মা মাটি মানুষের সরকার ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই সব সময় কৃষকদের পাশে থেকেছে। কৃষকদের সব খাজনা মুকুব করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বন্যা পরিস্থিতিতেও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। যেকোনো সহযোগিতার জন্য খোলা থাকছে নির্দিষ্ট ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তার অফিস।
এছাড়াও, বন্যা কবলিত অঞ্চলের কৃষকদের কিছু পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকারঃ-
বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে, স্বল্প সময়ে নতুন বীজতলা তৈরির জন্য উঁচু জমি বেছে নিন। এখনই ১১৫-১২০ দিন মেয়াদি জলদি জাত যেমন এমটিইউ-১০১০, আই.ই.টি-৪৭৮৬, গোঁটরা বিধান-১, গোঁটরা বিধান-৩, আই.আর.-৩৬, রাজেন্দ্র ভগবতী, ডি.আর.আর.-৪২, আই.আর.-৬৪ সাব-১, চিয়ারাং সাব-১ বাঁ বীণা-১১, অজিত, পুস্প, ফাল্গুনী (সি আর ধান-৮০১), ডি.আর.আর-৪৫ ধানের বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে। বীজতলা থেকে তৈরী চাড়া সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা হবে।
জল নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলাতে বেঁচে থাকা চারার পরিচর্যার জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন এবং কাঠা প্রতি ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১৫০ গ্রাম মিউরেট অফ পটাশ প্রয়োগ করুন।
জল সরে যাওয়ার পর রোয়া জমির ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পূর্বে রোয়া চারার গুছি ভেঙে রোয়া করা যেতে পারে।
রোয়ার জন্য চারা পাওয়া না গেলে পূর্বে রোয়া চারার গুছি ভেঙে রোয়া করুন। সুপারিশকৃত হারে মূল সার অবশ্যই দিতে হবে এবং রোয়ার ১০ দিন পরই চাপান সার দিন।
জমি থেকে জল নেমে যাওয়ার পর রোয়া জমিতে বেঁচে থাকা ধান গাছে বিঘা প্রতি (৩৩ দশকে) প্রথমে ৪ কেজি মিউরেট অফ পটাশ, এক সপ্তাহ পরে ৮ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করে ঘেঁটে দিতে হবে। বাদামি দাগ, খোল পচা, ব্যাক্টিরিয়া জনিত ধ্বসা রোগের প্রকোপ দেখা দিলে সহকারী কৃষি অধিকর্তার পরামর্শ নিয়ে রোগনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
যে জমিতে সম্ভব সেখানে শ্রী পদ্ধতিতে (আগস্টের শেষ পর্যন্ত রোপণ) ও ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে (২০ শে আগস্ট পর্যন্ত) জলদি জাতের আমনধান চাষ করা যেতে পারে।
উচ্চ ফলনশীল ধান বীজের অভাবে, যে সমস্ত দেশী ধানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাঁ কার্ত্তিক মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফুল আসে, সেই ধান গুলি ড্রাম সিডারের মাধ্যমে কাদা জমিতে বোনা যেতে পারে যেমন ভাসামানিক, কবিরাজশাল, জামাইনাড়ু, কমলা-২২২, নাগরা, বহুরুপী।
যে জমিতে আর আমনধান চাষ সম্ভব নয়, সেখানে জলদি টোরি সর্ষে ও কলাই চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
অল্প ক্ষতিগ্রস্ত সবজি ও ফুল ক্ষেত, পান বরোজ, ফল বাগানে রোগের প্রকোপ কমাতে জীবাণু সার, পটাশ সার ও কপার-অক্সি-ক্লোরাইড (৪ গ্রাম প্রতি লিটার জলে) প্রয়োগ করুন।
সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেতে দ্রুত বর্ধনশীল ও জলদি জাতের মূলা, লাল শাক, পালং শাক, ধনে পাতা, পাতা শাক হিসাবে লাউ, কুমড়ো ও কলমি লাগানো যেতে পারে।
শীতকালীন সব্জি যেমন কপি, টমাটো, বেগুন, লঙ্কা প্রভৃতির চারা তৈরির জন্য পলিথিনের ছাউনিযুক্ত উঁচুজমি, শেডনেট বাঁ পলিহাউসে প্লাক ট্রে ব্যবহার করতে পারেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আমনধানের খড়ের বিকল্প হিসাবে পশু খাদ্যের জন্য গাইমুগ ও বরবটির চাষ করা যেতে পারে।
শুক্রবার, আগস্ট ১৮, ২০১৭
বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক ভাইদের সাহায্যার্থে কৃষি বিভাগ
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...