সংবাদদাতা, হাওড়া: তিন দশক আগে পশ্চিমবাংলার হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানার অন্তর্গত অচেনা খলতপুর গ্রামে গড়ে ওঠে আম-আমীন মিশন। পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সমাজে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে মাত্র ১১ জন ছাত্র নিয়ে এর পথ চলা শুরু হয়। বর্তমানে রাজ্যের ৬৩ টি আবাসিক কেন্দ্রে প্রায় এগার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত। আজ ২৭ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে আল-আমীন মিশন অতীতের সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করল । এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ১২৩ জন। ছাত্র পরীক্ষাথী ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৯ জন। এবং ছাত্রী ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৯ জন।এ বার পাশের হার ৮৫.৬৫%।
১৯ টি শাখার ৭৪৪ জন ছাত্র ও ৮ টি শাখার ৩২৪ জন ছাত্রী অর্থাৎ মিশনের মোট ১০৬৮ জন পড়ুয়ার সবাই সফল হয়ে কীর্তিমান গড়ল। এর মধ্যে ৯০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২২৭ জন, ৮০% বা তার বেশি পেয়েছে ৭৫৪ জন , ৭০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৯৯৯ জন, ৬০% বা তার বেশি পেয়ে পাশ করেছে ১০৫৩ জন।
মিশনের মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাশঙ্ক করেছে দক্ষিন ২৪ পরগণার কাছিমারা গ্রামের পাইকপাড়ি শাখার আব্দুল মালেক খান। রাজ্যস্তরে তার র্যােঙ্ক ১০ম ও প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। সে বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯২, গণিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৮ ও ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। আল-আমীনের অর্থানুকূল্যে সামান্য এক অটো ড্রাইভারের সন্তানের এই সাফল্যে তাদের গ্রামে খুশীর হাওয়া।খুব মৃদুভাষী এই মেধাবী ছাত্রের ইচ্ছা ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবা করা।
বাবা মা উভয়েই উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, বাবা কারখানার শ্রমিক, মা গৃহবধূ--এরকম পরিবারের একমাত্র ছেলে আফতাব আহমেদ রাজ্যস্তরে একাদশ হয়ে তার এলাকাকে গর্বিত করল।আল-আমীন মিশনের এই ছাত্রের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৬৮০। গণিত ও ভূগোলে ১০০ পাওয়া এই মেধাবী ছাত্র বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮ ও ইতিহাসে ৯৬ পেয়েছে। ফুটবল খেলা ভক্ত এই তরুণটির জন্ম বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চাকটা গ্রামে। একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারের এই মেধাবীর ইচ্ছা দেশের সেরা আই আই টি -তে পড়ে ইঞ্জিনীয়ার হওয়া। মিশনের সেক্রেটারি এম নুরুল ইসলাম ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও পড়ানোই তার সাফল্যের মুল কারণ বলে জানায় সে।
মিশনে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে রাজ্যস্ত্রে ১৭তম হয়েছে ধুলিয়ান শাখার মিস রুমানা। তার এই অদ্ভুত নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানা গেল তার আব্বা পেশায় ইঞ্জিনীয়ার এক্রামুল হকের ইচ্ছা এটি । রুমানার বাড়ি মালদা জেলার দৌলতটোলা গ্রামে।গণিতে ১০০ পাওয়া রুমানা বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ও ভূগোলে ৯৭ করে পেয়েছে। ভালো কার্ডিওলজিস্ট হয়ে গ্রামের মানুষদের ফ্রীতে চিকিৎসা করতে ইচ্ছুক এই মেধাবী ছাত্রী গল্পের বইয়ের খুবই ভক্ত।
গণিত ও ভৌত বিজ্ঞানে ১০০ করে , জীবন বিজ্ঞান ও ইতিহাসে ৯৬ করে, বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯০, ভুগোলে ৯৮ অর্থাৎ মোট ৬৭১ পেয়ে মিশনে মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগণার তেঘরিয়া গ্রামের তামান্না জামান।রাজ্যস্তরে তার স্থান ২০তম । ছোট ব্যবসা করেন তার বাবা গ্র্যাজুয়েট সেখ মইনুজ্জামান, মা গৃহবধূ।মেধাবী তামান্নার ইচ্ছা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার। মিশনের শিক্ষার পদ্ধতি ও সঙ্গে নৈতিকতার অনুশীলন তাকে এই সাফল্য দিয়েছে বলে সে জানায়।
মাধ্যমিকের এই ফলাফলে মিশনের আরও যারা ২০-র মধ্যে র্যিঙ্ক করেছে তারা হল, পাইকপাড়ি শাখার সাবির মণ্ডল ( রাজ্য র্যা ঙ্ক ১৩তম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮), খলতপুর শাখার জাহিদ হাসান মোমিন ( রাজ্য র্যারঙ্ক ২০ তম , প্রাপ্ত নম্বর ৬৭১)।
মিশনের এই ফলে স্বভাবতই খুবই খুশী মিশনের কর্ণধার এম নুরুল ইসলাম। তিনি সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আল-আমীন মিশনের লক্ষ্যই হল পিছিয়ে পড়াদের শিক্ষায় উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন , মিশনের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই একেবারে প্রান্তিক শ্রেণির এবং তাঁদের অনেকেই ফুল ফ্রী,হাফ ফ্রী এবং বিভিন্ন রকম ছাড় নিয়ে পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ে উত্তীর্ণ ও পাঠরত মিশনের প্রাক্তনীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০ জন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সংখ্যালঘু সমাজের তরুণ তরুণীরা সমাজ, রাজ্য ও দেশের উন্নয়নে সবসময় নিয়োজিত থাকবে।
১৯ টি শাখার ৭৪৪ জন ছাত্র ও ৮ টি শাখার ৩২৪ জন ছাত্রী অর্থাৎ মিশনের মোট ১০৬৮ জন পড়ুয়ার সবাই সফল হয়ে কীর্তিমান গড়ল। এর মধ্যে ৯০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২২৭ জন, ৮০% বা তার বেশি পেয়েছে ৭৫৪ জন , ৭০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৯৯৯ জন, ৬০% বা তার বেশি পেয়ে পাশ করেছে ১০৫৩ জন।
মিশনের মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাশঙ্ক করেছে দক্ষিন ২৪ পরগণার কাছিমারা গ্রামের পাইকপাড়ি শাখার আব্দুল মালেক খান। রাজ্যস্তরে তার র্যােঙ্ক ১০ম ও প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। সে বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯২, গণিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৮ ও ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। আল-আমীনের অর্থানুকূল্যে সামান্য এক অটো ড্রাইভারের সন্তানের এই সাফল্যে তাদের গ্রামে খুশীর হাওয়া।খুব মৃদুভাষী এই মেধাবী ছাত্রের ইচ্ছা ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবা করা।
বাবা মা উভয়েই উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, বাবা কারখানার শ্রমিক, মা গৃহবধূ--এরকম পরিবারের একমাত্র ছেলে আফতাব আহমেদ রাজ্যস্তরে একাদশ হয়ে তার এলাকাকে গর্বিত করল।আল-আমীন মিশনের এই ছাত্রের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৬৮০। গণিত ও ভূগোলে ১০০ পাওয়া এই মেধাবী ছাত্র বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮ ও ইতিহাসে ৯৬ পেয়েছে। ফুটবল খেলা ভক্ত এই তরুণটির জন্ম বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চাকটা গ্রামে। একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারের এই মেধাবীর ইচ্ছা দেশের সেরা আই আই টি -তে পড়ে ইঞ্জিনীয়ার হওয়া। মিশনের সেক্রেটারি এম নুরুল ইসলাম ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও পড়ানোই তার সাফল্যের মুল কারণ বলে জানায় সে।
মিশনে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে রাজ্যস্ত্রে ১৭তম হয়েছে ধুলিয়ান শাখার মিস রুমানা। তার এই অদ্ভুত নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানা গেল তার আব্বা পেশায় ইঞ্জিনীয়ার এক্রামুল হকের ইচ্ছা এটি । রুমানার বাড়ি মালদা জেলার দৌলতটোলা গ্রামে।গণিতে ১০০ পাওয়া রুমানা বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯১, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ও ভূগোলে ৯৭ করে পেয়েছে। ভালো কার্ডিওলজিস্ট হয়ে গ্রামের মানুষদের ফ্রীতে চিকিৎসা করতে ইচ্ছুক এই মেধাবী ছাত্রী গল্পের বইয়ের খুবই ভক্ত।
গণিত ও ভৌত বিজ্ঞানে ১০০ করে , জীবন বিজ্ঞান ও ইতিহাসে ৯৬ করে, বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯০, ভুগোলে ৯৮ অর্থাৎ মোট ৬৭১ পেয়ে মিশনে মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগণার তেঘরিয়া গ্রামের তামান্না জামান।রাজ্যস্তরে তার স্থান ২০তম । ছোট ব্যবসা করেন তার বাবা গ্র্যাজুয়েট সেখ মইনুজ্জামান, মা গৃহবধূ।মেধাবী তামান্নার ইচ্ছা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার। মিশনের শিক্ষার পদ্ধতি ও সঙ্গে নৈতিকতার অনুশীলন তাকে এই সাফল্য দিয়েছে বলে সে জানায়।
মাধ্যমিকের এই ফলাফলে মিশনের আরও যারা ২০-র মধ্যে র্যিঙ্ক করেছে তারা হল, পাইকপাড়ি শাখার সাবির মণ্ডল ( রাজ্য র্যা ঙ্ক ১৩তম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮), খলতপুর শাখার জাহিদ হাসান মোমিন ( রাজ্য র্যারঙ্ক ২০ তম , প্রাপ্ত নম্বর ৬৭১)।
মিশনের এই ফলে স্বভাবতই খুবই খুশী মিশনের কর্ণধার এম নুরুল ইসলাম। তিনি সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আল-আমীন মিশনের লক্ষ্যই হল পিছিয়ে পড়াদের শিক্ষায় উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন , মিশনের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই একেবারে প্রান্তিক শ্রেণির এবং তাঁদের অনেকেই ফুল ফ্রী,হাফ ফ্রী এবং বিভিন্ন রকম ছাড় নিয়ে পড়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ে উত্তীর্ণ ও পাঠরত মিশনের প্রাক্তনীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০ জন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সংখ্যালঘু সমাজের তরুণ তরুণীরা সমাজ, রাজ্য ও দেশের উন্নয়নে সবসময় নিয়োজিত থাকবে।