শনিবার, মে ২৬, ২০১৮

মঙ্গলকোটে 'এমএসডিপি' খাতে উন্নয়ন চাইছে এলাকাবাসী


 মোল্লা জসিমউদ্দিন


গত বাম জমানায় খুন রাহাজানি লেগেই থাকত মঙ্গলকোটে, সেই মঙ্গলকোট আজ বিভিন্ন  উন্নয়নকাজে পরিপূর্ণ। তবে এলাকাবাসীরা আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চাইছেন এই এমএসডিপি ব্লকে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অবিভক্ত বর্ধমান জেলার দুটি ব্লক কে 'এমএসডিপি' হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।যার ফলস্বরুপ কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন খাতে অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত করে থাকে।২০১১ সালের বাম শাসন অবসানের আগে কলেজ - কৃষাণ মান্ডি - মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম - এফসিআই  গোডাউন - বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন - জল প্রকল্প - সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস প্রভৃতি প্রকল্প গুলি ছিলনা।অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাচা, বাড়ী বাড়ী শৌচাগার না থাকা,  চাষাবাদে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদান পেতনা সেসময়। ২০১১ সালে তৃনমূল সরকার আসার পর থেকেই বনকাপাসি এলাকায় প্রায় দুকোটি খরচে শোলা শিল্পীদের শোলাহাব,  খুদরুন দিঘীর পাড়ে সরকারী ডিগ্রী কলেজ, পলেটেকনিক কলেজ, মঙ্গলকোট হাই মাদ্রাসায় সংখ্যালঘু ছাত্রাবাস,  নুতনহাটে কৃষাণ মান্ডি - এফসিআই গোডাউন হয়েছে।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটেছে মঙ্গলকোটের বুকে।দুটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন চালুর মুখে।প্রায় গ্রামে পিচ সহ ঢালাই রাস্তা, প্রায় বাড়ী বাড়ী শৌচাগার হয়েছে নির্মল বাংলা প্রকল্পে।২০১৬ সালে বিধায়ক হিসাবে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আসায় উন্নয়নের গতি সাময়িক বেড়েছিল। হাসপাতালে কুড়ি লক্ষ টাকা অনুদানে মাতৃসদন হয়েছে।তিনটি আম্বুলেন্স দিয়েছেন। রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের ত্রিশ লক্ষ অনুদানে নুতনহাট মিলন পাঠাগারের নব ভবন সহ মডেল লাইব্রেরি হয়েছে শিলাবৃষ্টিজনিত - বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সরকারী অনুদানও পেয়েছে।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে এলাকাবাসীরা আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চেয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে।মঙ্গলকোটের মত বৃহত্তম ব্লকে দমকলকেন্দ্র গড়াটা আবশ্যিক। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ১৫ কিমি দূরে ভাতার কিংবা ২৮ কিমি দূরে কাটোয়া থেকে আগুন নেভাতে গাড়ী আসে।যখন আসে তখন উদ্ধারকাজ করার মত পরিস্থিতি থাকেনা। প্রত্নস্থল হিসাবে খ্যাত মঙ্গলকোটে মিউজিয়াম নির্মাণ দাবিটি দীর্ঘদিনের।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশা - হামিদ বাঙ্গালী - বিক্রমাদিত্য স্মৃতি বিজড়িত মঙ্গলকোটে এখনও নদনদী কিংবা পুকুর বাড়ী খননে নানান মূর্তি উদ্ধার হয়।তাই মিউজিয়াম তৈরি হলে অন্য মঙ্গলকোট কে জানতে পারবেন অনেকেই।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে মুসলিমদের থাকার মত সরকারী অতিথিনিবাস নেই এখানে।প্রতিবছর উরশে কাদেরিয়া - হামিদ বাঙ্গালির মাজারে লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের সমাগম ঘটে এই মঙ্গলকোটে।তাই অতিথিনিবাসের পরিকাঠামো না থাকায় অনেককেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়।এইরুপ নানান উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার দাবি উঠেছে মঙ্গলকোট কে ঘিরে।জেলাপ্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, মিউজিয়াম প্রকল্পটি প্রস্তাবনায় রয়েছে।দমকলকেন্দ্র এবং মুসলিম অতিথিনিবাস প্রকল্প বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে।২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের 'এমএসডিপি' ব্লক হিসাবে মঙ্গলকোট অতিরিক্ত দশ কোটি টাকা বাৎসরিক অনুদান পেলেও সংখ্যালঘু উন্নয়নে সেই অর্থ যথার্থ ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ।২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি থাকা মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বাজার বনকাপাসিতে শোলা হাব প্রকল্পটি নিয়ে বিধানসভায় বারবার সরব হয়েছিলেন।সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ছিলেন।শোলা শিল্পের সাথে কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি যুক্ত না থাকা সত্বেও কেন এমএসডিপির প্রায় ২ কোটি অনুদান এখানে অপব্যবহার হল? তা নিয়ে সবিস্তর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।সদর মঙ্গলকোট গ্রামে হাই মাদ্রাসার ছাত্র নিবাস গড়তে ১ কোটির বেশি অর্থ এসেছিল।নিম্নমানের ইমারত সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাত্রীনিবাসের ছাদটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।বৃষ্টি হলেই জল ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ে ঘরে।এইবিধ নানান অনিয়ম - দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমএসডিপির অনুদান ঘিরে।দাবি উঠেছে বাংলার বাদশা হোসেন শাহ এর তৈরি যে সৌধ রয়েছে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বর এলাকায়।তার দ্রুত সংস্কার হোক।মুঘল সম্রাট শাহজাহান বাদশার শিক্ষা ও ধর্মীয় গুরু হামিদ বাঙ্গালীর সমাধিস্থলটি সংস্কারে হাত দিক প্রশাসন।আঠারো অলি খ্যাত মঙ্গলকোটে সরকারী মুসলিম অতিথিনিবাস গড়ে উঠুক চাইছেন এলাকাবাসীরা।প্রতি বছর কাদেরিয়া পীরসাহেবের উরশে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ এখানে আসেন।তারা অস্থায়ী ছাউনি করেন।সিউড়ির পাথরচাপরি দাতাবাবার মাজারে যে সরকারী উদ্যোগ দেখাগেছে, সেই অনুরুপ উদ্যোগ মঙ্গলকোটের মাজার শরিফে নেওয়া হোক।এইবিধ নানান উন্নয়ন প্রকল্প না নিলে মঙ্গলকোটের যথার্থ উন্নয়ন আসবেনা কখনই।তা মানছেন মঙ্গলকোটে একদা বিডিও পদে থাকা বেশকয়েকজন আধিকারিকও।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER