মঙ্গলবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৭

তৃনমূল প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মালদায়

মানস দাস, মালদা

একেই তো পিছিয়ে পড়া এলাকা।তারই মধ্যে গোদের ওপর বিষফোড়া l কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে পঞ্চায়েত প্রধান।আর এই তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হল গ্রামবাসীরা।নির্মল বাংলার সরকারী শৌচাগার প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মালদার মানিকচক ব্লকের ভূতনী চরের হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সারথী মাহাতো-এর বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধান সহ পঞ্চায়ের সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, গোটা হিরানন্দপুর পঞ্চায়েত দুর্নীতিতে লিপ্ত।পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সারোথি মাহতো সহ মঙ্গলা মন্ডল,প্রতিমা মন্ডল,রেখা মন্ডল ,সিদ্ধার্থ মন্ডল, সুপ্রিয়া অধিকারী-এই সমস্ত তৃণমূল সদস্যরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। গোটা হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২৮০০ পরিবারের শৌচাগার নির্মাণের দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলে সরব হিরানন্দপুরের জনসাধারণ।গ্রামবাসীদের শৌচাগার নির্মাণের নামে গ্রামের শত শত পরিবারের কাছে ১৯০০,৯০০,১২০০ টাকা করে নিয়েছে পঞ্চায়েতের প্রধান সহ সদস্যরা।কিছু কিছু বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ হলেও তাও অসম্পূর্ণ পাশাপাশি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।তাই আজও আমাদের শৌচকর্মের জন্য মাঠে ঘাটে যেতে বাধ্য বলে দাবি এলাকাবাসীর।সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাধ করেছে গ্রামপ্রধানের দলবল।ভুয়ো তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রধান সারোথি মাহোত ও তার সঙ্গীরা প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার বিল পাশ করেছে।তাই আমরা বাড়ি বাড়ি শৌচাগার সহ অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর ,শৌচাগার নির্মাণের ১৪ টি বুধের প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ হয়েছিল।২০১৬ সালে আগস্ট মাস থেকে শৌচাগার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এই বিষয়ে প্রধান সারোথি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তৃণমূলের প্রধান কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ।ঘটনা সম্পর্কে মানিকচক ব্লক সিপিএম নেতা শ্যামল বসাক বলেন, হিরানন্দপুর প্রধান সারোথি মন্ডল ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা নয়ছয় করছে।এই মর্মে আমরা মানিকচক সিপিএম পক্ষ থেকে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী জানিয়েছি ব্লক প্রশাসনকে।অবিলম্বে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান কে পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দাবি জানায়।অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে মানিকচক বিডিও সুরজিত পন্ডিত বলেন,"এটা প্রায় ১ বছর আগের ঘটনা আমরা ঘটনার অভিযোগ পয়েছি ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মালদা জেলার পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত এলাকা ভূতনী চর।মূলত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এই এলাকার মানুষের পেশা।এলাকায় উন্নয়নের বদলে তৃণমূল প্রধানের এই দুর্নীতির আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এলাকাকে এমনি মতামত এলাকাবাসীর।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER