মানস দাস,মালদা
তৃণমূলের দলীয় সভা ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল মালদায়। আক্রান্ত হলেন দলের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি। আজ বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার ভগবানপুরের চাঁদনি চক এলাকায়। আহত তৃণমূল নেতাকে প্রথমে স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় দলীয় পর্যায়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।আজ দুপুর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল ওই এলাকায়। ছিলেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। অভিযোগ, তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরই বিকেলে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেতা অসিতবরণ বসু ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি নালেপ আলি। তিনি নাকি দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বিরোধী। সভায় মোয়াজ্জেম গোষ্ঠীর কাউকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। সভা শুরু হতেই সেখানে হাজির হয়ে এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোয়াজ্জেম ঘনিষ্ঠ ভগবানপুরের অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ, তখনই নালেপ আলি ও তাঁর লোকজন লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মণিরুলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় মণিরুল ইসলামের।মণিরুলের বক্তব্য, তিনি এলাকার ৬টি বুথের আহ্বায়ক। তাঁর বাড়ির পাশেই সভা অথচ তাঁদের কাউকে সভায় ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার বলেছে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি সভায় গিয়ে সেকথা বলতেই নালেপ ও তাঁর লোকজনেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। মণিরুলের অভিযোগ, এলাকায় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন নালেপ। দলের জেলা সভাপতিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বৈষ্ণবনগর এলাকায় নালেপ আলিকে ব্লক সভাপতি হিসাবে কেউ মানতে পারছেন না। তিনি নিজের খেয়ালখুশিতে দল চালাচ্ছেন। এদিনও তিনি নিজের ইচ্ছায় সভা ডাকেন, যেখানে সব কর্মী-সমর্থককে ডাকা হয়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে দলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রিপোর্ট পাঠানো হবে। এধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।”