. জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
খুবই জনপ্রিয় একটা ট্যাগ লাইন ় কারণে অকারণে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা হয় ় ভেবে দেখা হয় না লাইন টা ব্যবহারকারী সঠিক স্হানে ব্যবহার করছে কিনা ় অনেক সময় দেখা যায় বাস্তব থেকে বহু দূরে থাকলেও অনেকে এটা অপব্যবহার করে চলেছে ় কিন্তু GIVES এর ক্ষেত্রে লাইনটি খুবই প্রযোজ্য ়
. . GIVES -- Global Innovative Vision Of Egalitarian Society. পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার বুকে গড়ে ওঠা একটি ট্রাস্ট ় ৯ জন নবীন --প্রবীণের মিলিত প্রচেষ্টায় ও আন্তরিক ইচ্ছায় সংস্থাটি গড়ে ওঠে ় দীর্ঘদিন ধরে একটি NGO এ নিয়ে কাজ করার সময় GIVES এর ভাবনা মাথায় আসে ় দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে কাজ করার পর ২০১৫ সালের ৩০ শে মার্চ সংস্থাটি সরকারীভাবে কাজ শুরু করে ় অর্থাৎ ঐ সময় সংস্থাটি নথিভুক্ত হয় ় ঠিকানা গুসকরা - পূর্ব বর্ধমান ় একটি শাখা অফিস আছে গলসী-২ ব্লকের খানা জংশনে ় সেখান থেকেই সমস্ত কাজ পরিচালিত হয় ়
. মানুষের পাশে, মানুষের সাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে গড়ে ওঠে সংস্থাটি ় শুরু থেকেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার বজায় রাখতে সংস্থাটির প্রত্যেকটি সদস্য খুবই আন্তরিক ় সর্বদা সচেষ্ট ় সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় হল গলসী এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ বা রাজনৈতিক দলের সাহায্য সংস্থাটি পেয়েছে় ় যদিও রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেনি ়
. সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে সংস্থাটি প্রত্যেক বছর কিছু গরীব ছেলেমেয়েদের জামা দিয়েছে, খাতা-পেন কিনে দিয়েছে, চিকিৎসা বা মেয়ের বিয়েতেও আর্থিক সাহায্য করেছে ় মন্দির বা মসজিদ সংস্কারের ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসেছে ় গলসী এলাকায় বৃক্ষরোপণ বা যুব ক্রীড়া প্রতিযোগীতাকে সফল করার জন্যে এগিয়ে এসেছে সংস্থাটি ়
এতো গেল একদিক ় অন্যদিকে এলাকায় খেলাধূলাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্যে সংস্থাটি প্রতি বছর ১৫ ই আগষ্ট খানা জংশন মাঠে একটি ফুটবল প্রতিযোগীতার আয়োজন করে ়
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুষ্ঠান কে সফল করতে এগিয়ে আসে সংস্থাটি ়আবার সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কে সফল করার জন্যে গলসী থানার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে সংস্থাটি ়
. সংস্থাটির সবচেয়ে বড়ো গুণ হল -- এখানে সদস্য বা স্টাফ সবাই সমান ় সংস্থার স্বার্থে সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে ়এমনকি যারা নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত তারাও সংস্থাটিকে নিজের মনে করে ়
আর্থিক সমস্যা হল সংস্থাটির সবচেয়ে বড়ো সমস্যা ় শৌচাগার নির্মাণ বা সদস্য ও শুভার্থীদের আর্থিক সাহায্য হল আয়ের উৎস ় ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজ করা যায় না ় কিন্তু মাদার টেরেজা যাদের আদর্শ, চোখে বড়ো স্বপ্ন, মনে দুর্জয় সাহস তাদের আটকাবে কে ়
এলাকাবাসীরা সংস্থাটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ় ভুঁড়ি অঞ্চল প্রধানের বক্তব্য হল সংস্থাটির হাতে যেকোনো কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত থাকা যায় ়
. . . সংস্থাটির সম্পাদক নাসিমুদ্দিন মল্লিক (বাপন) জানালেন আর্থিক অসুবিধার জন্যে অনেক কাজ করতে পারা যায় না ় এবছরের মত প্রতি বছর ছাত্র ছাত্রীদের সাহায্য করার ইচ্ছে থাকলেও কতটা সম্ভব হবে তিনি জানেন না ় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা সংস্থাটিকে সাহায্য করে চলেছে সবার কাছে তিনি কাছে তিনি কৃতজ্ঞ ়সংস্থাটিকে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া সদস্যদের একান্ত ইচ্ছা ় সত্য, রূপ, অনন্ত, অরিন্দম, জয়ন্ত, রাম, সুমন, পরিমল, বাবলা, দেবাশিস রা সংস্থাটির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্যে গর্বিত ়
KSPC এর পক্ষ থেকে আমরা সংস্থাটির শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি ়