রবিবার, জুলাই ২৮, ২০১৯

মঙ্গলকোটে বিপুল সম্পত্তির মালিক কারা?

আর্থিক কেলেংকারীর খবর নুতন নয় মঙ্গলকোটবাসীদের কাছে। বামজামানায় সিপিএমের কুখ্যাত নেতা ডাবলু আনসারীর বিপুল আর্থিক উথান ঘটেছিল। অনুরুপভাবে তৃনমূল আমলেও 'দ্বিতীয় ডাবলু আনসারী' খ্যাত নেতা সহ পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা, প্রধান /উপপ্রধানদের অলৌকিক আর্থিক বিকাশ ঘটেছে ।       মঙ্গলকোটে কাটমানি খেয়ে কোটিপতি নেতাদের সম্পকে জানার আগে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পেক্ষাপট জানা জরুরি। কেননা রাজনৈতিক পেক্ষাপটের সাথেই লুকিয়ে রয়েছে কাটমানি খাওয়ার নিত্য অভ্যাসগত আয়। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে মঙ্গলকোটে নিরঙ্কুস প্রভাব শাসক দল তৃনমূলের, বলা ভালো, অনুব্রত মন্ডল অনুগামীদের। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পর ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে হাতেগনা কয়েকজন জনপ্রতিনিধি পাশ করে থাকে। তাও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলাপরিষদ নয়। যারা জিতেছিলেন বিরোধী হিসাবে, তারাও রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে দলবদল করেন। ২০১৪ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড পায় ২৪ হাজারের মত। ২০১৬ সালে তৃনমূল প্রার্থী জিতেন ১২ হাজার ভোটে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য হয় গোটা ব্লক এলাকা তথা সংশ্লিস্ট মহকুমা।২০১৯ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড পায় ২৯ হাজার মত। তাহলে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সাল থেকে এখনও অবধি অর্থ্যাৎ ৮ বছর ক্ষমতায় রয়েছে শাসক শিবির। মূলত অনুব্রত মন্ডল অনুগামী হিসাবে পরিচিতরাই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদ,লোকসভা সর্বপরি সাংগঠনিক নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন। মাঝখানে ২০১৬ সালে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এখান থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে  এক বছর অনুব্রত মন্ডলের বিরোধিতায় ছিলেন৷ শত চেস্টা করেও গত পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন ফর্ম তুলতে পারেননি অনুগামীদের জন্য। ২০১৪ সালে লোকসভার সেসময়কার সাংসদ অনুপম হাজরাও সিদ্দিকুল্লাহের মত লড়াই করতে গেলে বেলাইন হয়ে যান। বর্তমানে অসিত মাল এই কেন্দ্রের সাংসদ৷ যিনি অনুব্রত মন্ডলের অত্যন্ত আস্থাভাজন। 

সাম্প্রতিক সময়ে কাটমানি ইস্যু নিয়ে বিজেপি সেভাবে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে পারেনি মঙ্গলকোটে। তবে তৃনমূলের বিক্ষুব্দরা বিজেপির পতাকা ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন নেতাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে বলে খবর। যেখানে এক ব্লকস্তরের দাপুটে নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী তার উপপ্রধান স্ত্রী কে নিয়ে গ্রামছাড়া হয়েছেন। অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি খোকন সেখ লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন৷ কৈচর ২ নং পঞ্চায়েত উপ প্রধানের বাড়ী ভাঙচুর হয়েছে। ঝিলু ২ নং অঞ্চলে এক গ্রাম কমিটির নেতার বাড়ীতে বোমা পড়েছে। পুলিশও এইসব ঘটনায় অতি সক্রিয়তা দেখাতে গিয়ে উলটে 'জনরোষ' বাড়িয়েছে শাসক দলের তাবিদারী করার জন্য৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সুত্র মারফত প্রকাশ পেয়েছে বেশ কিছু ব্লক নেতার অলৌকিক ভাবে সম্পত্তি বাড়িয়ে নেওয়ার তথ্য। অনেকেই বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ৷ এমনকি অজয় নদের বালি, ব্লক /পঞ্চায়েতে টেন্ডারে কাটমানি, থানায় ফৌজদারী মামলায় দালালি করে লাখপতি এমনকি কোটিপতি হয়েছেন। বিশেষ সুত্রে দাবি, এইবিধ নেতারা আবার মঙ্গলকোটের লটারির প্রাইজ বিজেতাদের টিকিট অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনে নেন। এলাকায় ম্যাসলম্যান খ্যাত নেতাদের কথা না শুনলে আবার মঙ্গলকোট থানার এক নামজাদা বাবু কে দিয়ে থানায় চমকানি দেন। উল্লেখ্য প্রতিদিন মঙ্গলকোটে কয়েক লক্ষ টাকার লটারির টিকিট লেনদেন হয়। সেইসাথে সাপ্তাহিক প্রাইজ হিসাবে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার প্রাইজ পড়ে মঙ্গলকোটে ৷ এইসব টিকিট নিয়ে মঙ্গলকোটের নেতারা তাদের ব্লাকমানি কে হোয়াইট মানি করে নেয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এক জমি দালালের মাধ্যমে  কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনে রেখেছেন শাসকদলের বেশকিছু নেতা। মঙ্গলকোটের বক্সিনগর, পদিমপুর বাইপাস, নুতনহাট, বড়বাজার প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার ধারে ও মাঠে জমি জায়গা কেনা হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।  বীরভূম লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায়, সিউড়ি সংলগ্ন পাথরচাপড়ী এমনকি কলকাতার নিউটাউন - রাজারহাটে ফ্লাট/ জায়গা কেনা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল অবধি মঙ্গলকোটের নুতনহাট সাব রেজেস্ট্রি অফিস, বর্ধমান সদর রেজেস্ট্রি অফিস, সিউড়ি সদর রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে সার্চিং করলে এর প্রমাণ মিলবে বলে জানা গেছে৷ সেইসাথে এইসব এলাকায় সরকারী /বেসরকারী ব্যাংকগুলিতে বিগত কয়েক বছরের আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিলে বিপুল বে আইনি অর্থ যোগানের সুত্র মিলতেে পারে। ওই জমি দালালের হাত ধরে সদর মঙ্গলকোট সহ অন্যান্য এলাকার শাসকদলের নেতারা বিপুল সম্পত্তি বেনামে কিনে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এইবিধ নেতারা আবার ঝা ঝকঝকে চারচাকা গাড়ী ব্যবহার করেন। স্থানীয় থানার পুলিশ আবার মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলেে অভিিযো গ। কেননা ওই মামলাগুলিতে এফআইআর থেকে চার্জশিটে পুলিশের অতি সক্রিয়তা সামনে এসেছে। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 
অপরদিকে রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জীর অভিযোগ - "মঙ্গলকোটে যারা প্রধান /উপপ্রধান পদে রয়েছে তাদের আগে বাড়ী গাড়ী বিষয় সম্পত্তি কি ছিল?  আর এখন কি হয়েছে তা খোঁজখবর নিলেই বোঝা যাবে এরা কত কামিয়েছে দল কে সামনে রেখে"। জানা গেছে, মাছের আরত চালানো, সাইকেল করে রুটি বিক্রি করা ফেরিওয়ালা, বাড়ীতে রাখালগিরি করা,  মাঠে মুনিশ খাটা ব্যক্তিরা আজ  মঙ্গলকোটের কোটিপতি নেতা। মঙ্গলকোটে ওসি পদে একদা থাকা এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন - "টানা আট বছর মঙ্গলকোটে যে কয়েকজন ব্লক কমিটি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সম্পত্তি গুলির সুত্র দিতে পারে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে থাকা ওই জমির দালাল। যার নামে / বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ব্যাংক সহ রেজেস্ট্রি অফিস এমনকি ভূমি সংস্কার দপ্তরে সুনিদিস্ট তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে"।এখন দেখার মঙ্গলকোটের কাটমানি খেয়ে কোটিপতি নেতাদের বিরুদ্ধে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা পুলিশ প্রশাসন আদৌও কোন ব্যবস্থা নেয় কিনা?           

শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০১৯

কাপড়ের সেলাইয়ের দোকানের আড়ালে অস্ত্র কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং:- কাপড় সেলাইয়ের কারখানার আড়ালে গোপনে চলত অস্ত্র তৈরি।অভিযান চালিয়ে সেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ ।এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের আমতলা গ্রামে।এই ঘটনায় পুলিশ সিদ্দিক লস্কর ওরফে খোঁড়া সিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিন রাতে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ধৃতের বাড়িতে অস্ত তৈরি কারখানা আছে। সেইমতো বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীরতন বিশ্বাস ও ক্যানিং থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
     পুলিশ জানিয়েছে ওই অস্ত্র কারখানা থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক,দুটি ৬ চেম্বার পাইপ গান,১২ টি একনলা পাইপ গান,২০ টি গুলি,৪ টি বন্দুকের নল এবং অস্ত্র তৈরির ড্রিল মেশিন,লোহার রড,বন্দুক তৈরির যন্ত্রাংশ, স্প্রিং সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
       এ বিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খাঁন বলেন,বছর তিনেক আগে সিদ্দিককে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল।পরে সে ছাড়া পায়।বাড়ি ফিরে সে আবার নতুন করে অস্ত্র তৈরি কারখানা খুলে বসে।তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোথায় কোথায় সে এই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতো।
      প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ক্যানিং,কুলতলী, জয়নগর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সে অস্ত্র সরবরাহ করত।ধৃত ওই ব্যক্তি ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় অস্ত্র বিক্রি করতো।হাওড়া থেকে কিনে আনত অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম।

সোমবার, জুলাই ১৫, ২০১৯

৩য় মৃত্যুবাষিকী আজ প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার

মোল্লা শাহজাহান  - নিপু,


 আজ অর্থাৎ সোমবার  প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল)  পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বসবাস করতেন। কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী  তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ  করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর  স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের  কোগ্রামে  পল্লিকবি  কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা)  দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে ।  এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ  নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক। 

পারিবারিক সুত্রে প্রকাশ, আজ অর্থাৎ সোমবার সারাদিন ধরে প্রয়াত বিচারকের বসতবাড়ি মঙ্গলকোটের পদিমপুরে দোওয়ার মজলিস রয়েছে। আশেপাশে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীরা থাকবেন।                  

রবিবার, জুলাই ১৪, ২০১৯

আগামীকাল প্রয়াত বিচারক/সাংবাদিক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী

মোল্লা  শাহজাহান - নিপু,

আগামীকাল প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।

অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল)  পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন।
কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী  তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ  করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর  স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের  কোগ্রামে  পল্লিকবি  কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা)  দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে ।  এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ  নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক ।

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০১৯

দলীয় মীরজাফর দের শায়েস্তা করতেই কি কাটমানি দাওয়াই মমতার



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

কাটমানির রেশ অব্যাহত বাংলার বুকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। সর্বত্রই উত্তাল বাংলা। এরেই মধ্যে গত সপ্তাহে তৃনমূলের বিশেষ বৈঠকে দলনেত্রীর ঘোষণা - 'কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা'। আবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী কাটমানি প্রসঙ্গে বলেছেন - 'তথ্য প্রমাণ  দিয়ে পুলিশ প্রশাসন কে অভিযোগ করুন '। কাটমানি অর্থাৎ দলের নামে তোলাবাজি টি হয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পে, তাই স্বচ্ছতা আনতে এই দাওয়াই । মূলত ঘর, শৌচাগার, বিভিন্ন ঋণপ্রদানে  সরকারি ভতুর্কি দেওয়া প্রকল্প গুলিতে কাটমানি আমদানির ঘটনা গুলি বেশি ঘটেছে। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন কাটমানি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা কিংবা পঞ্চায়েত মন্ত্রী যখন তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কাটমানির অভিযোগ নয় বলে জানাচ্ছেন তখন বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কাটমানি কান্ডে ইতি টানতে চাইছে শাসকদল?  কেননা সরকারি প্রকল্পগুলির বেশিরভাগ উপভোক্তা হচ্ছে গরীব মানুষ। তাদের কে যখন পঞ্চায়েত স্তরে ইন্দিরা আবাস / গীতাঞ্জলি প্রকল্প / প্রধানমন্ত্রী আবাস / বাংলা আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়েছে। তখন দলীয় ঘুষ অর্থাৎ কাটমানিতে তো কোন লিখিত বায়নামা হয়নি?  যে এই প্রকল্পটি পেতে এত টাকা লাগবে, তার অগ্রিম এত দেওয়া হলো কিংবা বাকিটা অমুক সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে?  যা হয়েছে তার সবটাই মৌখিক পরম্পরায়। ঘরের ১ লক্ষ ২০ হাজার পেতে গেলে ৩০ হাজার লাগবে এটিই গ্রামবাংলার সহজ অংক এই প্রকল্প পেতে । চারটি কিস্তিতে উপভোক্তারা এই সরকারি অনুদান টি পান। তাই কাটমানির কমিশন ঠিকঠাক না পেলে ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা মুখ্যত পূর্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ তা আটকে দেন বলে অভিযোগ । তাই বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কাটমানি নিয়ে গরীব মানুষদের 'জনরোষ' ক্রমশ উদ্ধমূখী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা অভিযোগ আনা যাবেনা কিংবা পঞ্চায়েত মন্ত্রীর তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ গ্রাহ্য নয়, বার্তা গুলি কাটমানি নিয়ে তৃনমূলের  ইতি টানার একপর্যায়ের  প্রয়াস বলা যায়। 

এখন প্রশ্ন গত লোকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত  পরাজয়ের কারণ খুজতে এবং আগামী  বিধানসভার ভোটে হারানো সাফল্য আনতে তৃনমূল নেত্রী যে 'ভোটগুরু' পি.কে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের দারস্থ হয়েছেন। সেখানে পি.কে এর প্রেসক্রিপশনে যেসব 'দাওয়াই' রয়েছে তার মধ্যে কাটমানি অন্যতম। দিন পনেরো - কুড়িতে সারা রাজ্যজুড়ে কাটমানি ইস্যুতে বুথস্তরের কয়েকজন চুনোপুঁটি ছাড়া রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি শাসকদল। যেখানে কাটমানি আদায়ে বুথ কমিটির নেতাদের ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ হলেও কাটমানির সিংহভাগ অর্থ ব্লক কমিটি থেকে জেলা কমিটি ভায়া হয়ে রাজ্য নেতাদের একাংশের পকেটে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। এখন শয়ে শয়ে বুথ কমিটির লোকেরা 'বলির পাঁঠা' হয়েছেন বলে দলের বড় অংশের অভিমত। কার্যত তাদের কে ' ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে'র সামনে ফেলে দেওয়া হয়েছে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে। বাড়ী ভাঙচুর, মুচলেকা আদায় সহ মারধর পর্যন্ত খেতে হচ্ছে কাটমানি আদায়কারী নেতাদের কে।   যদিও রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে বিজেপির জয়ে তৃনমূলের বুথ কমিটির ভূমিকা গুরত্বপূর্ণ। কেননা স্থানীয়স্তরে বুথে ভোট পরিচালনা এরাই করে থাকে।   তাই দলীয় মীরজাফরদের শায়েস্তা করতে কাটমানি দাওয়াই প্রয়োগ করে ভোটে অন্তর্ঘাতের বদলা নিলেন দলনেত্রী। এইবিধ নানান মত কাটমানি নিয়ে থাকলেও মূল লক্ষ পূরণে তৃণমূল অনেকটাই ব্যর্থ বলে বিরোধীদের দাবি। তারা লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যব্যাপী কমন ইস্যুতে আন্দ্রোলন করার জ্বলন্ত হাতিয়ার পেয়েছে। চারদিকে যেভাবে কাটমানি কে সামনে রেখে বিজেপি স্থানীয়স্তরে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে চাইছে, সেখানে বিক্ষুব্ধ তৃনমূলীদের পর্দার আড়ালে নয় সম্মুখসমরে পেয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কাটমানি নিয়ে ইতি টানার চেস্টা করলেও তা হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিন কে দিন। 

পি.কে এর প্রেসক্রিপশনে কাটমানির পাশাপাশি আটজন দলীয় নেতা - মন্ত্রীদের কালো তালিকায় রাখতে বলা হয়েছে আগামী বিধানসভার ভোট অবধি। সেখানে দেখা যাচ্ছে দলের বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি ব্যবস্থাগ্রহণের হুমকি ছাড়া কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। বিগত বাম জমানায় কখনো সিঙ্গুর আবার কখনওবা নন্দীগ্রাম নিয়ে বিমান বসু - বিনয় কোঙ্গার - লক্ষ্মণ শেঠরা কু মন্তব্যে বিরোধীদের অপদস্ত করতো। যার পরিণতি স্বরুপ ২০১১ এর বিধানসভায় ক্ষমতা হারায় বামেরা। যখন বামফ্রন্ট নিজেদের ভূল বুঝলো, তখন সব কিছু শেষ।যদি আচার আচরণে সরকারি পদক্ষেপে মেপে চলত। তাহলে হয়তো এতটা রাজনৈতিক পরাজয় ঘটত না একদা ক্ষমতার অলিন্দে থাকা  বামেদের। এইরুপ পরিস্থিতিতে জাতীয় স্তরের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের প্রেসক্রিপশন না মানলে আদৌও তৃণমূল তাদের ক্ষয় রুখতে পারবে?  সে নিয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। দক্ষিণবঙ্গের শাসকদলের এক রাজ্য নেতা। যিনি পুলিশ কে বোমা মারার নিদান থেকে বিরোধীশুন্য ভোট করতে সিদ্ধহস্ত। তাঁকে কালো তালিকায় রাখার অনুরোধ রেখেছেন ভোটগুরু। এইরুপ খবর সংবাদমাধ্যম সুত্রে। সেখানে ব্যবস্থাগ্রহণের কোন ইংগিত দেননি তৃনমূল নেত্রী। অপরদিকে পুলিশি নির্ভরশীলতা কমাতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ কার্যকর কোথাও হয়নি বলা যায়। মঙ্গলকোট থানায় সকাল নটা বাজলেই এক উপপ্রধান তার দলবল নিয়ে প্রতিদিন ঢুকে যান থানার মধ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি ওসির কোয়াটারে থাকেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বেলা এগারো বাজলে ব্লক তৃণমূল সভাপতি কে দেখা যায় সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে থানায় ঢুকতে। পঞ্চায়েত সমিতির দুই জগাইমাধাই কর্মাধ্যক্ষ পুলিশের সব প্রোগ্রামে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের ডাইনেবাইয়ে।        

পি.কে খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই আদৌও কি মানা সম্ভব তৃনমূলের কাছে?  আবার তৃনমূল নেত্রী যেসব নির্দেশ গুলি দিচ্ছেন ব্লক / জেলা কমিটির নেতাদের কে, সেগুলিও বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটছেনা তৃণমূলের অন্দরে। প্রকাশ্যে বিরোধীদলে নাম না লেখা অবধি নেতা কর্মীদের উপর   কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে দোটানায় রয়েছে শাসক শিবির। দলীয় পরিকাঠামোয় যথাযথ নেতৃত্বে আমুল সংস্কার না আনলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ভালো না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।                                                                                                                                                                                                                                                                                                              

সোমবার, জুলাই ০৮, ২০১৯

সাত দফা দাবি তে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি ভাতার বিজেপির

আমিরুল  ইসলাম ,

সাত দফা দাবি নিয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত ঘেরাও।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েত আজ বিজেপির পক্ষ থেকে ঘেরাও ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সাত দফা দাবি জানানো হয় আজকে। 100 দিনের কাজ ,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ,গ্রামীণ সড়ক যোজনা, বিভিন্ন সরকারি যে প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পের প্রচুর পরিমাণে কাঠ মানি খেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তার সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার হোক এই দাবিতে সোচ্চার হোন আজ।

পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মন্ডল জানান আজকে ওরা সাত দফা দাবি জানিয়েছে আমি এক সপ্তাহ টাইম নিয়েছি  ওদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য।

32 নম্বর জেড পির সভাপতি কৃষ্ণ সিংহ জানান বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে ।সেই সমস্ত দুর্নীতি সঠিক তদন্ত হোক এই দাবিতে কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে আজকে পঞ্চায়েত ঘেরাও করি আমরা। এবং আমাদের দাবি দাবা পঞ্চায়েতের প্রধান কে জানাই তিনি এক সপ্তা টাইম নিয়েছেন যদি সদুত্তর দিতে পারেন তো ভালো যদি না দেন আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

বনপাশ পঞ্চায়েত চত্বর ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে এই মুহূর্তে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে ভাতার থানা।

বিচারপতি কম থাকায় মামলার পাহাড় ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে



মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বাম আমলে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাজ্য জুড়ে ভূমিহীনদের পাট্টা বিলিতে জোর দিয়েছিলেন। ব্যাপকভাবে পাট্টা বিলি কর্মসূচিতে দেখা যায় জমি নিয়ে আইনী জটিলতা। তাই তখন অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে বিধাননগরে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত চালু করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু   ৷ এটি কলকাতা হাইকোর্টের আওতায় থাকে। সেইসাথে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা সারা রাজ্যের ভূমি বিষয়ক মামলা গুলি দেখেন৷ ৬ টি পদে বিচারপতিরা থাকলেও ৩ জন ভূমি আধিকারিকদের প্রশাসনিক বিষয় গুলি দেখেন। এবং বাকি ৩ জন ৩ টি আলাদা বেঞ্চে ভূমি মামলাগুলি পর্যবেক্ষণ, শুনানি, রায়দান দিয়ে থাকেন৷ মামলার সংখ্যা পাহাড়তুল্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রায়দান কম ঘটে। তাই ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে বিচারপতি সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মামলা হয়। তাতে ৬ জন বিচারপতি বেড়ে ৮ জনে দাঁড়ায়৷ তবে প্রশাসনিক বিচারপতি ৪ জনের জায়গায় ২ জন এবং বিচারবিষয়ক ৪ জনের জায়গায় ৩ জন রয়েছেন। অর্থাৎ ৮ টি পদে বর্তমান বিচারপতি সংখ্যা ৫ জন৷ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালত সুত্রে প্রকাশ, প্রত্যেক বছর ৫ হাজারের বেশি মামলা দাখিল হয় এই আদালতে।  উত্তরবঙ্গে সার্কিট বেঞ্চ হওয়ায় ৫ টি জেলার মামলার চাপ কলকাতা হাইকোর্টে আসে না বললেই চলে। তবে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে রাজ্যের সব জেলার ভূমি মামলাগুলি রুজু হয়৷ অর্থাৎ মামলার চাপ অত্যন্ত বেশি। অপরদিকে ৪ টি বেঞ্চে প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ টি সর্বমোট ১২০ টির মত মামলার শুনানি হয়৷ তাতে অর্ধেক মামলার কোন শুনানি না হয়ে পরবর্তী তারিখ পরে। কেননা বিচারবিষয়ক বিচারপতিরা আদালত চালুর প্রথম পর্যায়ে নিজের বেঞ্চে বসলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিন্ন বেঞ্চে মামলার শুনানি শোনেন। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একটা বেঞ্চে ৩০ টি মামলা থাকলে ১৫ টির শুনানি হয় বাকি ১৫ টির পরবর্তী শুনানির তারিখ পরে। মামলাকারীদের অভিযোগ, এক একটি মামলার ডেট পরে নুন্যতম ছয়মাস  পর। কেউ কেউ আবার পরের বছরে মামলার দিন পান।এইরূপ পরিস্থিতিতে মামলার পাহাড় জমছে, তবে মামলার নিস্পত্তি ঘটছে না সেভাবে। দেওয়ানি মামলার অন্যতম বিষয় হচ্ছে ভূমি ( জমি/ জায়গা) । মহকুমা আদালত কিংবা জেলা আদালতে সিভিল মামলা হারলে মামলাকারীরা বিধাননগরের করুনাময়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে আসেন।   আবার কলকাতা হাইকোর্টে কেউ সিভিল মামলা রুজু করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিচারপতিরা নিদিষ্ট ফোরাম অর্থাৎ ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে যাওয়ার নির্দেশিকা দেন। শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতে। তাঁরা অর্থাৎ বার এসোসিয়েশন বারবার মামলা নিস্পত্তিতে গতি আনতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। বিধাননগর ল্যান্ড ট্রাইবুনাল আদালতের বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায় ওরফে ডালু বাবু জানান - "বিষয়টি আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী কে  জানিয়েছি। যাতে বিচারপতির সংখ্যা বাড়ে "।  নুতন এবং পুরাতন মামলার চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে দীর্ঘমেয়াদি পরবর্তী শুনানির তারিখ পাওয়া ছাড়া সুবিচার পাওয়া দুস্কর বলে মামলাকারীদের দাবি। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে মামলার পাহাড় কমাতে স্বতন্ত্র বিষয়ে ভিন্ন কোর্ট তাও কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে চালু করেছে। সেখানে শুন্য পদগুলি পূরণে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার কি উদ্যোগী হতে পারেনা। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকার কে বিচারপতিদের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে লিখিত ভাবে জানিয়েছে৷ এখন দেখার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার আদৌও জনমুখী উদ্যোগ নেয় কিনা?                                                                                                                                                                                       

      

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER