রবিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯

পূর্ব বর্ধমানে আলু চাষে ক্ষতি এই আবহাওয়া

মোল্লা জসিমউদ্দিন  

কুয়াশার দাপট সপ্তাহভর অব্যাহত থাকলেও গত বৃহস্পতিবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শস্যগোলা বর্ধমানে আলু চাষিদের বাড়িয়েছে দুশ্চিন্তা। নবি ধসার প্রকোপে পূর্ব বর্ধমানে ক্ষতিগ্রস্ত মাঠের পর মাঠ।গতবারে ৫২ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছিল। এবার সেটা ৭০ হাজার হেক্টর জমি ছাড়িয়েছে আলু চাষে। আলু চাষের প্রথম পয্যায়ে  বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগস্ত হলেও মাঠ থেকে আলু তোলার আগে এইরুপ দশদিন রোদবিহীন প্রতিকূল আবহাওয়া আলু চাষীদের দুশ্চিন্তা কে বাড়িয়েছে বহুগুন৷ গত দশদিন বেশিরভাগ সময়ই ছিল কুয়াশাময়। তার উপর গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে অকাল বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টি আলুর নবি ধসা প্রকোপের মধ্যে ফেলেছে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। দিনের প্রায় সময় রোদ না থাকায় এই প্রকোপ ক্রমশ বাড়বে। জানুয়ারি মাসে শেষের দিকে মাঠ থেকে আলু তোলার কাজ শুরু হয়ে থাকে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মাঠে আলুর পচনশীলতা বেড়েই যাবে, যদি এই প্রতিকূল আবহাওয়া উন্নত হয়। তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমতে পারে। বিভিন্ন বাজারে আলুর দর কেজি প্রতি ২৫ টাকা। তাতে নুতন আলু ওঠা না অবধি দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এই মুহুর্তে বেশিরভাগ হিমঘরে মজুত পুরাতন আলু নেই বললেই চলে। এই রাজ্যের বেশিরভাগ আলু উৎপাদিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তাতে পূর্ব বর্ধমানে আলু চাষে ক্ষতি হলে তার রেশ পড়বে গোটা বাংলা জুড়ে। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়, মেমারি, রায়না, খন্ডঘোষ, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কাটোয়া, কালনা, পূর্বস্থলী,ভাতার প্রভৃতি থানা এলাকায় ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়। গতবারে সারা জেলায় ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছিল। এবার সেটা ৭২ হাজার হেক্টরর মত। বুলবুল ঝড়ে সাময়িক ক্ষতি সহে এখন টানা দশদিনের প্রতিকূল আবহাওয়া সেইসাথে গত বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি আলুচাষীদের দুশ্চিন্তা কে বাড়িয়েছে বহুগুণ। ঝলমলে রোদ না উঠলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। আলু চাষের পাশাপাশি সবজি চাষেও অনুরূপ বেহাল অবস্থা দেখা গেছে। ফুলকপি থেকে বেগুন সবেতেই পচনশীলতা দেখা যাচ্ছে।  মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপকূলে থাকা কোগ্রাম - সাগিরা - কূলে গ্রামগুলিতে সবজি চাষ নির্ভর চাষীদের মাথায় হাত। বিভিন্ন সবজি ফলনে এই গ্রাম গুলি সবজি রপ্তানি  করে থাকে। সেখানে বেশিরভাগ মাঠে সবজির একাংশ পচে গেছে। এখন গ্রামীণ হাট গুলিতে যা বাজারদর পান চাষিরা,  তাতে ফসল ফলানার খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ। সবজি চাষিরা বেগুন কেজি প্রতি ৫ টাকায় বিক্রি করেন স্থানীয়  আড়তদারের কাছে। যেটা কলকাতায়  বিভিন্ন বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ টাকার মত পৌঁছে যায় দশগুন বাজার মূল্যের একভাগ পান স্থানীয় চাষি। সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া যা, তাতে এই একভাগ আগামীতে মিলবে কিনা বোঝা মুস্কিল।                                                                                                                           

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER