শনিবার, মার্চ ২১, ২০২০

৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের আদালত গুলিতে শুনানিতে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা



মোল্লা জসিমউদ্দিন  
শুক্রবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে করোনা কেন্দ্রিক জরুরি বৈঠক চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত আদালতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের  ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন সমস্ত আদালতে মামলার জন্য এজলাস মুখি হবেন না আইনজীবীরা। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আদালতগুলিতেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলে জানান  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান  সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়   ।   এহেন ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি এটি দ্বিতীয় পয্যায়ে কর্মবিরতি।    গত সপ্তাহ   থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে রয়েছে  থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল - ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য । গত ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল ছিল। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছিল। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে 'অন ডিউটি' ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ রয়েছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও।  উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে  কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকবে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস।  বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেছিলেন। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত সপ্তাহে  জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ রয়েছে । জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ রয়েছে ।  উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান রয়েছে  করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে।    জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে। প্রথম পয্যায়ে ১৭  মার্চ থেকে ২০ মার্চ আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠকে দ্বিতীয় পয্যায়ে ৩১ শে মার্চ অবধি করোনার জেরে কর্মবিরতি চলবে বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের  এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়।  ৩১ শে মার্চ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পুনরায় বৈঠক বসবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ বৈঠকে থাকতে পারেননি , এছাড়া বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডলও অসুস্থ রয়েছেন।                                                                                                                                             

শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০

করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


 বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস  নিয়ে  সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হলো স্থানীয় পুলিশ - প্রশাসন। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি প্রমুখ ছিলেন সচেতনতা শিবিরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে নানান পথপ্রচার চলে। খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেন - বাসে যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ রাখা হয়। সর্দি-জ্বর- কাশি সহ শ্বাসকষ্ট হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা সহ চিকিৎসা চলছে তা বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সচেতনতা শিবিরে।অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন সহ করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে)  গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ মহাশয়।                                                                           

মঙ্গলবার, মার্চ ১৭, ২০২০

২১ শে মার্চ পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকবে করোনার জেরে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে ছিল থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। সোমবার দুপুরে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে - আগামী ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বসবে ওইদিন অর্থাৎ ২০ মার্চ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ, ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল থাকবে। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে অন ডিউটি ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ থাকছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও।  উল্লেখ্য, গত রবিবারে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস।  বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ থাকবে। জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ থাকবে।   উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান থাকছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ করোনা পরিস্থিতি ফের অনুধাবন করতে বিচারপতিরা পুনরায় বসতে চলেছেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ।  জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে।                                                                                                             

সোমবার, মার্চ ১৬, ২০২০

তিন তালাক বৈধ হলে হাইকোর্টে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ধারায় মামলা চায় মহিলা

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকনামায় বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। তিন তালাকের পক্ষে - বিপক্ষে গোটা দেশ একসময় গর্জে উঠেছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে  তিন তালাকনামা নিয়ে  মামলা দাখিল করেন এক 'তালাকপ্রাপ্ত' মহিলা। মামলায় অবশ্য বিচারপতি কোন আদেশনামা দেননি। তবে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। মামলার পিটিশনে ওই মহিলা দাবি রেখেছেন - 'সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সালিসি সভায় স্বামীর তিন তালাক বৈধ হলে, তারপরে নিজ বাপের বাড়িতে জোর পূর্বক স্বামীর শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক। আর যদি ওই সালিসি সভায় তিন তালাক টি অবৈধ হয়। তাহলে স্বামীর বাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন তৎপর হোক '।দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি এলাকার এই ঘটনা এখন কলকাতা হাইকোর্টের অলিন্দে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মুসলিম সমাজের বড় অংশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসের উপর তাকিয়ে। কেননা তিন তালাক টি কেন্দ্রীয় সরকার অবৈধ ঘোষণা করলেও মুসলিম সংগঠন গুলির পাশাপাশি ধর্মীয়গুরুদের একাংশ তিন তালাকে বিশ্বাসী এখনো রয়েছে।আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি মুসলিম রীতি অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক মহিলার সাথে কুলতলির তাহাজুল গাজীর বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েকমাসের পরেই ৫০ হাজার টাকা পণের জন্য স্ত্রীর উপর স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। গত ৩১/০১/২০ তারিখে বিকেলে  কুলতলীতে এক সালিসি সভায় প্রকাশ্যে তাহাজুল গাজী তার স্ত্রী কে তিল তালাক ঘোষণা করে থাকে। সেদিন রাতেই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা কুলতলী থানায় তিন তালাক বৈধ না অবৈধ সেইসাথে নানান অভিযোগ নিয়ে মামলা দাখিল করতে যান। স্থানীয় থানার পুলিশের তরফে তিন তালাক স্পর্শকাতর বিষয় টি এড়িয়ে বধূ নির্যাতনের (৪৯৮ ধারায়)  মামলা গ্রহণ করা হয়। এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে শ্বশুরবাড়িতে অভিযুক্ত স্বামী তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন করে থাকে। এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ০১/০৩/২০ তারিখে জয়নগর  থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করে ওই তালাকপ্রাপ্ত মহিলা। তার যুক্তি ছিল - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে তার ইচ্ছার বাইরে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি একপ্রকার ধর্ষণ পয্যায়ে। গত ৪ মার্চ জয়নগর ওসি থেকে পুলিশ সুপার কে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা।  ১৩ মার্চ দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে মামলা দাখিল করেন নির্যাতিতা। পিটিশনে নির্যাতিতা দাবি করেছেন - সালিসি সভায় তিন তালাক বৈধ হলে জোর পূর্বক শারীরিক মিলন টি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য হোক, নতুবা তিন তালাক অবৈধ হলে তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরসংসার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন কে নির্দেশ দেওয়া হোক। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ মার্চ। একাধারে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকের বৈধতা খারিজ করে অডিন্যান্স জারী করেছে। অপরদিকে দেশের মুসলিমদের একাংশ তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তিন তালাকে বিশ্বাসী। তাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারধীন এই মামলাটির উপর তাকিয়ে রয়েছে মুসলিম সমাজের বড় অংশ।                                                                                                                                                                                                             

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় সোমবার থেকে অচল হচ্ছে আদালত

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

 সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল হচ্ছে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। আদালতে বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।রবিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেন। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবিবারই জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ থাকবে। জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ থাকবে।   উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান থাকছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ করোনা পরিস্থিতি ফের অনুধাবন করতে বিচারপতিরা পুনরায় বসতে চলেছেন বলে কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে প্রকাশ।                                                                                                                      

শনিবার, মার্চ ১৪, ২০২০

চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট



মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে সারদায় রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে মামলা উঠে। সুবীর দে নামে এক আমানতকারী গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারদায় প্রতারিতদের অর্থ ফেরতে রাজ্য সরকারের শ্যামল সেন কমিশনের অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে মামলা টি দাখিল করেছিলেন। সেখানে আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার কে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়া নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার কে জানাতে হবে কেন বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত গেল?  সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীরা কিভাবে টাকা ফেরত পাবে। তা লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে। কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশিকায় রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত আমানতকারীরা আশার আলো দেখছেন। আদালত সুত্রে প্রকাশ, রাজ্যে সারদা সহ বিভিন্ন আর্থিক লগ্নিসংস্থার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি বরাদ্দকৃত অর্থ অনুদান মঞ্জুর করে চিটফান্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য। এজন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন কে নিয়ে কমিশন গঠন করা হয়। প্রায় ৫ লক্ষ আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত অর্থ ফেরত পান। তবে ২০১৪ সালে মাঝপথেই শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হয়ে যায়। ৫০০ কোটির মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় ফেরত আয় ১৩৮ কোটি টাকা। কেন সব আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়ে মঞ্জুর হওয়া ফেরত গেল?  কেনই বা সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা অর্থ ফেরত পাবে না?  এইবিধ নানান প্রশ্ন তুলে গত ফেব্রুয়ারিতে সুবীর দে নামে এক আমানতকারী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় শুক্রবার অর্থাৎ আজ   দুপুরে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে চিটফান্ডে বরাদ্দকৃত অর্থ কেন ফেরত গেল তার রিপোর্ট তলব করে। সেইসাথে সারদা ছাড়া অন্য চিটফান্ডে প্রতারিতরা কেন অর্থ ফেরত পাবেনা সে সম্পর্কে অবস্থান লিখিতভাবে জানাতে হবে রাজ্য সরকার কে।  অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার এই ডিভিশন বেঞ্চে সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় শুনানি চলে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আগামী শুনানিতে অর্থাৎ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকবার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। যদি সেদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন তাহলে সারদা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অফিসার কে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে এই মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই । গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। গত দুটি শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় - আগামী মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী কে উপস্থিত থাকতে হবে। তা নাহলে তদন্তকারী অফিসারকে থাকতে হবে শুনানির সময়।                                                                                                                                                                                                  

দীর্ঘ ১১১ মাসের পর মাদ্রাসা নিয়োগে ফলপ্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

  অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট   ১১১ মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটালো অবসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে দীর্ঘস্থায়ীতা নিয়ে মামলাটি উঠে। যেখানে মহম্মদ হাবিলদের মত।একদল পরীক্ষার্থীদের হয়ে মামলাটি করেছিলেন ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবি। দু দফায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর প্রায় দশ বছর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগে ফলপ্রকাশ নিয়ে চলছিল জটিলতা। সেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার এহেন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকায় লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। সম্প্রতি এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনী বৈধতা কে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ লক্ষ মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী গত ২০১০ সালে এবং ২০১১ সালে যে গ্রুপ ডি নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন । তারাও কলকাতা হাইকোর্টের ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের আদেশনামায় উজ্জীবিত। বিগত বাম জমানায় জুনিয়র এবং হাই মাদ্রাসায় গ্রুপ ডি নিয়োগে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। দু দফায় পরীক্ষাপর্ব শেষ হলেও দীর্ঘ ১১১ মাস অর্থাৎ প্রায় দশ বছর  এই পরীক্ষায় সফলদের তালিকা প্রকাশ পাইনি। পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি মহলে চিঠিপত্র লিখেও কোন সুরাহা পাইনি বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ফিরদৌস সামিম নামে এক আইনজীবীর মাধ্যমে মহম্মদ হাবিল দের মত পরীক্ষার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার তাঁর আদেশনামায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কে ৬ মাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দেন।                                                                                                 

বৃহস্পতিবার, মার্চ ১২, ২০২০

জার্মানি কৃষিজ যন্ত্র পরিষেবা চালু হল মেমারিতে

সেখ সামসুদ্দিন
 

বুুধবার জার্মানী সংস্থা ক্লাস-এর উন্নত প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র পরিষবার সার্ভিস সেন্টার চালু হল মেমারিতে। পূর্ব ভারতে নিজেদের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করতে ক্লাস পশ্চিমবঙ্গের মেমারিতে চালু করল তাদের প্রথম হার্ভেস্ট সেন্টার। সেন্টারের উদ্বোধন করেন ক্লাস কেজিএএ'র এশিয়া অঞ্চলের প্রসিডেন্ট ডঃ জেনস ওয়েডিং ও ক্লাস এগ্রি মেশিনারী প্রাইভেট লিমিটেডের ম‍্যানেজিং ডিরেক্টর মি জয় সিং। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল মটরস- কর্ণধার অসীম মন্ডল, রোহিত মন্ডল সহ অন‍্যান‍্য অফিসার, ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মী ও চাষীবৃন্দ। সংস্থার পক্ষে ডঃ জেনস ও মি জয় দাবি করেন  বর্তমানে কৃষিতে শ্রমিক সমস‍্যা মেটাতে ও কৃষি খরচ কমাতে এই যন্ত্র দারুন ভাবে উপযোগী হবে। এবং এই পরিষেবাটি চলবে ওলা-উবেরের মত অ‍্যাপের মাধ‍্যমে। চাষীরা বীজ রোপনের উপযোগী জমি তৈরি করে বা ধান কাটার জন‍্য বা ভুট্টা চাষে অ‍্যাপের মাধ্যমে বুক করতে পারবে। অ‍্যাপের দুটি ভার্সান আছে যার মধ‍্যে একটি মেশিন মালিক ও অপরটি কৃষকদের জন‍্য। 'ক্লাস ট্রাক মাস্টার' নামে এই অ‍্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই চাষীরা পরিষেবা পাবেন। ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা ভাড়াতে এই যন্ত্র পাওয়া যাবে এবং ঘন্টায় ৪ বিঘা জমি রোপন বা ধান কাটতে পারবে। কোনো জমি ছোটো হলে মিনিট সেকেন্ড হিসাবে যা ভাড়া হওয়া উচিত তাই পড়বে। জার্মান অফিসার ডঃ জেমস বলেন - "নতুন উন্নত টেকনোলজি সর্বদা আনার চেষ্টায় কাজ করে চলেছেন যাতে কৃষকরা উপকৃত হন। মেমারিতে ক্লাস হার্ভেস্ট সেন্টারের মাধ‍্যমে কৃষক সম্পদায়ের প্রতি দায়বদ্ধতার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও ক্লাস সার্টিফায়েড হার্ভেস্টারদের নিয়ে 'ক্লাস অপারেটর্স ক্লাব' লঞ্চ করেছেন। যারা সদস্যপদ গ্রহণ করবেন তাদের জন‍্য দুর্ঘটনা বা মৃত্যুজনিত বীমা, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ, ক্লাস মার্চেন্টাইজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সহ অন‍্যান‍্য সুবিধা থাকছে। সংস্থা মেশিনের বিষয়ে ট্রেনিং ছাড়াও চাষীদেরও সচেতনতায় শিবির করবেন"। মেশিনের সার্ভিসের জন‍্য বা পার্টস পেতে অ‍্যাপ কাজ করবে। সংস্থার যন্ত্রগুলির মধ‍্যে ক্রপ টাইগার ৩০ টেরা ট্র‍্যাক, ক্রপ টাইগার ৪০ টেরা ট্রাক জাগুয়ার ২৫, জাগুয়ার ৮৫০,  মারকান্ট ৬৫০ ও প‍্যাডি প‍্যান্থর ২৬ রাইসপ্ল‍্যান্টর হার্ভেস্ট জগতে  চাষীদের চাহিদা পূরণে অন‍্যতম বলে জানান ম‍্যানেজিং ডিরেক্টর।

মঙ্গলবার, মার্চ ১০, ২০২০

বাঙালি জগতে কুমুদ সাহিত্য মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে

 

গত ৩ রা মার্চ  সারাদিনব্যাপি মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা পালিত হল।একাধারে দুস্থদের বস্ত্রবিলি - অন্নভোগ যেমন চললো। ঠিক তেমনি ক্ষুদে পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি - কৃতিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৬ জন গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে৷                এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত 'পান্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী তথা বিদ্রোহী কবির নাতনি   সোনালী কাজী, প্রাক্তন  জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় দেব কুমার ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম, কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শ্যামলাল মকদমপুরী  প্রমুখ। প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী কে 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন'  , প্রকাশক নিগমানন্দ মন্ডল, কে 'বাদল সরকার রত্ন'  কাঁথাশিল্পী মনিরুল হক কে 'শান্তিনিকেতন রত্ন'  , সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ কে 'নজরুল রত্ন ' ,কার্ডিয়ালোজি হরিদাস মন্ডল কে 'রেজাউল করিম রত্ন' লেখক আব্দুর রব কে 'নুরুল হুদা রত্ন',   শিক্ষাব্রতী শফিকুল ইসলাম  প্রমুখদের সংবর্ধনা জানানো হয়   । এদিন মনন সাহিত্য সংগঠনের তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি ও অন্নভোগ করানো হয়। সমাজসেবী সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি করা হয়  । ডক্টর আর এন ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটির তরফে ২ জন কৃতিদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেইসাথে চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার এর পরিচালনায় পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর চিত্র আঁকা হয়।যা কবির বাড়িতে সংগ্রহশালায় রাখা হয়েছে।     লোকসংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম খান সেফ ড্রাইভ নিয়ে গান পরিবেশন করেন। রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে সেফ ড্রাইভ কর্মসূচি পালনে  কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে  প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তা যথাযথ পালন হয় এদিন। মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান - "এদিন পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়"।  বিদ্রোহী কবির শৈশবভুমি মঙ্গলকোটে 'নজরুল রত্ন'  হিসাবে সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ কে সংবর্ধনা জানানো হয়। দুই বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পালনে  লেখনির জন্য ফারুক আহমেদ কে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি সুত্রে প্রকাশ।                                                                                                                                       

সোমবার, মার্চ ০৯, ২০২০

আন্তরিক সংঘের বসন্তোৎসব মানিকতলায়

বইল প্রাণে দখিন হাওয়া-- আগুন জ্বালা।এ আগুন শুধুই ভালোবাসার,মিলনের।এর থেকে বড় ধর্ম,সুন্দর রঙ আর কিছুই হয় না।তাই আজ কলকাতার মানিকতলার   আন্তরিক সংঘের এই বসন্ত উৎসবের প্রভাত ফেরি।রঙ থাকুক সবার মনে, ভালোবাসার রঙ, আরো রঙিন হোক সবার জীবন।হোক রংমিলান তি মনের ঘরে।আজ সবাই মিলে অবারিত করি দ্বার----- ভালোবাসার,আন্তরিকতার।

শনিবার, মার্চ ০৭, ২০২০

বসন্ত উৎসবে মাতোয়ারা বিধান শিশু উদ্যানের শিল্পীরা

গোপাল দেবনাথ
  
বসন্ত উৎসব
      গতকাল বিকেল থেকে পি সি চন্দ্র গার্ডেন আয়োজিত হয়েছিল বসন্ত উৎসব। ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে........গান গাইতে গাইতে ছোটো থেকে বড় কয়েক শত শিল্পী সমগ্র মাঠটি নৃত্যের মাধ্যমে বসন্তের রং ছড়িয়ে দিল। সে এক অসাধারন দৃশ্য। বহু বিদেশী পর্যটকদের পাশাপাশি ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সামগ্রিক পরিচালনায় ছিল 'দোহার'। তাদের অনবধ‍্য সংগিত পুরো অনুষ্ঠানকে অন‍্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। বিধান শিশু উদ‍্যানের খুদে শিল্পীদের পাশাপাশি বড়দের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পরার মতো। অন‍্যান‍্য আরো কয়েকটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। নাচে গানে উপস্থিত প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিদেশি অতিথিবৃন্দ দোহারের গানের ছন্দে স্থির থাকতে পারেন নি। আসলে রঙ্গের উৎসব পৃথিবীর সর্বত্রই আছে বিভিন্ন চেহারায়। সবশেষে হোলো আবির খেলা। আবিরের রং আষ্টেপৃষ্ঠে মেখে সবাই বাড়ি এলাম। এই মিলনের রং সম্প্রতির রং যেন আমরা সারা বছর ধরে রাখতে পারি। এই আশা নিয়েই সবাই বাড়ি ফিরলাম..... আসছে বছর  আবার হবে*

মঙ্গলবার, মার্চ ০৩, ২০২০

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন পালন হলো মহাসমারোহে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
         আজ(৩/৩) কবি, সাহিত্যিক, বাচিক ও সঙ্গীত শিল্পী, কৃষি গবেষক, অধ্যক্ষ, ডাক্তার, সমাজসেবী, সাংবাদিক সহ সমাজের সর্বস্তরের  সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে 'বাড়ি আমার ভাঙ্গন ধরা অজয় নদীর তীরে'-র অমর স্রষ্টা কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পালিত হলো কবির ১৩৮ তম জন্মদিন। নিছক কবিকে স্মরণ করা বা কবিতা পাঠ নয় আজকের অনুষ্ঠান বিভিন্ন দিক দিয়ে স্মরণীয়। সাহিত্য সংগঠন 'মনন' এর পক্ষ থেকে ১৫০  জন দুস্থকে বস্ত্র দেওয়া হয় এবং তাদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়।সমাজসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে ১০০ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।'ড: আর.এন.ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি'-র পক্ষ থেকে দুই জন কৃতি পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।'উদার আকাশ' পত্রিকার পক্ষ থেকে তিন জন সাংবাদিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
        এর আগে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং সাধারণ মানুষ কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে কবিকে শ্রদ্ধা জানান। 'কুমুদ মেলা কমিটি'-র পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্টদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়।
       আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন 'সাহিত্য একাডেমি' পুরষ্কার প্রাপ্ত 'পাণ্ডব গোয়েন্দা' খ্যাত ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবির বংশধর তথা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সোনালী কাজী, বিখ্যাত কার্ডিলজিস্ট ড: হরিদাস মণ্ডল,কৃষি গবেষক তন্ময় ঘোষ,চিত্র পরিচালক রাজকুমার দাস সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এছাড়া কলকাতা থেকে প্রকাশিত  ষান্মাষিক সাহিত্য পত্রিকা 'পদার্পণ' এর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন কবি তথা বাচিক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পাক্ষিক  'কামদূঘা' পত্রিকার সম্পাদক তথা বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
       কলকাতা থেকে আগত শর্মিষ্ঠা মাজি, মিনু প্রধানরা বললেন - এতদিন   সাহিত্য মেলায় কেবল  কবি-সাহিত্যিকদেরই সংবর্ধনা জানাতে দেখেছি। এই প্রথম সাহিত্য জগতের বাইরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টদের সংবর্ধনা দিতে দেখলাম।এরজন্য তারা মেলা কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী তন্ময় ঘোষ এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য কুমুদ মেলা কমিটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।অন্যদিকে হুগলির আরামবাগের বিশিষ্ট শিল্পপতি আগামী বছর এই মেলায় দুস্থদের ১০০ টি তাঁতবস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
      প্রায় ২০ বছর আগে কবিকে সম্মান জানানর জন্য কবির জন্মদিনটি বেছে নেন বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক শ্যামলাল মকদমপুরী। মুর্শীদাবাদের সালার থেকে এসে তার পক্ষে কবির জন্মদিন পালন করা ছিল বেশ কষ্টকর।ফলে তিনি অনুজ কবি-সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিনের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেন।গত দশ বছর ধরে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি'-র প্রাণপুরুষ মোল্লা জসিমউদ্দিনের উদ্যোগে এই সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত আজ শ্যামলাল বাবুর স্বরচিত গানের মধ্যে দিয়ে  কবির স্মরণ সভা শুরু হয়।
       জসিম বাবু বললেন- কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই সাহিত্য মেলায় উপস্থিত হয়েছেন তাতে তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন দক্ষিণ বঙ্গের বৃহত্তম সাহিত্য মেলাকে আরও সফল ও অর্থবহ করে তুলতে বহু মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

রবিবার, মার্চ ০১, ২০২০

মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলায় যাবেন কিভাবে ?

কুমুদ সাহিত্য মেলায় পৌছাবেন কিভাবে? 

আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর বসতভিটেয় হচ্ছে কুমুদ সাহিত্য মেলা। এটি মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাট সংলগ্ন এলাকা।চারটি প্রধান সড়কপথের কেন্দ্রস্থল নুতনহাট। উত্তরবঙ্গের  সাথে  দক্ষিণবঙ্গের গুরত্বপূর্ণ ৭ নং রাজ্য সড়ক গেছে নুতনহাটের উপর দিয়ে। যারা বর্ধমান শহর থেকে আসবেন তারা সদর বর্ধমান ( দুরত্ব ৩৫ কিমি) থেকে ত্রিশ মিনিট অন্তর স্টেটবাস / লোকাল বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট বাইপাস মোড়ে।যারা কাটোয়া শহর( দুরত্ব ২৫ কিমি) থেকে আসবেন  তারা ঘন্টায় ঘন্টায় বাস পাবেন। নামতে হবে নুতনহাট মোড়ে। যারা দুর্গাপুর থেকে ভায়া গুসকারা ( দুরত্ব ১৮ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে। যারা বোলপুর - শান্তিনিকেতন (দুরত্ব ২২ কিমি)  আসবেন। তাদের কে নামতে হবে নুতনহাটে। 

কলকাতা থেকে বাসে আসতে গেলে ধর্মতলায় ( উত্তরবঙ্গ + দক্ষীনবঙ্গ এর স্টেটবাস বাসস্ট্যান্ডে)  বাস পাবেন চব্বিশঘণ্টা ধরে। হাওড়া স্টেশন থেকেও এক্সপ্রেস / লোকাল ট্রেন কর্ডলাইন ও মেনলাইনে আসে বর্ধমান স্টেশনে। শিয়ালদহ থেকে ট্রেন কম।

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০২০

৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলাতে কি হবে?

আর হাতে মাত্র ২ দিন। এরপরই মঙ্গলবার সারাদিন ব্যাপি চলবে 'কুমুদ সাহিত্য মেলা'। এবারে মেলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেশকিছু সংগঠন। প্রথমত 'মনন' সংগঠন টি ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি ও অন্নভোগের আয়োজন করেছে। 'সুসম্পক' সংগঠন টি ১০০ জন প্রাথমিক পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী দেবে। 'চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার ' সংস্থা টি আমাদের ফ্লেক্স থেকে প্রীতিপত্র প্রায় কাজের ডিজাইন বানিয়েছে। 'ডঃ আর এন ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটি ' ২ জন কৃতি পড়ুয়াদের আর্থিক সহযোগিতা করছে। 'উদার আকাশ' লিটিল ম্যাগাজিনের তরফে ৩ জন সাংবাদিকদের সংবর্ধনা দেবে। 

কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির আর্থিক দুরবস্থার কথা জেনে স্বয়ং পরিবহন মন্ত্রী মেলা কমিটি কে 'সেফ ড্রাইভ' কর্মসূচি পালনে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ। এর পাশাপাশি জেলা পুলিশ স্বতন্ত্র ভাবে সেফ ড্রাইভ কর্মসূচি পালনে ভূমিকা নেবে বলে অবগত করেছে। 

আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে। ২৬ জন সর্বমোট সংবর্ধনা পাচ্ছেন। পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন  মল্লিক কে নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশ হচ্ছে। বেশকিছু বই - পত্রিকা প্রকাশ হবে। লোকসংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম খান এর সেফ ড্রাইভ নিয়ে গান সহ কুমুদ সাহিত্য মেলা নিয়ে গান পরিবেশন থাকছে। বঙ্গ সাহিত্যে একঝাঁক  সাহিত্যিকদের সেদিনের উপস্থিতি আমাদের প্রাণবন্ত করবে বলে আমরা আশা রাখি। 

যাঁরা অন্তরালে থেকে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কেও ধন্যবাদ 

🙏  মোল্লা  জসিমউদ্দিন 
সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি

কলকাতা হাইকোর্টে জামিন খারিজ রোজভ্যালী কর্তার

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের এজলাসে রোজভ্যালী কর্তা গৌতম কুন্ডুর জামিনের আবেদনের শুনানি চলে। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি রোজভ্যালী কর্তার জামিন খারিজ করে দেন। তবে সেইসাথে আরেক অভিযুক্ত ভোক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের  চিকিৎসা চলবে সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে বলে নির্দেশিকা জারী হয়েছে। চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে তদন্তকারী সংস্থা ইডি বলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে আদেশনামায়। প্রায় ১৮ হাজার কোটি বাজার থেকে বেআইনীভাবে তুলে নেওয়ার মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করে রোজভ্যালী কর্তা কে। ২০১৫ সালে জুন মাসে রোজভ্যালী কর্তা সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি। প্রায় ৪ বছর ১১ মাস জেলে থাকার পর শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের এজলাসে জামিনের আবেদন জানান রোজভ্যালী কর্তার আইনজীবী। আরেক অভিযুক্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের   জামিনের সপক্ষে শারীরিক অসুস্থতার মেডিকেল প্রেসক্রিপশন দেখানো হয়। তবে উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি রোজভ্যালী কর্তার জামিন খারিজ করে দেন। তবে আরেক অভিযুক্ত অরুণ মুখোপাধ্যায়ের   ইডির খরচে সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে সুচিকিৎসার নির্দেশও দেন বিচারপতি।                                                                                
    

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২০

মঙ্গলকোটে উপভোক্তা বিষয়ক আলোচনা চক্র হলো

পারিজাত মোল্লা

  বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে উপভোক্তা বিষয়ক সেমিনার হলো। উপস্থিত ছিলেন বিডিও মুস্তাক আহমেদ, আয়োজক সংস্থার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। রাজ্য সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক ২০১৩ আইন  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। মঙ্গলকোটের বিভিন্ন প্রান্তের এলাকাবাসী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বলে জানান আয়োজক সংস্থা 'নুতনহাট হসপিটাল পাড়া খাদি উন্নয়ন সমিতি'র  সম্পাদক নজরুল ইসলাম।                                         

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

এবছর কুমুদ সাহিত্য মেলায় নজরুল রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নজরুল রত্ন' পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

বিশেষ প্রতিবেদন 


কুমুদ সাহিত্য মেলায় ৩ মার্চ ২০২০ কোগ্রাম, মঙ্গলকোটে  'নজরুল রত্ন' পুরস্কার ও সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে।


কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্ম ২৫ মে ১৮৯৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয় ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। 

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম 
পুরস্কার পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭), একুশে পদক (১৯৭৬), পদ্মভূষণ।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।

নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবেও কাজ করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মতো কবিতা; ধূমকেতুর মতো সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামা সংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।

মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিদ্রোহী কাজী নজরুলের বিখ্যাত কবিতাসমূহের একটি। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এরপর কবিতাটি মাসিক প্রবাসী (মাঘ ১৩২৮), মাসিক সাধনা (বৈশাখ ১৩২৯) ও ধূমকেতুতে (২২ আগস্ট ১৯২২) ছাপা হয়। প্রকাশিত হওয়া মাত্রই এটি ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করে। দৃপ্ত বিদ্রোহী মানসিকতা এবং অসাধারণ শব্দবিন্যাস ও ছন্দের জন্য আজও বাঙালি মানসে কবিতাটি "চির উন্নত শির" বিরাজমান। বিদ্রোহী কবিতা প্রাক শত বর্ষের মুখে কাজী নজরুল ইসলাম-এর নামে "নজরুল রত্ন" সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে। কাজী নজরুল ইসলাম আর এক নাম দুখু মিয়া। 

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক আর কবি কাজী নজরুল ইসলামের মধুর সম্পর্ক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা প্রাপকদের মধ্যে অন্যতম হলেন উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ। 

কুমুদ সাহিত্য রত্ন (স্নেহাশিস চক্রবর্তী), শান্তিনিকেতন রত্ন (মনিরুল হক), বাদল সরকার রত্ন (নিগমানন্দ মন্ডল), নজরুল রত্ন (ফারুক আহমেদ), সাহিত্য রত্ন (বৈশাখী মিত্র চ্যাটার্জি), মঙ্গলকোট রত্ন (তুহিনা সুলতানা), বাচিক রত্ন (স্মৃতিকণা ভাদুড়ী), লোচনদাস রত্ন (রফিকুল ইসলাম খাঁন), হুগলি রত্ন ( তন্ময় ঘোষ), নুরুল হুদা রত্ন (আব্দুর রব), পূর্বস্থলী রত্ন (দীপঙ্কর চক্রবর্তী), গলসি রত্ন (সেখ নিজাম আলম), সমীরণ  রত্ন ( চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়), যামিনী রায় রত্ন ( দীপঙ্কর সমাদ্দার), অতুল্য ঘোষ রত্ন (অরবিন্দ সিংহ)।
এদিন তিনজন সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের পক্ষ থেকে। 

সুদিন মন্ডল (সংবাদ সারাদিন) ভাতার, পূর্ব বর্ধমান।

সুভাষ মজুমদার (তারকেশ্বর নিউজ) তারকেশ্বর, হুগলি। 

সুরজ প্রসাদ (নুতন ভোর)  সদর বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় আসছেন একঝাঁক কবি সাহিত্যিক ও শিল্পী। 
আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হচ্ছে। গত দশবছর ধরে চলছে এই সাহিত্য মেলা। এবারে আসছেন সাহিত্য একাডেমি থেকে আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের একাংশ।        

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক। বড়দের জন্য তো আমরা অনেকেই লিখি কিন্তু ছোটদের জন্য লিখতে পারি ক’জন ? সাহিত্যের ইশ্বর রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ছেলেভুলানো ছড়া প্রবন্ধে বলছেন। সৃষ্টিতে শিশু চিরপুরাতন অথচ চিরনুতন। ঠিক। শিশুর না আছে কোনো লিঙ্গ না আছে কোনো ধর্ম। তার একটাই পরিচয়, সে শিশু। তাদের জন্য লিখতে পারাটা বড়ই কঠিন কাজ। আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে কয়েকজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নামটি হল সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী শিশু-কিশোর সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। 

মন্দাক্রান্তা সেন কবি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনিই সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে মাত্র সাতাশ বছর বয়সে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান ‘হৃদয়ে অবাধ্য মেয়ে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য। তার বলিষ্ঠ রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুবসমাজকে আলোড়িত করে। সৃষ্টি ভেঙ্গে কদাকার রুপের পরিবর্তে সুন্দরের জয়গান গেয়ে চলেছেন কবি অবিরত। ভেঙ্গেছেন অনেক বাঁধ– আজও তার গতি সুললিতভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী সুন্দরকে আহ্বান করে। 

নলিনী বেরা কথা সাহিত্যিক বাংলার মেদিনীপুর জেলা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি ও মধ্যযুগ পরবর্তীতে শিক্ষার অঙ্গনে একটি অনেক বড় নাম। ‘গ্রাম দিয়ে নগরায়নকে আটকিয়ে’ দেওয়ার যে শ্লোগান ষাটের দশক পরবর্তী সময়ে উঠেছিল সেই প্রেক্ষপটে এক ঝাক লেখক উঠে এসেছিলেন এই বাংলায়। গ্রামের প্রকৃতিকে গায়ে মেখে গ্রাম্য সুবাস নিয়েই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর লেখক কবি সেই সময়কালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন আর মানুষ অকাতরে তার সাহিত্যকে একেবারে নিজের করে নিয়ে আজও এগিয়ে চলেছে, সেই ঘরানার এক লেখক, ঔপন্যাসিক হলেন নলিনী বেরা। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ উপন্যাসের জন্য। বাংলা কথা সাহিত্যের অনেক সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এই উপন্যাস। 

জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় উজ্জ্বল উপস্থিত থাকবেন। 

“তোমাকে দিলাম কবিতার বন্ধুতা

রুদ্র পলাশ ভুবনডাঙ্গার মাঠ

তোমাকে দিলাম নীল এক শামিয়ানা

বান্ধবময় স্নিগ্ধ বাগানঘাট

তোমাকে দিলাম সাত রঙ স্বরলিপি

প্রসাধনহীন বেদুইন ভালোবাসা

তোমাকে দিলাম স্বপ্নেতে লেখা চিঠি

বর্ষার রাত, জ্যোৎস্নার পরিভাষা ।“  

বাংলা আধুনিক সাহিত্যকে কাব্যধারায় সুললিত শব্দের প্রয়োগে গত কয়েকশো বছর ধরে যে সকল বাঙ্গালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করে চলেছেন– আজকের প্রজন্মে এসে অবশ্যই তার অনেকখানি দায় নিতে শুরু করেছেন এই প্রজন্মের লেখক কবিরা। অবশ্যই তার মধ্যে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের নাম জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের নতুন লেখক তা কিন্তু নয়, সাহিত্য সম্রাট বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের পঞ্চম প্রজন্ম তিনি।

ড. বিজলী সরকার রবীন্দ্র ও বঙ্কিম গবেষক অধ্যাপিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বঙ্কিম গবেষণাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন। সাহিত্যবিকাশে ও ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথের বঙ্কিমচন্দ্র’ ও আরও অনেক অনেক কাজ তিনি করেই চলেছেন আগামী প্রজন্মকে এক সদর্থক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই। 

ড. ললিতা পত্রী উপস্থিত থাকবেন। অধ্যাপিকা ললিতা পত্রী যদিও রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্রী এতদসত্ত্বেও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অকৃত্রিম টানে তিনি দু-দশখানা পুস্তক রচনা করেছেন। আর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পরিবার ‘পত্রী পরিবারের’ ভ্রাতৃবঁধু তিনি, সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কবি  পূর্ণেন্দুশেখর পত্রীর স্ত্রী এই পরিচয়কে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে না রেখে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে।  

কবি আরণ্যক বসু উপস্থিত থাকবেন। তাঁর লেখা মানুষের মনে দাগ কাটে।

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক

আমরা তখন প্রেমে পড়বো

মনে থাকবে ? ...

হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে ...

এই জন্মের দুরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব ...

এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন ...

প্রেমের অকুণ্ঠ আহ্বান নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আলোড়িত করেই। প্রেমের সদর্থক বার্তা বুঝিবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কবি সাহিত্যিকের হাত ধরেই এসেছে বারাবারে– সমস্ত সমাজ ভাঙ্গনের চিন্তাকে সরিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূরে। 

কবি অমিত চক্রবর্তী উপস্থিত থাকবেন। পুরনোকে ভেঙ্গে নয়, পুরনো ডাক দেয় নতুনকে– আর সেই আহ্বানে সাড়া দেন পরবর্তী প্রজন্ম। নতুন প্রজন্মের নতুন এক স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন কবি অমিত চক্রবর্তী তাঁর লেখনীকে পাথেয় করে। 

সোনালী কাজী সবার পরিচিত শিল্পী। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি স্বাধীনতা লাভের জন্য আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কারিগর কবি কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি ছিলেন আকাশবাণীতে কর্মরত– ডিউটি শেষ করার আগেই এসে পৌঁছেছিল চরম দুঃখের খবর পেয়ে। সেই মুহূর্তে কোনো কলম নয়, কবি নিজস্বরে নিজেই তৈরি করলেন ‘রবিহারা’ কবিতা। যেটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমুল্য সম্পদ। সেই বিদ্রোহী কবি কাজীবনজরুল ইসলামের তৃতীয় প্রজন্ম হলেন সোনালী কাজী। বাচিক শিল্পজগতে ক্রমে তিনি মেলে ধরার চেষ্টা করছেন নিজেকে। আর কলমও চলছে আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে।

দীপঙ্কর সেন আবৃত্তিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।  বাচিক শিল্পী জগতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে একটি নাম আর তিনি হলেন আকাশবাণীতে কর্মরত দীপঙ্কর সেন।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি আসবেন। বর্তমান প্রজন্মের আর এক বলিষ্ঠ লেখক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ক্রমশ পাঠক বিস্তার তার লেখাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিক থেকে দিগন্তে।

সাহিত্যিকরা আসছেন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায়।            

আন্তর্জাতিক  মাতৃভাষা দিবসে কবি-সাহিত্যিক ফারুক আহমেদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে। অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গৌতম বুদ্ধ-এর স্ট্যাচু, ভারতরত্ন ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু ও ড. বি আর আম্বেদকর পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়।  

অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারন সভা সম্পন্ন হয়। 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন কয়েকটি গ্রুপ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজকুমার রাকসেল ও ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। এদের সঙ্গীত ও নৃত্যকলা সকলকেই মুগ্ধ করে। অতিথিরা তাঁদের বক্তব্য রাখার সময় সমগ্র অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
 
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আয়োজিত হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন কবি-সাহিত্যিক ও 'উদার আকাশ' পত্রিকা ও প্রকাশনের স্বনামধন্য সম্পাদক ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ফারুক আহমেদ-এর গায়ে শাল ও মাথায় পাগড়ী পরিয়ে দিয়ে এবং মেমেন্টো (রেলের ইঞ্জিন)  হাতে তুলে দিলেন অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের জোনাল সম্পাদক সমীর কুমার দাস ও জোনাল প্রেসিডেন্ট সি কে রাম। উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে বি এল বেরোয়া, অশোক কুমার ও আর পেরুমল। এছাড়াও অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপের প্রেসিডেন্ট জ্যোতি পাশোয়ান, সেক্রেটারি সঞ্জয় মন্ডল, কার্য়কারী প্রেসিডেন্ট এটোয়া ওরান, এডিশন্যাল সেক্রেটারি জলপা হাসদাঁ, ট্রেজারার গৌতম প্রামাণিক, জোনাল কমিটির কার্যকরী প্রেসিডেন্ট তপন কুমার মজুমদার ও পূর্ব রেলের প্রধান কার্যালয়ের সম্পাদক কঙ্কন কুমার গুঁড়ি, চানশী পাশোয়ান, তরুণ সমাজকর্মী তনুজ কুমার মজুমদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন পূর্ব রেলের সাধারন সম্পাদক সমীর কুমার দাস।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর (১৪ এপ্রিল ১৮৯১ - ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় জ্যুরিস্ট, রাজনৈতিক নেতা, বৌদ্ধ আন্দোলনকারী, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ , ঐতিহাসিক, বাগ্মী, বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, পণ্ডিত, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিপ্লবী ও বৌদ্ধ পুনর্জাগরণবাদী। তিনি বাবাসাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ইনি ভারতের সংবিধানের মুখ্য স্থাপক। 

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু উদ্বোধনের পর বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে কবি-সাহিত্যিক ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অফিস কোর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর মর্যাদার জন্য সর্বদা কাজ করে চলেছে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের পক্ষ থেকে ফারুক আহমেদকে পুরস্কৃত করায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর ভাব-আদর্শে অনুপ্রাণিত ফারুক আহমেদ। তাঁর স্বপ্নের উদার ভারত গড়তে ফারুক আহমেদ-রা বদ্ধপরিকর আছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর দারিদ্র মুক্তি ও জাতপাতহীন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। ভারতের সংবিধান রচনার সময় তিনি এসসি, এসটি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছিলেন। সকল শ্রেণি মানুষকেই তিনি মর্যাদার আসনে তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 

ফারুক আহমেদ বেশ কয়েটি পুরস্কারও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। ২০১১, ২০১২ ও ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছোটো পত্রিকা সমন্বয় সমিতি "উদার আকাশ"কে শ্রেষ্ঠ শারদ সংখ্যা নির্বাচিত করে। ২০১২ সালে লিটল ম্যাগাজিন বিভাগে "উদার আকাশ" 'নতুন গতি' পুরস্কার পায়। বারাসত রবীন্দ্রভবনে কথামালা আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব ২০১৭-র অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদকে 'কথামালা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা' প্রদান করা হয়। অল ইন্ডিয়া এস সি এণ্ড এস টি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ফারুক আহমেদকে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ২০১৬ সালের  ৯ সেপ্টেম্বর। নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য সংসদ কবি ফারুক আহমেদকে ২০১৭ সালে "চর্যাপদ" পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। মুর্শিদাবাদ জেলার ইমাম মুয়াজ্জিন সংগঠনের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হিসেবে ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে "প্রতিচ্ছবি" সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে। 

উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ ভাঙড়ের ভূমিপুত্র। এলাকার গর্ব। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তিনি অগ্রদূত। সাহিত্য সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে 'কলামন্থন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে'র পক্ষ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 'রোটারি সদনে' পুরস্কৃত করা হয় "আজীবন কৃতিত্ব  সম্মাননা" দিয়ে। 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলন উৎসবে 'পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমে'র পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন সমাজকল্যাণকর কাজের জন্য। 

বাংলার স্বনামধন্য সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ফারুক আহমেদকে স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন। তাঁর প্রতিটি বিশেষ সংখ্যা সস্নেহে উদ্বোধন করেছেন ও মূল্যবান পরামর্শ দান করেছেন মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আবুল বাশার, জয় গোস্বামী, কল্যাণী কাজী,কবীর সুমন, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নূপুর কাজী, মোস্তাক হোসেন, সুনন্দ সান্যাল প্রমুখ সাহিত্যিক।

স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন সাহিত্যের আর এক পৃষ্ঠপোষক ও উদ্যোগপতি মোস্তাক হোসেন।

সাহিত্যের পৌরোহিত্য করার সাথে-সাথে একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে সমকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া নানান অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেমন জোরালো কলম ধরেছেন তেমনি জোরালো কন্ঠস্বরে প্রতিবাদও করেছেন। এমনকি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের মিছিলে পাও মিলিয়েছেন। ২০১৪ সালে আক্রান্ত আমরা-র নেতৃত্বে ও আরও কয়েকটি সংগঠন মিলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ফারুক আহমেদ তার অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই ডেপুটেশনের পর আলাদা সাক্ষাৎ করে ফারুক আহমেদ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে "উদার আকাশ" পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা ও "উদার আকাশ" প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনী এবং দিলীপ বেঙ্গসরকার-এর হাতেও "উদার আকাশ" প্রকাশনের গ্রন্থ তুলে দিয়ে তাঁদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাতেও "উদার আকাশ"-এর বিশেষ সংখ্যা "উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ" তুলে দিয়েছিলেন। রাজ্যের অনেক মন্ত্রীগণ তার প্রকাশনার গ্রন্থ ও পত্রিকা প্রকাশ করেছেন এবং কলম ধরেছেন।

সম্প্রতি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় উদার আকাশ পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদার আকাশ পত্রিকা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুদাংশু শেখর দে, বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক অভীক মজুমদার, সাংসদ দোলা সেন, বাংলাদেশের কবি পাবলো শাহি ও ফিরোজা বেগম।

 ২০১৬ সালে বিখ্যাত তাজ হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন-এর। এরপর ওই সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অমর্ত্য সেন প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উপর গবেষণা মূলক একটি রিপোর্ট।  ড. অমর্ত্য সেন-এর প্রতিষ্ঠিত প্রতিচি ট্রাস্ট, গাইডেন্স গিল্ড এবং স্ন্যাপ সংগঠনের উদ্যোগে কলকাতার গোর্কি সদনে বই আকারে ওই রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ফারুক আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

ফারুক আহমেদ-এর সবচাইতে বড়ো গুণ তিনি নিজে লেখার চাইতে অপরকে বেশি লেখাতে ভালবাসেন। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে অনেক প্রতিভা কুঁড়ে-ঘরের অন্ধকারে বসে নীরবে সাহিত্য-সাধনায় মগ্ন আছেন। শহরের নামজাদা পত্র-পত্রিকাগুলিতে তাদের স্থান হয় না। বলা ভালো পাত্তা মেলে না। ফারুক আহমেদ তাঁদের লেখাকে "উদার আকাশ"-এর পাতায় মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরছেন নিরন্তর। অন্যদিকে কারও-কারও ভালো লেখার হাত, কিন্তু লিখতে চান না। এঁদের পিছনে লেগে থেকে সুন্দর লেখা বের করে আনার মতো পুণ্যের কাজ ফারুক আহমেদ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। 

      এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই তার প্রকাশনার জগতে পা-রাখা। এ-বিষয়ে তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছায় জন্ম হয়েছে 'উদার আকাশ" প্রকাশনের'। এখানেও ইতিমধ্যেই মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন তিনি। দুই বাংলার লেখকদের ৮১ টি বই এযাবৎ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর 'উদার আকাশ' প্রকাশন় থেকে। প্রতিটি বইয়ের বিষয়, ছাপার মান, কাগজ ইত্যাদি যে-কোনও বড়ো প্রকাশনের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। 'উদার আকাশ' প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো 'পশ্চিমবাঙলার বাঙালি মুসলমান অন্তবিহীন সমস্যা', - খাজিম আহমেদ, 'জীবনশিল্পী রোকেয়া', - ড. মীরাতুন নাহার, 'ইসলামের ভুবন', এবং 'মোদীর ভারত, গান্ধীর ভারত', - গৌতম রায়, 'মানুষ-মাটি-মা' ও 'জন্মভূমিশ্চ', - মোশারফ হোসেন, 'নজরুল সাহিত্যের দিগ্বলয়,' নুরুল আমিন বিশ্বাস,  'জলের কান্না', - পলাশকুমার হালদার, 'সাম্যবাদ : ভারতীয় বিক্ষণ', আর 'নজরুল নানা মাত্রা,'-  শেখ মকবুল ইসলাম, 'পরিবর্তনের সন্ধানে মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলমান', - সৌমেন্দ্রকুমার গুপ্ত' 'মহাশ্বেতা দেবীর গল্পবিশ্ব : লৈঙ্গিক প্রতিরোধ', শিবুকান্ত বর্মন, 'দ্য সেকুলার ভিশন অফ কাজী নজরুল ইসলাম,' আবুল হোসেন বিশ্বাস, 'নজরুল সাহিত্যে দেশকাল,' সা'আদুল ইসলাম, 'গৌরকিশোর ঘোষ মুসলিম জীবন ও অভিমানস', শেখ মুঈদুল ইসলাম প্রমুখ।

ফারুক আহমেদ, তিনি নিজের সম্পাদনা কাজেও তাঁর মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। যা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো 'রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু', 'কংগ্রেস ও বাম-শাসনে মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্ক', 'আত্মপরিচয়ের অন্বেষণ', 'পশ্চিমে সূর্যোদয় রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উলটপূরাণ', 'প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন', 'মূল্যবোধের অবক্ষয়' 'ফুরফুরা শরিফের পয়গম', সহ বেশ কয়েটি গ্রন্থ। 

আগেই বলেছি নিজে লেখার চাইতে অন্যকে লেখাতে বেশি আনন্দ পান ফারুক আহমেদ। তবুও ধীর গতিতে হলেও নিজের মৌলিক লেখালেখি ও গবেষণার কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে গুণগ্রাহীদের চাপে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'বিশ্বপ্রেম'  প্রকাশিত হয়েছে ও তাঁর গল্পগ্রন্থ 'বিনির্মাণ' প্রকাশিত হতে চলেছে। 

বাংলায় তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের টক-শোতে চ্যানেলের আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকেছেন তিনি। তাঁর মূল্যবান বক্তব্য সে তুলে ধরেছেন বাংলার ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। ২০০৭ সাল থেকে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক ভাবে জনমত গড়ে তুলতে আন্দোলন করছেন এবং সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও করেছেন।

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের মাটি থেকে তাঁর এই যে উড়ান, তা কেবল তাঁর একার প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই। বর্তমান সময়-কালে শহরের পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলে কেউই ওড়ার সাহস দেখাতে পারেনা। খুব কাছ থেকে অনেকেই দেখেছেন তাই অনেকেই বলতে পারেন কেবলই ইচ্ছে-ডানায় ভর করেই তাঁর এই উড়ান। এই মুহূর্তে ফারুক আহমেদ একাধারে জনপ্রিয় সম্পাদক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজ-চিন্তাবিদ ও দক্ষ সংগঠক। 

গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ তাঁরই উদ্যোগে কলকাতার আইসিসিআর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা-পদ্মা সাহিত্য-সৌহার্দ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান "ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব-২০১৭।" দুই বাংলার সংস্কৃতি ও সাহিত্যি-জগতের মেলবন্ধনের মাধ্যমে দুই বাংলা একত্রিত থাকবে আজীবন, ফারুক আহমেদ'দের এই কামনা একদিন যথার্থ হয়ে উঠবে, দল-মত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে, যেদিন থাকবে না কোনও লুকনো বিদ্বেষ, ভারতবাসী হিসেবে আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি। সেই সুদিন, --যা অনিবার্য, এবং একদিন আসবেই।  

ফারুক আহমেদের পিতা মোহাম্মদ আবেদ আলি ও মা ফজিলা বেগম, স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস, কন্যা রাইসা নূর, মূল্যবান দীপ্তিময়ী তারার অনুপ্রেরণাতেই সাহিত্য আকাশে ফারুক আহমেদ বিরল প্রতিভাদের মধ্যে এক অচেনা আকাশ জ্বলজ্বল করছেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২০

মানসিক অসুস্থ যুবক কে বাড়ি ফেরালো কৈচর পুলিশ

পারিজাত মোল্লা

এক নিখোঁজ মানসিক অসুস্থ যুবক কে বাড়ী ফেরালো মঙ্গলকোটের কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। চলতি সপ্তাহে দুরমুট এলাকায় রুস্তম সেখ নামে এক যুবক কে ইতস্ততভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য কে অবগত করান। আইসি জানার সাথেসাথেই ওই যুবক কে ফাঁড়িতে এনে বাড়ীর ঠিকানা জোগাড় করে দ্রুত ডেকে পাঠান পরিবার কে। জানা যায় নদীয়ার তেহট্ট এলাকায় ফরিদপুরে আকাশ সেখের ছেলে রুস্তম বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক অসুস্থ। ছেলে কে পেয়ে খুশি পরিবার। কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির মানবিক ভূমিকায় খুশি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশমহল।                                     

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২০

নবাবহাটে শিবরাত্রীতে সেফ ড্রাইভ

SAFE DRIVE SAFE LIFE স্বার্থক করতে নবাবহাট যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিবরাত্রি উপলক্ষে ১০৮ শিব মন্দিরের সামনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উপস্হিত ছিলেন খোকনদাস,আইনূল হক,প্রধান জাহানারা খাতুন, অভিজিৎ সোম,কর্মাধ্যক্ষ সেখ চাঁদু ,দুই তপন রায়, লালন কাজী ,উপপ্রধান মানিক নন্দী  সহপঞ্চায়েত সদস্য ও অনান্যরা
(বর্ধমান১ নং ব্লক,পূর্ব বর্ধমান জেলা)

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২০

ট্রাফিক দেখতে ননস্টপ ডিউটি কৈচর পুলিশের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
  রাজ্যের ব্যস্ততম সড়ক রুট হিসাবে পড়ে থাকে বর্ধমান কাটোয়া সড়কপথ। এই পথের মধ্যে পড়ে সদর বর্ধমান, ভাতার, বলগনা, কৈচর, নিগন, শ্রীখণ্ড, কাটোয়া সদরের মত এলাকাগুলি। স্বাভাবিকভাবে এই পথে ছুটে শয়ে শয়ে গাড়ি, তার উপর গত ২২ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলকোটের নুতনহাট সংলগ্ন লোচনদাস সেতুর মেরামতি শুরু হওয়ায় এই সড়কপথে গাড়ীর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ গাড়ি ঘুরপথে যাচ্ছে বর্ধমান - কাটোয়া সড়করুটে। তাই এই রুটে ট্রাফিক সমস্যা দেখা যায় বেশি। মঙ্গলকোটের নিগন - কৈচর সড়কপথে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে থাকত টোটো গাড়ি। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে, একাধারে লোচনদাস সেতু সংস্কারে গাড়ী গুলি এই রুটে চলাচল করা, অপরদিকে টোটোর দৌরাত্ম। এই দুইএর মাঝে চলে আসে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দ্রুত ট্রাফিক সমস্যা মেটাতে কৈচর পুলিশ ফাঁড়ি স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্বের পাশাপাশি টোটা ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে টোটা চালকদের মূল সড়কের সাথে লিংক রোড গুলিতে থাকবার কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি  নিগন, কৈচর, বাজার বনকাপাসি সড়কমোড় গুলিতে তিনটি সময়কালে চারজন করে পুলিশ কর্মী দেওয়া হয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য জানান - " মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ সাধারণ যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য কড়া নজরদারিতে ট্রাফিক দেখা হচ্ছে "।                                                                     

১৮ তম রাজ্য যোগাসান প্রতিযোগিতা হলো

শরীর-মনকে সুস্থ তরতাজা রাখতে যোগাসনের বিকল্প নেই। পৃথিবীর এগিয়ে থাকা দেশগুলিতে যোগাসনের উপর নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে। সারা দুনিয়ায় যোগাকে জনপ্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উদ্যোগী হয়েছেন। 
আমাদের দেশেও নতুন করে যোগাসনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাতেও যোগাসনের ব্যবহার বাড়ছে। সারা বছরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যোগাসন প্রতিযোগিতাও ক্রমশ বাড়ছে। যাদবপুরের অঞ্জনা যোগা ফিজিও কেন্দ্র বহু বছর ধরে যোগাসন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সম্প্রতি তাদের 18 তম সারা বাংলা যোগাসন প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। সহযোগিতায় ছিল বেঙ্গল যোগা জাজেস অ্যাসেম্বলি। রাজ্যের 17 টি জেলা থেকে 987 জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উদ্বোধন করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। প্রতিযোগিতায় মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উত্তর 24 পরগনার প্রমিতি বর্মন। রানার আপ হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনুষ্কা চ্যাটার্জী। ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হাওড়ার সোহম মুখার্জি আর রানার আপ দক্ষিণ কলকাতার দেবজিৎ চন্দ্র। 
যোগাসন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেয় 67 জন।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২০

বেলেঘাটা শিশুখুনে প্রকৃত পিতা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি আদালতের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে বেলেঘাটা কান্ডে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়।মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের এই আবেদন গ্রহণ করেছে শিয়ালদহ আদালত। মৃত শিশুর সঠিক পরিচয় জানতে বাবা ও মায়ের উভয়রেই ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই এনআরএস হাসপাতালের সাথে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। এই মুহূর্তে মৃত শিশুর মা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বেলেঘাটা থানা এলাকায় এক ম্যানহোল থেকে দুমাসের সদ্যোজাত শিশুর  মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায় সন্ধ্যা জৈনের সন্তান এটি। পুলিশি তদন্তে মৃতের মা মানসিক অশান্তির জন্য নিজের সন্তান কে খুন করেছে বলে দাবি করে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে সন্তান খুনে অপহরণ ত্বত্ত্ব দেখিয়েছিল অভিযুক্তা। পুলিশ জানতে পারে, বিবাহের পূর্বে সন্ধ্যা জৈন হরিয়ানার এক যুবকের সাথে টানা দশ বছর প্রেম চালিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফেসবুক চ্যাটিংতে তার প্রমাণ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ মৃত শিশু টি অবৈধ সম্পর্কের পরিণতি কিনা তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন রাখে শিয়ালদহ আদালতে। সোমবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের এই আবেদন গ্রহণ করে শিয়ালদহ আদালত। মৃতের মা সন্ধ্যা জৈন এবং বাবা সুদর্শন জৈনের রক্তের নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা হবে এনআরএস   হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর সাথে ডিএনএ পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ।                                                                                                              

কাটোয়া বর্ধমান রেলরুটের ট্রেনের টাইম টেবিল

পুলকেশ ভট্টাচার্য

বর্ধমান থেকে কাটোয়া রেলরুটের ট্রেনের টাইম টেবিল জেনে নিন। দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে বড় লাইনের ট্রেন চলাচল করার দাবি ছিল। তা পূরণ হয়েছে।        

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২০

চলতি বছরে কুমুদ সাহিত্য রত্ন সম্মান পাচ্ছেন গবেষক স্নেহাশিস চক্রবর্তী

২০২০ সালে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'কুমুদ সাহিত্য রত্ন' পাচ্ছেন গবেষক ও প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গতবছর বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন মহাশয়া পেয়েছিলেন  এই সম্মান। 

মোল্লা  জসিমউদ্দিন (সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২০

লোচনদাস সেতুতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়ী চলাচল করবে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা। যাতে পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের সীমান্তবর্তী মঙ্গলকোট ও নানুর থানা এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুর একাংশ। কেননা এই সেতু মেরামতির কাজ এখনও শেষ হয়নি। গত ২২ জানুয়ারি ৮৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদানে লোচনদাস সেতুর পিলার সহ পিচের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ঘোষিত দিনক্ষণ হিসাবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও সংস্কারের সময়সীমা আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও অজয় নদের লোচনদাস সেতু সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সঞ্জীব বাবু জানিয়েছেন - "আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা যান চলাচলে পুরোপুরি উপযোগী করে তুলবো "। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানান - " মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ বাহিনী থাকবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়ী এপার ওপার যাওয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের  জন্য " ।  কেউ কেউ আশংকা করছেন - 'লোচনদাস সেতুতে চারচাকা ছোট গাড়ি যাতায়াত শুরু হলে,  অন্য ছোট চারচাকা গাড়ীগুলি সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতে চেস্টা করবে, তাতে বচসা - গন্ডগোল হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা আছে '। এই বিষয়টি অনুধাবন করেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন গন্ডগোলের মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্য দশের কাছাকাছি পুলিশকর্মী রাখছে বলে জানা গেছে  ।   উল্লেখ্য, কুড়ি বছর আগে মঙ্গলকোটের নুতনহাট সংলগ্ন অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতু নির্মাণ হয়। পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের সংযোগকারী সেতু হিসাবে রয়েছে। সেইসাথে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের শর্টকাট সড়করুট হিসাবে প্রতিদিন এখানে হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নিচে অজয় নদের চরে যততত্র বালিঘাট চালু থাকায় সেতুর পিলার গুলি দুর্বল হয়ে উঠে। এরেই পাশাপাশি সেতুর পিচ গুলি উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে যায়। প্রতিনিয়তই ঘটতো পথ দুর্ঘটনা। প্রাণহানির সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছিল। একাধারে সেতুর পিলার সংলগ্ন বেআইনী  বালিঘাট, অপরদিকে বীরভূমের পাঁচামী থেকে আগত অত্যাধিক পাথর বোঝাই গাড়ি এই সেতুকে দিনের পর দিন বিপদজনক করে তুলছিল। এমতাবস্থায়, রাজ্য সরকারের তরফে ৮৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় লোচনদাস সেতুর সংস্কারের জন্য। গত ২২ জানুয়ারি থেকে এই সেতুর উপর যানচলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই রুটের গাড়িগুলি একাধারে আউশগ্রাম হয়ে বোলপুরগামী হয়। অপরদিকে  অন্য গাড়িগুলি যাজীগ্রাম হয়ে ফুটিসাকো গামী হয়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুর একাংশ। যাতে অন্য সাধারণ গাড়ি গুলি যাতায়াতে গন্ডগোল না করে সেজন্য মঙ্গলকোট থানার পুলিশ টহলদারি চালাবে সেতুতে।                                                                                                                                                                                   

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২০

পুনরায় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা বার্তা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

ফের কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে সাধুবাদ  উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর 


পারিজাত মোল্লা
  

মঙ্গলকোটের কোগ্রামে  পল্লিকবি  কুমুদরঞ্জন  মল্লিক  এর  জন্মদিন  উপলক্ষে  কুমুদ  সাহিত্য  মেলা কমিটির  উদ্যোগ  কে  সাধুবাদ  জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন  মন্ত্রী  রবীন্দ্রনাথ  ঘোষ  মহাশয় । তিনি গত বছরেও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন । সম্প্রতি  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কলকাতা  অফিসে ( মিত্র ভবনে) কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা  জসিমউদ্দিন এর সাথে মন্ত্রী  মহাশয়  পল্লিকবির জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত জানেন।

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২০

আগামীদিনে অন্ডালে মনোরেল গড়ার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
 একাধারে যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার  আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল পরিষেবা চালু করলো, ঠিক সেইরকম পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরে সৃজনি পেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে রাঢ় বাংলায় রেল যোগাযোগে গতি বাড়াতে 'মনোরেল' গড়ার প্রস্তাবনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেলের ভাবনাটি ছিল একদা রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই।  অন্ডাল বিমানবন্দর ঘিরে যে মনোরেল গড়ার প্রস্তাবনা টি এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় তুললেন। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাগুলির মানুষ অত্যাধুনিক রেলযোগাযোগে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। 
দুর্গাপুর থেকে একদিকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, আবার দুর্গাপুর থেকে বাঁকড়া সদর অবধি মনোরেল গড়ার প্রস্তাবনা টি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এটি মুলত অন্ডাল বিমানবন্দর ঘিরে রেল ভাবনা টি বলে জানিয়েছেন তিনি।  গত বুধবার বিকেলে দুর্গাপুরে প্রায় তিন কিমি জুড়ে  এনআরসি বাতিলের দাবিতে মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ দুর্গাপুরের সৃজনি পেক্ষাগৃহে দুই বর্ধমানের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি সহ রাজ্য পুলিশ - প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে 'মিনি নবান্ন' বসান মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে ইসিএলের কয়লা খনি সংলগ্ন এলাকায় ধসে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্দ হন মুখ্যমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কেন হাউজিং করছেনা?  তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইসিএলের অব্যবহৃত জায়গা গুলি পড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী কে। ইসিএল জায়গা দিলে রাজ্য সরকার হাউজিং গড়ে দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সাথেসাথেই  পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক কে ইসিএল - ইস্কোদের প্রশাসনিক চিঠি  লেখার নির্দেশ দেন। কাজ না হলে তিনি নিজেই লিখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। ইতিপূর্বে রাজ্য সরকার ইসিএল এবং ইস্কো কে প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছে বলে দাবি রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। কুলটি জল প্রকল্প উদঘাটন করে আসানসোল মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি কে রাণীগঞ্জের পানীয় জলাধার দ্রুত করার নির্দেশ দেন। সম্প্রতি দুর্গাপুরে এক কারখানায় ২৯ জন শ্রমিকদের ছাঁটাই এবং নুতন করে ২৯ জন নবাগত শ্রমিকদের অন্তভুক্তিকরণ নিয়ে ঝামেলা মেটাতে শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক কে দুপক্ষদের নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ দিনের মধ্যেই এই শ্রমিক সমস্যা মেটানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।   কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে নথিভুক্তদের তাদের কাগজপত্র নবনীকরণ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায়। কাঁকসা ব্লক পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে পড়লেও প্রশাসনিক কাজকর্ম প্রায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় হয়। এহেন সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী  আসানসোল প্রেসক্লাবের জন্য বিল্ডিং করার নির্দেশ দেন  মেয়র কে। আগামী ১ লা বৈশাখের আগেই যেন প্রেসক্লাবের সব ব্যবস্থা হয়। তাও জানিয়ে দেন তিনি। রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোর করে  ধর্মান্তরিতকরণ বাংলায় করতে এলে তা পুলিশ প্রশাসন কড়া হাতে রুখবে বলে জানান তিনি। বেশকিছু এনজিও সার্ভে করার নামে ব্যক্তিগত তথ্য জানার চেস্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। আজকের প্রশাসনিক বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আসানসোল - দুর্গাপুরের দুই মেয়র, আসানসোল পুলিশকমিশনার সহ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন।                 
       

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০

সিঁথির ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সিঁথির এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে এক মামলা দাখিল হয়। তাতে শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ নিহত ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ পুলিশ এই ঘটনার প্রথম পর্ব থেকে কি কি ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে তার সবিস্তর রিপোর্ট চেয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে  । ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসারদের ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে সিঁথি থানায় ৩৪ আইপিসিতে ১৬৬, ১৬৬ এ, ৩৩০,৩৪২,৩৪৮ এবং ৩০৪ ধারায় মামলা দাখিল করেছে।উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে এক কাগজকুড়ানির চোরাই লোহা সামগ্রী বিক্রির তদন্তে স্থানীয় লোহা ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউ (৫৪) কে তলব করে সিঁথি থানার পুলিশ। তাতে পুলিশি হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে এই ব্যবসায়ীর। পুলিশের তরফে মৃত্যুর জন্য রোগ কে দায়ী করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবি - থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মারধর করার জন্য মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয় এবং নিহতের ছোট ছেলের বয়ান রেকর্ড হয় শিয়ালদহ আদালতে। পুরো ঘটনাটি পুলিশের তরফে ভিডিওগ্রাফি করা হয় বলে জানা গেছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় একজন সার্জেন্ট সহ দুজন সাব ইনস্পেকটরের নাম জড়ায়। সোমবার রাতে সিঁথি থানায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে তৃণমূল বনাম বিজেপির বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভ দেখা যায়। এমনকি নিহত ব্যবসায়ী কে দলীয় সমর্থক দাবি করে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ ঘটনার গুরত্ব বুঝে অভিযুক্ত তিনজন পুলিশ অফিসার দের ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে থাকে। অপরদিকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এক জনস্বার্থ মামলায় নিহত ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়ে।                                                                                                                                                     

মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিললো

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে মামলার শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণের অনুমতি দেয়। দীর্ঘ ৬ মাস পর অনুমতি মিললো। মূলত এসপ্লানেট এবং শিয়ালদহের মাঝখানে দুটি ট্যানেলে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করা যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে এইমুহূর্তে কাজ করা যাবেনা। মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থা পুরো ব্যাপারটি নজরদারিতে রাখবে। সেইসাথে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট পেশ করবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সপ্তাহের পর বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ।উল্লেখ্য, গত শুনানিতে   কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশের সময়সীমা ছিল রাজ্যের। তবে রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল - 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নেই'। জানা গেছে, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে এই ধরণের পাতাল রেললাইন গড়তে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছিল । এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।তাতে মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থাটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে উঠে আসে। এর আগের শুনানিতে মেট্রোরেল অধীনস্থ কেএমআরসিএলের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে অনুমতি চাওয়া হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উক্ত সংস্থা কে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার রিপোর্ট টি রাজ্য কে জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আওতাধীন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কেএমআরসিএলের রিপোর্ট টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে আগে নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে হবে, তা পরিস্কার করে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছিল - 'মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। গত বছরের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পায়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন  নির্মাণে  বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে।  যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত  ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি পুনরায় উঠেছিল। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।৫ মিটার বোরিং করার পর পুনরায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে। গত শুনানিতে এই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল - কেএমআরসিলের রিপোর্ট টি দেখবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। দুপক্ষের আলোচনায় অনুমতি নিয়ে পর্য্যালোচনা চলবে। রাজ্য সম্মতি দিলেই বোরিং করার ছাড়পত্র মিলবে। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায় - 'বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধীনে পাতাল রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়। এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহ এর মাঝখানে দুটি ট্যানেলে এই সম্প্রসারণ চলবে। তাও মাদ্রাজের আইআইটির ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট দেখে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে অবশ্য কোন কাজ হবেনা। ৪ সপ্তাহের পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।                                                                                                                                                                


মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২০

সম্মানিত করা হলো কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক কে

পারিজাত মোল্লা
  
মফস্বল সংবাদ পত্রিকা হিসাবে জেলার যেকটি কাগজ ত্রিশ বছর পার করেছে। তার মধ্যে গলসির পুরসা থেকে সেখ নিজাম আলম সম্পাদিত 'সকলের জন্য' পাক্ষিক পত্রিকাটি অন্যতম। প্রতি বছরের মত এ বছরেও বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এই মফস্বল সংবাদপত্রিকা কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকেল থেকে রাত আট পর্যন্ত চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য সেইসাথে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষজনের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সাংস্কৃতিক সভায় ছিলেন গলসি বিধায়ক অলোক মাঝী, জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল,  প্রমুখ। এদিন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার প্রসারের জন্য সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন এবং এক সাংবাদিক সংগঠনের কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ কোনার কে সংবর্ধনা জানানো হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে পত্রিকা সম্পাদক সেখ নিজাম আলম বলেন " প্রতি বছর পত্রিকার তরফে অপসংস্কৃতি রুখতে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয় "।                                                                        

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER