মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এক জমি দালালের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনে রেখেছেন শাসকদলের বেশকিছু নেতা। মঙ্গলকোটের বক্সিনগর, পদিমপুর বাইপাস, নুতনহাট, বড়বাজার প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার ধারে ও মাঠে জমি জায়গা এমনকি কবরস্থান পরিচিত জায়গা পর্যন্ত কেনা হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ। বীরভূম লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায়, সিউড়ি সংলগ্ন পাথরচাপড়ী এমনকি কলকাতার নিউটাউন - রাজারহাটে ফ্লাট/ জায়গা কেনা হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে প্রকাশ । ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল অবধি মঙ্গলকোটের নুতনহাট সাব রেজেস্ট্রি অফিস, কাটোয়া মহকুমা সাব রেজেস্ট্রি অফিস, বর্ধমান সদর রেজেস্ট্রি অফিস, সিউড়ি সদর রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে সার্চিং করলে এর প্রমাণ মিলবে বলে জানা গেছে৷ সেইসাথে এইসব এলাকায় সরকারী /বেসরকারী ব্যাংকগুলিতে বিগত কয়েক বছরের আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিলে বিপুল বে আইনি অর্থ যোগানের সুত্র মিলতে পারে,কৃষি ঋণের নামে ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থ তোলা হয়েছে । ওই জমি দালালের হাত ধরে সদর মঙ্গলকোট সহ অন্যান্য এলাকার শাসকদলের নেতারা বিপুল সম্পত্তি বেনামে কিনে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এইবিধ নেতারা আবার ঝা ঝকঝকে চারচাকা গাড়ী ব্যবহার করেন,কুড়ি পঁচিশ টা মোটরসাইকেল সাথে থাকে আবার । অপরদিকে রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জীর অভিযোগ - "মঙ্গলকোটে যারা প্রধান /উপপ্রধান পদে রয়েছে তাদের আগে বাড়ী গাড়ী বিষয় সম্পত্তি কি ছিল? আর এখন কি হয়েছে তা খোঁজখবর নিলেই বোঝা যাবে এরা কত কামিয়েছে দল কে সামনে রেখে"। মঙ্গলকোটে ওসি পদে একদা থাকা এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন - "টানা আট বছর মঙ্গলকোটে যে কয়েকজন ব্লক কমিটি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সম্পত্তি গুলির সুত্র দিতে পারে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে থাকা ওই জমির দালাল। যার নামে / বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ব্যাংক সহ রেজেস্ট্রি অফিস এমনকি ভূমি সংস্কার দপ্তরে সুনিদিস্ট তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে"। এই বিষয়ে অনেকেই ইডি তদন্ত দাবি করেছেন । শাসক দলের মদতপুস্ট নেতাদের আর্থিক কেলেংকারী উদঘাটনে ইডি তদন্তই সেরা বলে অনেকে মনে করছেন
সোমবার, আগস্ট ১৯, ২০১৯
শনিবার, আগস্ট ০৩, ২০১৯
বেকার হোস্টেলে বসলো বঙ্গবন্ধুর নব মূর্তি
মোল্লা জসিমউদ্দিন(প্রাক্তন আবাসিক - বেকার হোস্টেল)
পরাধীন ভারতে এক বৃটিশ সাহেবের নামে কলকাতার ৮ স্মিথ লেন ( তালতলা ) এলাকায় সংখ্যালঘু মূলত মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছিল। ওয়াকফ স্টেটের জায়গায় উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের ২০০ ঘর বিশিষ্ট তিনতলার হোস্টেল টি 'বাকের' সাহেবের নামাঙ্কিত হলেও এটি সর্বাধিক পরিচিত বেকার হোস্টেল হিসাবে। সেসময় ইসলামিয়া কলেজ অধুনা মৌলানা আজাদ কলেজের ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় থাকবার জন্য। বর্তমানে শুধুমাত্র স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের হোস্টেল হিসাবে রয়েছে এই হোস্টেল। আগে প্রতি রুমে একজন থাকত, এখন দুজন অর্থাৎ চারশো জন পড়ুয়ার আবাসিক হোস্টেল এটি। বাঙ্গালী মুসলিম জগতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী, পুলিশ অফিসার প্রভৃতি পেশায় যুক্তদের অধিকাংশের ছাত্রজীবন কেটেছে এই হোস্টেলে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে( মৌলানা আজাদ কলেজ) পড়ুয়া থাকাকালীন ১৯৪৫ এবং ১৯৪৬ সালে বেকার হোস্টেলের তিন তলায় ২৩ এবং ২৪ নং রুমে দুবছর কাটিয়েছেন আবাসিক হিসাবে। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই এই হোস্টেলের দুটি ঘর পরিদর্শনে আসেন। যেখানে এখনও বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের ব্যবহৃত আলমারি, চেয়ার, টেবিল রাখা আছে। সেসময় বাংলার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা উভয়ই বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ্য মূর্তি উন্মোচন করেন। তবে মূর্তির সাথে বঙ্গবন্ধুর চেহারার অমিল থাকার জন্য তৎকালীন মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান এই মূর্তি নিয়ে বেকার ও ইলিয়ট হোস্টেলের পড়ুয়াদের নিয়ে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিলেন।কেটে গেছে অনেকগুলি বছর।
শনিবার সকালে এই বেকার গভঃ হোস্টেলে বাংলাদেশের পল্লীমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প:ব: সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান, বাংলাদেশ দুতাবাসের আধিকারিক, মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যাপকবর্গ সহ বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের নুতন আবক্ষ্য মূর্তি উদঘাটনে। এদিন তাঁরা বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা ঘর ঘুরে দেখেন। ছবিতে মাল্যদান করে থাকেন। তবে এবারের আবক্ষ মূর্তিটি এপারের কোন শিল্পী করেন নি। করেছেন ওপার বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী লিটল পাল রণী । এই হোস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান - বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ঘর সংলগ্ন ২০ নং ঘরে (তিনতলায়) বেশ কয়েকবছর ছাত্রজীবন কাটাতে পেরে আমরা গর্বিত।
ভোটগুরুর দাওয়াইতে কি দুই শহীদ দিবসে বেপাত্তা কেস্ট!
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ভিক্তিক বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসাবে পরিচিত 'একুশে জুলাই', সেইসাথে দক্ষিণবঙ্গের বড় সমাবেশ বলতে বোঝায় 'সাতাশে জুলাই'। দুটিই কিন্তু শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত রাজ্যবাসীর কাছে।আর এই দুটিতেই বড় ভূমিকায় দেখা যায় রাজনীতির মঞ্চে পিঞ্চ হিটার বক্তা অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্ট মোড়ল কে। গত জুলাই মাসের শেষে এই দুটি মেগা রাজনৈতিক সমাবেশে দেখা মিলেনি অনুব্রতের। যদিও একুশে জুলাইয়ের দিন কয়েক আগে কলকাতার পিজি হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। অর্শ সহ শ্বাসজনিত শারীরিক সমস্যা তাঁর দীর্ঘদিনের। তবে বিরোধী শিবিরের দাবি - 'আসলে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের প্রেসক্রিপশন ফলো করছেন মমতা'। লোকসভার ভোটে রাজ্যজুড়ে অভাবনীয় বিপর্যয় নেমে এসেছে তৃনমূলের কাছে। ভোটের আগে বিয়াল্লিশের বিয়াল্লিশ স্লোগান ফলপ্রকাশে সব অংক গুলিয়ে দেয় তৃনমূলের কাছে। এমনকি মঙ্গলকোটের ক্ষীরোগ্রামে যোগাদ্যা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকারে অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছিলেন - " মায়ের সাথে কথা হয়েছে, ৪২ টি আসন আমরা পাচ্ছি তা জানিয়েছেন মা"। এইরুপ মন্তব্য রাজ্যবাসী কে অবাক করে দিয়েছিল সেসময়। তবে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণায় বঙ্গ রাজনীতিতে আমদানি হল পেশাদার পরামর্শদাতার। যদিও তৃনমূল কংগ্রেসের তরফে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের সাথে কোন বাণিজ্যিক চুক্তি হয়নি বলে দাবি করেছে। ফলাফল ঘোষণার মাসেই অর্থাৎ জুন মাসের শেষের দিকে নবান্ন তে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ভোটগুরুর বৈঠক হয় বলে প্রকাশ। এর কিছুদিন পরেই দক্ষিণবঙ্গের আটজন গুরত্বপূর্ণ নেতা / মন্ত্রী দের কালোতালিকায় আনার পরামর্শ দেন ভোটগুরু। আর এই আটজনের মধ্যে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল অন্যতম। এইরুপ দাবি সংবাদমাধ্যমে।দলনেত্রীর কাছে ভোটগুরুর প্রেসক্রিপশন মানা সহজ ব্যাপার ছিল না। তবে আগামী বিধানসভার ভোটে রাজনৈতিক মাটি আগেকার মত জায়গায় আনতে গেলে অনেক কিছুই মানতে হবে তাঁকে।
দেখা গেল একুশে জুলাইয়ের দিন কয়েক আগে অনুব্রত মন্ডল চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলেন কলকাতার পিজি হসপিটালে। তাঁর শারীরিক সুস্থতা কোনদিনেই ভালো ছিল না। বিশেষত শ্বাসজনিত বিষয়ে। তবে এমন গুরতর অসুস্থ নন যে তিন - চার কিমি দূরে কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে আসতে পারবেন না। যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাইরে যাওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে অনেকেই সম্প্রতি ব্রিগেডে সিপিএমের সমাবেশে অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর উদাহরণ টেনেছেন। যিনি গাড়ীতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে নাকে নল দেওয়া অবস্থায় এসেছিলেন। এমনকি প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন জীবিত থাকাকালীন ব্রেণ স্টোকে প্রায় পারালাইসিস হওয়া স্বতেও হুইলচেয়ার করে সিপিএমের দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে উজ্জীবিত করেছেন কর্মী সমর্থকদের কে। যদিও অনুব্রত মন্ডল রাজনৈতিকভাবে সিপিএমের এই দুই নেতার সমকক্ষ নন। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তিনি যেভাবে তৃনমূলের কাছ থেকে বড় বড় দায়িত্ব পেয়ে আসছিলেন, সেখানে কলকাতার বাইরে নেতাদের মধ্যে অনুব্রত মন্ডল অন্যতম তা বলা যায়। সমগ্র বীরভূম জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বড় অংশে দলীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে উঠে এসেছিলেন। যদিও লোকসভা ভোটের পর দলনেত্রী বেশ কিছু জেলার ( লোকসভা আসনে) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তাঁকে। পুলিশ কে বোমা মারার নিদান থেকে বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত ভোট করবার কারিগর অনুব্রত মন্ডল কে সর্বদা আগলেছেন দলনেত্রী।এমনকি লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত কে 'বাঘের বাচ্ছার মত লড়াই করার ' টোটকা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সব হিসেব পাল্টে গেছে গত ২৩ শে জুন। বিজেপি এই রাজ্যে ২ টি আসন থেকে ১৮ তে দাঁড়িয়েছে। ভোটের শতকরা হিসাবে তৃনমূলের ধারেকাছে বিজেপি চলে আসে। এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে পেশাদার ভোটগুরু হিসাবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরের আবির্ভাব ঘটে। ভোটগুরুর টিম পর্যবেক্ষণ করা আভ্যন্তরীণ রিপোর্টে আটজন নেতা মন্ত্রীদের বসিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। জনমানসে এঁদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি দলের ক্ষতির কারণ বলে দাবি উঠে বিভিন্ন স্তরে। এইসবের মাঝেই তৃনমূলের বড় সমাবেশ একুশে জুলাই চলে আসে। গতবারের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অনুব্রত মন্ডল উন্নয়নের বার্তা দিয়েছিলেন। দক্ষিণবঙ্গ থেকে জনসমাগম ঘটানোতে অনুব্রতের জুড়ি মেলা ভার।তবে এবারে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা মিললো না কেস্টর। এমনকি তাঁর জেলায় বাসাপাড়ায় সুচপুরের গনহত্যা নিয়ে সাতাশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসেও তাঁর দেখা মিলেনি। আগে কোন নির্ধারিত রাজনৈতিক সভায় যেতে না পারলে মঞ্চের মাইকে পরিচিতর মোবাইলে 'লাইভ' বক্তব্য পেশ করতেনা। সেটাও এবার হয়নি একুশে জুলাইয়ের কলকাতার মঞ্চে কিংবা নিজের জেলার সাতাশে জুলাইয়ের বাসাপাড়ার মঞ্চে। এখান থেকেই শুরু গুঞ্জন, তাহলে কি আগামী বিধানসভার ভোটের কথা ভেবে ভোটগুরুর পরামর্শে অনুব্রত মন্ডল কে জনমানস থেকে ধীরে ধীরে সরাচ্ছেন দলনেত্রী? এই প্রশ্ন সব মহলেই।
রবিবার, জুলাই ২৮, ২০১৯
মঙ্গলকোটে বিপুল সম্পত্তির মালিক কারা?
আর্থিক কেলেংকারীর খবর নুতন নয় মঙ্গলকোটবাসীদের কাছে। বামজামানায় সিপিএমের কুখ্যাত নেতা ডাবলু আনসারীর বিপুল আর্থিক উথান ঘটেছিল। অনুরুপভাবে তৃনমূল আমলেও 'দ্বিতীয় ডাবলু আনসারী' খ্যাত নেতা সহ পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা, প্রধান /উপপ্রধানদের অলৌকিক আর্থিক বিকাশ ঘটেছে । মঙ্গলকোটে কাটমানি খেয়ে কোটিপতি নেতাদের সম্পকে জানার আগে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পেক্ষাপট জানা জরুরি। কেননা রাজনৈতিক পেক্ষাপটের সাথেই লুকিয়ে রয়েছে কাটমানি খাওয়ার নিত্য অভ্যাসগত আয়। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে মঙ্গলকোটে নিরঙ্কুস প্রভাব শাসক দল তৃনমূলের, বলা ভালো, অনুব্রত মন্ডল অনুগামীদের। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পর ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে হাতেগনা কয়েকজন জনপ্রতিনিধি পাশ করে থাকে। তাও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলাপরিষদ নয়। যারা জিতেছিলেন বিরোধী হিসাবে, তারাও রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে দলবদল করেন। ২০১৪ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড পায় ২৪ হাজারের মত। ২০১৬ সালে তৃনমূল প্রার্থী জিতেন ১২ হাজার ভোটে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশুন্য হয় গোটা ব্লক এলাকা তথা সংশ্লিস্ট মহকুমা।২০১৯ সালে লোকসভায় তৃনমূল লিড পায় ২৯ হাজার মত। তাহলে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সাল থেকে এখনও অবধি অর্থ্যাৎ ৮ বছর ক্ষমতায় রয়েছে শাসক শিবির। মূলত অনুব্রত মন্ডল অনুগামী হিসাবে পরিচিতরাই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদ,লোকসভা সর্বপরি সাংগঠনিক নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন। মাঝখানে ২০১৬ সালে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এখান থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে এক বছর অনুব্রত মন্ডলের বিরোধিতায় ছিলেন৷ শত চেস্টা করেও গত পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন ফর্ম তুলতে পারেননি অনুগামীদের জন্য। ২০১৪ সালে লোকসভার সেসময়কার সাংসদ অনুপম হাজরাও সিদ্দিকুল্লাহের মত লড়াই করতে গেলে বেলাইন হয়ে যান। বর্তমানে অসিত মাল এই কেন্দ্রের সাংসদ৷ যিনি অনুব্রত মন্ডলের অত্যন্ত আস্থাভাজন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাটমানি ইস্যু নিয়ে বিজেপি সেভাবে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে পারেনি মঙ্গলকোটে। তবে তৃনমূলের বিক্ষুব্দরা বিজেপির পতাকা ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন নেতাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে বলে খবর। যেখানে এক ব্লকস্তরের দাপুটে নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী তার উপপ্রধান স্ত্রী কে নিয়ে গ্রামছাড়া হয়েছেন। অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি খোকন সেখ লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন৷ কৈচর ২ নং পঞ্চায়েত উপ প্রধানের বাড়ী ভাঙচুর হয়েছে। ঝিলু ২ নং অঞ্চলে এক গ্রাম কমিটির নেতার বাড়ীতে বোমা পড়েছে। পুলিশও এইসব ঘটনায় অতি সক্রিয়তা দেখাতে গিয়ে উলটে 'জনরোষ' বাড়িয়েছে শাসক দলের তাবিদারী করার জন্য৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সুত্র মারফত প্রকাশ পেয়েছে বেশ কিছু ব্লক নেতার অলৌকিক ভাবে সম্পত্তি বাড়িয়ে নেওয়ার তথ্য। অনেকেই বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ৷ এমনকি অজয় নদের বালি, ব্লক /পঞ্চায়েতে টেন্ডারে কাটমানি, থানায় ফৌজদারী মামলায় দালালি করে লাখপতি এমনকি কোটিপতি হয়েছেন। বিশেষ সুত্রে দাবি, এইবিধ নেতারা আবার মঙ্গলকোটের লটারির প্রাইজ বিজেতাদের টিকিট অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনে নেন। এলাকায় ম্যাসলম্যান খ্যাত নেতাদের কথা না শুনলে আবার মঙ্গলকোট থানার এক নামজাদা বাবু কে দিয়ে থানায় চমকানি দেন। উল্লেখ্য প্রতিদিন মঙ্গলকোটে কয়েক লক্ষ টাকার লটারির টিকিট লেনদেন হয়। সেইসাথে সাপ্তাহিক প্রাইজ হিসাবে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার প্রাইজ পড়ে মঙ্গলকোটে ৷ এইসব টিকিট নিয়ে মঙ্গলকোটের নেতারা তাদের ব্লাকমানি কে হোয়াইট মানি করে নেয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এক জমি দালালের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনে রেখেছেন শাসকদলের বেশকিছু নেতা। মঙ্গলকোটের বক্সিনগর, পদিমপুর বাইপাস, নুতনহাট, বড়বাজার প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার ধারে ও মাঠে জমি জায়গা কেনা হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ। বীরভূম লাগোয়া নানুরের বাসাপাড়ায়, সিউড়ি সংলগ্ন পাথরচাপড়ী এমনকি কলকাতার নিউটাউন - রাজারহাটে ফ্লাট/ জায়গা কেনা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল অবধি মঙ্গলকোটের নুতনহাট সাব রেজেস্ট্রি অফিস, বর্ধমান সদর রেজেস্ট্রি অফিস, সিউড়ি সদর রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে সার্চিং করলে এর প্রমাণ মিলবে বলে জানা গেছে৷ সেইসাথে এইসব এলাকায় সরকারী /বেসরকারী ব্যাংকগুলিতে বিগত কয়েক বছরের আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিলে বিপুল বে আইনি অর্থ যোগানের সুত্র মিলতেে পারে। ওই জমি দালালের হাত ধরে সদর মঙ্গলকোট সহ অন্যান্য এলাকার শাসকদলের নেতারা বিপুল সম্পত্তি বেনামে কিনে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এইবিধ নেতারা আবার ঝা ঝকঝকে চারচাকা গাড়ী ব্যবহার করেন। স্থানীয় থানার পুলিশ আবার মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলেে অভিিযো গ। কেননা ওই মামলাগুলিতে এফআইআর থেকে চার্জশিটে পুলিশের অতি সক্রিয়তা সামনে এসেছে। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
অপরদিকে রাজ্য বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ মুখার্জীর অভিযোগ - "মঙ্গলকোটে যারা প্রধান /উপপ্রধান পদে রয়েছে তাদের আগে বাড়ী গাড়ী বিষয় সম্পত্তি কি ছিল? আর এখন কি হয়েছে তা খোঁজখবর নিলেই বোঝা যাবে এরা কত কামিয়েছে দল কে সামনে রেখে"। জানা গেছে, মাছের আরত চালানো, সাইকেল করে রুটি বিক্রি করা ফেরিওয়ালা, বাড়ীতে রাখালগিরি করা, মাঠে মুনিশ খাটা ব্যক্তিরা আজ মঙ্গলকোটের কোটিপতি নেতা। মঙ্গলকোটে ওসি পদে একদা থাকা এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন - "টানা আট বছর মঙ্গলকোটে যে কয়েকজন ব্লক কমিটি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সম্পত্তি গুলির সুত্র দিতে পারে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে থাকা ওই জমির দালাল। যার নামে / বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ব্যাংক সহ রেজেস্ট্রি অফিস এমনকি ভূমি সংস্কার দপ্তরে সুনিদিস্ট তথ্য প্রমাণ মিলতে পারে"।এখন দেখার মঙ্গলকোটের কাটমানি খেয়ে কোটিপতি নেতাদের বিরুদ্ধে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা পুলিশ প্রশাসন আদৌও কোন ব্যবস্থা নেয় কিনা?
শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০১৯
কাপড়ের সেলাইয়ের দোকানের আড়ালে অস্ত্র কারখানা
নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং:- কাপড় সেলাইয়ের কারখানার আড়ালে গোপনে চলত অস্ত্র তৈরি।অভিযান চালিয়ে সেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ ।এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের আমতলা গ্রামে।এই ঘটনায় পুলিশ সিদ্দিক লস্কর ওরফে খোঁড়া সিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।এদিন রাতে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ধৃতের বাড়িতে অস্ত তৈরি কারখানা আছে। সেইমতো বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীরতন বিশ্বাস ও ক্যানিং থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে ওই অস্ত্র কারখানা থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক,দুটি ৬ চেম্বার পাইপ গান,১২ টি একনলা পাইপ গান,২০ টি গুলি,৪ টি বন্দুকের নল এবং অস্ত্র তৈরির ড্রিল মেশিন,লোহার রড,বন্দুক তৈরির যন্ত্রাংশ, স্প্রিং সহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
এ বিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খাঁন বলেন,বছর তিনেক আগে সিদ্দিককে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল।পরে সে ছাড়া পায়।বাড়ি ফিরে সে আবার নতুন করে অস্ত্র তৈরি কারখানা খুলে বসে।তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোথায় কোথায় সে এই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতো।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ক্যানিং,কুলতলী, জয়নগর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সে অস্ত্র সরবরাহ করত।ধৃত ওই ব্যক্তি ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় অস্ত্র বিক্রি করতো।হাওড়া থেকে কিনে আনত অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম।
সোমবার, জুলাই ১৫, ২০১৯
৩য় মৃত্যুবাষিকী আজ প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার
মোল্লা শাহজাহান - নিপু,
আজ অর্থাৎ সোমবার প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন। কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও মঙ্গলকোটের পদিমপুরে বসবাস করতেন। কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা) দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে । এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক।
পারিবারিক সুত্রে প্রকাশ, আজ অর্থাৎ সোমবার সারাদিন ধরে প্রয়াত বিচারকের বসতবাড়ি মঙ্গলকোটের পদিমপুরে দোওয়ার মজলিস রয়েছে। আশেপাশে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীরা থাকবেন।
রবিবার, জুলাই ১৪, ২০১৯
আগামীকাল প্রয়াত বিচারক/সাংবাদিক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী
মোল্লা শাহজাহান - নিপু,
আগামীকাল প্রয়াত সাংবাদিক /বিচারক /অধ্যাপক /শিক্ষক /আইনজীবী মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।
অবিভক্ত বর্ধমানের এইরূপ গুনী ব্যক্তিত্ব হাতে গোনা। যিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করেগেছেন। সেইসাথে উচ্চশিক্ষিত হিসাবে সবার কাজে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের প্রাক্কালে তিনটি বিষয়ে এমএ, বিএড, বিএ অর্নাস, এলএলবি, সর্বপরি ১৯৮৩ সালে ডাবলুবিসিএসএস ( জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচ, এছাড়া রাস্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি তে এমএ করেছিলেন।
কাটোয়ার শ্রীখন্ডে তাঁর জন্মভূমি হলেও কর্মসুত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছিলেন। কাটোয়ার কাশিরাম দাস শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞানে আংশিক অধ্যাপক, কাটোয়া মহকুমা আদালতে বর্ষীয়ান আইনজীবী তারাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুনিয়ার এবং সরকার নিযুক্ত উকিল হিসাবে কাজ করেছেন। দ্য স্টেটসম্যান ও বর্তমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করার পর বর্ধমান সদর আদালত (দুবার), আরামবাগ মহকুমা আদালত, কালনা মহকুমা আদালত, সিউড়ি সদর আদালত (দুবার), দাঁতন আদালত, আলিপুর সিভিল কোর্ট, আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত, বসিরহাট আদালত, মেদনীপুর সদর আদালত, গড়বেতা আদালত, শ্রীরামপুর আদালতগুলিতে কখনো সিভিল আবার কখনও বা ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারক পদে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৩ সালের ব্যাচের হলেও সার্ভিসে জয়েন্ট করেন ১৯৮৯ সালে এবং অবসরগ্রহণ করেছিলেন ২০১৩ সালে। ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তিনি ব্রেণ স্টোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্ত্রী এবং দুই পুত্র বর্তমান। প্রয়াত এই বিচারক স্মরণে প্রতিবছর ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় 'নুরুল হোদা রত্ন' সম্মান জানানো হয়। গত দুবছরে দুই চিকিৎসক (রেজাউল করিম চৌধুরী, মহম্মদ বদরুদ্দোজা) দের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে । এই প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার বড়ছেলে মোল্লা জসিমউদ্দিন পেশায় সাংবাদিক ।
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...