মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
দু সপ্তাহের মধ্যেই ফের খুন হল মঙ্গলকোটে৷ সেবারেও স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ চালিয়েছিল এলাকাবাসী। এবারে আরও বেশি ক্ষুব্ধ রুপ নিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা মঙ্গলকোটের নুতনহাট কাটোয়ার মত গুরত্বপূর্ণ সড়করুট অবরুদ্ধ করলো হাজারের কাছাকাছি এলাকাবাসী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছালো যে, ঘটনাস্থলে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে কাটোয়া থেকে শয়ে শয়ে র্যাফ নামায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলকোটের নুতনহাট কাটোয়া সড়ক রুটে থাকা নহাটা ক্যানেল সেতুর কাছে মাঠের পুকুর পাড়ে ইজল সেখ (১৭) নামে এক যুবকের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নিহত ব্যক্তি কাটোয়ার শ্রীখন্ড গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা হলেও খুনের ঘটনাস্থল টি হচ্ছে মঙ্গলকোটের বুঁইচি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়।শুক্রবার সকালের দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রথমে এই লাশ টি দেখতে পান। এরপরে দেহটি নুতনহাট কাটোয়া সড়ক পথে দেহ ফেলে আশেপাশে দশটি বারোটি গ্রামের হাজারের কাছাকাছি এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখায়। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ প্রথমে মৃদু লাঠিচার্জ করে অবরোধ হঠাতে গেলে এলাকাবাসী আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পুলিশ তখন অবস্থা বেগতিক দেখে কাটোয়া থেকে শয়ে শয়ে র্যাফ আনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি শ্রীখণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লটারি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে বুঁইচি গ্রামে বাসিন্দা ভোলা ঘোষ তাকে ডেকে নিয়ে যায় বকেয়া ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। রাত দেখেই খোঁজ মেলেনি শ্রীখণ্ড গ্রামের ইজল সেখের। আজ সকালে দেহ উদ্ধারে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নিহতর পরিবার সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা। মূল অভিযুক্ত ভোলা ঘোষ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। পুলিশ অবশ্য তার খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। উল্লেখ্য গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলকোটের সরুলিয়া এলাকায় এক পশু চিকিৎসকের ছেলে কাজল পালের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেবারেও পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় এই খুন দাবি রেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘন্টা খানেক পথ অবরোধ চালিয়েছিল। সেই খুনের এখনও পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি দেখাতে পারেনি মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এরেই মাঝে আজকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আরও জনরোষ দেখা গেল মঙ্গলকোটের বুকে। শুক্রবার বিকেলে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় শ্রীখণ্ড গ্রামের খুন হওয়া ইজলে সেখের। এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য রয়েছে।