সোমবার, মে ২০, ২০১৯

আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে রুজিরোজগারে টান খাবারের দোকানগুলিতে


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দাবি পূরণে সাধারণত এক কিংবা দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। এইবিধ ধর্মঘটে অল্পবিস্তর ক্ষতির মুখ দেখেন ব্যবসায়ীরা।তবে গত ২৪ এপ্রিল থেকে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবীর পুলিশি পীড়নের ঘটনা কে সামনে রেখে সারারাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের যে কর্মবিরতি চলছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে আদালত লাগোয়া হোটেলগুলি।টানা ২৫ দিন আদালত গুলি তে একপ্রকার বনধ চলছে। সেখানে আইনজীবি, মুহুরি, টাইপিস্ট  সর্বপরি বিচারপ্রার্থীরা নেই। তাই আদালত চত্বরে থাকা সমস্ত দোকানই প্রায় বন্ধ। কতটা ক্ষতির মুখে এইবিধ খাবারের দোকানগুলি?  মহকুমা থেকে জেলার সদর আদালত, কিংবা কলকাতার সিটি কোর্ট থেকে হাইকোর্ট সর্বত্রই সেই একই ছবি। কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে এই প্রতিবেদক সরজমিন খতিয়ে দেখতে গেলে ফুটে উঠে নিম্নমধ্যবিত্ত হোটেলগুলির আর্থিক ক্ষতির ছবি। ব্যাংকশাল আদালতের ৩ নং গেটে এক হোটেল সহ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ সাহা জানান - "এই আদালতে প্রতিদিন গড়ে শয়ে শয়ে বিচারপ্রার্থীরা আসেন, সেইসাথে উকিলবাবু - মুহুরিরা তো আছেনই। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিক্রি-বাট্টা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস বন্ধ বলা যায় অর্থাৎ এক লক্ষের বেশি অর্থ মাসিক ক্ষতি ধরে নেওয়া যায়। শুধু তাই নয় হোটেলে নিযুক্ত তিন থেকে চারজনের পেছনে প্রতিদিন হাজার টাকা মাইনে দিতে হয়। সেটাও মাসিক ত্রিশ হাজার টাকা বলা যায় "। তাহলে দেখা যাচ্ছে সারারাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলিতে মাসিক গড়ে একলক্ষ টাকা যেমন আয় হলনা, ঠিক তেমনি স্থায়ী কর্মীদের মাইনে তে ব্যয় হল ত্রিশ হাজার টাকার মত। অর্থাৎ আদালত চত্বরে চালু হোটেলগুলি একমাসের আর্থিক  ক্ষতি   দাঁড়ালো দেড়লক্ষের মত। আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলির গ্রাহক বলতে বেশিরভাগই বিচারপ্রার্থীরা। কেননা এগুলি প্রায় আদালতের গেটের মধ্যেই থাকে। তাই আদালতে আসা ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোন ধরনের খদ্দের এখানে আসেনা বললেই চলে। এটা শুধু কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতের খন্ড এক দুর্দশার ছবি নয়, এইরূপ কাটোয়া মহকুমা আদালত - আলিপুর আদালত সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত চত্বরে থাকা হোটেলগুলির একই ছবি।  উকিলবাবুরা হয়তো কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুবিচার পাবেন। তারা আবার আদালতের কাজেও যোগ দেবেন। কিন্তু এই টানা কর্মবিরতি তাও রাজ্যব্যাপী কর্মবিরতির সর্বাধিক রেকর্ড সময়সীমা পার করলেন তাতে বিচারপ্রার্থীদের চরম হয়রানির পাশাপাশি খাবারের দোকানগুলিতে যে আর্থিক বিপর্যয় ঘটলো তার দায় কে নেবে?  এরা তো আর চাষীদের চাষাবাদে ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেনা....                                                                                           

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER