পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট: বুধবার দুপুরে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া গ্রামে আসেন শীর্ষ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। এদিন তাঁরা নিহত শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লাহ ওরফে ডালিম সেখের বাড়ীতে যান সমবেদনা জানাতে।সেখানে তাঁরা নিহতর স্ত্রী কে একসপ্তাহের মধ্যে সরকারী কর্মসংস্থান করার প্রতিশ্রুতি দেন।সেইসাথে নিহতর তিনমেয়ের পড়াশুনো চালাবার আর্থিকভাবে পাশে থাকবার কথা ঘোষনা করেন।খুনের ঘটনায় জড়িতরা রেহাত পাবেনা বলে কথা দেন। সোমবার রাতের খুনে মঙ্গলবার রাতে নিহতর বড় ভাই আসাদুল্লাহ সেখ পনেরো জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান মঙ্গলকোট থানায়।পুলিশ দফায় দফায় সাতজন কে গ্রেপ্তার করে থাকে।এই খুনে নাম জড়িয়েছে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী সহ বর্ধমান জেলাপরিষদের দাপুটে সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নাম।এফআইআর কপিতে অভিযোগকারী উল্লেখ রেখেছেন যে, খুনের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার শিমুলিয়া গ্রামে এক সভায় রহমতুল্লা ও বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের ষড়যন্ত্র করে গেছেন। এইভাবে অভিযোগ আনায় মঙ্গলবার রাতেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিআইডি তদন্ত চেয়ে পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশসুপার কে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন।চৌধুরী সাহেব জানান - আমাকে অপদস্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে, যারা এই খুনে আসল কালপিট, তাদের কে চিহ্নিতকরণের জন্য সিআইডি তদন্ত দাবি করেছি।