ফারুক আহমেদ, কলকাতা: সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ধর্মের প্রতিনিধিরা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় নাগরিকের কর্তব্যের কথা তুলে ধরলেন।
হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী বললেন বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি আদায়ে কামরুজ্জামান আমাদের পাশে ছিল।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যাবল এর প্রফেসর গৌতম পাল বললেন কয়েক হাজার বছরের হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক অত ঠুনকো নয়, যে কোনও একটা সামান্য ঘটনায় তা শেষ হয়ে যাবে। বাংলার মানুষের কল্যাণে আমরা পাশে আছি এবং থাকব। সম্প্রীতি ও সৌহদ্য বাংলায় অটুট রাখতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
ইন্তাজ আলী শাহ বললেন আমি সব সময় রাজ্যের সব সংখ্যালঘুুদের স্বার্থে কাজ করে যাবো।
পার্থ সেনগুপ্ত বললেন যে কাজ সংখ্যাগুরুদের করা উচিত ছিল সেই উদ্দ্যোগ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন নিয়ে কাজ করছে সম্প্রীতির স্বার্থে তা সাধুবাদ যোগ্য।
ছোটন দাস বললেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে কোনও অশুভ শক্তি নিজেদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না।
স্বামী সত্যরূপানন্দ বললেন হিন্দুর দান করা জমিতে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মুসলিমদের দান করা জমিতে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এতো দেশের সংস্কৃতি, এটা কেউ কোনদিন ভাঙতে পারবে না।
উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মাওঃ আব্দুল মাতিন, খ্রীষ্টিয় পরিষদের কিশোর অধিকারী মূল্যবান আলোচনা করেন। রাজ্যের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে।
সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান বললেন পশ্চিমবঙ্গে গুজরাট ও আসামের কোনও প্রভাব এখানে আমরা ফেলতে দেবো না। আমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য নিয়েই বেঁচে থাকব। উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ আব্দুল মাতিন,পীরজাদা তাফহিমুল ইসলাম, সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়া সহ অন্যান্যরা।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামান বললেন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এই কনভেনশন সারা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় এক ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দেশ ও রাজ্যের কল্যানে কাজ করে যাব। সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদেরকে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে।