রবিবার, মে ১২, ২০১৯

নুসরাত এর সমর্থনে প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী

সৈয়দ রেজওয়ানুল  হাবিব ,

"আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আদর্শগত ভাবে নরেন্দ্র মোদী কে পছন্দ করিনা । কিন্তু রাজ্যের মানুষের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে 2014 সাল থেকে 2017 সাল পর্যন্ত বন্যার সময় আটবার গিয়েছি বাংলার মানুষের সাহায্যের জন্য । কিন্তু মোদী বাবু আমাকে একটা টাকাও সাহায্য করেনি। কয়েকদিন আগে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফণী ফনা তুলতে আসছিল এই বাংলায়। আমি তখন যেখান দিয়ে ফণী ঢোকার কথা সেখানে রাত জেগে বলেছিলাম মানুষ কে পাহারা দেওয়ার জন্য । ফণী তে মানুষের প্রাণ যাওয়ার আগে যেন আমার প্রাণ আগে যায়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ওই সময় নির্বাচনের মিটিং এ ব্যস্ত ।"---- শনিবার দুপুরে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী নুসরত জাহানের সমর্থনে হাড়োয়া সার্কাস ময়দানে জনসভা করতে এসে এই কথাই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকল মন্ত্রী সুজিৎ বসু,বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, বিধায়ক উষা মন্ডল, বিধায়ক রহিমা মন্ডল সহ অনেকেই । এদিন হাড়োয়ায় প্রচার সভা থেকে ফের মোদীকে কে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানের প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন বসিরহাটে দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল বিএসএফ।
বহিরাহতদের ঢুকিয়ে দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল সেখানে। বসিরহাটের মানু্ষ দাঙ্গা করেননি বলে দাবি তাঁর। বিএসএফ কেন্দ্রের কথা মতো কাজ করে। আর কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি সরকার। যাঁদের কাজই দাঙ্গা লাগানো বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত পাঁচ বছরে কোনও কাজের হিসেব প্রধানমন্ত্রী দেননি। এই পাচ বছরে সবচেয়ে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নাম বদল নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আটকে রেখেছে। ফণী নিয়ে মোদী যে দাবি করেছেন তা একেবারেই মিথ্যে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। কলাইকুণ্ডায় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে বৈঠক মোদী ডেকেছিলেন তাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডাকা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়নি। আর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ফোন তোলেননি। একের পর এক মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে মোদী বাবু।

৭ নং রাজ্য সড়কের মধ্যে থাকা মঙ্গলকোটে বাস ডিপোর দাবি

 

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

কাটোয়া পুরসভার ভাড়া দেওয়া জমিতেই গড়ে উঠতে চলেছে  এসএসবিএসটিসি এর বাসডিপো। গত শুক্রবার কাটোয়ার যাজিগ্রামে পুরসভার জমি পরিদর্শন করেন স্বাগত স্যান্যালের নেতৃত্বে দুই ইঞ্জিনিয়ার সহ চারসদস্যের এসবিএসটিসি এর এক প্রতিনিধি দল। প্রস্তাবিত জমি ঘুরে দেখে কিভাবে ডিপো গড়ে উঠবে তা নিয়েও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন আধিকারিকরা। জমি দেখে সন্তষ্ট হন এসবিএসটিসি এর আধিকারিকরা। এসবিএসটিসি এর এক আধিকারিক স্বাগত স্যান্যাল জানান - " আমরা জমি দেখলাম। এরপর কিভাবে ডিপো তৈরির কাজ শুরু হবে তা নিয়ে পরবর্তীকালে আমরা বৈঠক করে কাজ শুরু করতে চাই।" এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে ডিপো তৈরির জন্য অনেকদিন আগে থেকেই চিন্তাভাবন শুরু করে নিগম। তারপরে ঠিক হয় কাটোয়া শহর থেকে প্রায় আড়াই  কিমি দুরে কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশেই পুরসভার যে জমি আছে সেখানেই ডিপো তৈরি হবে। এরপরেই বাস নিগম থেকে স্থানীয় পুরসভাকে জানানো হয়। পুরসভা ঠিক করে ৩ একর জমি ভাড়ার বিনিময়ে এসবিএসটিসি কে ডিপো তৈরির জন্য দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধায় জানিয়েছেন -   আমরা ভাড়া হিসাবে এসবিএসটিসিকে ওই জমি দেব ডিপো তৈরির জন্য। ডিপো হলে কাটোয়ার বাসিন্দাদের সুবিধাই হবে। জানা গেছে,  এই মুহুর্তে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে এসবিএসটিসির মোট ৫টি গাড়ি যাতায়াত করে  থাকে।মুর্শিদাবাদের সালার থেকে সৈকত শহর  দীঘা ভায়া কাটোয়া, চাকটা থেকে কোলকাতা ভায়া কাটোয়া, হাড়োয়া থেকে তারাপীঠ ভায়া কাটোয়া, রাজনগর থেকে বর্ধমান ভায়া কাটোয়া এবং কাটোয়া থেকে দুর্গাপুর ভায়া বোলপুর। এই পাঁচটি গাড়িই সারাদিন ধরে কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে যাতায়াত করে প্রত্যেহ। তবে কাটোয়াতে ডিপো তৈরি হলে আরও গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান বাস নিগম কর্তারা।তবে কাটোয়ায় প্রস্তাবিত  বাস ডিপো ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সবথেকে ব্যস্ততম সড়করুট হিসাবে পরিচিত ৭ নং রাজ্য সড়ক। যেটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের শর্টকাট রুট হিসাবে পরিচিত। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের কয়েকশো গাড়ি এই রুট ধরে যাতায়াত করে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই সড়কপথ। রাজ্যসরকারের শতাধিক ননএসি /এসি স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে। সেখানে বর্ধমান শহরে এবং বহরমপুর ছাড়া বাস ডিপো নেই বললেই চলে। যদিও অন্য সড়কপথে দুর্গাপুর - সিউড়িতে অবশ্য রয়েছে ডিপো। সেক্ষেত্রে কাটোয়া শহরের প্রস্তাবিত এই বাস ডিপো থেকে ফুটিসাঁকো প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থান করবে এই প্রস্তাবিত ডিপো টি।  যেখানে ৭ নং রাজ্য সড়করুটে শয়ে শয়ে স্টেটবাস চলছে, সেখানে মাত্র ৫ টি স্টেটবাসের জন্য কাটোয়ায় ডিপো! তা নিয়ে ক্ষোভ সরকারি বাসের বেশিরভাগ কর্মীদের। বর্ধমান থেকে বহরমপুর প্রায় ১৪০ কিমি সড়কপথে কোন বাস ডিপো নেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে ব্যস্ততম রুটে। তাই অনেকেই কাটোয়ার মত কম গুরত্বপূর্ণ সড়করুটে ( স্টেটবাসের ক্ষেত্রে)  বাস ডিপো নিয়ে নানান প্রশ্নচিহ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছেন অবশ্য।                                                            

শনিবার, মে ১১, ২০১৯

প্রকাশিত নিউজ ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে





মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে দুদফায় টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের  কর্মবিরতি চলেছে রাজ্যের সব আদালত গুলিতে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর অফিসে কর্মবিরতি বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ বৈঠক হল। সেখানে সারা রাজ্যের আদালত গুলিতে   আইনজীবীদের কর্মবিরতি আগামী ১৪ মে অবধি চালু থাকার ঘোষণা করা হয়। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডের স্বতঃস্ফূর্ত মামলায়   'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর পক্ষে আনসার মন্ডল, উত্তম মজুমদার, মিহির বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিনাকী গাঙুলি মামলায় সওয়াল করার কথা জানানো হয়।আইনজীবীদের একপক্ষ চাইছেন যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি  রাধাকৃষ্ণণ সিরিয়াসলি স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, সেখানে কর্মবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর কোন দরকার ছিলিনা , পক্ষান্তরে বিচারপতিদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা নেওয়ার সামিল হয়ে যায় বিষয়টি । উল্টোদিকে আইনজীবীদের অন্যপক্ষ বিশেষত হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশন মনে করছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ না করা অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকুক।যেভাবে সেদিন (২৪ এপ্রিল)  সকাল দশটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত টানা নয় ঘন্টা হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট আইনজীবীদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়েছে, সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?  ইতিমধ্যেই গত ৮ মে অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চে সেদিনের নিগৃহীত আইনজীবী তনুশ্রী দাসের তরফে কর্মস্থলে মহিলাদের সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এটিকে 'বিশেষ মামলা' হিসাবে হাইকোর্টে গ্রহণ করা হয়েছে, তবে অন্য কোন  মামলায়  মামলাকারীরা এটি কে 'রেফারেন্স' হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবেনা বলে উল্লেখ করা  হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশিকায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি বিষয়ে দুভাগ আইনজীবীমহল। তার রেশ পড়েছে  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর আজকের বৈঠকে। প্রথম পর্যায়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২ মে কর্মবিরতি ঘোষণা শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও, গত ২ মে কর্মবিরতি বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আইনজীবীদের একাংশের  দাবি, রাত সাতটা পর্যন্ত সেদিন বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের অফিস ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েকশো ক্ষুব্ধ  আইনজীবী। পরে অবশ্য ১০ ই মে অবধি রাজ্যজুড়ে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলার ঘোষণা করা হয়। এরেই মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এর এজলাসে বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'নজরবন্দী' নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। যা নিয়ে প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে যায়  বার কাউন্সিল।  উক্ত সংগঠনের এর তরফে শোকজ করা হয় ওই আইনজীবী কে। কেন তিনি ঘোষিত কর্মবিরতির মাঝেই মামলা লড়তে গেলেন, সেই বিষয়ে। এই বিষয়টি নিয়েও আইনজীবীদের বড় অংশ অবশ্য ক্ষুব্ধ। টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছে। সেখানে পেশাগত দিকদিয়ে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত আইনজীবীদের বড় অংশ। বিশেষত মহকুমা ও জেলাস্তরের আইনজীবীদের উপর আর্থিক মন্দার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বলে আইনজীবীরা জানাচ্ছেন। সেইসাথে আইনজীবিদের ল ক্লাক (মুহুরি) , স্ট্যাম্প পেপার বিক্রেতা, টাইপিস্ট, আদালত চত্বরে জেরক্স / ডিটিপি দোকানদাররাও এই টানা কর্মবিরতির ফলে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত সিভিল ( দেওয়ানি)  আদালতে গরমের ছুটি পড়বে। তাই সেসময় পেশাগত আয়ের কোন সুযোগ পাবেন না বেশিরভাগ আদালতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা।  আগামী ১৩ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কোন নির্দেশ দিতে পারে হাওড়া কান্ডের পরিপেক্ষিতে। সেক্ষেত্রে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ১৪ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল রাখার ঘোষণা করলো আজকের বৈঠকে । উল্লেখ্য গত ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়ার ঘটনা  নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে মামলায় যুক্ত করে এবং ১৩ মে এর মধ্যে হলফনামা মারফত বক্তব্য পেশের নির্দেশিকা জারী হয়েছে। এছাড়াও  ১০ মে এর মধ্যে হাওড়া বার এসোসিয়েশন কেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি। হাওড়া বার এসোসিয়েশন এর পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কোন নিদিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে জমজমাট হয়ে উঠেছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী দের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি । কেউ কেউ বলছেন, ২০০২ সালে কোর্টে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে রাজ্যজুড়ে টানা ২২ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছিল। সেই কর্মবিরতির রেকর্ড ভাঙতে দরকার আরও ৬ দিন। ২২ দিনের রেকর্ড ভাঙতে হাওড়া কান্ড আর কতদূর পথ এগিয়ে যায়, তার দিকে নজর রাখছেন অনেকেই।  গত ২৪ শে এপ্রিল থেকে ১৪ মে অর্থাৎ টানা কুড়িদিন সারা রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। কেউ কেউ বলছেন এটা ২৩ শে মে অর্থাৎ লোকসভার ফলাফল ঘোষণার দিন অবধিও  চলতে  পারে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির   ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়া কান্ডে মামলায় সওয়াল জবাব পর্বে দৈনিক স্টেটসম্যান কাগজে প্রকাশিত ' হাওড়া কান্ড কি পরিকল্পিত কোন ষড়যন্ত্র? শীর্ষক সংবাদটি আলোচিত হয় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে।আইনজীবীদের কেউ কেউ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবি তুলেন। আগামী ১৩ মে পুনরায় শুনানির দিনে প্রকাশিত নিউজ ঘিরে তর্ক বিতর্কের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                            

শুক্রবার, মে ১০, ২০১৯

আইনজীবীদের কর্মবিরতি কি চলবে? উত্তর মিলবে আজই


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

গত ২৪ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে দুদফায় টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের  কর্মবিরতি চলছে রাজ্যের সব আদালত গুলিতে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিটি সিভিল কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর অফিসে কর্মবিরতি বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। আইনজীবীদের একপক্ষ চাইছেন যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি  রাধাকৃষ্ণণ সিরিয়াসলি স্বতঃস্ফূর্ত মামলায় বিষয়টি দেখছেন সেখানে কর্মবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর কোন দরকার নেই, পক্ষান্তরে বিচারপতিদের প্রতি একপ্রকার অনাস্থা নেওয়ার সামিল হয়ে যাবে। উল্টোদিকে আইনজীবীদের অন্যপক্ষ বিশেষত হাওড়া জেলা আদালতে বার এসোসিয়েশন মনে করছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ না করা অবধি কর্মবিরতি বহাল থাকুক।যেভাবে সেদিন (২৪ এপ্রিল)  সকাল দশটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট আইনজীবীদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়েছে, সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?  ইতিমধ্যেই গত ৮ মে অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চে সেদিনের নিগৃহীত আইনজীবী তনুশ্রী দাসের তরফে কর্মস্থলে মহিলাদের সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা রাস্ট্রের কর্তব্য বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এটিকে 'বিশেষ মামলা' হিসাবে হাইকোর্টে গ্রহণ হয়েছে, তবে অন্য কোন মামলাকারী এটি কে রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত করতে পারবেনা বলে উল্লেখ হয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি বিষয়ে দুভাগ আইনজীবীমহল। তার রেশ পড়তে চলেছে আজকের বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর বৈঠকে। প্রথম পর্যায়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২ মে কর্মবিরতি ঘোষণা শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও, গত ২ মে কর্মবিরতি বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দাবি, রাত সাতটা পর্যন্ত সেদিন বার কাউন্সিল এর প্রতিনিধিদের অফিস ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েকশো আইনজীবী। পরে অবশ্য ১০ ই মে অবধি রাজ্যজুড়ে আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলার ঘোষণা করা হয়। এরেই মধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সদস্য তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এর এজলাসে বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের 'নজরবন্দী' নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। যা নিয়ে প্রবল চাপের মধ্যে বার কাউন্সিল এর তরফে শোকজ করা হয় ওই আইনজীবী কে। কেন তিনি কর্মবিরতির মাঝেই মামলা লড়তে গেলেন, সেই বিষয়ে। এই বিষয়টি নিয়েও আইনজীবীদের বড় অংশ ক্ষুব্ধ। টানা ১৬ দিন আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। সেখানে পেশাগত দিকদিয়ে বিপর্যস্ত আইনজীবীদের বড় অংশ। বিশেষত মহকুমা ও জেলাস্তরের আইনজীবীদের উপর আর্থিক মন্দার প্রভাব সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বলে আইনজীবীরা জানাচ্ছেন। সেইসাথে আইনজীবিদের ল ক্লাক (মুহুরি) , স্ট্যাম্প পেপার বিক্রেতা, টাইপিস্ট, আদালত চত্বরে জেরক্স / ডিটিপি দোকানদাররাও এই টানা কর্মবিরতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত সিভিল ( দেওয়ানি)  আদালতে বর্ষার ছুটি পড়বে। তাই সেসময় পেশাগত আয়ের কোন সুযোগ পাবেন না বেশিরভাগ আদালতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাই ১০ মে অর্থাৎ আজকের বৈঠকে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কি ঘোষণা করে আইনজীবিদের কর্মবিরতি নিয়ে?  তার দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যবাসী। তবে আগামী ১৩ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কোন নির্দেশ দিতে পারে হাওড়া কান্ডের পরিপেক্ষিতে। সেক্ষেত্রে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ১৪ মে অবধি কর্মবিরতি বহাল রাখার ঘোষণাও করতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে। উল্লেখ্য গত ৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়ার ঘটনা  নিয়ে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল কে মামলায় যুক্ত করে এবং ১৩ মে এর মধ্যে হলফনামা মারফত বক্তব্য পেশের নির্দেশিকা জারী হয়েছে। এছাড়াও  ১০ মে এর মধ্যে হাওড়া বার এসোসিয়েশন কেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি। হাওড়া বার এসোসিয়েশন এর পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও রাজ্যের পক্ষে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কোন নিদিষ্ট আবেদন পেশ হয়নি বলে সওয়াল করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে জমজমাট হয়ে উঠেছে হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী দের উপর পুলিশি সন্ত্রাসের ঘটনা টি । কেউ কেউ বলছেন, ২০০২ সালে কোর্টে স্ট্যাম্প ফি নিয়ে রাজ্যজুড়ে টানা ২২ দিনের আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছিল। সেই কর্মবিরতির রেকর্ড ভাঙতে দরকার আরও ৬ দিন। ২২ দিনের রেকর্ড ভাঙতে হাওড়া কান্ড আর কতদূর পথ এগিয়ে যায়, তার দিকে নজর রাখছেন অনেকেই।                                                                                                                                                                                                                                                                                                     

বৃহস্পতিবার, মে ০৯, ২০১৯

হাওড়া কান্ডের অন্তরালে কারা?


মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন হাওড়া আদালতের ঘটনায় সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।টানা চৌদ্দ দিন সারা রাজ্যে সমস্ত আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে। এই কর্মবিরতির  সময়সীমা  আরও বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আজ অর্থাৎ  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার ( হাওড়া কান্ড) শুনানি হয়। তাতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে তেরো মে। উল্লেখ্য  'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' এর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী দশ মে অবধি চলবে উকিলবাবুদের কর্মবিরতি। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যেহেতু তেরো মে পরবর্তী শুনানি রয়েছে, তাই কর্মবিরতি টা  আবার বাড়বে। সুতরাং চৌদ্দ  মে এর আগে রাজ্যে আদালতগুলি সচল হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে ধরে নেওয়া যায় গত চব্বিশ  এপ্রিল থেকে চৌদ্দ মে অবধি আইনজীবীদের কর্মবিরতি চালু থাকবে। এই কুড়ি দিনের মধ্যে চলতি লোকসভার চতুর্থ দফা এবং পঞ্চম দফা নির্বাচন ঘটেছে এবং আগামী বারো মে আবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ সুত্রে প্রকাশ, এই কর্মবিরতি পর্ব শেষ দফা অর্থাৎ আগামী উনিশে মে অবধিও চলতে পারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে হাওড়া কান্ডের আগে তিন দফা ভোটপর্ব মিটেছে এবং বাকি চার দফা ভোট হাওড়া কান্ডের পর। ইতিমধ্যেই বাকি চার দফার মধ্যে দু দফা হয়েছে এবং আগামীতে আরও দুদফা ভোট হবে। শেষ দফায় কলকাতা সহ শহরতলী কেন্দ্র গুলির ভোট রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গত চব্বিশ এপ্রিল হাওড়া জেলা আদালতে গাড়ী রাখা নিয়ে আইনজীবীদের উপর পুলিশি সন্ত্রাস কি সুপরিকল্পিত কোন ষড়যন্ত্র?  কেননা সেদিন পুলিশ এতটাই বেপরোয়াভাবে আইনজীবীদের মারধর চালিয়েছে শুধু আদালত চত্বরে নয় এমনকি বিভিন্ন বিচারকের এজলাসে ঢুকে পুলিশের অতি সক্রিয়তা চোখে পড়েছে। এই ঘটনায় কুড়ির বেশি আইনজীবী আহত হন। অনেকেই সরকারি হাসপাতাল / নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এখন প্রশ্ন সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র টা কি? মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন তে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী সদ্য নির্বাচিত বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের ডেকে নেন জরুরি বৈঠকে।সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল পন্থী আইনজীবিদের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় হবার বার্তাও দেন। সেইসাথে বৈঠকে উপস্থিত এক আইনজীবির সুপারিশে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত আইনজীবীদের দলের কোর কমিটিতে যুক্ত করার নির্দেশ সুব্রত বকসী কে দেন তৃণমূল নেত্রী  ।এহেন বৈঠকে উৎফুল্ল হন তৃণমূল প্রন্থী আইনজীবীরা। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এক প্রাক্তন বিচারক হাওড়া কান্ড নিয়ে মন্তব্য করেন - " লোকসভায় প্রচারের সুবিধা দিতেই হাওড়া কান্ড ঘটানো হয়েছে "। গত চব্বিশ এপ্রিলের পরেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে হাওড়া জেলা জজের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। সেই রিপোর্ট অবশ্য একদিনের মধ্যেই দিয়ে দেন হাওড়া জেলাজজ। হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতি হাওড়া আদালতে যান পুরো ঘটনা জানতে। সেইসাথে দফায় দফায় হাইকোর্টে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর প্রতিনিধিদের সাথে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া কান্ডে মামলা রুজু করে। এরেই মাঝে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে সারা রাজ্যের বিভিন্ন আদালতের একাংশ আইনজীবী সিটি সিভিল কোর্টের গেট থেকে লালবাজার হয়ে রাজভবনের গেট অবধি প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটে।আইনজীবীদের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। রাজ্যপাল অবশ্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে বিষয় টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।  দেখা যাচ্ছে, হাওড়া কান্ডে চৌদ্দ দিন কেটে গেলেও সেভাবে কোন সমাধানের সুত্র বের হয়নি। নিশ্চুপ রাজ্য প্রশাসনও। কেউ কোন উচ্চবাচ্য করেনি। কর্মবিরতির মাঝে অবশ্য বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ',নজরবন্দি' র বিরুদ্ধে    মামলা লড়তে গিয়ে আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টপাধ্যায় আইনজীবীমহলে তুমুল সমলোচিত হন। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে যে, 'হাওড়া কান্ড এর মাধ্যমে  কর্মবিরতির অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও হতে পারে'। একদিকে যেমন শাসক দলের হয়ে প্রচার প্রসারের ব্যাপক সুযোগ মিললো অপরদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়ারেন্ট তালিকা গুলি ডিসপোজাল করার নির্দেশিকা দুর্বল হল। প্রকান্তরে দাগী অপরাধীরা আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতির দোহাই দিয়ে ভোটের দিন ভাল 'অফার' পাচ্ছে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার আসনগুলিতে বেশিরভাগ বুথই উত্তেজনাময়। বিশেষত কলকাতা মহানগরের লোকসভা আসনগুলিতে মস্তানদের দৌরাত্ম প্রতিবারেই দেখা যায় । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখা গেছে, হাওড়া জেলা আদালতে এসিজেম এজলাসে ২০০ সিআরপিসি ধারায় সেদিনকার ঘটনায় অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে।তবে হাওড়া আদালতে এই মামলা কিংবা কলকাতা হাইকোর্টের স্বতঃস্ফূর্ত মামলার শুনানিপর্ব গুলি সময়সাপেক্ষ অর্থাৎ লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের ইংগিত মিলবে। কিন্তু যারা হাওড়া কান্ডে পুলিশের অতি সক্রিয়তার পেছনে ভূমিকা নিল এবং কর্মবিরতি প্রক্রিয়া কে দীর্ঘায়িত করতে ইন্ধন দিল,  তারা কি অন্তরালেই থাকবেন এই প্রশ্ন উঠতে  শুরু করেছে আইনজীবীদের একাংশ মহলে।                                                                                                                                                                                                                                                                                   

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER