শনিবার, এপ্রিল ০৬, ২০১৯

বালি লুটে বিপন্ন লোচনদাস সেতু মেরামতিতে খরচ হবে কোটি


 পারিজাত মোল্লা, 


রাজ্যের অতি ব্যস্ত রুট ৭ নং রাজ্য সড়কের উপর থাকা পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সংযোগকারী মঙ্গলকোটের অজয় নদের লোচনদাস সেতু ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠছে।মূলত পিলার গুলি অনেকাংশে বসে গেছে। সেইসাথে সেতুর পিচের মধ্যে তৈরি হয়েছে ছোটবড় গর্ত। ভারী যানবাহন যাতায়াত করলেই মৃদু কম্পন তৈরি হয়।  সেতুর এখানে বেশকিছু প্রাণঘাতী পথদুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। এই সেতুর উপর প্রত্যেহ হাজারের কাছাকাছি যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। মূলত দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে যাবার শর্টকার্ট সড়ক রুট এটি। ভাতাড় পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা এই সেতুর পরিকাঠামো দ্রুত পূন নির্মাণের জন্য ৮৫ লক্ষ অনুদান চাওয়ার প্রস্তাবনা  গত মাসে  নবান্ন অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সুত্রে  প্রকাশ। পূর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন - "দ্রুত মেরামতি না হলে এই সেতু বিপদজনক হয়ে উঠবে যানবাহন চালকদের কাছে "। এবারে প্রশ্ন উঠছে মাত্র আঠারো বছর আগে তৈরি করা প্রায় এক কিমি লম্বা এই সেতু কেন এত তাড়াতাড়ি বেহাল হয়ে পড়লো?  যার জন্য কোটির কাছাকাছি অর্থ খরচ করতে হবে!  এলাকা সুত্রে জানা গেছে, ভুমি সংস্কার দপ্তরের আইন কে তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর সেতুর পিলারের একশো মিটারের মধ্যেই জেসিপি মেশিন দিয়ে যততত্র বালি তোলা হয়েছে। এখনও  দিনের পাশাপাশি রাতের বেলায় আলো জ্বালিয়ে বালি তোলা হয় জনসম্মুখে । এরফলে অজয় নদের স্বাভাবিক গতিপথ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটেছে। সেইসাথে বড় বড় চোরাবালি তৈরি হওয়ায় নদীর  জোয়ারভাঁটায় পিলার বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বর্ষাকালে নদীর দুরন্ত স্রোত ক্রমশ বিপদজনক করে তুলেছে অজয়ের গর্ভে থাকা লোচনদাস সেতুর পিলারগুলি কে। এই বেআইনি  বালিঘাট গুলির মূল নিয়ন্ত্রক বীরভূম জেলাপরিষদের এক পদাধিকারী বলে অভিযোগ। তাই অতীতে বাম আমলে ডাবলু আনসারী কে যেমন পুলিশ প্রশাসন সেতুর নিচে থাকা বালিঘাট নিস্ক্রিয় করতে ব্যবস্থা নেয়নি। অনুরূপভাবে বীরভূমের বাসাপাড়ার ওই প্রভাবশালী নেতার তদারকিতে থাকা অজয় নদের লোচনদাস সেতুর নিচে   বালিঘাট বন্ধে তৎপর নয় বলে অভিযোগ । তবে এজন্য রাজ্য সরকার কে কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে সেতুর মেরামতিতে। যে অর্থ বালির রাজস্ব থেকে এইখানে নূন্যতমও মেলেনা!  সেতুর নিচে বালিঘাট গুলি অবস্থানের পাশাপাশি সেতুর উপর প্রতিনিয়ত শয়ে শয়ে অত্যাধিক বালি ও মহম্মদবাজারথেকে পাথর বোঝাই গাড়িগুলি যাতায়াত করায় সেতুর এই বেহাল অবস্থা দিন কে দিন বাড়ছে। পালিতপুর মোড়ে প্রতিদিন কয়েকশো ডাম্পার, লরি, ট্রাক্টর অত্যাধিক বালি বোঝাই করে এই সেতুর উপর দিয়ে কলকাতা - রাজারহাট প্রভৃতি গন্তব্যে  যায়। সর্বপরি বীরভূমের পাঁচামি - মহম্মদবাজারে পাথরখাদান গুলি থেকে পাথর বোঝাই করে গাড়িগুলি এই সেতুর উপর দিয়ে  যাতায়াত করে থাকে। বেশিরভাগই অতিরিক্ত বোঝাই করা গাড়িগুলিতে  । বীরভূমের নানুর থানা এবং পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গাড়ী গুলি  ধরপাকড় অভিযান  করলে আজ এই লোচনদাস সেতুর এই করুন পরিণতি হত না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল  । এবং রাজ্য সরকারকেও সেতু মেরামতিতে কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার প্রস্তাবনা আসত না।মঙ্গলকোটের নুতনহাটে লোচনদাস সেতুতে ৮৫ লক্ষ খরচের প্রস্তাবনার পাশাপাশি কাটোয়ার সিঙ্গি রুটে গৌড়ডাঙ্গা সেতুটি তেও ৭৫ লক্ষ অনুদান চাওয়ার চিঠি পাঠানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্ত দপ্তরের তরফে। কাটোয়ার এই সেতুটি কে বেআইনি বালি পাচারকারীরা 'সেফ করিডর' হিসাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার করছে। কাটোয়া সদর থানার নজর এড়াতে বীরভূমের পাথর বোঝাই গাড়িগুলি এবং পূর্ব বর্ধমানের অজয় নদের বালি বোঝাই করা গাড়িগুলি কৈচর থেকে করুই কৈথন মোড় থেকে সিঙ্গির এই গৌড়ডাঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে কলকাতা যাবার পুরাতন রুট (ভায়া মেমারি) ব্যবহার করছে। এরফলে অতি বিপদজনক সেতু হয়ে গেছে এটি। পূর্ত দপ্তর থেকে নোটিশ বোর্ড রয়েছে সেতুর মুখেই। কাটোয়া মহকুমার দুটি সেতু মেরামতিতে দেড় কোটির উপর অর্থ চাওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের নবান্ন অফিস থেকে। এখন প্রশ্ন পুলিশ প্রশাসন সেতুর নিচে বে আইনি বালিঘাট এবং অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ীগুলি কে ধরপাকর না চালালে সেখানে সরকারের কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ ক্রমশ বাড়বে।                                                                                                                                                                                           

শুক্রবার, এপ্রিল ০৫, ২০১৯

হাজারের কাছাকাছি আইনজীবী বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে সভা সারলেন


 

 মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

হাজারের কাছাকাছি আইনজীবি এবার পথে নামলেন সরাসরি বিজেপির বিরোধিতায়। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, কলকাতা নগর ও দায়রা আদালত, ব্যাংকশ্যাল আদালত, শিয়ালদহ আদালত এবং আলিপুর আদালতে কর্মরত বেশিরভাগ আইনজীবীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে নিউ সেক্রেটারি বিল্ডিং এর এক হলঘরে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ্য বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান তথা তৃনমূল বিধায়ক অশোক দেব, প্রাক্তন বার কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্ট এর বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল সহ অনেকেই ছিলেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে আইনজীবীদের কি ভূমিকা হওয়া উচিত?  এই শীর্ষক আলোচনায় হাজারের কাছাকাছি আইনজীবী অংশগ্রহন করেন। যা বাংলার আইনজীবী বলয়ে অতীতে হয়েছে কিনা তা  সন্দেহ। ২০১৯ এর লোকসভার প্রাক্কালে আইনজীবীদের এই ধরনের মহাসমাবেশ রাজনৈতিক দিক দিয়ে খুবই গুরত্বপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা  । গত ২০ মার্চ রাজ্য বার কাউন্সিল এর নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যদের মুখ্যমন্ত্রী ডেকে নেন জরুরি সভায়। সেখানে কলকাতা হাইকোর্ট এর দলীয় আইনী শাখা দেখবার জন্য আনসার মন্ডল সহ আরেকজন বর্ষীয়ান আইনজীবী কে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেন। সেইসাথে এই ১৫ জন আইনজীবীদের কে দলের কোর কমিটিতে রাখার জন্য রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী কে নির্দেশ দেন। তখনি মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন লোকসভায় আইনজীবীদের প্রচারের মুখ হিসাবে জেলায় জেলায় নির্বাচনী মঞ্চে থাকবার অনুরোধ করেন। এর পরেই তৎপরতা আসে শাসক দলের আইনজীবীদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন আদালতের তৃণমূল পন্থী আইনজীবীদের সেমিনার তারই প্রাক প্রস্তুতি বলা যায়। কলকাতা হাইকোর্ট এর বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল মহাশয় বলেন - দলনেত্রীর নির্দেশে আমরা এবার দলীয় প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামছি।                                                                                                               

বুধবার, এপ্রিল ০৩, ২০১৯

চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ , মঙ্গলকোটে আতঙ্ক

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,

            রান্নার সিলিন্ডার বাস্ট করে তিন তিনটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেল পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের বালিডাঙা গ্রামে। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে - গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ বালিডাঙার বাসিন্দা সুপ্রিয়া সরকার গ্যাস জ্বালিয়ে চা করার প্রস্তুতি নেয়। গ্যাস ওভেনে চায়ের জল চাপিয়ে পাশের রুম থেকে চিনি নিতে আসে। পরে রান্নাঘরে এসে দেখে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।ঘর থেকে চিৎকার করতে করতে সে ছুটে বেরিয়ে আসে। সিলিন্ডার বাস্ট করার জন্য দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একই উঠোনের তিনটে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেখানে আরও একটি সিলিন্ডার বাস্ট করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে। দ্রুত ১০ টি পাম্প মেশিন দিয়ে পাশের পুকুর - ডোবা থেকে জল তুলে তারা আগুন নেভায়। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায় তিনটে বাড়ির টাকা পয়সা , সোনা, কাপড়, খাদ্য সামগ্রী, বই- খাতা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।রাতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে রাত কাটাতে হয়েছে ।এমনকি তারা খাবার দিয়েছে বলে  খেতে পেয়েছে।
          ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিখা বিশ্বাসের পরীক্ষা শুক্রবার থেকে ।তার সমস্ত বই-খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার চিন্তা কিভাবে পড়াশোনা করবে। একই চিন্তা দশম শ্রেণীর ছাত্রী সঞ্জনা বিশ্বাসের। তারও বই খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।অন্যদিকে বাড়ির অভিভাবক সুনীল বিশ্বাস, সূর্য সরকারদের চিন্তা কিভাবে ছেলে মেয়েদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেবে।
         এদিকে সিলিন্ডার বাস্টের খবর পেয়ে দুর্ঘটনা স্হলে ছুটে যায় চাণক অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রমজান সেখ। সে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়।

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০১৯

পঞ্চায়েতে মার খাওয়া সিপিএম কে দেওয়াল লিখনে সৌজন্যতা দেখালো তৃণমূল



  

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলকোট কেন্দ্রে ২০১১ সালের রাজ্যে পালাবদল আনা বিধানসভা ভোটে মাত্র দেড়শো ভোটে জিতেছিল সিপিএম। এরপরে ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতেগোনা পঞ্চায়েত সমিতি সহ কিছু  গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিজয়ী হয়েছিল কংগ্রেস সহ সিপিএম। পরে বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা অবশ্য উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখান। ২০১৪ সালে লোকসভায় নিকটবর্তী বাম প্রার্থী থেকে তৃনমূল প্রার্থী ২৪ হাজারের বেশি  ভোটে এগিয়ে ছিলেন এই মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকা থেকে। ২০১৬ এর নির্বাচন টা অবশ্য তৃনমূল কে তীব্র অন্তদ্বন্ধের মধ্যে  পড়তে হয়। ২০১১ এর পরাজিত প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরী বনাম ২০১৬ এর তৃনমুল  প্রার্থী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী শিবিরে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি হয় যে, ২৪ হাজারের লিড কমে সেটা ১২ হাজারে দাড়িয়ে যায় গত বিধানসভা নির্বাচনে  । আশাতীত ভাবে বিজেপি তাদের ভোটব্যাংক দ্বিগুন করে নেয়। ওয়াকিবহাল মহল মনে করে - তৃনমূলের ক্ষমতাসীন গোস্টীর অন্তর্ঘাত ছাড়া গেরুয়া ভোটের শক্তিবৃদ্ধি সম্ভব নয়। ঠিক এই জায়গা থেকেই  আসন্ন লোকসভায় দুশ্চিন্তার কালো মেঘ তৃনমূলের অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে ।  তার উপর একদা তৃণমূলের সেকেন্ডম্যান মুকুল রায় বিজেপিতে এসে দলবদল খেলা আরও জমিয়ে দিয়েছেন। বিগত বাম জমানায় মঙ্গলকোটে আলাউদ্দিন সেখ, পূর্নিমা মাঝী, সাইফুল মুন্সি, দিলীপ ঘোষ, সেখ হাসমত প্রমুখ তৃনমুল কর্মী খুনে সর্বদা শহীদ পরিবার গুলির পাশে দেখা গেছে মুকুল রায় কে। তাই মঙ্গলকোটের শহীদ পরিবার সহ জোড়াফুলের অনেক নেতা বিশেষত ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের যোগাযোগ রয়েছে মুকুল বাবুর সাথে। আর এখান থেকেই ভোটব্যাংকে বিপদের অশনি সংকেত পাচ্ছে স্থানীয় তৃনমূলের নেতারা। যদিও গত পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য হয়েছে মঙ্গলকোট। কেউ মনোনয়ন জমা তো দূর অস্ত ফর্ম পর্যন্ত তুলতে পারেনি। এমনকি রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অনুগামীদের দলীয় প্রতীক পেলেও ব্লক কিংবা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র তুলতে পারেনি। যার জেরে তিনি সরকারি নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে পর্যন্ত দিয়েছিলেন। দপ্তরেও গোঁসা করে যাননি। এহেন মঙ্গলকোটে অবশ্য গত সপ্তাহে কৈচরে এক সভায় অনুব্রত মন্ডল ৫০ হাজারের লিড চেয়েছেন ব্লক নেতৃত্বের কাছে। যদিও নেতারা ৪০ হাজারের লিড দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে বিরোধী শুন্য মঙ্গলকোটে মাত্র ৪০ হাজারের লিড কেন হবে তা নিয়েও? তাহলে কি বিরোধীশুন্য রাখার জের কি লোকসভায় কুফল পেতে পারে তৃনমূল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্লক তৃণমূল নেতা বলেন - "পুলিশ কে দিয়ে গাঁজা /অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে যে ঘটনাগুলি গত আড়াই বছরে শতাধিক ব্যক্তির উপর চালানো হয়েছে। তাতে আমরাও দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি,  ভোট টা কোন ফুলে পড়বে  তা নিয়ে"। দিন কয়েক আগে মঙ্গলকোটের জয়পুরে এক মিস্টির দোকানে বিজেপির পতাকা টাঙানো নিয়ে বিজেপি কর্মী  দোকানদারের ভাগ্নে কে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠে তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের কাগজপত্র করেও স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায় আক্রান্ত পরিবারের কাছে। তবে নির্বাচনী সেলে অনলাইনে বিষয়টি জানানোর পর অভিযোগপত্র জমা নেওয়া হয়। মঙ্গলকোটে  যখন এইরুপ বিজেপির প্রতি মারমুখী মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।সেখানে আবার ওই এলাকা সহ মঙ্গলকোটের বিস্তৃত এলাকায় দেওয়াল লিখনে জোড়াফুলের পাশাপাশি কাস্তে হাতুড়ি তারার দেখা মিলছে অনবরত । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লক অফিস থেকে সর্বদলীয় সভা সেরে নিগন এলাকায় সিপিএম নেতারা তৃনমূলের হাতে মার খেয়েছিল অবশ্য।       রাজনীতি কারবারিরা বলছেন - রাম কে ভয় পেয়ে বামেদের অক্সিজেন দিচ্ছে তৃনমূল। রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জি ওরফে বাবলু জানান - "২০১১ সালের বিধানসভায় সিপিএমের সন্ত্রাস রুখতে তৃনমূল কে যেমন বেছে নিয়েছিল রাজ্যবাসী। ঠিক তেমনি পুলিশ নির্ভর তৃনমূল কে হঠাতে এই লোকসভায় বিজেপি কে ভোট দেবেন অনেকেই "। গত  মঙ্গলবার বিকেলে মঙ্গলকোটের কৈচর এলাকায় বিজেপির সভা হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য বক্তা না এলেও সভার ভীড় ভালোয় হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ   । বিশেষত আদিবাসীদের  কাঁধে তীরন্দাজ অবস্থান গেরুয়া বলয় কে মুখোমুখি  প্রতিরোধের  দিকে আনছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। অতীতে বামেদের দিকে ঝুঁকে থাকা এই আদিবাসীরা তৃনমূল নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বলে কেউ কেউ বলছেন। তাই রাম কে ঠেকাতে বামেদের দেওয়াল লিখনে সহযোগিতার   হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। তবে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃনমূলের ব্লক নেতারা।  যাইহোক মঙ্গলকোটে বিভিন্ন প্রান্তে জোড়াফুলের পাশাপাশি কাস্তে হাতুড়ি তারার  দেওয়াল লিখন তাও একই দেওয়ালে দেখে অনেকেই মুচকি হাসছেন। তাদের বক্তব্য এই ধরনের রাজনৈতিক সৌজন্যতা যদি গত পঞ্চায়েত ভোটে দেখাতো তাহলে অন্তত বিরোধীশুন্য হতনা এই মঙ্গলকোট।                                                                                                                                                                      

 

আত্মঘাতী যুগলের শেষ চিঠি 'আমাদের এক জায়গায় রেখো'


মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

হিন্দু না ওরা মুসলিম,  জিজ্ঞাসা করে কোন জন? ' সাম্যের গান গিয়ে বিদ্রোহী কবি   কাঁজি নজরুল ইসলাম এখনও যেন 'একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান' ফুটাতে পারলেন না সমাজের বুকে। ধর্ম ওদের বাঁচতে দিল না,  মঙ্গলকোটে একই দড়িতে গলায় দড়ি এক যুগলের। ঘটনাস্থল সেই বিদ্রোহী কবি কাঁজি নজরুল ইসলাম স্মৃতি ধন্য মঙ্গলকোট।   পূর্ব বর্ধমান জেলা মঙ্গলকোট ব্লকের নিগন অঞ্চলের বেলগ্রামের এক যুগলের আত্মহত্যা কে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে বৃহস্পতিবার সকালে । মৃত প্রেমিকের নাম লোকনাথ বৈরাগ্য  (১৮) বছর, মৃত প্রেমিকার নাম  রুপসোনা খাতুন  (১৫) বছর। দুইজনেরই বাড়ি বেলগ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল থেকে দুইজন নিখোঁজ ছিল। এই দুজনার প্রেম গত ছয় মাস ধরে চলছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।   দুটি ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় মানুষের অনুমান। তারা গ্রামেরই একটি কাঁদরের  ধারে আম গাছে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী  হয়, একই দড়িতে।তাদের মৃতদেহের কাছে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে এবং সেখানে তারা নাকি  লিখে গেছে - তারা দুজন দুই সম্প্রদায়ের হওয়ার জন্যই সমাজ তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেবে না ।তাই তারা আত্মহত্যা করেছে বলে লিখেছে নিহত   যুগলটি । পাশাপাশি সুইসাইড নোটে তাদের শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছে - সেটা হলো, মৃত্যুর পর তাদের সৎকার্য যেন একই জায়গায় করা হয়। অর্থাৎ তাদের সমাধি যেন পাশাপাশি করা হয়। কিংবা দাহ হলে সেটাও যেন একই শ্বশানঘাটে হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে   তদন্ত শুরু হয়েছে কিভাবে এই যুগল দুইজন মারা গেল তা নিয়ে। দেহ উদ্ধার  করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের  জন্য। সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে কেউ কেউ এটি কে পরিকল্পিত খুন বলেও দাবি করেছেন। আত্মহত্যার ঘটনাস্থলে ওই আমগাছ টি তে যেভাবে দেহ মাটিতে পা রাখার অবস্থায় ঝুলছিল তাতে আত্মহত্যার প্রশ্ন উঠেনা। আবার ঘটনাস্থলে উদ্ধার হওয়া হাতের লেখা একজনের লেখা। সেখানে প্রেমিক প্রেমিকার আলাদা আলাদা বয়ান থাকে কি করে?  সেজন্য নিহত যুগলের স্কুলে হাতের পুরাতন লেখা সংগ্রহের দাবিও উঠেছে প্রকৃত ঘটনা কি তা জানতে।               

কালনায় পসকো মামলায় প্রথম সাজাদান

মোল্লা  জসিমউদ্দিন ,

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এক পসকো মামলায় রায়দান ঘটলো। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই মামলার দ্রুত রায়দান দিলেন ওই বিচারক। উল্লেখ্য, কালনা মহকুমা আদালতে সর্বপ্রথম এই পস্কো আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাদান ঘটলো। আসামি সাহেব ওরফে নবাব ধারা কে দশ বছরের কারাবাসের সাজা দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফুল) শ্রী তপন কুমার মন্ড। পসকোর ৪ নং ধারার পাশাপাশি ৩৪১ এবং ৩৭৬ আইপিসি ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছিল। গত ১৬/০২/১৮ তারিখে বিকেলে কালনার সিমলন এলাকায় বছর ষোলো এর এক যুবতী টিউশনি থেকে বাড়ী ফিরছিল। সেসময় আসামি জোরপূর্বক ওই যুবতী কে ঠাকুরপুকুর বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট হয়। এই মামলায় ৭ জন সাক্ষ্যদান করে। বিচারক এই মামলায় আসামি কে দশবছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সরকারি আইনজীবী মলয় পাজা বলেন - কালনা মহকুমা আদালতে সর্বপ্রথম পসকো ধারায় শাস্তিদান ঘটলো। যদিও আসামি পক্ষের আইনজীবী গৌতম দত্ত জানিয়েছেন - মামলার রায়দানের কপি সংগ্রহ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারে অভিযুক্তের পরিবার। কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফুল) তপন কুমার মন্ডল যেভাবে খুন - পস্কো মামলাগুলির দ্রুত রায়দান এবং লোক আদালতে শয়ে শয়ে মামলা ডিসপোজাল করছেন, তাতে আইনজীবী মহলে প্রশংসা উঠে আসছে।

বুধবার, মার্চ ২৭, ২০১৯

মঙ্গলকোটে ব্লক অফিসে একই পদে দশবছর রয়েছেন আধিকারিক

বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে লোকসভায় কতটা অবাধ ভোট হবে? সে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে যারা তিন বছরের বেশি সময়কাল ছিলেন। তাদের সিংহভাগ কে বদলী করে ফেলেছে। বহু চর্চিত এই মঙ্গলকোটে ব্লক অফিসে এপিও পদমর্যাদার আধিকারিক সুশান্ত প্রামাণিক রয়েছেন দশ বছরের বেশি। ব্লক প্রশাসনের তিন নাম্বার এই আধিকারিক সেই বাম আমল থেকেই রয়েছেন। একশো দিনের প্রকল্প থেকে সদর মঙ্গলকোট এবং ঝিলু ২ নং পঞ্চায়েতে আধিকারিক হিসাবে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়েছে। অনেকেই শাসকদলের 'খাতাকলমে' উন্নয়নের কান্ডারী হিসাবে বিদ্রুপ করেন।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, মার্চ ২৬, ২০১৯

