বুধবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

ওয়েব পোর্টাল নিউজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পূর্বস্থলীতে

ওয়েব পোর্টাল এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে পূর্বস্থলীতে

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গণমাধ্যমের  প্রধান অংশ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এই সংবাদমাধ্যম আগে ছিল তিনধরণের। যথা ১/ বেতার (রেডিও),  ২ /কাগজ, ৩/ টিভি। বর্তমানে চতুর্থ সংবাদমাধ্যম হিসাবে সম্প্রতি এসেছে ওয়েব পোর্টাল। একাধারে বৃহত খবরের কাগজ কিংবা  নিউজ চ্যানেলরা যেমন তাদের ওয়েব পোর্টাল স্বতন্ত্র ভাবে খুলেছে। ঠিক তেমনি আমাদের মত যারা দীর্ঘদিন সাংবাদিকতায় যুক্ত তারাও নিজ খরচে পোর্টাল নিউজ চালাচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের পেনশন প্রকল্পে ওয়েব পোর্টাল সাংবাদিকদের এনে, নুতন দিশার পথ দেখিয়েছেন।  গত ২৯/০৩/ ২০১৮ তারিখে নোটিফিকেশন নাম্বার ১২১৯/ডিআই/সিএ/এন রাজ্যসরকার ২ নাম্বার সিরিয়ালে এ বিভাগে অবগত করে যে ওয়েব পোর্টালের সাংবাদিকেরাও সরকারি পেনশন প্রকল্পে আওতাভু৷ যা বিভিন্ন প্রেসক্লাবের তরফে সাধুবাদ জানানো হয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আমাকে এক জনৈক সাংবাদিক বলেন - পূর্বস্থলী থানায় নাকি আমাদের পোর্টাল ( মঙ্গলকোট ডটকম)  নিউজের বিরুদ্ধে মামলা (পিএস কেস নাম্বার ৩১৯/১৮) হয়েছে। বাড়ীর ঠিকানায় এক নোটিশ আসে। সেখানে সংশ্লিস্ট আদালত বলুন, কিংবা সংশ্লিষ্ট থানা অথবা ডেলিভার করা থানার স্ট্যাম্প ছিলনা।  কলকাতায় সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে এহেন নোটিশ ঘিরে একরাশ প্রশ্ন উঠে। খবর নিয়ে কারও অসন্তোষ সর্বপরি অভিযোগ থাকলে সেই মিডিয়ার সম্পাদক কে লিখিত প্রতিবাদপত্র পাঠানো উচিত। সেখানে কোন সদুত্তর না পেলে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো উচিত নিদিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ রেখে। সরাসরি কোন থানা সংবাদটি ভুল না সঠিক, কিংবা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত কিনা সেই বিষয়ক মামলা গ্রহণ করতে পারেনা। গত ২০০৬ সালে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের জাঁদরেল বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে ( সিরিয়াল নাম্বার ৫৭) গুসকারা নিবাসী জীবরাজ প্যাটেল নামে এক কাঠ  ব্যবসায়ী  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো পরবর্তী এক রিট পিটিশন করেছিলেন। সেখানে বিচারপতি তাঁর অর্ডারশিটে - সংবাদ সম্পকিত মামলা নিদিষ্ট ফোরামে ( প্রেস কাউন্সিল)  অনুমোদনের কথা জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ওই ব্যবসায়ী রিট পিটিশনের পূর্বে গুসকারা পুলিশ ফাঁড়ি এবং আউশগ্রাম আইসির কাছে সংবাদ বিষয়ক মামলা করতে গিয়েছিলেন।  সেখানে পুলিশ কেস রুজু না হওয়ায় উক্ত পত্রিকা ( কৃষি সমবায় পত্রিকা)  রাইটার্স ( হোম বিভাগ) , পুলিশসুপার (বর্ধমান) , জেলাশাসক ( বর্ধমান)  আইসি (আউশগ্রাম) দের পার্টি করা হয়। উল্লেখ্য ওই পত্রিকার সহ সম্পাদক ছিলাম আমি।         অতএব কোন সংবাদ কেন্দ্রিক মামলা পুলিশের সরাসরি গ্রহনের আইনি অধিকার আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। যদি এইরুপ নোটিশ সারারাজ্যের প্রায় থানা মিডিয়ার সম্পাদক কে পাঠাতে লাগে। তাহলে সাংবাদিকতা ছেড়ে থানায় থানায় হাজিরা দিতেই সময় লেগে যাবে। কেননা প্রতিটি খবরে একাংশ যেমন খুশি হয়, ঠিক তেমনি আরেক অংশ বিরুপ হয়।তাহলে বিরুপ ব্যক্তিদের ক্ষোভ মেটাতে থানার অপব্যবহার ঘটবে বলে আমরা মনে করি।ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি দিকে যেমন লড়াই করছি। অপরদিকে প্রেস কাউন্সিল, রাজ্যপাল, সাংবাদিক সংগঠন  সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমরা লিখিত আকারে জানাচ্ছি।
এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়, সমগ্র ওয়েব পোর্টাল  হাউসের সংবাদ স্বাধীনতার লড়াই। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা আছেন তো?

# পূর্বস্থলী থানার নোটিশ  

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER