শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭

কাটোয়া পুরসভার অনাস্থাপ্রস্তাব ঘিরে চাঞ্চল্য


মোল্লা জসিমউদ্দিন : দলয় পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই সিংহভাগ কাউন্সিলার অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিলেন।এই অনাস্থা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে এলাকায়।পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান অমর রামের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিধায়ক শ্রী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ চৌদ্দজন কাউন্সিলার গত সোমবার দুপুরে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককে লিখিতভাবে এই অনাস্থা  জানিয়েছেন।এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও।পুরসভার কুড়িজন কাউন্সিলারের মধ্যে চৌদ্দজন অনাস্থা চাওয়ায় ঘটনাটি কেন্দ্র করে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবিবাদ সামনে এলো বলে মনে করছে রাজনীতিবিদরা।বিধায়ক শিবিরে দাবি করা হয়েছে - এই অনাস্থাপ্রস্তাবে সায় রয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের।তবে পুর চেয়ারম্যান শিবিরে বলা হয়েছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুর্বে কোথাও অনাস্থা আনা যাবেনা এটা শীর্ষ নেতত্বের ফরমান রয়েছে।যাতে গোষ্ঠীবিবাদ প্রকাশ্যে না আসে, তাহলে বিরোধীরা 'অক্সিজেন' পেয়ে যাবে।ঠিক যেভাবে মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েতে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অনুগামী পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণ চেয়ে ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিও কে লিখিতভাবে জানিয়েছিল।তৃণমূলের শীর্ষ নেতত্বের নির্দেশে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সবাইকে ডেকে অনাস্থা আনা যাবেনা বলে জানিয়েছিলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রামের একনায়কতন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কাউন্সিলার (সেইসাথে এলাকার বিধায়ক)  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনাস্থাপ্রস্তাব জমা পড়ে।অমর রাম ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন - একদা কংগ্রেস বিধায়ক রবীবাবু দীর্ঘদিন কাটোয়া পুর চেয়ারম্যান পদে থেকে যে সিন্ডিকেট গড়েছেন, তাতে আমি চেয়ারম্যান থাকায় অসুবিধা হচ্ছে।উল্লেখ্য ২০১১ সালে তুমুল পরিবর্তনের হাওয়া থাকা সত্বেও কাটোয়া বিধানসভায় প্রতিবারের মত নিজস্ব ক্যারিশ্মায় জেতেন রবীবাবু।সেসময় তৃনমূলের তরফে লোভনীয় পদের অফার দেওয়া হয়েছিল বলে প্রকাশ।তখনও দল ছাড়েননি তিনি।২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পুরভোটে মূলত অমর রাম - জঙ্গল সেখ জুটিতে বিরোধীশুন্য পুরসভায় একলাফে কুড়ির মধ্যে দশটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। টসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তৃনমূল। অমর রাম পুর চেয়ারম্যান হলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত প্রার্থী জঙ্গল সেখ কে কোন পদ দেওয়া হয়না।এই পরিস্থিতিতে ৭৫ জন জনপ্রতিনিধি (পুর কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত সদস্য) দের নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। জঙ্গল সেখ কে জব্ধ করতে এই দলবদল বলে কাটোয়াবাসীদের দাবি।সম্প্রতি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গল সেখ জেলবন্দি হন।তাঁর স্ত্রী কেও গাঁজার মামলায় পাকরাও করে কাটোয়া পুলিশ।সস্ত্রীক জেলবন্দী জঙ্গল সেখের অবর্তমানে অনাস্থাপ্রস্তাব ডেকে পুরসভায় ক্ষমতাবদলে তৎপর শাসকদলের একাংশ।কাটোয়ার আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি, যে জঙ্গল সেখ কে সামনে রেখে কংগ্রেসি দুর্গ দখল করলো তৃণমূল,  সেই জঙ্গল সেখের সপরিবার জেলে রাখার ষড়যন্তে লিপ্ত দলেরই একাংশ।এটা মেনে নেওয়া যায়না।যাইহোক কাটোয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদটি দু বছর চারমাস শুন্য থাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের টানাপোড়ন নিয়ে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে।তার উপর অনাস্থাপ্রস্তাব সেই উত্তেজনার পারদ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।





OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER