সুকান্ত ঘোষ
মুর্শিদাবাদের নির্ভীক সাংবাদিক ভাস্কর ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিশেষত স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। গত শুক্রবার বিকেলে যখন শ্বশুর বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল ভাস্কর।তখন মাঝপথে মুখে গামছা বেধে জনা পাচ দুষ্কৃতি পথ আটকায়।মোটরবাইক ফেলে দেয় এবং খুনের অভিযোগ দেয়।সেসময় কয়েকজন পুলিশ অফিসার কে হোয়াটস আপে ম্যাসেজ লিখে জানায়।আমাদের আশংকা ওই পুলিশ অফিসারদের কেউ নিরাপত্তা না দিয়ে উলটে তৃনমূল প্রভাবিত দুষ্কৃতিদের ফোনে জানিয়ে দেয়।তারজন্যই ভাস্কর পরিকল্পিত খুন হয় বলে আমাদের দাবি।ওই পুলিশ অফিসারদের মোবাইল কল ডিটেলস এবং লোকেশন দেখা উচিত।নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী থানায় খুনের মামলা করতে গেলে বারবার ফেরাচ্ছে স্থানীয় থানা বলে অভিযোগ ।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর পদক্ষেপ নেবার আশ্বাস দিচ্ছে।যেদিন গাছে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।সেদিন পায়ে জুতো ছিল।কি করে জুতো পরে গাছে উঠলো ভাস্কর? কেননা কোন কোন সংবাদমাধ্যম এমনকি যে দৈনিক কাগজে লিখতো তারা আবার আত্মহত্যার গল্প ফাঁদছে পুলিশের চাপ কমাতে? ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিক খুনে আদৌও দোষীরা ধরা পড়বে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।বিচার তো দূর অস্ত।পুলিশের একাংশ ক্রমাগত নিহতর পরিবারের কোন কোন সদস্য কে খুনের মামলা না করতে চাপ দিচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।