শুক্রবার, এপ্রিল ১৭, ২০২০

করোনায় আইনজীবীদের জন্য রিলিফ ফান্ড একাউন্ট করলো হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ বজায় রেখে গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল হয়েছে। যা ৩০ এপ্রিল অবধি ধাপেধাপে সময়সীমা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে তাও মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মত। গত ১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের আইনজীবীরা একপ্রকার বেকারত্বের শিকার বলা যায়। গোটা রাজ্যে ৮২ হাজার মত নিয়মিত / অনিয়মিত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আইনী পেশার সাথে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার আইনজীবী। টানা ৩১ দিন আদালতমুখী হয়নি এই রাজ্যের আইনজীবীমহল। আর্থিক সমস্যায় আইনজীবীদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বারাসাতের এক আইনজীবী আইনজীবীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মামলাও করেছেন। ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানির  জন্য নির্ধারিত হলেও  আগামী ২৩ এপ্রিল এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩০ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্য আইনমন্ত্রী কে ইমেল মারফত চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য আবেদন রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল কেন্দ্রীয়  বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান কে   চিঠি লিখে আইনজীবীদের পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই চিঠিও প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য আইনমন্ত্রী কে। সেইসাথে রাজ্যের বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয়কে ও     অবগত করানো হয়েছে। আনসার বাবু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৭ টি বেসরকারি আইন কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আইনজীবীদের এহেন দুসময়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়ে অত্যন্ত তৎপরতায় এক রিলিফ ফান্ড গড়েছেন। ইতিমধ্যেই ৮০০ এর বেশি আইনজীবী বার এসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের কাছে ইমেল মারফত আর্থিক অনুদান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।হাইকোর্টের  বার এসোসিয়েশন সুত্রে প্রকাশ, এহেন আইনজীবীদের ২ হাজার টাকা করে মাসিক আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে  । ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ টাকা উঠে এসেছে আইনজীবীদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া দিয়েছেন ২ লাখ, ক্যালকাটা হাইকোর্ট কালচারাল সোসাইটির তরফে ২ লাখ, মিলন মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ লাখ অনুদান অন্যতম । বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন    - "আরও ১০ লাখ টাকার অনুদান দরকার। হাওড়ার এক বেসরকারি ব্যাংকে একটি জরুরি কালিন রিলিফ ফান্ড একাউন্ট খোলা হয়েছে"। অপরদিকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে অবস্থিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের অফিসে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির আইনজীবীদের আর্থিক ভাবে পাশে থাকবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।                                                                                                                                                                                          

    

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER