মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
আজ বিকেলে তৃনমূল সুপ্রিমো রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রার্থীপদ ঘোষণা করতে চলেছেন। পুরাতনদের পাশাপাশি নুতন মুখদের পাওয়া যাবে সম্ভাব্য এই তালিকায়। যারা টিকিট পাবেন বলে আশা করে আছেন, অথচ পাবেন না প্রতীক। তাদের জন্য মন্ত্রীপদ সহ নানান লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়ার কাজ চলছে বলে প্রকাশ। 'বাহুবলী' বিধায়ক অর্জুন সিং তাদের মধ্যে একজন। এইরূপ পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কোন নিকটাত্মীয় কে প্রার্থীপদ দিতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব। যেভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নেত্রীর সবুজসংকেত থাকা সত্বেও কোন আসনে অনুগামীদের দাঁড় করাতে পারেননি সিদ্দিকুল্লাহ। তাতে তিনি মন্ত্রীসভার মাসিক পর্য্যালোচনা বৈঠক থেকে সচিবালয় না যাওয়া। এমনকি সরকারি নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখনি নাকি নেত্রী সিদ্দিকুল্লাহ কে আসন্ন লোকসভায় ১ টি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন! এইরূপ কানাঘুষো আলোচনা শুনতে পাওয়া যায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে। এখন দেখার আদৌও নেত্রী কোন আসনে সিদ্দিকুল্লাহ মনোনীত ব্যক্তি কে টিকিট দেন কিনা? পুনরায় আবার কোন লোভনীয় প্রস্তাব ( ক্যাবিনেট মন্ত্রী) আসে কিনা লোকসভায় জমিয়ত উলেমা হিন্দ কে নামিয়ে.... জমিয়ত উলেমা হিন্দ এর একাংশ সিদ্দিকুল্লাহের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ বলেও জানা যায়। বিশেষত বিভিন্ন জেলা কমিটি গঠন করা নিয়ে মতানৈক্য ঘটেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর পুরাতন দল পিডিসিআই তরফে দাঁড় করাবার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। নবান্ন অফিসে চা বিস্কুট খেয়ে মাত্র ২ টিতেই সন্তুষ্ট হন তিনি। এখন দেখার লোকসভায় তাঁর বরাতে জুটে কিনা কোন আসন। নাকি পঞ্চায়েত ভোটের মত শুন্য হাতে স্বতন্ত্র রাজনীতিতে নিঃস্ব হবেন তিনি ।