মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০২০

শিক্ষিকা কে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এর ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানি চেয়ে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী রক জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। সেখানে গঙ্গারামপুর এলাকার দুই মহিলা কে প্রকাশ্যে দড়ি বেঁধে মারধর করা ভিডিও কান্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। বিষয়টি শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত রিপোর্ট তলব করে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে। সেইসাথে এই রিপোর্ট তলব টি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যান কেও অবগত করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী এজলাসে সওয়ালে জানান - 'যেভাবে দিনের আলোয় দুই মহিলা হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে যাওয়া হচ্ছে। সেইসাথে লাঠিপেটা করা হয়েছে। তা মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা। এতে শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত। কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই নির্যাতিতা মহিলা '। উল্লেখ্য মারধরের ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিও হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা তৃনমূলের তরফে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সাহা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষে এই সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা কে 'আই ওয়াশ' বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই উপপ্রধান সহ চারজনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে আক্রান্ত মহিলাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ বিকাশ সড়ক যোজনার ২৪ ফুটের এক রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। নিজ জায়গার উপর রাস্তা করা যাবেনা - এই দাবি কে সামনে রেখে স্মৃতিকণা দাস নামে এক শিক্ষিকা প্রতিবাদ জানায়। ওই শিক্ষিকা স্থানীয় বিজেপি সমর্থক হওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বচসা আরও তীব্রতর হয়। অভিযোগ, উপপ্রধান অমল সাহার নেতৃত্বে কয়েকজন ওই শিক্ষিকা সহ তার ছোট বোন কে প্রথমে খুটিতে বেঁধে লাঠিপেটা, পরে  হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টানাহেঁচড়া করে মারধর চালানো হয়। পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে স্থানীয় কয়েকজন ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল করে দেয়। আর এতেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে শুনানির আবেদন করেন। তাতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুরো ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে গঙ্গারামপুর কান্ডে দ্রুত রিপোর্ট তলব করে থাকে।                                                                                                                                                                              

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER