মোল্লা জসিমউদ্দিন
জেলাপুলিশের একাংশ এবং মঙ্গলকোট ব্লক তৃনমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মনেপ্রাণে চাইছে নিজ অনুগামীদের মনোনয়ন পেশ করাতে না পেরে ইস্তফা দিক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ঠিক এইরকমই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্লক নেতা জানিয়েছেন - "গত দুবছর মঙ্গলকোটে যেভাবে অনুব্রত মন্ডলের বশ্যতা স্বীকার না করে সিদ্দিকুল্লাহ রাজনীতি চালাচ্ছেন, সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বর ঠিক করে দেওয়া ৩৪ টি আসন আমাদের কাছ থেকে দেওয়া হচ্ছে, সেটা চরম অপমানের সামিল।তাই আমরা কোনভাবেই এই আসনরফা মেনে নেবনা "।যদিও তারা প্রকাশ্যে বলছেন - মঙ্গলকোট কেন্দ্রের বহিরাগত বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহের পাশে কেউ নেই, তাই প্রার্থী, প্রস্তাবক খুঁজে পাচ্ছে না তারা।অথচ গত বছর মঙ্গলকোটের কৈচরে হাটতলায় ত্রিশ হাজার কর্মী সমর্থকদের এনে ব্লক সভাপতির অফিসের সামনে 'হিট' সভা করেছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ।মঙ্গলকোটের অজয় নদের বেআইনি বালিসিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দলের একাংশ এবং জেলাপুলিশের বড় অংশের দুর্নীতি ফাঁস করেছিলেন তিনি।সেই থেকে মঙ্গলকোট ওসি কে কোন উন্নয়ন বৈঠকে বিধায়কের পাশে দেখা যায়নি।এমনকি রুগি কল্যাণ সমিতির বৈঠকে গত দুবছরে আটবার সভা হলেও যাননি ওসি।এই রুগী কল্যান সমিতির আবশ্যিক সদস্য হিসাবে স্থানীয় বিডিওর পাশাপাশি ওসি পদাধিকারীরা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মৌচাকে ঠিল মারা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিক, তা চাইছে মঙ্গলকোটের এই সিন্ডিকেট টি।ইতিমধ্যে শয়ে শয়ে বিধায়ক অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, থানায় ডেকে পুলিশি সন্ত্রাস করা, বিপক্ষ শিবিরের বাহিনী দিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে মারধোর চালানো এমনকি মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে অশ্রাব গালিগালাজ দেওয়া ঘটনাগুলি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ক্রমশ কোণঠাসা করে দিয়েছে।মনোনয়ন পেশের প্রথম পর্বেও একই অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া ৩৪ টি আসনে কোনভাবেই বিধায়ক অনুগামীরা মনোনয়ন যাতে দিতে না পারে, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাড়ীর সামনে বাহিনীর উপস্থিতি, থানার দারোগাবাবুদের চমকানি এমনকি খুনের আশংকায় অনেকেই এলাকাছাড়া।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে অনুগামীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে সিদ্দিকুল্লাহ বাধ্য হবেন ইস্তফা দিতে।আর সেটাই চাইছে পুলিশ ও দলের একাংশ।