মোল্লা জসিমউদ্দিন - টিপু,
গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে আগামী ৮ মে। ইতিমধ্যেই 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ঘোষণা অনুযায়ী আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলবে আগামী ১০ মে পর্যন্ত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতি যথা মাননীয় বিশ্বনাথ সম্মাদার, মাননীয় দীপঙ্কর দত্ত, মাননীয় সৌমেন সেন, মাননীয় সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয় মুমতাজ খানের কাছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের বৈঠকের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সারা রাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতি বাড়ানো বিষয় নিয়ে তুমুল হইহট্টগোলের জন্য বিচারপতিদের সাথে বৈঠকটি হয়নি বলে জানা গেছে। গত বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ছিলেন। সেখানে কোন সমাধান সুত্র বের না হওয়ায় আজ পুনরায় বৈঠক টি করার কথা ছিল। গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় ' বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ' ২ মে অবধি কর্মবিরতি ঘোষণা করে থাকে। আজ এই কর্মবিরতি বিষয়ে কলকাতার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠ তলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে বৈঠক চলে৷ বৈঠক ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শ পাঁচেক আইনজীবী কোট চত্বরে হাজির হন। তৃনমূল পন্থী আইনজীবীরা কর্মবিরতিতে ইতি টানার চেস্টা করলে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায় আলোচনার পরিবেশ। একপ্রকার বাধ্য হয়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি বেড়ে ১০ মে অবধি করার ঘোষণা করা হয়। হাওড়া বার এসোসিয়েশনের পক্ষে বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারের গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয়। গ্রেপ্তারের পক্ষে সুনিদিষ্ট এফআইআর করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কোন কোন আইনজীবী? জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতের ঘটনায় স্থানীয় পুরসভার কয়েকজন পুরকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে আইপিএসদের বিরুদ্ধে এখনও কোন এফআইআর প্রকাশ্যে আসেনি। আজ দুপুরে এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইহট্টগোল চলে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে। উল্লেখ্য গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবী বনাম পুলিশের মধ্যে ব্যাপক মারপিট চলে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ২ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি হয়। ঘটনার দিনেই কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া জেলা জজের কাছে রিপোর্ট তলব করে। যা পরের দিন জেলাজজ পাঠিয়ে দেন। এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পাঁচজন মহামান্য বিচারপতি হাওড়া জেলা আদালতে যান। বার এসোসিয়েশন সহ জেলাজজের কাছে ঘটনার পূর্নাঙ্গ বর্ণনা শুনেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের সাথে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের। কোন সমাধান সুত্র বের হয়নি। পুনরায় কর্মবিরতি বেড়ে করা হয় আগামী ১০ মে পর্যন্ত। এরেই মধ্যে ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনসার মন্ডল বলেন - "আগামীকাল আমরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটির পাঁচ বিচারপতির সাথে পুনরায় বৈঠক করছি "।