মোল্লা জসিমউদ্দিন,
কেস্টর বাড়ির সামনে প্রায় হাজার খানেক আরএসএস কর্মী মহালয়া উপলক্ষে রুটমার্চ চালালো গত সোমবার সকালেই। স্থানীয় থানা, জেলা পুলিশ, ডিআইবি, সিআইডি সর্বপরি শাসকদলের কোন সংগঠন এই রুটমার্চ সম্পর্কে আগাম কোন তথ্য পাইনি। নেটওয়ার্ক ব্যর্থতা নিয়ে সব মহলেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মনে করছে, পুলিশের বড় অংশ বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃনমূল নেতা কে নিয়ে অন্দরে অন্দরে ক্ষুব্ধ। ২০১৩ সালে পুলিশ কে বোমা মারুন কিংবা চলতি বছরে পুলিশ কে এক ঘন্টা সময় দিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি পুলিশের বড় অংশ কে দিন কে দিন ক্ষুব্ধ করে তুলছে। তাই মহালয়ার আরএসএসের বোলপুর শহরে তিনজায়গায় হাজার খানেক কর্মীদের রুটমার্চের কোন খবর পুলিশের একাংশ পেলেও, তা বেমালুম চেপে গেছেন তাঁরা বলে পুলিশের একাংশের দাবি । অপরদিকে বিজেপির পথনির্দেশক আরএসএস যে খুবই শৃঙ্খলাযুক্ত সংগঠন, তা ফের ফের টের পাওয়া গেলো। জানা গেছে, বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরবাইকের টুল বক্সে সাংগঠনিক পোশাকগুলি রেখে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে বোলপুরে আগত হয় হাজারের কাছাকাছি আরএসএসের প্রশিক্ষিত কর্মীরা। তারপর তারা পোশাক বদল করে রাস্তার দুধারে বাজনা বাজিয়ে মহালয়ার রুটমার্চ সারে। বোলপুরের তিনটি প্রধান সড়কে এই কর্মকান্ডে হতচকিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। এই রুটমার্চ টি বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বাড়ীর সামনে দিয়ে চলে যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বীরভূমের শাসকদলের নেতাদের রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। নানান রাজনৈতিক অংকে সরগরম গোটা বীরভূম।