শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটের মতই লোকসভাতেও মঙ্গলকোটে 'ব্রাত' সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি শুধু এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নন,  সেইসাথে রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রীও। তাও তিনটি দপ্তরের। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দলনেত্রীর নির্দেশ মঙ্গলকোটে লড়ে জিতলেও, বছর ঘুরতেই তিনি গুরত্বহীন হয়ে উঠলেন। তৎকালীন এই কেন্দ্রের ( বোলপুর)  সাংসদ অনুপম হাজরা কে নিয়ে স্বতন্ত্র বলয় গড়ার চেস্টা করেও তিনি পিছু হটেছেন। কখনো মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় স্থানীয় দলীয় নেতাদের সৌজন্যে জুতো ঝাঁটা সহ অশ্রাব্য গালি শুনেছেন। আবার কখনও বা মঙ্গলকোট থানার সামনে পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ এর হাতে কালো পতাকার মিছিল দেখেছেন। অপমানিত বোধ হয়ে কখনো সরকারী নিরাপত্তারক্ষী সাময়িক ছেড়ে হুশিয়ারী দিয়েছেন। আবার কখনও বা রাজ্য মন্ত্রীসভার পর্যালোচনা বৈঠকে গড়হাজির থেকে মনের চাপা অভিমান মুখ্যমন্ত্রী কে বোঝাবার চেস্টা করেছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটের ক্ষমতাসীন গ্রুপ কে লোকদেখানোর মতো পাশে পেলেও, ২০১৮ এর পঞ্চায়েত ভোটে কোন পাত্তাই পাননি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলকোটের পদিমপুর বাইপাসে ঘরভাড়া  নিয়ে বিধায়ক পরিষেবা কেন্দ্র করেও বিতাড়িত হয়েছেন এখান থেকে। টানা তিনবার থানার এককিমির মধ্যে থাকা এই অফিসঘরে বোমাবাজি সহ সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছিল দলের ক্ষমতাসীন নেতাদের আশ্রিত দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও কোন পুলিশি সক্রিয়তা দেখাতে পারেন নি। তাই ঘরমালিক দুহাত করজোড়ে অফিস তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।পঞ্চায়েত ভোটে আসনরফা নিয়ে দফায় দফায় তৃনমুলের শীর্ষ নেতৃত্বর সাথে বৈঠক করে ৩৪ টি দলীয় সিম্বল পেয়েও কোন অনুগামী কে ভোটের ময়দানে নামাতে পারেননি। এমনকি মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে এক মহিলা অনুগামী কে প্রকাশ্যে রাস্তায় শারীরিক নিগ্রহ করে  সশস্ত্র বাহিনী।কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে মনোনয়নের ফর্ম তুলতে সিদ্দিকুল্লাহের আপন ভাইপোর মাথা ফাটে পুলিশের লাঠিতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত ভোটের দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন তুলতে তিনি নিজে মঙ্গলকোটের পদিমপুরে এসেছিলেন। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে খুনের আশংকার কথা জানিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। কুড়ির কাছাকাছি অনুগামীদের গাঁজার মামলায় শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'জমিয়ত উলেমা হিন্দ' এর জেলা কমিটি কে দিয়ে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তিনি। কেননা তিনি এই ধর্মীয় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। তাই পঞ্চায়েত ভোটে মঙ্গলকোটে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়েছিলেন তিনি। শুধু মঙ্গলকোট ব্লক নয়, সমগ্র কাটোয়া মহকুমা বিরোধী শুন্য হয়েছিল। নিন্দুকেরা বলেন - এই মহকুমার দলীয় পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের 'উন্নয়ন' ফর্মুলাতেই সবকিছু হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেতারা রাজ্য সরকারের কাজের নিরিখে বিরোধীশুন্য সাফল্য অর্জন করে বলে দাবি জানিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে কোন রাজনৈতিক সভা মিছিলে দেখা যায়নি মঙ্গলকোটের বুকে। লোকসভাতেও তাই হচ্ছে। নির্বাচনী বিধি চালুর কম বেশি একশো সভায় কোথাও দেখা যায়নি এলাকার শাসকদলের বিধায়ক কে। মঙ্গলকোটের রাজনীতি বলয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। যদিও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন অন্য কথা , তাঁকে নাকি তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব গুরত্ব দেন। মালদায় নির্বাচনের প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে পাশে বসিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দ্রলোনে তাঁর ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে।  তবে কেস্টর গড়ে বীরভূম জেলা সহ কাটোয়া মহকুমা সর্বপরি তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র মঙ্গলকোটে কেন রাজনৈতিক প্রচারে দেখা যাচ্ছেনা। তার সদুত্তর অবশ্য  মেলেনি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর শিবির থেকে।                                                                                                                                                                   

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER