মঙ্গলবার, আগস্ট ২২, ২০১৭

রাহাজানি রুখতে মঙ্গলকোটে বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : মঙগলকোটের অজয় নদের বালিঘাট ঘিরে হিস্বা রাহাজানি নুতন ঘটনা নয়।দখল বেদখল কে কেন্দ্র করে একের পর এক খুন হয়েছে।আজাদ মুন্সির মত 'হাই প্রোফাইল' মার্ডারের পেছনেও ছিল বালিঘাটের লক্ষ লক্ষ টাকার অংকটি।প্রতিনিয়ত বোমাবাজি আর গোলাগুলি চলছে অজয়ের বালিঘাটগুলি ঘিরে।বাড়ছে বেআইনি অস্ত্রের সম্ভার।পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতে বেশ কিছু নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করছে।সরকারের রাজস্ব আদায় যেমন ফাঁকি দেওয়া চলছে, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত বালিবোঝাই গাড়ীর সৌজন্যে রাস্তাঘাট হচ্ছে মরনফাঁদ।যেখানে প্রায়শ দুর্ঘটনায় এলাকাবাসী মারা পড়ছে।বিগত দুবছরে কুড়ির বেশি স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে।শাসকদলের একাংশের মদতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে বালি মাফিয়ারা।প্রতিবাদকারীদের প্রকাশ্য মারধোর এবং পুলিশি ঝামেলায় ফেলা রোজনামচা হয়ে উঠছে মঙ্গলকোটের বুকে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবস পালনে মঙ্গলকোটের সাতটি এলাকায় অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব।প্রতিটি অনুষ্ঠানে কমবেশি মঙ্গলকোটের বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।তিনি বলেন "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গত ২৯ জুন প্রশাসনিক বৈঠকে বালির অসাধু কারবার নিয়ে তাঁর কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, তাই মঙ্গলকোটে বালির ঘাট নিয়ে মারামারি খুন রাহাজানি যাতে না হয়।সেই ব্যাপারে এলাকার বিধায়ক হিসাবে আমার নৈতিক দায়িত্ব থেকেই যায়।" পাশাপাশি তিনি বলেছেন - "এত বোমাবাজি এত হানাহানি সেই বালিরঘাট কে কেন্দ্র করেই, তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঘাটগুলি চলুক।" উল্লেখ্য গত বামজমানার মত তৃণমূল সরকারের আমলেও মুষ্টিমেয় কয়েকজন শাসক দলের নেতা কুখ্যাত দুস্কৃতিদের দল নিয়ে অজয় নদের বালিঘাট চালাচ্ছে।পুলিশের একাংশ মোটা অংকের মাসোয়ারা পাওয়ায় বরাবরই চুপ থাকে বলে অভিযোগ। এক বালি মাফিয়া কোগ্রামে অজয় নদের বেআইনী বালিঘাট চালিয়ে পাথরচাপরি, সিউড়ী,বোলপুর, বাসাপাড়া, নুতনহাট বাইপাসে প্রসাদপ্রতিম বাড়ীর পাশাপাশি নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার জায়গা কিনেছে বলে প্রকাশ।নিজস্ব গোটা দশেক ডাম্পার নিয়মিত বালি দূরদূরান্তর রুটে বালি পৌছে দেয় ইমারত ব্যবসায়ীদের কাছে।অথচ অজয়ের নদীবাঁধ কেটে অবৈধ বালিঘাটটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সাহস দেখায়নি পুলিশ প্রশাসন।এই ঘাটটির সামনে আবার জেলাপুলিশের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স ( ফেব্রুয়ারি  মাসের শেষের দিকে) হয়েছে! জানা যায় এই ঘাটটি বকলমে চালান মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ, সদর মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের এক পদাধিকারী। কোগ্রামে এই ঘাট কে ঘিরেই যাবতীয় অশান্তি দেখা যায়।সম্প্রতি বালিঘাটে থাকা জেসিপি মেশিন বোমা মেরে পুড়িয়ে দেয় দখল করতে আসা অপর গোষ্ঠী। এইরুপ পরিস্থিতিতে রাহাজানি রুখতে মঙ্গলকোট বিধায়ক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় অশান্ত মঙ্গলকোটে শান্তির বার্তা খুঁজছে এলাকাবাসী। 





OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER