রবিবার, এপ্রিল ০১, ২০১৮

পরিবর্তন সরকার প্রতিষ্ঠার পূর্বে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীদের কি সম্মান মিলবে, আসন্ন ভোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বিভিন্ন সময়ে তৃনমূলের শীর্ষ নেতারা বারবার দলের পুরানো কর্মী সমর্থদকের সম্মান জানাবার কথা জানিয়েছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় প্রকাশ্যে ভাতার এবং মেমারীর বিধায়কদের আদি তৃনমূল নেতাদের নাম করে মাথায় রেখে যাবতীয় কাজ করবার নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে দলের আদি তৃনমূল কর্মী সমর্থকরা চাইছেন যে, ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা প্রাণ হাতে নিয়ে তৃনমূল প্রতীকে দাঁড়িয়ে ছিলেন।তাদের কে মান্যতা দেওয়া হোক ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে।কেননা বিগত বামজমানায় সিপিএমের লাল সন্ত্রাস, পুলিশি সন্ত্রাস কে সাথে নিয়ে যে সাহসিকতাপূর্ণভাবে ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল পরিবর্তনের পথচলা শুরু করেছিল, সেখানে দলের সুদিনে পুরানোদের এই সম্মান প্রদর্শন করলে দলীয় ভিক্তি বাড়বে। যেভাবে তৃনমূলে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সশস্ত্র বিবাদ চলছে।সেইজায়গায় দলের দুর্দিনে (২০০৮) প্রার্থীদের নির্বাচনী টিকিট দিলে তৃনমূলের অন্দরের চাপা ক্ষোভ কমতে বাধ্য।উদাহরণ হিসাবে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পেক্ষাপট আনলে দেখা যাবে, বর্তমানে দুই চৌধুরীর বিবাদে রণক্ষেত্র মঙ্গলকোটের বিস্তীর্ণ এলাকা।ব্লক তৃনমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বনাম  বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর লড়াই ক্রমশ বেড়েছে।সেখানে কোন পক্ষকেই এককভাবে দলীয় প্রতীক দিলে আগামীদিনে মারপিট লেগেই থাকবে।অথচ ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের ডাবলু আনসারীর মত কুখ্যাত নেতাদের হুমকি কে যারা পরোয়া না করে মনোনয়ন পেশ থেকে ভোটের দিন।এমনকি গননার দিন তৃনমূল প্রতিষ্ঠা করতে প্রাণের বাজি রেখেছেন।আজ তারা উপেক্ষিত দলেরই কাছে।২০০৮ এর নির্বাচনে তৃনমূলের জেলাপরিষদ প্রার্থী আয়েষা সুলতানার কথা গোটা মঙ্গলকোটবাসি জানে।মনোনয়ন পেশের সময় অধিকাংশ দলীয় প্রার্থী ( গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি) পুলিশি সন্ত্রাস এবং ডাবলু - বাবলু আনসারির সশস্ত্র দলবলদের হাত থেকে বাঁচতে এই জেলাপরিষদ প্রার্থীর চারতলা বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিল।মনোনয়ন পেশ থেকে গননার দিন অবধি ছিল এখানে।মঙ্গলকোটের তিনটি জেলাপরিষদ আসনের মধ্যে তৃনমূলের পক্ষে সর্বাধিক ভোট পেয়েছিলেন তিনি।এমনকি মঙ্গলকোটের ১৫ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে যে ৪ টি বামবিরোধীরা পেয়েছিল।তারমধ্যে ঝিলু ১, শিমুলিয়া ২, এবং ভাল্ল্যগ্রাম পঞ্চায়েত গুলি উক্ত জেলাপরিষদ কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ডাবলু - বাবলুর ভয়ে মঙ্গলকোটের প্রায় পঞ্চায়েত বিরোধীশুন্য পেয়েছিল সিপিএম।এহেন লালদুর্গ মঙ্গলকোটে 'কমরেড' পুলিশ অফিসার এবং একাধিক নৃশংস খুনে মূল অভিযুক্ত ডাবলু আনসারিদের সন্ত্রাস কে তোয়াক্কা না করে তৃণমূলের জন্য যারা লড়াই করেছিল।সেই আয়েষা সুলতানা - জয়ন্ত রায় প্রমুখ প্রার্থীরা ২০১১ এর রাজ্যে পালাবদলের পরেই দলের উপেক্ষার তালিকায় চলে গেছে।উল্টে সিপিএম ছেড়ে যারা তৃনমূলে এসেছে, আজ তারাই মঙ্গলকোটের শাসকদলের নয়নমণি হিসাবে পরিচিত। যেখানে দলের আদি কর্মীদের বারবার সম্মান জানাবার কথা তৃনমুলের শীর্ষ নেতারা জানাচ্ছেন, সেখানে ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থীদের দলের সুসময়ে এবারের ভোটে প্রার্থী করলে দলীয় ক্ষোভ অনেকখানি কমবে বলা যায়।২০১১ তে বিধানসভায় তৃনমূল ক্ষমতা দখল করলেও,  ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল পরিবর্তন করবার পরিকাঠামোর গড়ার প্রথম ধাপ। সেই ধাপে আংশিক জয় পাওয়াতে ২০০৯ এর লোকসভাতে ভালো ফলাফল করেছিল তৃনমূল। তারপরেই এলো বাম জমানোর অবসান।তাই ২০০৮ এর দলীয় প্রার্থীদের এবারের প্রার্থী করার জোরালো দাবি ক্রমশ উঠছে তৃনমূলের অন্দরে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER