মানস দাস,মালদা
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। আর কোনো শিক্ষক যদি আর্থিক দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রশ্ন উঠবেই। এমন এক ঘটনা ঘটলো মালদায়। একাধিক অনিয়মের অভিযোগে মালদা শহরের এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলি করা হল। এই ঘটনায় আজ শহরের শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় । অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। আজ তিনি স্কুলে আসেননি।মালদা শহরের অক্রুরমণি করোনেশন হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন মনোজ মিত্র। মনোজবাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে যার মধ্যে অন্যতম টাকার বিনিময়ে স্কুলে ছাত্র ভর্তি করা। এনিয়ে একাধিকবার স্কুলে গোলমাল হয়েছে। মনোজবাবুর বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিছুদিন আগেও অনিয়মের অভিযোগে স্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। তারপর শিক্ষা দপ্তরের তরফে তাঁকে অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সকালে স্কুলে যান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি আশিস কুণ্ডু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক), সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং অভিভাবকদের একাংশ। স্কুলে সবার সঙ্গে বৈঠক করার পর আশিসবাবু জানান, শিক্ষা দপ্তর প্রধান শিক্ষককে বদলির নির্দেশ পাঠিয়েছে।
স্কুলের শিক্ষক রজত ভট্টাচার্য বলেন, “মনোজবাবুর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলে দূরের এলাকার ছাত্ররা ভর্তি হলেও এলাকার পড়ুয়ারা ভর্তির সুযোগ পেত না। এনিয়ে স্কুলে মাঝেমধ্যেই স্থানীয় অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতেন। মনোজবাবু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ভেদাভেদ করার চেষ্টা করতেন। তাঁর আমলে পঠনপাঠন নিয়েও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।” প্রায় একই বক্তব্য স্কুলের শিক্ষিকা বৈশালি চক্রবর্তী ও চিন্ময়ী মণ্ডলের। স্থানীয় অভিভাবক সনু শেখ বলেন, “মনোজবাবু অভিভাবকদের দিয়ে স্কুল চত্বর সাফ করাতেন।