দীর্ঘ ৩৫ টা বছর জেলা আদালতে দাপটের সাথে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। বছর ৫ হলো শারীরিক অসুস্থতায় কর্মস্থল হাওড়া আদালতে পা পড়েনি। কেননা তিনি নানান শারীরিক রোগে আক্রান্ত। একপ্রকার শয্যাশায়ী বলা যায়। হ্যা হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী বরুণ দে সরকার হার্ট সহ রক্তের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী এখন। আইনী পেশার বাইরে দীর্ঘদিন চলে যাওয়ায় সাংসারিক খরচ আসে না। চিকিৎসার পেছনে অনেক অর্থকড়ি চলে গেছে। বিকল্প আয়ের সূযোগ নেই, তাছাড়া একদা 'বুনিয়াদিয়ানা' থাকলেও আর্থিক হালে বেহাল তাঁর পরিবার।দাবি, বারবার 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' কে লিখিত জানিয়ে আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি। যদিও বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধি আনসার মন্ডল জানান - "আমাদের কে মেডিক্যাল বিল সহ আবেদন করলে, তা আমরা কর্মসমিতির বৈঠক করে সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করবো"। গত মঙ্গলবার বিকেলে সতীর্থ আইনজীবী বন্ধুরা গিয়েছিলেন বরুণ বাবুর হাওড়ার বাড়িতে। সিটি সেশন কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী অলোক কুমার দাস বলেন - " আমরা আমাদের মত পাশে থাকি, তবে বার কাউন্সিল পাশে দাঁড়ালে খুব ভালো হত"। এলাকা সুত্রে প্রকাশ, অভিজাত পরিবারের সন্তান বরুণ দে সরকার হাওড়া জেলা আদালতে সিভিল ও ক্রিমিনাল বিভাগে প্রায় ৩৫ বছর দাপিয়ে আইনজীবী হিসাবে কাজ করে গেছেন। ২০১৪ সালের পর শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আর আদালত মুখি নেই বললেই চলে। এই পরিবারের মূলত আয় আসত আইনী পেশা থেকে। সেটি প্রায় ৫ বছর বন্ধ থাকায় জমানো অর্থ চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়েছে। সেইসাথে সাংসারিক খরচ তো আছেই। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে একপ্রকার চরম আর্থিক দুর্দশায় রয়েছে বরুণ বাবুর পরিবার। তাই বার কাউন্সিল অন্ততঃ মেডিক্যাল খরচ বহন করুক, তা চাইছেন হাওড়া জেলা আদালত সহ কলকাতার বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীদের একাংশ। রাজ্য সরকার যদি এগিয়ে আসে এই আইনজীবী পরিবারের পাশে, তার থেকে ভালো কিছু হবেনা। তা মনে করছেন স্থানীয়রা।