মঙ্গলবার, মার্চ ২৭, ২০১৮

জামুরিয়ায় কয়লা সিন্ডিকেট চরমে

মোল্লা জসিমউদ্দিন


আসানসোলের জামুরিয়ায় কয়লা সিন্ডিকেট চরমে চলছে।বামজমানায় শিল্পাঞ্চল বর্ধমানের কয়লা সিন্ডিকেট টি যেমন চলত পুলিশ - রাজনৈতিক নেতা - মাফিয়াদের দের যোগসাজেশে।ঠিক তেমনিও পশ্চিম বর্ধমানে তৃনমূল সরকারের আমলে সেই সিন্ডিকেট টি অটুট রয়েছে।এইমুহুত্যে কয়লা সিন্ডিকেটের প্রাণকেন্দ্র বলতে বোঝায় জামুরিয়া থানা এলাকাটি কে।চুরুলিয়ার জঙ্গলে দিনের আলোয় কয়লার বেআইনি খাদান চলেনা।এইবিধ খাদান গুলি শালপাতা সহ নানান গাছপালা দিয়ে ঢাকা থাকে।একটু সন্ধে লাগলেই আলো জ্বালিয়ে সশস্ত্র দুস্কৃতিদের ঘেরাটোপে চলে কয়লা তোলার কাজ।বেশি রোজগারের আশায় এলাকার সিংহভাগ ব্যক্তি প্রাণ হাতে নিয়ে কয়লার খাদানে ঢোকে কয়লা তুলতে।মাসে দু তিনটি করে ধসে চাপা পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।তবে এই ঘটনাগুলিও চাপা পড়ে যায় পুলিশ - নেতা - কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্মে।চুরুলিয়ার জঙ্গল সহ জামুরিয়ার বেশিরভাগ কয়লা খাদানে কয়লা তোলার পর সেই গর্তগুলি বন্ধ করার জন্য বালি দিয়ে ভরাটের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা।এরফলে প্রায়শ বিশেষত বর্ষার সময় ধস নামে জামুরিয়ার বিভিন্ন এলাকায়।ঘরবাড়ী - দোকানপাট সবই ধসের গ্রাসে চলে যায়।এক নামি সংস্থার কয়লা হলদিয়া বন্দর থেকে ট্রেনে করে জামুরিয়ায় আসে।এই অস্ট্রেলিয়ান বহুমূল্য কয়লা পাচার করতে এবং পাহারা দেওয়ার জন্য স্থানীয় থানার পুলিশ কে মাসিক দশলাখ টাকা নজরানা দেওয়া হয় বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামুরিয়া থানার এক প্রাত্তন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন - এই টাকা বিভিন্নভাবে পুলিশের উপরমহল অবধি চলে যায়। সেখানে না নিলে গ্যারেজ  পোস্টিং তো মিলবেই, বেশি পুলিশি অভিযান চালাতে গেলে প্রাণহানির আশংকা থেকেই যায়।জানা গেছে আসানসোলের জামুরিয়া - পান্ডবেশ্বর - আসানসোল উত্তর প্রভৃতি থানার ওসি পদ পাবার জন্য শাসকদলের বড় নেতাদের নেকনজরে থাকতে হয়।সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃনমূলের এক শীর্ষ নেতা কয়লা মাফিয়াদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নেয় বলে অভিযোগ তুলে ছিলেন। তবে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট বে আইনি কয়লা পাচার রুখতে মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে থাকে।বিভিন্ন সড়কমোড়ে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে।তবে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে কয়লা না বালি পাচার হচ্ছে গাড়ীগুলিতে , তা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পুলিশের একাংশ। রাণীগঞ্জ মোড় থেকে ভীমগড় অর্থাৎ বীরভূম জেলার উপর দিয়ে নিরাপদ করিডোর করেছে কয়লা সিন্ডিকেটের নেতারা।বিশেষ ধরনের কুপন (স্টিকার)  থাকছে বেআইনি কয়লা বোঝাই গাড়ীগুলিতে।তাতে পশ্চিম বর্ধমান - পূর্ব বর্ধমান - বীরভূম জেলার পুলিশ রাস্তায় থাকলে, সেই গাড়ী টির কাগজপত্র দেখা কিংবা তোলাবাজির অর্থ দাবি করা থেকে বিরত থাকছে বলে এইরুপ কিছু গাড়ীর ড্রাইভার খালাসি নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন।

( চলবে) 

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER