সুরজ আলি খান
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন নিয়ে প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি অব্যাহত। শনিবার সকাল থেকেই আরামবাগ এসডিও অফিস চত্বরে শাসক দলের কর্মীদের ভিড় থাকে। এদিন যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আরামবাগ এসডিপিও কৃশানু রায়ের নেতৃত্বে মাঝে মধ্যেই র্যাফ ও বিশাল পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে ভিড় হটিয়ে দেয়। তবু কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা করে ফেরার পথে এসডিও অফিস চত্বরেই আক্রান্ত হলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক সহ শাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন মহিলা প্রার্থী। এদিন দুপুরে গোঘাটের শাওড়া থেকে সাতজন প্রার্থীকে নিয়ে আরামবাগ মহকুমাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন গোঘাটের প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দপ্তর থেকে বের হওয়ার সময় শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী তাঁদের উপর হামলা চালায়। তাঁর মুখে কালি মাখিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এছাড়া দলের মহিলা কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের ব্যাগ। তারপর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাফ এসে পৌঁছায়। লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ । বিশ্বনাথ বাবূ তাঁর এবং মহিলা প্রার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তাঁকে এবং সাথে থাকা মহিলা প্রার্থীদেরও পুলিশের গাড়িতে করে তাঁর গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয় পুলিশ। বিশ্বনাথ বাবূ এ বিষয়ে বলেন, এটা কি গণতন্ত্র, আমরা মনোনয়নপত্র ফিরছিলাম সেই সময় আমার মুখে কালি লাগিয়ে আমাকে মারধোর করে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীরা এবং আমার মহিলা প্রার্থীদের চুল ধরে মারধর করা হয়, ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অপরদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, উনি হলেন সুবিধাবাদী লোক। ফরওয়ার্ড ব্লকের বিট্রে করে সিপিএম করছিলেন। এটা সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের কেচ্ছা। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোন যোগ নেই।