পারিজাত মোল্লা মঙ্গলকোট
সারারাজ্যে 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ' কর্মসূচি পালন নিয়ে রাজযজ্ঞ চলছে।উদ্দেশ্য একটায় পথ নিরাপত্তা বাড়ানো। যাতে প্রাণহানি কম ঘটে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন সড়করুটে বেপরোয়া যান চালকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।এরফলে যততত্র ঘটছে দুর্ঘটনা। গত তিনবছরে কুড়ির বেশি এলাকাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন মঙ্গলকোটে।রাস্তাগুলি বিশেষত বাদশাহি সড়ক যেন মরণফাদ।মঙ্গলকোট এলাকায় এই রাস্তার দুপাশে পড়ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়,ব্লক হাসপাতাল, থানা,ব্লক কৃষিদপ্তর অফিসগুলি।তাই যানবাহন অপেক্ষা জনসমাগম ঘটে বেশি।মাঝেমধ্যে সিভিকদের ডিউটি ( ভিআইপিগন গেলে) করতে দেখা যায়।তবে তারা গল্পগুজবে ইয়ার্কি ঠাট্টাতামাসায় বেশি দেখা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।সড়কে থাকা স্পিড ব্রেকার গুলি মূল সড়কের অনেক দূরে পড়ে থাকে।অজয় নদের বালি বোঝাই ডাম্পার গুলির অধিকাংশ চালকই নাবালক, সেজন্য প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় চলাচল করে এলাকাবাসী। বালির উড়ন্ত ধূলো পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।নুতনহাট থেকে মুরাতিপুর ( বর্ধমান গামী) ৮ কিমি এবং নুতনহাট থেকে পালিতপুর মোড় (ফুটিসাঁকো গামী) ৩ কিমি অর্থাৎ এই ১১ কিমি রাস্তায় কুড়ির বেশি এলাকাবাসী মারা পড়েছেন দুর্ঘটনাতে।স্থানীয় থানার পুলিশ দুর্ঘটনা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ট্রাফিক দেখভাল করলেও সময়ের গতিতে তা হারিয়ে যায়।মঙ্গলকোট বটতলা মোড় থেকে লোচনদাস সেতু অবধি স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ছোট ছোট আলোর ব্যবস্থা করলেও, সেগুলি দিনেও সর্বদা জ্বলে।তাই সরকারি বিদ্যুৎ এর অপচয়ের পাশাপাশি ওই লাইট গুলির বেশিদিন স্থায়ী থাকবেনা বলে মনে করা যায়।শুধুমাত্র ডাম্পার নয় এলাকার নেতা/ রাজনৈতিক দাদাদের টিমে থাকা মোটরবাইকগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করায় তটরস্থ এলাকাবাসী।