কমরেড স্মরণে সভা ভাতাড়ে

সুদিন  মন্ডল ,

রবিবার বিকেলে বাম নেত্রী  ভাতাড় 1এরিয়া কমিটির মেম্বার কমরেড স্বপ্না রায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো খেরুর ছাতনি মোড়ে।
উপস্থিত ছিলেন বাম জেলা নেতা  আভাস রায়চৌধুরী, গণেশ চৌধুরী,  মেহেবুব আলম, বামাচরণ ব্যানার্জী, সুভাষ মন্ডল, ডালিম রায় প্রমুখ রা।

রবিবার, মার্চ ২৪, ২০১৯

কাটোয়ায় প্রয়াত বিচারক পরিবারের পৈতৃক জমি জালিয়াতিতে ভূমি দপ্তরের ভূমিকা?

পুলকেশ  ভট্টাচার্য ,

কখনো  শুনেছেন,  মারা যাওয়ার পর জমি রেজেস্ট্রি করে গেছে মৃত ব্যক্তি!!
আবার  কখনো কি দেখেছেন,  লিখিত অভিযোগে দলিল খারিজ হওয়া মামলার কথা জানালো হলেও সেটি নথিভুক্ত করা হয় ।
শুধু তাই নয় ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল নাম্বার উল্লেখ না রেখে  আবার সেটি কে ২০১৭ এর পর এন্ট্রি করানো হয়। সর্বপরি  তৎকালীন অভিযোগকারী একজন রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে দেওয়ানী বিচারক হিসাবে সু পরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর  শিক্ষক পিতার সইটি জালিয়াতি করে দলিল করা হয়েছে বলেও বিএলআরও, এসডিআরএলও, এসডিও এবং ডিএলআরও দের লিখিত  অভিযোগও জানিয়ে যান। সার্ভিস বুক থেকে অতীতে কেনা বেচার দলিল দেখলেই আসল সাক্ষর উঠে আসবে। রেকর্ড জালিয়াতিতে অভিযুক্ত  ব্যক্তি পিওন পদের অপব্যবহার  করে রেজাস্টি মিউটেশন নোটিশ গায়েব করে বলেও অভিযোগ জমা পড়ে জেলা ডাক আধিকারিকের অফিসে, তাও দুবার। এমনকি রাজ্য ডাক অধিকর্তা কেও লিখিত  অভিযোগ জানানো হয়।

এইবিধ নানান  অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু কাটোয়া ১ নং ভূমি সংস্কার দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ইমেলে পুরো ঘটনার সততা জানতে 'ফরেন্সিক' এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। সাক্ষর যাচাইয়ের  জন্য ফরেন্সিক এবং ২০১৪ এর মিউটেশন অর্ডারে দলিল  নথিভুক্ত না থাকা সর্বপরি সেটি ২০১৭ এর দলিল এন্ট্রি করানো নিয়ে সাইবার  ইনভেস্টিগেশন দাবি উঠছে। জেলা ভুমি সংস্কার  দপ্তরের আপিল নাম্বার ১৭২/১৬ তে অভিযুক্ত দশমাসে চারবার নোটিশ পেয়েও গড়হাজির থাকে, শেষের শুনানিতে প্রতিনিধি পাঠালেও কোন দলিল এন্ট্রি করেননি তৎকালীন জেলা ভুমি সংস্কার  আধিকারিক। তিনি অবশ্য কায়দা করে 'ফেস  হিয়ারিং' সেই অভিযুক্ত কাটোয়া ১ নং ভূমি দপ্তরেই পাঠিয়েছিলেন।
ফেস হিয়ারিং তে মামলায় খারিজ হওয়া দলিল যেমন পিট দলিল হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ঠিক তেমনি অভিযুক্তের মালিকানা দলিল টিতে দেখা যায়, দাতা দলিল সম্পাদিত তারিখের ১৬ মাস আগেই মারা গেছেন!!!

শনিবার, মার্চ ২৩, ২০১৯

আইনজীবী আনসার মন্ডলের উপর আস্থা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী



 মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

গত বুধবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় 'নবান্ন' তে বার কাউন্সিল এর আইনজীবীদের নিয়ে রুদ্ধশ্বাস বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভায় পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত ১৫ জন প্রতিনিধির পাশাপাশি, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভায় সারারাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের নিয়ে সভা করানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি এই ১৫ জন আইনজীবীদের দ্রুত দলের সাংগঠনিক পরিকাঠানোয় কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী কে। ওইদিন বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টে তৃনমুল লিগ্যাল সেলের ভূমিকা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন মামলায় রাজ্যসরকার কে বিচারপতিদের সামনে অপদস্ত হতে হচ্ছে। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন রাজ্য বার কাউন্সিলের রাজ্য চেয়ারম্যান  তথা কলকাতা হাইকোর্ট এর বর্ষীয়ান আইনজীবী আনসার মন্ডল এবং  আইনজীবী প্রসূন কুমার দত্ত কে দলীয় আইনজীবী সেলের পূর্ণ  দায়িত্ব দিলেন। দায়িত্ব পেয়ে আইনজীবী আনসার মন্ডল জানিয়েছেন - "মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশে আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই " ।  উল্লেখ্য গত দেড়বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অচলাবস্থা চলছিল। মাস খানেক পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে থাকা 'বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া' র তিন সদস্য বিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তাঁদের রায়দানে তৃনমূলপ্রন্থী আইনজীবীদের পক্ষে  নির্বাচন টি বৈধ বলে জানায়। সারা রাজ্যে প্রতিটি জেলায় একজন করে আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করে সর্বমোট পনেরোজন রয়েছেন রাজ্য বার কাউন্সিলে ।এই  সংগঠনের বিজয়ী আইনজীবীদের নিয়ে বুধবার বিকেলে নবান্ন অফিসে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেন নি। এই বৈঠকে  মূলত   কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের লিগ্যাল সেল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী  আনসার মন্ডল এবং প্রসূন কুমার দত্ত কে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ন দায়িত্ব দেন। এরপরে আনসার সাহেব  দলের মাদার সংগঠনে কোর কমিটিতে বিজয়ী পনেরো জন বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা দেন। সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী দলীয় রাজ্য সভাপতি  সুব্রত বকসী কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেইসাথে আসন্ন লোকসভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে সেই জেলার নির্বাচিত বার কাউন্সিলের আইনজীবী কে সভায় থাকবার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের দায়িত্ব পাওয়া তথা গত ২০০১ এবং ২০০৬ সালে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের তৃনমূল প্রতীকে লড়াই করা   আনসার মন্ডল জানান - "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আমরা সফল করার চেস্টা রাখব " । বুধবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয়ে হওয়া বৈঠকে বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতের পরিকাঠামো সহ আইনজীবীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এইপ্রকার কঠিন মনে করেই মুখ্যমন্ত্রী বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের শরণাপন্ন হলেন। আইনী ঝামেলা এড়াতে আইনজীবীদের গুরত্ব অনুভব করে   দলের কোর কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একাধারে বিভিন্ন আদালতে যেমন তারা সরকারপক্ষে সক্রিয় থাকবেন, ঠিক তেমনি দলের সাংগঠনিক ভিক্তিকে আরও মজবুত করবেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন - এত আইনজীবি একসাথে দলের কোর কমিটিতে আগে কখনো স্থান পাইনি। এবার লোকসভার প্রাক্কালে তা ঘটতে চলেছে । অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল তাদের আইনী সেল কে শক্তিশালী করলো বিপক্ষে বিরোধী দলের কথা ভেবেই।যা লোকসভা নির্বাচনে লড়াই কে সামনে রেখেই।                                                                                                                                                                                                                             

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER