বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭

অর্থের বিনিময়ের ভর্তির অভিযোগ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে

মানস দাস.মালদা

আবার দুর্নীতিতে নাম জড়ালো গৌড়বঙ্গ কর্তৃপক্ষের । এবার রীতিমতো অর্থের বিনিময়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । স্নাতকোত্তর স্তরে বিভিন্ন বিষয়ে যে সব আসন ( সংরক্ষিত আসন সমেত) ফাঁকা রয়েছে সেগুলিতে অনৈতিক ভাবে কিছু ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । নিয়ম অনুযায়ী জুন -জুলাই মাস থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে মাস দুয়েকের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করা উচিত। অথচ ডিসেম্বরের শেষে এসেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে । আর এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না অনলাইনে ভর্তির আচরণবিধি । ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের নাম রীতিমতো অনলাইনে নোটিশ করে জানানোর কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের । এমনকি কোন ব্যাঙ্কে ভর্তির টাকা জমা দিতে হবে তাও নোটিশ করে জানানোর কথা। তবে অভিযোগ, সেসবের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ছাত্র ভর্তির ব্যবসা শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু আধিকারিক । বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে পড়ুয়াদের মধ্যে। বর্ষশেষের অবকাশের পর নবনিযুক্ত উপাচার্য স্বাগত সেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে এই নিয়ে তাকে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকার কখনই বলেনি অনলাইনে ছাত্র ভর্তি না করে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ছাত্র ভর্তি করতে হবে। তাছাড়া, উপাচার্য পনেরোই ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার

রাজীব পুততুণ্ডী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন ষোলো থেকে বাইশের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির ফি জমা নিতে। তবে ওই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি। এমন করার পেছনে ওই আধিকারিকদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের । বুধবার কিছু ছাত্রছাত্রী চুপিসারে ভর্তির ফি জমা দিতে আসলে এই দুর্নীতি ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সদস্যরা । ওই ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞেস করে জানা যায় তাদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ভর্তির কথা জানানো হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ওই নির্দেশ বা তালিকা দেওয়া হয়নি। স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে দুর্নীতি আখ্যা দিয়ে এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সব কিছু নিয়ম মেনেই হচ্ছে। যদিও এতে কিছু আধিকারিকদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক্তন উপাচার্য গোপাল চন্দ্র মিশ্রর আমলে, অনলাইনে ভর্তি কেন হচ্ছে না- এই অভিযোগ তুলে ভর্তি প্রক্রিয়া বানচাল করে আন্দোলনে নেমেছিল বেশ কিছু ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন। ওই একই দুর্নীতির অভিযোগ এখন উঠলেও তারা কেন মুখে কুলুপ এঁটে হাত গুটিয়ে বসে আছেন তা যথেষ্ট সংশয়ের । এখন দেখার স্বচ্ছ প্রসাশনের অঙ্গীকার নিয়ে আসা নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই এই অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনl

posted from Bloggeroid

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER