মঙ্গলবার, মে ০১, ২০১৮

মমতার সরকার পূর্ব বর্ধমান থেকে সর্বকালীন বালির রাজস্ব পেতে চলেছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন



 অবশেষে বে আইনি বালিখাদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের জন্য রেকর্ড আয়ের মুখ দেখতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা।২০১৮-১৯ বর্ষের মধ্যে অজয় - দামোদর থেকে ২০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে প্রকাশ।২৪১ টি ঘাটের মধ্যে ২২১ টি বালিরঘাট টেন্ডার জমা পড়েছে।সেখান থেকেই ২০০ কোটি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা উঠে এসেছে।এর মধ্যে মঙ্গলকোটে ২০ কোটি আসবে।বামজমানায় যেহারে বালিলুট চলত, তাতে বালির রাজস্ব আদায় কোনকালেই কোটি টাকার বেশি সরকারি আয় হতনা।২০১৪ সালে জুন মাসে খন্ডঘোষে বালিখাদান দখল বেদখল ঘিরে তিনজন তৃনমূল কর্মী খুনে তে টনক নড়ে মুখ্যমন্ত্রীর।সেইবছরই ১৫ জুলাই বর্ধমানে শততম প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাপ্রশাসন ও জেলাপুলিশ কে কড়া বার্তা দেন।এরপরে জেলায় আরও তিনটি প্রশাসনিক সভায় কখনও সিআইডির পর্যবেক্ষণ আবার কখনও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনশাখার তদন্তর হুশিয়ারীও দিয়েছিলেন।আর এতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার অজয় -দামোদর  নদী ঘিরে কোটি কোটি টাকা লুটের রাস্তা বন্ধ হয়।এমনকি গত মাসের আউশগ্রামের শিবদায় প্রশাসনিক বৈঠকে দক্ষীন বর্ধমানের এক ওসি কে বালিপাচারে অবস্থান জানতে চেয়ে বে আইনি বালিখাদান কারবার রুখতে সক্রিয়তা দেখান মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালের পর বালির কারবার নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে দশের বেশি শাসকদলের নেতা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়তা না দেখালে বালিলুট কে কেন্দ্র করে হানাহানি বেড়েই চলবে।সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী সেচ, ভূমি এবং পুলিশের কাছ থেকে পৃথক রিপোর্ট নেন, সেখানে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট থাকায় সিআইডি কে অনুসন্ধানে নামান মুখ্যমন্ত্রী। যে চক্র দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা ভাঙ্গতে প্রশাসনের আধিকারিকদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়।কাটোয়ার চরকি ব্রিজের নিচে বিশেষ এক অভিযানে গেলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব সরকার আক্রান্ত হন।এতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠে।বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সমস্ত আমলা পুলিশের কিছু ওসি/আইসির ভূমিকা নিয়ে নবান্নতে স্মারকলিপিও দেন।পুলিশের তরফেও অভিযোগ ছিল কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে।সেসময় মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও প্রশাসন কে একযোগে বালির রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেন।এখান থেকেই মিলে সাফল্য।অজয় - দামোদর - ভাগীরথী নদীগুলিতে বালিঘাটের টেন্ডার ডাকা হয়।২৪১ টি বালিঘাটের মধ্যে ২২১ টি নিলাম হয়েছে।সেখানে আয়ের লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।ইতিমধ্যে ৫ কোটি টাকা জমা পড়েছে তাতে।এখনও পর্যন্ত যা সর্বকালীন আয় হচ্ছে বালির রাজস্ব আদায়ে।নিলাম না হওয়া ২০ টি বালিঘাটে রাস্তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।এইরুপ মঙ্গলকোটের বেশকিছু বালিঘাট রয়েছে।জেলা ভূমি আধিকারিক প্রনব বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলকোটে মহকুমাশাসক সহ পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছেন। তাতে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এখনও মিটেনি।তবে পূর্ব বর্ধমানে ২০০ কোটি টাকা বালি থেকে রাজস্ব আদায়ে যে কার্যকরী ভূমিকা পুলিশ ও প্রশাসন নিয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা।জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,  বালির রাজস্ব আদায়ের অর্থ জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করতে লাগানো হবে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER