বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১৮

একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা না দিতে স্বামীর চাপ, আত্মঘাতী নববধূ

মানস দাস, মালদা

স্বপ্ন পুরন হলনা নববধূর।  স্ত্রী পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়াতে চেয়েছিল। বাধা দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে বসাই গন্ডগোল পাকায় শশুর বাড়ির লোকেরা। ফোনে স্বামীর অকথ্য গালিগালাজ শুনে অভিমানে আত্মঘাতী স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে,চাঁচল থানার আশাপুর বাজার এলাকায়। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিয়ের পর থেকে নববধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারেরও অভিযোগ রয়েছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুপ্রিয়া সিনহা(‌১৯)‌। বাড়ি চাঁচল থানার আশাপুর গ্রামে। খরবা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। আড়াই মাস আগে চাঁচল থানার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা  সন্তোষ সিনহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডে চাকরি করেন। সুপ্রিয়ার শ্বশুরবাড়ি চাঁচল থানার ঘোষপাড়া এলাকায়। দ্বাদশ শ্রেণির সঙ্গে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা দিতে সুপ্রিয়া বাবার বাড়ি আশাপুরে এসে ছিলেন। এদিন দর্শনের পরীক্ষা ছিল। রবিবার তার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিস জানিয়েছে, সন্ধ্যার সময় তাঁর মোবাইলে স্বামীর ফোন আসে। চড়া সুরেই চলছিল তাদের কথাবার্তা। কিছুক্ষণ বাদে পরিবারের লোকেরা ঘরের ভেতরে এলে দেখেন মেয়ের ঝুলন্তদেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তর জন্য  মর্গে পাঠায়।
    পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাহা, সম্বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি সোনা-‌সহ ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র বিয়েতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও মেয়ের ওপর অত্যাচার। বৌভাতের দিন থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে ওরা। মৃতার কাকা সুদামচন্দ্র সাহা অভিযোগ করে বলেন,‘‌আমাদের মেয়ে একাদশে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তা চায় নি। উল্টে এ ক’‌দিনের মধ্যেই শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। মেয়ে জোড় করে পরীক্ষা দিতে চলে আসে বলে ওদের ক্ষোভ।  জামাই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে গালিগালাজ শুরু করে। পরে মেয়ে আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেয়। ওরাই আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলল।’‌ কাকা আরও অভোযোগ করে বলেন,‘‌বিয়েতে প্রায় ২০ লাখ টাকার পণ দেওয়ার পরও ওরা চারচাকা দাবি করে। মেয়েকে বলে পাঠায় গাড়ির জন্য। ওরা মেয়েকে ঝি-‌চাকরের মতো কাজ করাত। খেতে দিত না। আমরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতাম। তবুও মেয়েকে বুঝিয়েরেখেছিলাম, মুখ বুঁজে সব সহ্য করতে বলেছিলাম।’‌শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিজনেরা। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER