আজ অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট রয়েছে। এই ধর্মঘট কে আবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সমর্থন করায় বামেরা কিছুটা উজ্জীবিত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে বনধ বিষয়ক মামলা উঠে। যেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে নির্দেশ দেয় - গোটা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবহন থেকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করণীয় তা পালনে তৎপরতা দেখাতে হবে'। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তার অধীনস্থ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। মাতৃত্বকালীন এবং জরুরিকালীন ছুটি কে এই নির্দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা আগে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে - কেউ গড়হাজিরা হলে তার বেতন কাটা যাবে। সেইসাথে শো কজ করা হতে পারে। রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর বুধবারের বামেদের বনধ প্রতিরোধে অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে বিভিন্ন সড়কপথে। পুলিশের তৎপরতাও থাকবে বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - ব্যাংক গুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। গ্রাহকেরা হয়রানির শিকার হতে পারেন। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন, বেসরকারিকরণ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে গোটা দেশ ব্যাপি বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি বুধবার বনধ ডেকেছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। মূলত জয়েন্ট এন্ট্রাসের পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। তাছাড়া রাজ্য যেন বনধের প্রতিরোধে কড়া অবস্থান নেয়। গত ৭ জানুয়ারি থেকে তিনদিনের জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বুধবার দিনও পড়ছে এই পরীক্ষা। তাই দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলাটি দাখিল হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য কে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়।