এবং গ্রামবাসীদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দানের ব্যবস্থা। মানববন্ধন ট্রাস্ট এর অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা তাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসার পর প্রায় একশো জন স্থানীয় রোগীর হাতে তুলে দেওয়া হল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ-পথ্য ।
এই বিশেষ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ মিশ্রা এবং ডাক্তার নীলাদ্রি শেখর বলে জানা গেছে ।এই মহৎ উদ্যোগে সুসম্পর্কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ভিসাক ভট্টাচার্য , আইনজীবী রুচিরা চ্যাটার্জী , ঊষা মৃধা প্রমুখ ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুসম্পর্ক এর কর্ণধার শ্রী অরবিন্দ সিংহ মহাশয় সদস্য শোভন ভট্টাচার্য , সৌরভ মন্ডল, ইন্দ্রনীল রায় ।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে - " তারা আজকের দিনের এই অনুষ্ঠানে খুব খুশি এবং আনন্দিত" । স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন - এরকম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এবং ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা তারা অত্যন্ত খুশি এবং পরবর্তীকালে আবারো যেন এরকম অনুষ্ঠান হয় তার আশাপ্রকাশ করেছেন ।অপরদিকে কলকাতার এসএসকেএম হসপিটালের জরুরি বিভাগে ভর্তি থাকা একজন মুমূর্ষু রোগীর হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হলে খুবই অল্প সময় মধ্যে সুসম্পর্কের ব্লাড সাপোর্ট টিমের দুজন সদস্য অরূপ দে এবং সৌমেন বাবু ওখানে রক্তদান করেন।এই কর্মকান্ডের মিডিয়া পার্টনার ছিল 'বাংলার খবরাখবর'
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...