মোল্লা জসিমউদ্দিন
সারারাজ্যে ভাগাড় এর মাংস থেকে পচা মাছ নিয়ে যখন তোলপাড়।ঠিক তখনি বিপুল পচা ছানা উদ্ধার হল মঙ্গলকোটের বুকে।মঙ্গলবার সকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং অঞ্চলে বাজার বনকাপাসি এলাকায় এক হিমঘরে হানা দেন।সেখানে গিয়ে দেখেন আড়াইশো জারে প্রায় দুহাজার কেজির ছানা রাখা হয়েছে।এগুলি পচে যাওয়ার পাশাপাশি ছত্রাক তৈরি হয়েছে।প্রশাসনের তরফে পচা ছানার জার গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।হিমঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা রেখেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।উল্লেখ্য মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে কয়েকশো ঘোষ পরিবার রয়েছে। যারা প্রতিদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অংশ সহ সীমান্তবর্তী বাঁকুড়া - বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদ সহ পুরুলিয়ায় নিয়মিত ছানা আমদানি করে থাকে।বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন ৮ টা ৪০ মিনিটে পুরুলিয়া ( ভায়া আসানসোল) প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কয়েকটি বগি বুক করে দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গলকোটের বনকাপাসি থেকে ছানা সরবরাহ করা হয়।এই ট্রেনে এই ছানার জন্য পাশ্ববর্তী লেডিস কামরায় মহিলারা দুর্গন্ধের শিকার হন।জানা গেছে শুধু আসানসোল রেলরুট নয়, হাওড়ার কর্ড এবং মেন লাইনেই দুপুরের ট্রেনে নিয়মিত যায়।এর বেশিরভাগই মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং এলাকা থেকে আসে।তাই মঙ্গলবার সকালে মহকুমাশাসকের বিশেষ অভিযানে দুহাজার কেজির পচা ছানা, তাও হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখার ঘটনায় মিষ্টান্নভোজন প্রেমিদের পচা মাংসের মত চাপা আতংক এনে দিয়েছে।কেননা পূর্ব বর্ধমান জেলার বড় অংশ তো বটেই দক্ষিনবঙ্গের চার থেকে পাঁচটি জেলার একাংশে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ছানা সরবরাহ করা হয় মঙ্গলকোটের এই এলাকা থেকেই!