মঙ্গলবার, আগস্ট ২৯, ২০১৭

সিদ্দিকুল্লাহ কে 'টাইট' দিতে এগুচ্ছে বিজেপি


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতিপর্ব বিবেচনা করলে শাসকদলের পরেই উঠে আসবে বিজেপির সক্রিয়তা।নিয়মিত সভা/মিছিল ক্রমশ সংগঠিত করছে গেরুয়া শিবির। পুর্ব বর্ধমানে কালনার পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমা এলাকায় বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রায়শ চলছে।কালনায় যেমন নিয়মিতভাবে সাংসদ জর্জ বেকার, চিত্রাভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশাপাশি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ কে দেখা যাচ্ছে।ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের মত এলাকায় মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বে থাকা স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রজনীভাই প্যাটেল কে দেখা গেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোট কে বিশেষ গুরত্ব দিচ্ছে।কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে মঙ্গলকোট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে? রাজনীতিজ্ঞরা মনে করছে,  পশ্চিমবাংলা তো বটেই সারাদেশে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে বিজেপির বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে জমিয়ত হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছেন।তাই তাঁকে জব্দ করতে গেলে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করার দরকার।এই কৌশলগত কারণ টি বিজেপি কে মঙ্গলকোটমুখি করছে বলে মনে করা হচ্ছে।যেভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মুসলিম পার্সোনাল ল, প্রভৃতি বিষয়গুলিতে জমিয়ত উলেমা হিন্দ পরোক্ষভাবে তৃনমূলের হাত কে শক্ত করেছে।তাতে বিজেপির বাংলা দখলের যড়যন্ত্রে সিদ্দিকুল্লাহ অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন।তৃনমূলের অন্দরে এই মুহুত্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুসলিম মুখ নেই বললেই চলে।বিভিন্ন আর্থিক কেলেংকারীতে যেমন তৃনমূলের আদি নেতাদের কলংকের দাগ পড়েছে।ঠিক তেমনি রেজ্জাক মোল্লা, আবু আয়েশ মন্ডলদের মত বামপন্থী নেতাদের তৃনমূলের অন্দরমহলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও আছে প্রশ্নচিহ্ন। সেইজায়গায় বরাবর দক্ষীনপন্থি ঘরোনার সিদ্দিকুল্লাহ কদর বেড়েই চলেছে।তাই তাঁকে জব্দ করতে পারলে সংখ্যালঘু ভোটে চিড় ধরানো যাবে বলে মনে করছে বিজেপি।মঙ্গলকোটে জ্বলন্ত সমস্যাগুলি কে সামনে রেখে প্রতিবাদসভা বেশ কয়েকটি করেছে বিজেপি।বেআইনী বালিখাদান নিয়ে কৈচর ভুমি সংস্কার দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করার পর গত সপ্তাহে বিজেপির কৃষান মোর্চা সরকারী ক্ষতিপূরণ নিয়ে দলবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সভা করে।এই সভায় মূল বক্তা ছিলেন রজনীভাই প্যাটেল।যিনি কৃষান মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা এবং নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী সময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এইরুপ মোদীর অতি ঘনিষ্ঠ নেতার মঙ্গলকোটের মত মফস্বল এলাকায় প্রতিবাদ সভায় আসাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্থানীয় তৃনমূলের কর্মীরা।তাদের দাবি যেভাবে এখানে গোষ্ঠীবিবাদ চলছে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহ কে 'টাইট' দিতে তৎপর বিপক্ষ গোষ্ঠী। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোটে গত লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা তৃনমূল জেতে মাত্র ১২ হাজার ভোটে।বাকি ১২ হাজার ভোট অন্তর্ঘাত হয়ে যায় বিজেপির ঝুলিতে।সর্বশেষ ডালিম সেখ খুনে কালো পতাকা নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখা গেছে তৃনমূলের একাংশে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিজেপির সংখ্যালঘু ভোট আদায়ে বাঁধা সিদ্দিকুল্লাহ কে তাঁরই কেন্দ্রে রাজনৈতিক মাটি দুর্বল করতে তৃনমূলের একাংশ গেরুয়া শিবির কে অক্সিজেন দেবে, এটা বর্তমান পেক্ষাপট দেখে বোঝায় যায়।তাই মঙ্গলকোট ক্রমশ বিজেপির কাছে নিশানার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাচ্ছে তা মোদী ঘনিষ্ঠ রজনীভাই প্যাটেলের মঙ্গলকোটে সভায় ইংগিত মেলে।মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন " স্বাধীনতার আগে থেকে জমিয়ত উলেমা হিন্দ দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে লড়ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে সারাদেশে নীরবে কাজ করে চলেছে।বিজেপি বাংলায় কিছু করতে পারবেনা, এখানকার সংখ্যালঘু মানুষরা খুবই সচেতন। "





OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER