মঙ্গলকোট থানার পুলিশের উদ্যোগে নুতনহাট, নিগন, কৈচর প্রভৃতি সড়কমোড়ে থাকা ভবঘুরেদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হল। পুলিশের এহেন ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। চলতি লকডাউনে ভবঘুরে সহ ভিক্ষুকেরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষের নির্দেশে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের ডিম সহ সবজিভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
শুক্রবার, মার্চ ২৭, ২০২০
করোনায় চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি
জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি করোনা ভাইরাস। 'জন্মিলে মরিতে হবে' এই চিরন্তন সত্য জানলেও আজ করোনা বীভৎসতার শেষ পয্যায়ে। এই ভাইরাসে মারা পড়লেও শেষকৃত্যের নির্মম ছবি আজ কঠিন বাস্তব। চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব হওয়ার চান্স নেই...
তাই আবেদন 'ঘরে থাকুন' নিজে বাঁচুন, অপর কে বাঁচান। করোনা নামক যমদূত কে দূর করুন এই বিশ্ব থেকে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন ( সম্পাদক - বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক)
মঙ্গলকোটে জুম্মা নামাজ আদায় হলো দুরত্ব বজায় রেখে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মঙ্গলকোট ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৩৫ টি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় হলো করোনা বিধিনিষেধ বজায় রেখে। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ সদর মঙ্গলকোট - বড়বাজার সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবদের দুরত্ব বজায় রেখে জুম্মা নামাজ আদায় করবার অনুরোধ রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৬, ২০২০
এগরার ব্যক্তির করোনা এলো বিয়ের ভোজে
জুলফিকার আলি
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিদেশি আমন্ত্রিত-বেষ্টিত বিয়েবাড়ি থেকেই করোনা সংক্রমণ ৬৬ বছরের প্রৌঢ়ের

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন, নয়াবাদের ৬৬ বছর বয়সী প্রৌঢ়। গত ১৪ মার্চ এক পারিবারিক বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে, কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওইদিনই রাত্রে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
এরপরই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়।

আজ সকালেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন কলকাতার পিয়ারলেস নার্সিংহোমের আইসিসিইউতে ভর্তি আছেন। ওই বৃদ্ধকে এইচআইভির ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধপত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানালেন। চিকিৎসক ডাঃ অজয় সরকার জানালেন, বর্তমানে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট থাকলেও, অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

ওই ব্যক্তির পরিবারের চারজন সদস্যকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এগরার বিয়ে বাড়িতে দু-চার'জন বিদেশি আমন্ত্রিতও ছিলেন। সম্ভবত সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোঁজখবর শুরু করেছে, ওই বিদেশি ব্যক্তিদের সম্পর্কে এবং ওই বিয়ে বাড়িতে
লকডাউনে অসহায় দের পাশে দাঁড়াতে চলেছে 'সুসম্পর্ক '
সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে আবেদন আমরা গ্রহণ করতে চলেছি একটি অভিনব উদ্যোগ যেখানে লকডাউন এর ফলে বাজারের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির শিকার যে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষ তাদের হাতে আমরা তুলে দেবো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী।
লকডাউনের জের, পূর্ব বর্ধমানে আটক রয়েছে চার হাজার শ্রমিক
সুকান্ত ঘোষ
গত মঙ্গলবার থেকে চলছে সারাদেশ ব্যাপি লকডাউন। তিন কেটে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত প্রায় ৪০টি হিমঘরে ৪০০০ এরও অধিক শ্রমিক লকডাউনের কারণে আটকে আছে। ঐ শ্রমিকরা মূলতঃ উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা।জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ।ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের তরফে গত ২৫ মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে এব্যাপারে তথ্যসমৃদ্ধ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, মেমারি, খন্ডঘোষ, রায়না প্রভৃতি এলাকার কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিক এরা।
মঙ্গলবার, মার্চ ২৪, ২০২০
দক্ষিণ ভারত থেকে ফিরেছে হাজারের কাছাকাছি শ্রমজীবী , করোনা ভয় মঙ্গলকোটে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সারা বিশ্বে করোনা থাবায় প্রাণহানি অব্যাহত। এই রাজ্যেও সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়ে গেছে। তাই করোনা নামক 'যমদূত' প্রতিটি মানুষকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার প্রায় হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকরা ফিরেছে নিজ নিজ বাড়িতে। বেশিরভাগই কেরালা - চেন্নাই - মুম্বাই - পাঞ্চাব থেকে এসেছে গত সপ্তাহে । এদের সিকিভাগ প্রতিনিধিদের কাছে ব্লক প্রশাসন পৌঁছাতে পারলেও বেশিরভাগই 'বিদেশ থেকে ফিরে এসে কার না ভালো লাগে' সূরে স্থানীয় ভ্রমণে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। আর এতেই মঙ্গলকোটের বিশেষত লাখুরিয়া - গোতিস্টা - পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলগুলিতে এলাকাবাসীদের কাছে তৈরি করেছে করোনা নিয়ে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে কর্মরত থাকা আসা শ্রমিকদের কে। ওই পরামর্শটুকু দেওয়া ছাড়া আর কোন স্বাস্থ্য পরিক্ষার কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে 'জনতা কারফিউ' এর কোন প্রভাব পড়েনি মঙ্গলকোটে। অন্যান্য দিনের মতনই বাজার - ঘাটে ব্যস্ত থেকেছে মঙ্গলকোট। তবে পুলিশের তরফে বারবার প্রচার শুরু হয়েছে লকডাইনের মুখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বড় অংশ মোটরবাইক কিংবা সাইকেলে বিভিন্ন গ্রামের মেঠোপথ গুলিতে 'স্বদেশী' হাওয়া লাগাতেই ব্যস্ত! তাই প্রশ্ন উঠা শুরু করেছে - এইভাবেই যদি হোম কোয়ারেন্টাইন চলে, তাহলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা দেখা যাবে বেশি মঙ্গলকোটের বুকে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কেউ কেউ বাড়ী ফেরার রেলপথে আসবার সময় থার্মাল গানে সম্মুখিন হওয়ার ছবি দেখিয়েছে। তবে সেটি হাতেগোনা কয়েকজনের। হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিক্ষায় ঠিকমতো নজর না দিলে করোনা ভাইরাস অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে মঙ্গলকোট দ্রুত চলে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদিও কাটোয়া মহকুমাশাসক জানিয়েছেন - "এত সংখ্যক ব্যক্তিদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করে রাখার মত পরিকাঠামো আমাদের নেই " । অপরদিকে মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন - " স্থানীয় সিভিক / ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে আমরা ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছি, সেই সাথে দফায় দফায় প্রচার গাড়ি যাচ্ছে প্রায় গ্রামে। এত কিছুর পর যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে যান, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে " ।
করোনা তুমি যতই শক্তিশালী হওনা, তবে অপারেজয় নও
গৌতম তালুকদার
করোনা: অমিত শক্তিশালী, কিন্তু অপরাজেয় নয়
কথাটা একদমই সত্যি যে করোনা ভাইরাস যতই ক্ষমতাবান হোক, তাকে পরাজিত করা সম্ভব। এই শত্রুকে সমূলে ধ্বংস করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অমোঘ অবিনশ্বর সেই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে হবে, যার নাম অসহযোগিতা। হ্যাঁ, করোনার সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করা চলবে না। *মনে রাখতে হবে, সে একাই একশো হলেও শেষপর্যন্ত কিন্তু একা। আর তাই অসহায়,দুর্বল। তাকে যদি নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত একা রাখা যায়, তবে সে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনে। এমনই করোনার জীবনের সংজ্ঞা। কিন্তু যদি সে একবার কোনো মনুষ্য শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং এক দেহ থেকে অন্য দেহে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তার মারণক্ষমতা যে কত গুণ বেড়ে যেতে পারে তা আমাদের কল্পনাতীত। এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা হলেও সেই ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেছি বা করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। *নিয়ম মেনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আলাদা রাখা যায় (যা এমন কিছু শক্ত কাজ নয়), তবে করোনার জারিজুরি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। সে হয়ে যাবে নখদন্তহীন। এই জন্য আমাদের সবাইকে কিছুদিনের জন্য হলেও নিজঘরে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে থাকতে হবেই। অকারণে ঘোরাঘুরি করা চলবে না*। নিয়ম মেনে নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। এটা করলেই হবে করোনার সঙ্গে চরম অসহযোগিতা। আর এই অসহযোগিতাই হল করোনার মারণাস্ত্র।
*ভারতবাসী এই লড়াইয়ে হারবে না। হারতে পারে না। কারণ অসহযোগিতার যে কী প্রবল শক্তি, তা সারা বিশ্বকে একদিন শিখিয়েছে এই দেশ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের একদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অগণিত ভারতবাসী। সেই লড়াইয়ের বীজ প্রত্যেক ভারতবাসীর প্রতিটি রক্তবিন্দুতে নিহিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে।* তাই আমরা আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ-- অতি প্রয়োজন না থাকলে আগামী কয়েকটি দিন আমরা ঘর থেকে বেরোব না। ব্যস। এটুকু করতে পারলেই করোনা আমাদের দেশ ছেড়ে পালাবার পথ পাবে না।
*বিধান শিশু উদ্যানের আমরা সবাই-- ছোটো থেকে বড়ো-- এই অসহযোগ লড়াইয়ে সামিল। প্রতিদিন কয়েকশ কচিকাঁচার কলকাকলিতে উদ্যানের সুইমিং পুল, খেলার মাঠ থেকে দোলনা, চরকি মুখরিত হয়ে থাকে। বিধান সরোবরের জল ঝলমলিয়ে হাসতে থাকে। প্রয়াসের অফিস ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ কর্মীদের কর্মব্যস্ততায় চঞ্চল হয়ে থাকে। আজ সেখানে 'সেই বুড়োটা' একা পাহারা দিচ্ছেন তাঁর সাধের উদ্যানকে। সেই শুরুর সময় থেকেই তিনি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন উদ্যানের প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে। তাই তো বলি-- দাদু, তোমার ভাবনায় আমাদের পথচলা।*
আর একটা কথা। *আসুন আমরা সমস্ত ভারতবাসী সেই দেবতার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পণ করি, যাঁর নাম বিজ্ঞান*। যিনি সত্যি সত্যিই এই মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারবেন। এবং কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি-- বিজ্ঞানদেবতার সেইসব একনিষ্ঠ সাধক, সেইসব বিজ্ঞানী, যাঁরা রাতদিন জীবনের ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে গবেষণা করে চলেছেন এই মারণ ভাইরাস COVID-19 ওরফে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে,তাঁরা যেন অচিরেই সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
*সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বদলেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জাতির বিপদে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বারবার লড়াই করেছি এবং জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা হারবো না।*
শনিবার, মার্চ ২১, ২০২০
৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের আদালত গুলিতে শুনানিতে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে করোনা কেন্দ্রিক জরুরি বৈঠক চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত আদালতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন সমস্ত আদালতে মামলার জন্য এজলাস মুখি হবেন না আইনজীবীরা। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আদালতগুলিতেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় । এহেন ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি এটি দ্বিতীয় পয্যায়ে কর্মবিরতি। গত সপ্তাহ থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে রয়েছে থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল - ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য । গত ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল ছিল। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছিল। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে 'অন ডিউটি' ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ রয়েছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকবে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেছিলেন। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত সপ্তাহে জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ রয়েছে । জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ রয়েছে । উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান রয়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে। প্রথম পয্যায়ে ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠকে দ্বিতীয় পয্যায়ে ৩১ শে মার্চ অবধি করোনার জেরে কর্মবিরতি চলবে বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। ৩১ শে মার্চ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পুনরায় বৈঠক বসবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ বৈঠকে থাকতে পারেননি , এছাড়া বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডলও অসুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০
করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা মঙ্গলকোটে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হলো স্থানীয় পুলিশ - প্রশাসন। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি প্রমুখ ছিলেন সচেতনতা শিবিরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে নানান পথপ্রচার চলে। খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেন - বাসে যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ রাখা হয়। সর্দি-জ্বর- কাশি সহ শ্বাসকষ্ট হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা সহ চিকিৎসা চলছে তা বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সচেতনতা শিবিরে।অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন সহ করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে) গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ মহাশয়।
মঙ্গলবার, মার্চ ১৭, ২০২০
২১ শে মার্চ পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকবে করোনার জেরে
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সোমবার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে ছিল থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। সোমবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে - আগামী ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বসবে ওইদিন অর্থাৎ ২০ মার্চ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ, ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল থাকবে। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে অন ডিউটি ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ থাকছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও। উল্লেখ্য, গত রবিবারে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ থাকবে। জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ থাকবে। উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান থাকছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ করোনা পরিস্থিতি ফের অনুধাবন করতে বিচারপতিরা পুনরায় বসতে চলেছেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ। জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে।
সোমবার, মার্চ ১৬, ২০২০
তিন তালাক বৈধ হলে হাইকোর্টে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ধারায় মামলা চায় মহিলা
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকনামায় বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। তিন তালাকের পক্ষে - বিপক্ষে গোটা দেশ একসময় গর্জে উঠেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে তিন তালাকনামা নিয়ে মামলা দাখিল করেন এক 'তালাকপ্রাপ্ত' মহিলা। মামলায় অবশ্য বিচারপতি কোন আদেশনামা দেননি। তবে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। মামলার পিটিশনে ওই মহিলা দাবি রেখেছেন - 'সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সালিসি সভায় স্বামীর তিন তালাক বৈধ হলে, তারপরে নিজ বাপের বাড়িতে জোর পূর্বক স্বামীর শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক। আর যদি ওই সালিসি সভায় তিন তালাক টি অবৈধ হয়। তাহলে স্বামীর বাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন তৎপর হোক '।দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি এলাকার এই ঘটনা এখন কলকাতা হাইকোর্টের অলিন্দে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মুসলিম সমাজের বড় অংশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসের উপর তাকিয়ে। কেননা তিন তালাক টি কেন্দ্রীয় সরকার অবৈধ ঘোষণা করলেও মুসলিম সংগঠন গুলির পাশাপাশি ধর্মীয়গুরুদের একাংশ তিন তালাকে বিশ্বাসী এখনো রয়েছে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি মুসলিম রীতি অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক মহিলার সাথে কুলতলির তাহাজুল গাজীর বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েকমাসের পরেই ৫০ হাজার টাকা পণের জন্য স্ত্রীর উপর স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। গত ৩১/০১/২০ তারিখে বিকেলে কুলতলীতে এক সালিসি সভায় প্রকাশ্যে তাহাজুল গাজী তার স্ত্রী কে তিল তালাক ঘোষণা করে থাকে। সেদিন রাতেই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা কুলতলী থানায় তিন তালাক বৈধ না অবৈধ সেইসাথে নানান অভিযোগ নিয়ে মামলা দাখিল করতে যান। স্থানীয় থানার পুলিশের তরফে তিন তালাক স্পর্শকাতর বিষয় টি এড়িয়ে বধূ নির্যাতনের (৪৯৮ ধারায়) মামলা গ্রহণ করা হয়। এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে শ্বশুরবাড়িতে অভিযুক্ত স্বামী তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন করে থাকে। এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ০১/০৩/২০ তারিখে জয়নগর থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করে ওই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা। তার যুক্তি ছিল - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে তার ইচ্ছার বাইরে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি একপ্রকার ধর্ষণ পয্যায়ে। গত ৪ মার্চ জয়নগর ওসি থেকে পুলিশ সুপার কে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা। ১৩ মার্চ দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে মামলা দাখিল করেন নির্যাতিতা। পিটিশনে নির্যাতিতা দাবি করেছেন - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক, নতুবা তিন তালাক অবৈধ হলে তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন কে নির্দেশ দেওয়া হোক। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। একাধারে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকের বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। অপরদিকে দেশের মুসলিমদের একাংশ তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তিন তালাকে বিশ্বাসী। তাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারধীন এই মামলাটির উপর তাকিয়ে রয়েছে মুসলিম সমাজের বড় অংশ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় সোমবার থেকে অচল হচ্ছে আদালত
মোল্লা জসিমউদ্দিন
সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। আদালতে বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ থাকবে। জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ থাকবে। উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান থাকছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ করোনা পরিস্থিতি ফের অনুধাবন করতে বিচারপতিরা পুনরায় বসতে চলেছেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ।
শনিবার, মার্চ ১৪, ২০২০
চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে সারদায় রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে মামলা উঠে। সুবীর দে নামে এক আমানতকারী গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারদায় প্রতারিতদের অর্থ ফেরতে রাজ্য সরকারের শ্যামল সেন কমিশনের অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে মামলা টি দাখিল করেছিলেন। সেখানে আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার কে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার কে জানাতে হবে কেন বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেল? সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীরা কিভাবে টাকা ফেরত পাবে। তা লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশিকায় রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত আমানতকারীরা আশার আলো দেখছেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, রাজ্যে সারদা সহ বিভিন্ন আর্থিক লগ্নিসংস্থার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান মঞ্জুর করে চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য। এজন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন কে নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়। প্রায় ৫ লক্ষ আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত পান। তবে ২০১৪ সালে মাঝপথেই শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হয়ে যায়। ৫০০ কোটির মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় ফেরত আয় ১৩৮ কোটি টাকা। কেন সব আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়ে মঞ্জুর হওয়া ফেরত গেল? কেনই বা সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা অর্থ ফেরত পাবে না? এইবিধ নানান প্রশ্ন তুলে গত ফেব্রুয়ারিতে সুবীর দে নামে এক আমানতকারী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় শুক্রবার অর্থাৎ আজ দুপুরে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে চিটফান্ডে বরাদ্দকৃত অর্থ কেন ফেরত গেল তার রিপোর্ট তলব করে। সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা কেন অর্থ ফেরত পাবেনা সে সম্পর্কে অবস্থান লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার এই ডিভিশন বেঞ্চে সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় শুনানি চলে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আগামী শুনানিতে অর্থাৎ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকবার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। যদি সেদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন তাহলে সারদা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অফিসার কে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে এই মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই । গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। গত দুটি শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - আগামী মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকতে হবে। তা নাহলে তদন্তকারী অফিসারকে থাকতে হবে শুনানির সময়।
দীর্ঘ ১১১ মাসের পর মাদ্রাসা নিয়োগে ফলপ্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন
অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট ১১১ মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটালো অবসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে দীর্ঘস্থায়ীতা নিয়ে মামলাটি উঠে। যেখানে মহম্মদ হাবিলদের মত।একদল পরীক্ষার্থীদের হয়ে মামলাটি করেছিলেন ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবি। দু দফায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দশ বছর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগে ফলপ্রকাশ নিয়ে চলছিল জটিলতা। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার এহেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকায় লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনী বৈধতা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী গত ২০১০ সালে এবং ২০১১ সালে যে গ্রুপ ডি নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন । তারাও কলকাতা হাইকোর্টের ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের আদেশনামায় উজ্জীবিত। বিগত বাম জমানায় জুনিয়র এবং হাই মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। দু দফায় পরীক্ষাপর্ব শেষ হলেও দীর্ঘ ১১১ মাস অর্থাৎ প্রায় দশ বছর এই পরীক্ষায় সফলদের তালিকা প্রকাশ পাইনি। পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি মহলে চিঠিপত্র লিখেও কোন সুরাহা পাইনি বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মহম্মদ হাবিল দের মত পরীক্ষার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার তাঁর আদেশনামায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১২, ২০২০
জার্মানি কৃষিজ যন্ত্র পরিষেবা চালু হল মেমারিতে
সেখ সামসুদ্দিন
বুুধবার জার্মানী সংস্থা ক্লাস-এর উন্নত প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র পরিষবার সার্ভিস সেন্টার চালু হল মেমারিতে। পূর্ব ভারতে নিজেদের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করতে ক্লাস পশ্চিমবঙ্গের মেমারিতে চালু করল তাদের প্রথম হার্ভেস্ট সেন্টার। সেন্টারের উদ্বোধন করেন ক্লাস কেজিএএ'র এশিয়া অঞ্চলের প্রসিডেন্ট ডঃ জেনস ওয়েডিং ও ক্লাস এগ্রি মেশিনারী প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি জয় সিং। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল মটরস- কর্ণধার অসীম মন্ডল, রোহিত মন্ডল সহ অন্যান্য অফিসার, ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মী ও চাষীবৃন্দ। সংস্থার পক্ষে ডঃ জেনস ও মি জয় দাবি করেন বর্তমানে কৃষিতে শ্রমিক সমস্যা মেটাতে ও কৃষি খরচ কমাতে এই যন্ত্র দারুন ভাবে উপযোগী হবে। এবং এই পরিষেবাটি চলবে ওলা-উবেরের মত অ্যাপের মাধ্যমে। চাষীরা বীজ রোপনের উপযোগী জমি তৈরি করে বা ধান কাটার জন্য বা ভুট্টা চাষে অ্যাপের মাধ্যমে বুক করতে পারবে। অ্যাপের দুটি ভার্সান আছে যার মধ্যে একটি মেশিন মালিক ও অপরটি কৃষকদের জন্য। 'ক্লাস ট্রাক মাস্টার' নামে এই অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই চাষীরা পরিষেবা পাবেন। ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা ভাড়াতে এই যন্ত্র পাওয়া যাবে এবং ঘন্টায় ৪ বিঘা জমি রোপন বা ধান কাটতে পারবে। কোনো জমি ছোটো হলে মিনিট সেকেন্ড হিসাবে যা ভাড়া হওয়া উচিত তাই পড়বে। জার্মান অফিসার ডঃ জেমস বলেন - "নতুন উন্নত টেকনোলজি সর্বদা আনার চেষ্টায় কাজ করে চলেছেন যাতে কৃষকরা উপকৃত হন। মেমারিতে ক্লাস হার্ভেস্ট সেন্টারের মাধ্যমে কৃষক সম্পদায়ের প্রতি দায়বদ্ধতার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও ক্লাস সার্টিফায়েড হার্ভেস্টারদের নিয়ে 'ক্লাস অপারেটর্স ক্লাব' লঞ্চ করেছেন। যারা সদস্যপদ গ্রহণ করবেন তাদের জন্য দুর্ঘটনা বা মৃত্যুজনিত বীমা, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ, ক্লাস মার্চেন্টাইজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সহ অন্যান্য সুবিধা থাকছে। সংস্থা মেশিনের বিষয়ে ট্রেনিং ছাড়াও চাষীদেরও সচেতনতায় শিবির করবেন"। মেশিনের সার্ভিসের জন্য বা পার্টস পেতে অ্যাপ কাজ করবে। সংস্থার যন্ত্রগুলির মধ্যে ক্রপ টাইগার ৩০ টেরা ট্র্যাক, ক্রপ টাইগার ৪০ টেরা ট্রাক জাগুয়ার ২৫, জাগুয়ার ৮৫০, মারকান্ট ৬৫০ ও প্যাডি প্যান্থর ২৬ রাইসপ্ল্যান্টর হার্ভেস্ট জগতে চাষীদের চাহিদা পূরণে অন্যতম বলে জানান ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
মঙ্গলবার, মার্চ ১০, ২০২০
বাঙালি জগতে কুমুদ সাহিত্য মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে
গত ৩ রা মার্চ সারাদিনব্যাপি মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা পালিত হল।একাধারে দুস্থদের বস্ত্রবিলি - অন্নভোগ যেমন চললো। ঠিক তেমনি ক্ষুদে পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি - কৃতিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৬ জন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে৷ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত 'পান্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী তথা বিদ্রোহী কবির নাতনি সোনালী কাজী, প্রাক্তন জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় দেব কুমার ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম, কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শ্যামলাল মকদমপুরী প্রমুখ। প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী কে 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন' , প্রকাশক নিগমানন্দ মন্ডল, কে 'বাদল সরকার রত্ন' কাঁথাশিল্পী মনিরুল হক কে 'শান্তিনিকেতন রত্ন' , সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ কে 'নজরুল রত্ন ' ,কার্ডিয়ালোজি হরিদাস মন্ডল কে 'রেজাউল করিম রত্ন' লেখক আব্দুর রব কে 'নুরুল হুদা রত্ন', শিক্ষাব্রতী শফিকুল ইসলাম প্রমুখদের সংবর্ধনা জানানো হয় । এদিন মনন সাহিত্য সংগঠনের তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি ও অন্নভোগ করানো হয়। সমাজসেবী সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি করা হয় । ডক্টর আর এন ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটির তরফে ২ জন কৃতিদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেইসাথে চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার এর পরিচালনায় পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর চিত্র আঁকা হয়।যা কবির বাড়িতে সংগ্রহশালায় রাখা হয়েছে। লোকসংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম খান সেফ ড্রাইভ নিয়ে গান পরিবেশন করেন। রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে সেফ ড্রাইভ কর্মসূচি পালনে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তা যথাযথ পালন হয় এদিন। মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান - "এদিন পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়"। বিদ্রোহী কবির শৈশবভুমি মঙ্গলকোটে 'নজরুল রত্ন' হিসাবে সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ কে সংবর্ধনা জানানো হয়। দুই বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পালনে লেখনির জন্য ফারুক আহমেদ কে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি সুত্রে প্রকাশ।
সোমবার, মার্চ ০৯, ২০২০
আন্তরিক সংঘের বসন্তোৎসব মানিকতলায়
বইল প্রাণে দখিন হাওয়া-- আগুন জ্বালা।এ আগুন শুধুই ভালোবাসার,মিলনের।এর থেকে বড় ধর্ম,সুন্দর রঙ আর কিছুই হয় না।তাই আজ কলকাতার মানিকতলার আন্তরিক সংঘের এই বসন্ত উৎসবের প্রভাত ফেরি।রঙ থাকুক সবার মনে, ভালোবাসার রঙ, আরো রঙিন হোক সবার জীবন।হোক রংমিলান তি মনের ঘরে।আজ সবাই মিলে অবারিত করি দ্বার----- ভালোবাসার,আন্তরিকতার।
শনিবার, মার্চ ০৭, ২০২০
বসন্ত উৎসবে মাতোয়ারা বিধান শিশু উদ্যানের শিল্পীরা
গোপাল দেবনাথ
বসন্ত উৎসব
গতকাল বিকেল থেকে পি সি চন্দ্র গার্ডেন আয়োজিত হয়েছিল বসন্ত উৎসব। ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে........গান গাইতে গাইতে ছোটো থেকে বড় কয়েক শত শিল্পী সমগ্র মাঠটি নৃত্যের মাধ্যমে বসন্তের রং ছড়িয়ে দিল। সে এক অসাধারন দৃশ্য। বহু বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সামগ্রিক পরিচালনায় ছিল 'দোহার'। তাদের অনবধ্য সংগিত পুরো অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। বিধান শিশু উদ্যানের খুদে শিল্পীদের পাশাপাশি বড়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পরার মতো। অন্যান্য আরো কয়েকটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। নাচে গানে উপস্থিত প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিদেশি অতিথিবৃন্দ দোহারের গানের ছন্দে স্থির থাকতে পারেন নি। আসলে রঙ্গের উৎসব পৃথিবীর সর্বত্রই আছে বিভিন্ন চেহারায়। সবশেষে হোলো আবির খেলা। আবিরের রং আষ্টেপৃষ্ঠে মেখে সবাই বাড়ি এলাম। এই মিলনের রং সম্প্রতির রং যেন আমরা সারা বছর ধরে রাখতে পারি। এই আশা নিয়েই সবাই বাড়ি ফিরলাম..... আসছে বছর আবার হবে*
মঙ্গলবার, মার্চ ০৩, ২০২০
পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন পালন হলো মহাসমারোহে
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
আজ(৩/৩) কবি, সাহিত্যিক, বাচিক ও সঙ্গীত শিল্পী, কৃষি গবেষক, অধ্যক্ষ, ডাক্তার, সমাজসেবী, সাংবাদিক সহ সমাজের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে 'বাড়ি আমার ভাঙ্গন ধরা অজয় নদীর তীরে'-র অমর স্রষ্টা কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পালিত হলো কবির ১৩৮ তম জন্মদিন। নিছক কবিকে স্মরণ করা বা কবিতা পাঠ নয় আজকের অনুষ্ঠান বিভিন্ন দিক দিয়ে স্মরণীয়। সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর পক্ষ থেকে ১৫০ জন দুস্থকে বস্ত্র দেওয়া হয় এবং তাদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়।সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে ১০০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।'ড: আর.এন.ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি'-র পক্ষ থেকে দুই জন কৃতি পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।'উদার আকাশ' পত্রিকার পক্ষ থেকে তিন জন সাংবাদিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর আগে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সাধারণ মানুষ কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে কবিকে শ্রদ্ধা জানান। 'কুমুদ মেলা কমিটি'-র পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্টদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন 'সাহিত্য একাডেমি' পুরষ্কার প্রাপ্ত 'পাণ্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবির বংশধর তথা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সোনালী কাজী, বিখ্যাত কার্ডিলজিস্ট ড: হরিদাস মণ্ডল,কৃষি গবেষক তন্ময় ঘোষ,চিত্র পরিচালক রাজকুমার দাস সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এছাড়া কলকাতা থেকে প্রকাশিত ষান্মাষিক সাহিত্য পত্রিকা 'পদার্পণ' এর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন কবি তথা বাচিক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পাক্ষিক 'কামদূঘা' পত্রিকার সম্পাদক তথা বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা থেকে আগত শর্মিষ্ঠা মাজি, মিনু প্রধানরা বললেন - এতদিন সাহিত্য মেলায় কেবল কবি-সাহিত্যিকদেরই সংবর্ধনা জানাতে দেখেছি। এই প্রথম সাহিত্য জগতের বাইরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টদের সংবর্ধনা দিতে দেখলাম।এরজন্য তারা মেলা কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী তন্ময় ঘোষ এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য কুমুদ মেলা কমিটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।অন্যদিকে হুগলির আরামবাগের বিশিষ্ট শিল্পপতি আগামী বছর এই মেলায় দুস্থদের ১০০ টি তাঁতবস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রায় ২০ বছর আগে কবিকে সম্মান জানানর জন্য কবির জন্মদিনটি বেছে নেন বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক শ্যামলাল মকদমপুরী। মুর্শীদাবাদের সালার থেকে এসে তার পক্ষে কবির জন্মদিন পালন করা ছিল বেশ কষ্টকর।ফলে তিনি অনুজ কবি-সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিনের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেন।গত দশ বছর ধরে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'-র প্রাণপুরুষ মোল্লা জসিমউদ্দিনের উদ্যোগে এই সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত আজ শ্যামলাল বাবুর স্বরচিত গানের মধ্যে দিয়ে কবির স্মরণ সভা শুরু হয়।
জসিম বাবু বললেন- কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত হয়েছেন তাতে তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন দক্ষিণ বঙ্গের বৃহত্তম সাহিত্য মেলাকে আরও সফল ও অর্থবহ করে তুলতে বহু মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...