জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ যখন লকডাউন ভাঙতে ব্যস্ত তখন চরম সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিল পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের জ্যোতি গ্রামের বাসিন্দারা।
স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওপার বাংলা থেকে আসা একদল মানুষের হাত ধরে গ্রামে শুরু হয় চড়ক পুজো।মূল আকর্ষণ ছিল পিঠে বঁড়শি গেঁথে 'মানুষ' চড়ক। প্রথম দিকে টিমটিম করে হলেও পরে তার আকার বৃদ্ধি পায়। মেলা বসে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ চড়ক দেখতে আসে। সাত-আট হাজার লোকের ভিড় হয়। কিন্তু এবার করোনা জনিত কারণে কেবলমাত্র পুজোটুকু করে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পিণ্টু বিশ্বাস বললেন - আমাদের গ্রামের এটাই প্রধান পুজো। আত্মীয় স্বজনে গ্রাম গমগম করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য আমরা এবার পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই।কারণ চড়ক দেখতে যত মানুষ ভিড় করে তাতে 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রাখা অসম্ভব হতো।তিনি আরও বলেন - যেভাবে প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তাতে প্রত্যেকের উচিত প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
সমাজের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করা হয় এবং সবাইকে যথাযথভাবে লকডাউন মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়।