মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
প্রায় দেড় মাস সময়কালে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সৌজন্যে করোনার বীভৎসতা। এই মুহূর্তে বাংলার একাংশ মানুষজন ভিন রাজ্যে কর্মসুত্রে / পড়াশুনোয় / চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আটকে রয়েছে মাসের পর মাস। অর্থের অভাব, দুবেলা খাওয়ার দুশ্চিন্তার পাশাপাশি নিরাপদ আশ্রয় পাওয়াটা ওদের কাছে বড় স্বস্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগী পরিবারদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর। তবে এতশতের মাঝেও মুম্বাইয়ে আটকে রয়েছে ৬ টি বাঙালি পরিবার। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৩ টি পরিবার রয়েছে। মালদার ১ টি এবং উত্তর ২৪ পরগনার ২ টি পড়ছে তাতে। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকার কালাচাঁদ মুখার্জি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা মুখার্জি এবং মেয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি কে নিয়ে মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় গিয়েছিলেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বন্ধ হয়ে যায়। জমানো অর্থও ফুরিয়ে যায় কয়েক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি থাকা সমস্যা হয়ে যায়। মুম্বাইয়ের এক বাঙালি সংগঠন জুহু ভিলেজে থাকবার ব্যবস্থা করলেও দুবেলা আহারের আয়োজনে তারা সফল নয়। ঠিক।এইরকম পরিস্থিতিতে ক্যান্সার আক্রান্ত পরিবারের পক্ষে স্বস্তিকা মুখার্জি কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর দারস্থ হন। এই আইনজীবী অত্যন্ত তৎপরতায় গত ২৯ এপ্রিল বিশদ বিবরণ সহ এই রাজ্যের মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব কে ইমেল করেন। তবে কোন প্রশাসনিক উত্তর মেলেনি ইমেলের তরফে। অপরদিকে কলকাতা পুলিশ কে মোবাইল ম্যাসেজ পাঠানো হয়। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে মুম্বাইয়ে ক্যান্সার রোগীদের অসহয়তার তথ্য জানাবার জন্য 'ধন্যবাদ' ম্যাসেজ আসে ইন্দ্রজিৎ বাবুর মোবাইলে। কলকাতাহাইকোর্টের স্বনামখ্যাত আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরী জানান - " যেখানে রাজ্য সরকার লকডাউনে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া এবং রোগীপরিবার দের ফিরিয়ে আনছে, সেখানে মুম্বাইয়ে আটকে থাকা ৩ টি এই রাজ্যের বাঙালি পরিবার কে দ্রুত আনা হোক "।