সোমনাথ চক্রবর্তী
এক সময় কাজে কর্মে ব্যস্ত ছিলেন।সংসারে ছিলো খুশির হাওয়া। বয়স্ক বাবা,স্ত্রী,বাচ্চা কে নিয়ে ভালোই চলছিলো ময়নাগুরি বিবেকানন্দ পল্লী নিবাসী জয়দেব গোস্বামীর সংসার।কিন্তু হঠাৎ যেন শুখের এই সংসার আয়নার কাচের মত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০শে এপ্রিল সকালে।প্রতিদিনের মত জয়দেব (৩০)বাড়ি বাড়ি পেপার দেওয়ার কাজ করছিলো। হঠাৎ একটি বাস গাড়ির সাথে ময়নাগুরি বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।বাসটি জয়দেব কে চাকার সাথে ছেচরিয়ে আনেক টা পথ নিয়ে আসে। তার পর আর কিছু মনে নেই তার। চোখ যখন খুলেন দেখেন শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে।দীর্ঘদিন চলে চিকিৎসা, কিন্তু ভালো হন নি। এর পর স্থানীও পাড়া প্রতিবেশি জানায় জয়দেব কে বাইরের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাড়ি, জমি, জমানো টাকা যা ছিলো সব কিছু বেচে বাইরে চলে যান চিকিৎসা করতে।বাইরে চিকিৎসা করে শুধু নিজ পায়ে এই মূহূর্তে দাড়াতে পেরেছেন।পায়ে প্রায়ই ইনফেকশন হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আবারো যেতে হবে বলে ডাক্তার বলেছে।কিন্তু এখন তিনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।পাশে দাড়ানোর মত বা সাহায্য করার মত কেউ নেই।সংসার চালানোর মত লোক ও নেই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা,ছোট মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বহু কষ্টেসৃষ্টে দিনযাপন করছেন।জয়দেব বাবু সমাজের সকলস্তরের মানুষের কাছে বিনিত নিবেদন করছেন কেউ যদি একটু সাহায্য এর হাত বাড়িয়ে দেন বা তার বউ এর কাজের সন্ধান করে দেন তাহলে তিনি খুব উপকৃত হবেন।
জয়দেব বাবু বলেন সেদিন কার কথা আজও মনে পড়লে তার গা সিউরে উঠে।যেন সেদিন খুব কাজ থেকে তিনি মৃত্যুকে দেখেছেন।